নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n--আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।\n

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখে এলাম ময়নামতি ওয়ার সেমিট্রি বা কমনওয়েলথ রণ সমাধি ক্ষেত্র (একটি ছবি ব্লগ)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪




শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে এক অশান্তির নাম যুদ্ধ। এই যুদ্ধ জ্বালাও,পোড়াও,আর ধ্বংসের তাণ্ডব লীলার সাথে অকালে নিভিয়ে দেয় অনেক জীবন প্রদীপ। এই সমাধি ক্ষেত্রে ঢুকার প্রায় প্রথম ভাগেই চোখে পড়ে এক তরুণ যোদ্ধার সমাধি. R.P Law নামের ব্রিটিশ রয়্যাল কোরের এই সদস্যের মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর।আরেকজনের ২১, আরেকজনের ২৩। এরকম নানা বয়সী, নানা দেশী, নানা ধর্মের ৭৩৭ জন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈন্য চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন এখানে।



১৯৩৯ সাল। বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে অশান্তির ছায়া। চারদিকে শুরু হয়েছে বিশ্বযুদ্ধের দামামা। দিন নেই, রাত নেই, বোমার গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ। অস্ত্রের গর্জন আর ছোপ ছোপ রক্তে শান্তিকামী মানুষের মনে আতঙ্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এ সর্বগ্রাসী মরণছোবল ভারতীয় উপমহাদেশের যেসব জায়গায় লেগেছিল, তার মধ্যে অন্যতম কুমিল্লা। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও টিকে আছে বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশকের সেই যুদ্ধের আগুন দগ্ধ দিনের স্মৃতিময় একটি স্থান।



বলছিলাম কুমিল্লা ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি বা কমনওয়েলথ রণ সমাধি ক্ষেত্রের কথা। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ও ময়নামতি সাহেবের বাজারের মাঝামাঝি কুমিল্লা-সিলেট সড়কের বাম পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে সাড়ে চার একর পাহাড়ি ভূমি জুড়ে বাংলাদেশে অবস্থিত দ্বিতীয় এ কমনওয়েলথ সমাধি ক্ষেত্র।অপর কমনওয়েলথ সমাধি রয়েছে চট্টগ্রাম শহরের বাদশা মিয়া চৌধুরী রোডে। যাতে ৭শ' ৫৫ জন সৈনিকের সমাধি রয়েছে।



সমাধি ক্ষেত্রটির প্রবেশমুখে একটি তোরণ ঘর আছে। এই ঘরের ভিতরের দেয়ালে সমাধি ক্ষেত্রের ইতিহাস ও বিবরণ ইংরেজি ও বাংলায় লিপিবদ্ধ করে একটি ফলক লাগানো হয়েছে। ভিতরে সরাসরি সামনে প্রশস্ত পথ, যার দুই পাশে সারি সারি কবর ফলক। সৈন্যদের ধর্ম অনুযায়ী তাদের কবর ফলকে নাম, মৃত্যু তারিখ, পদবির পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতীক লক্ষ করা যায়-যেমন খ্রিস্টানদের কবর ফলকে ক্রুশ, মুসলমানদের কবর ফলকে আরবি লেখা (যেমন: হুয়াল গাফুর) উল্লেখযোগ্য।





প্রশস্থ পথ ধরে সোজা সম্মুখে রয়েছে সিঁড়ি দেয়া বেদি, তার উপরে শোভা পাচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মীয় পবিত্র প্রতীক ক্রুশ।



বেদির দুপাশে রয়েছে আরো দুটি তোরণ ঘর। এসকল তোরণ ঘর দিয়ে সমাধিক্ষেত্রের পিছন দিকের অংশে যাওয়া যায়। সেখানেও রয়েছে আরো বহু কবর ফলক।



প্রতি দুটি কবর ফলকের মাঝখানে একটি করে ফুলগাছ শোভা পাচ্ছে। এছাড়া পুরো সমাধিক্ষেত্রেই রয়েছে প্রচুর গাছ। সমাধিক্ষেত্রের সম্মুখ অংশের প্রশস্ত পথের পাশেই ব্যতিক্রমী একটি কবর রয়েছে, যেখানে একসাথে ২৩টি কবর ফলক দিয়ে একটা স্থানকে ঘিরে রাখা হয়েছে। এই স্থানটি ছিল মূলত ২৩ জন বিমান সৈনিকের একটি গণকবর, যেখানে লেখা রয়েছে:
These plaques bear the names of twenty three Air men whose remains lie here in one grave



দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত বার্মায় সংঘটিত যুদ্ধে প্রাণ হারান ৪৫ হাজার কমনওয়েলথ সৈনিক।তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে মিয়ানমার, আসাম এবং বাংলাদেশের ৯টি রণ সমাধি ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। যার একটি ময়নামতি ওয়ার সেমিট্রি। এখানে শায়িত আছেন নিহত ৭শ' ৩৭ জন সৈনিক। এর মধ্যে ২৪ জন জাপানি যুদ্ধবন্দি এবং ১ জন বেসামরিক ব্যক্তি বাদে বাকি সবাই কমনওয়েলথ সৈনিক। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে নিহত এবং যুদ্ধে আহত হয়ে পরে মারা যাওয়া সাধারণ সৈনিক থেকে ব্রিগেডিয়ার পদ মর্যাদাধারীকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে।



যুদ্ধের পর বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন সমাধি থেকে কিছু লাশ স্থানান্তর করেও এখানে সমাহিত করা হয়। বাহিনী অনুযায়ী এখানে ৩ জন নাবিক, ৫৬৭ জন সৈনিক এবং ১৬৬ জন বৈমানিক রয়েছেন। যুদ্ধে নিহতরা হলেন যুক্তরাজ্যের ৩৫৭ জন, কানাডার ১২ জন, অস্ট্রেলিয়ার ১২ জন, নিউজিল্যান্ডের চারজন, দক্ষিণ আফ্রিকার একজন, অবিভক্ত ভারতের ১৭৮, জিম্বাবুয়ের তিনজন, পূর্ব আফ্রিকার ৫৬, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন, মিয়ানমারের একজন, বেলজিয়ামের একজন, পোল্যান্ডের একজন ও জাপানের ২৪ জন।



এখানে মোট সমাধির সংখ্যা ছিল ৭৩৮টি। ১৯৬২ সালে এ সমাধিস্থল থেকে একজন সৈনিকের আত্মীয় স্বজন তার দেহাবশেষ যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান। বর্তমানে এ সমাধি সংখ্যা ৭৩৭টি। এরমধ্যে ১৪জন সৈনিকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ১৯৪৩/৪৪ সালে আর্মি গ্যারিসন ইঞ্জিনিয়ারগণ এ সমাধি ক্ষেত্রটি তৈরী করেন।



সমাধির পাহাড়ের প্রথম ধাপে রয়েছে ইউরোপিয়ানদের কবর। উপরের ধাপে রয়েছে এ উপমহাদেশের যোদ্ধাদের কবর। সমাধিগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে। ১৪টি বাদে প্রত্যেক সমাধিতে লেখা আছে নিহত সৈনিকের নাম, বয়স, পদবী, নিহত হবার তারিখ ও ঠিকানা।



কুমিল্লার ময়নামতি সমাধিক্ষেত্র এবং চট্টগ্রামের সমাধি ক্ষেত্র এ দুটির সার্বিক তদারকি করছে কমনওয়েলথ গ্রেভস কমিশন। এর প্রধান কার্যালয় লন্ডনে। কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশ সমূহের অনুদানে চলে এ সংস্থাটি। কুমিল্লার ময়নামতি সমাধি ক্ষেত্রটিতে গ্রেভস কমিশনের নিয়োগ করা ১ জন কেয়ারটেকার ও ৫ জন গার্ডেনার রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত আছে।
ঈদের দুদিন ছাড়া বছরের প্রতিদিনই সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর ১টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ যুদ্ধ সমাধিস্থল সর্ব সাধারণের জন্য উম্মুক্ত থাকে। একটি নোটিশ বোর্ডে - 'প্রেম পিরিতি করতে যাওয়া কাপলদের সমাধি ক্ষেত্রে প্রবেশ নিষেধ।' জাতীয় কিছু লিখা দেখলাম।



এ সমাধি ক্ষেত্র দেখতে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের শত শত দর্শনার্থী ভিড় করে। প্রতিবছরের ৫ নভেম্বর কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা এই সিমেট্রিতে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এবং প্রায় সকল ধর্মের ধর্মযাজকদের দিয়ে এই দিনে নিহতদের স্মরণে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

পুনশ্চঃ শেষ ছবিটি দেখে কমনওয়েলথ রণ সমাধিক্ষেত্র থেকে উঠে আসা কোন সৈনিক ভেবে আবার 'আমিন' লিখে ফেলবেন না। ইনি আসলে একজন পর্যটক। =p~



মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দারুন পোষ্ট।এই সমাধী সম্মন্ধে আগে জানা ছিল না আমার।
ছবি গুলো ভালই এসেছে।
শেষের ছবিটা দেখে টালিউডের নায়ক মনে হইতাছে ;)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
শেষের ছবিটা দেখে টালিউডের নায়ক মনে হইতাছে ;)
ভাইজান কি নায়ক হিরো আলমকে মিন করেছেন? :P

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক দিন পর আমার ব্লগে এলেন!
অনেক ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা ছবি ।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

তালপাতারপাখাই বলেছেন: দারুন হয়েছে ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তালপাতারপাখাই

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: চট্টগ্রামেরটা পোলা পাইন ডেটিং স্পট বানিয়েছিল। গত দশ বছরে যাওয়া হয় নি

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সম্ভবত ময়নামতিতেও এমত কিছু হয়ে থাকবে, তাই এদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নোটিস দেয়া হয়েছে।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমিন লিখলাম না! পর্যটকের জন্য শুভেচ্ছা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি সারথি ।

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সমাধীতে শুয়ে আছে যারা
চির নিদ্রায় চির শান্তিতে থাকুক তারা।
++++++++++

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন মোঃ মাইদুল সরকার

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: পর্যটক সাহেবের ছবটি ভালো লাগলো।
পোষ্ট টি সুন্দর হয়েছে। এরকম পোষ্ট আরও আশা করি।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি সাধারণত চিপায় চাপায় থাকা আঞ্চলিক দর্শনিয় স্থানগুলির পর্যটক। তাই সেসব নিয়ে সচরাচর ব্লগ পোস্ট দেইনা।
যাক আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত বোধ করছি, ধন্যবাদ জানবেন রাজীব নুর।

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার বিশ্বাস হয় না.। =p~ =p~
সমাধি ক্ষেত্র থেকে কেউ উঠে এসেছে বোধ হয়। B:-)
আমরা তো এখন গণতন্ত্রের সমাধিক্ষেত্রেই বাস করছি......
যারা কথা বলছে তারা তো জল্লাদ.....। :(
=p~ =p~ কৃতদাসের হাসি ভাববেন না।....
আমি স্বাধীন.....দলকানা আমি না।।।। !:#P

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কাব্যিক ক্ষুব্দ মন্তব্য, কি প্রতিমন্তব্য করবো বুঝতেছিনা !!

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


এবারে পরের ট্যুর প্ল্যান হয়ে গেল ।

থ্যাংকস ।

ইতিহাস জানার জন্য যাবো ।

রথ দেখা কলা বেচা দুটো ই হবে ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রথ দেখা কলা বেচার সাথে অন্য কিছু দেখতে চাইলে ময়নামতি জাদুঘর, শালবন বোদ্ধবিহার আর ধর্ম সাগর দিঘিটি দেখে আসতে ভুলবেন না।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চেচের চবিডা চেই হইচে B-))

পোস্টে পিলাচ....

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
সকল প্লাসগুলো এক করে শেষের ছবিতে ছড়িয়ে দিলাম ;)


আপনারে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।

পানি পান করুন, অনেক কষ্ট করলেন ;) ;) ;)


তারপর বলেন, দিনকাল কেমন যাচ্ছে?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন সৈয়দ তাজুল ইসলাম ।

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর এবং তথ্যবহুল পোস্ট !

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন কবি সুমন কর।

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

সব ছবিই সুন্দর ___ দেখে ভাল লেগেছে _____ছবির সাথে তথ্য নির্ভর লেখাগুলো পোস্টাকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্রাঞ্জি সে

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি ও গেছিলাম আগে, কিন্তু আপনার মত করে তথ্য সংগ্রহ করি নাই;
ছবি আর লেখায় মুগ্ধতা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা জানবেন আপু।

১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: ছবি পরবর্তী তথ্য পোষ্টকে আরও আকর্ষনীয় করল। বিশেষ করে শেষের ছবিটির ক্যাপশন ;)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হাসি আনন্দে থাকতে চাই, তাই বেদনাক্রান্ত পোস্টটির শেষে একটু সহনীয় মাত্রার ফান করলাম =p~

১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার ছবি ব্লগ।চমৎকার বর্ণনা এবং তথ্যবহুল। ধন্যবাদ। আমি চট্টগ্রামে অবস্থিত ওয়ার সেমিট্রি বা কমনওয়েলথ রণ সমাধি ক্ষেত্র দেখতে গিয়েছিলাম ২০১৮ সালের শুরুর দিকে। একই আদলে ময়নামতির এটা। মানুষ এটাকে পার্ক বানিয়ে ফেলেছে। নানান বিচিত্র চরিত্রের মানুষেরা এখানে এসে জড়ো হয়। ময়নামতি গিয়েছিলাম কিন্তু এই একটা জায়গা বাদ গিয়েছিল। এবার যাব। ভালো থাকুন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মানুষ এটাকে পার্ক বানিয়ে ফেলেছে। সঠিক বলেছেন।
ময়নামতিতেও প্রেম পিয়াসিদের আনাঘোনা বেশি। তাই কতৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে রেখেছে।
তবে নোটিশে বিষয়টা তারা ঠিক মত তুলে ধরতে পারেনি। লিখেছে 'ছেলে মেয়ে একসাথে প্রবেশ নিষেধ'!

১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ময়নামতির ওয়ার সেমিট্রিতে যাওয়া হয়নি, চট্টগ্রাম এবং ভারতের নাগাল্যান্ডের ওয়ার সেমিট্রিতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। ওখানে গেলে মনটা জানি কেমন হয়ে যায়। আমি এমন ও দেখেছি মাত্র ষোল বছরের একজন সৈনিকের কবর। যে দুনিয়াটা ভালোভাবে বুঝার আগেই সৈনিক হয়েছিল আর কিছুই না দেখেই চলে যেতে হয়েছিল।
আর এফিটাফগুলো আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ি, মনটা বিষন্নতায় ভরে যায় কিছু লেখা পড়লে।

বাবা মা লিখেছেনঃ আমাদের প্রিয় পুত্রের প্রেমময় স্মৃতির এফিটাফ, যদিও আমরা থাকি অনেক দূরে।

স্ত্রী লিখেছেনঃ ইশ্বরের সান্নিধ্যে বিশ্রাম কর, আমাদের আবার দেখা হবে

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সাদা ভাই , আপনি হচ্ছেন সামুর হিউএনসাং। ভ্রমণ আর ভ্রমণ পোস্টকে আপনি প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
আমারও দর্শনিয় স্থানে ঘুরার শখ বাট সময় আর অর্থের সমন্বয় না হওয়ায় আশপাশের ঘাসের ঢগার শিশির বিন্দু খুঁজি।
ময়নামতি সেমিট্রিতে কতৃপক্ষের আন্তরিক যত্নের ছাপ দেখলাম কোথাও একটা শুকনো পাতাও পড়ে নেই।
যাক, আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো, ধন্যবাদ জানবেন সাদা ভাই ।

১৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেকুবেরা যুদ্ধ শুরু করে, বুদ্ধিমানরা থামায়

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বুদ্ধিমানরা বেকুবদের দিয়ে যুদ্ধ শুরু করায়, আবার বুদ্ধিমানরা যুদ্ধ থামায় =p~

১৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ। এই সিমেট্রিতে যাওয়ার খুব ইচ্ছা হয়। কিন্তু নানা কারণে হয়ে ওঠে না। বেঁচে থাকলে হয়তো যাবো কোনদিন।


ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার পোস্টটি পড়ে সেমিট্রিটি আপনার দেখার সগ্রহ হয়েছে এতে আমি আনন্দিন ।
অনেক ধন্যবাদ জানবে জনাব আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

২০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

মিথী_মারজান বলেছেন: দারুন সুন্দর পোস্ট।
আমার খুবই পছন্দের একটি জায়গা।
কুমিল্লা আর চট্টগ্রামে যখনই যাই আমি একবার হলেও ওয়ার সিমেট্রিতে যাই।
এখানে গেলে মনটা আক্ষরিক অর্থেই যেন আরো বিশুদ্ধ হয়ে ওঠে।
বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন বয়সী মানুষের সমাধি।
নামগুলো পড়লে আর কম বয়সী কারো পরিচয় দেখলে মনটা কেমন হু হু করে।
আমি তাদের সাহসীকতার কথা স্মরণ করি।
না জানি কোথায় আছে তাদের পরিজনেরা!
কত দূরের সেসব দেশ, চাইলেও তাদের প্রিয়জনেরা সমাধির কাছে আসার সুযোগ পায়না।
কিছু কিছু সমাধিতে হাত ছুঁয়ে রাখি আমি।
সম্মান জানাই, ভালোবাসা জানাই, তাদের পরিজনদের কথা ভেবে আরো কিছুক্ষণ প্রার্থনা করি।
তবে স্হানীয় অনেকেরই দেখেছি এই জায়গা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই।
খ্রিস্টান কবরস্থান নামেই একে বেশি চেনে এবং সঠিক সম্মান জানাতে দ্বিধা করে।
তাছাড়া কাছেপীঠে এমন সুন্দর জায়গা যে আছে সে সম্পর্কেও অনেক সাধারণ মানুষের জানা নেই।
আপনার পোস্ট দেখে আশাকরি অনেকেই জায়গাটা সম্পর্কে আগ্রহী হবে এবং এর ইতিহাস জানতে পারবে।
এমন চমৎকার পোস্ট দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।:)




০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই সেমিট্রি নিয়ে সম্ভবত তুমিও একটা পোস্ট করেছিলে।
এখানে যারা আসে দেখলাম তারা ইতিহাস সম্পর্কে ধারনা রাখেনা। এটাকে স্রেফ একটা বিনোদন কেন্দ্র ভাবে।
আরেকটা কথা- ওয়ার সেমিট্রি বা কমনওয়েলথ সমাধি বললে এটাকে কেউ চিনে না , স্থানীয়রা বলে ইংরেজ কবরস্থান।
যাক, ক্লেশ স্বীকার করে পাঠোত্তর সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জেনো মিথী।

২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

প্রথমকথা বলেছেন: লেখার বর্ণনা এবং ছবি ভীষণ ভালো লেগেছে প্রিয় ভাই।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন প্রথমকথা।

২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১০

প্রামানিক বলেছেন: ময়নামতির ওয়ার সেমিট্রিতে আমিও কয়েক বছর আগে গিয়েছিলাম কিন্তু আপনার পোষ্ট পড়ে মনে হলো আবার যাওয়া দরকার আপনার মত করে দেখা দরকার। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্ট করার জন্য।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দেখে আসুন প্রামানিক ভাই । দুজনের দেখায় ভিন্নতা থাকতে পারে। দেখে এসেই আপনার অনুভূতির কথা আমাদের জানান।

২৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আচ্ছা, আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখ স্টল মেলায় কি শেষের ছবিটার বাস্তব সাক্ষাৎ মিলবে?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একদিন যাওয়ার ইচ্ছা আছে। হয়তো দেখা হতেও পারে।

২৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সমাধি ক্ষেত্রটা তো অনেক সুন্দর। বাংলাদেশের সবগুলো সমাধি ক্ষেত্র এমন হলে ভালোই হতো।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আসলেই জায়গাটা অনেক সুন্দর।
বাংলাদেশের সবগুলো সমাধি ক্ষেত্র এমন হলে ভালোই হতো। আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত।

২৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫০

অক্পটে বলেছেন: আপনার বর্ণনায় যা আছে তা সত্যি অসম্ভব লাগল। জায়গাটা দেখার ইচ্ছে হচ্ছে খুব। ভাবলেই যেন কেমন লাগে কত দূরদেশ থেকে এরা বাংলাদেশে এসেছিল। তাদের সমাধি বাংলাদেশে! খুব আবেগ কাজ করছে আমার মধ্যে। শ্রদ্ধা অমলীন তাদের সবার জন্য।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য, অনেক ধন্যবাদ জানবেন অক্পটে

২৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২১

জাহিদ হাসান বলেছেন: গেছিলাম

২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: যাবার ইচ্ছা আছে; চট্টগ্রামের টা দেখেছি। সুন্দর পরিবেশ, ২ জন জাপানী সৈনিক এর সমাহিত দেখে আমা র সংগে এক জাপানী আসা মাথা নুইয়ে শ্রদ্ধা জানান

০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন ফেরদাউস আল আমিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.