নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫৭ ধারা একটি কালো আইন । ৫৭ ধারা বাতিল করো ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

৫৭ ধারা একটি কালো আইন ।
৫৭ ধারা বাতিল করো ।

৫৭ ধারায় বলা হচ্ছে...
"ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে এবং তার কারণে মানহানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে।"

তার মানে, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল বা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ এই ধারায় গণ্য হবে।

ধরুন, এক লোক চোর । সে আবার সমাজের ক্ষমতাবানও । কারণ সে এলাকার চেয়ারম্যান । সে মুলত সরকারের চাল চুরি করে খায় । কিন্তু সে যে চোর তা এলাকার বেশির ভাগ মানূষ জানে না । তবে কেউ কেউ জানে । যারা জানে তারা সেই ক্ষমতাবান চোরের ভয়ে সামনা সামনি চুরির প্রতিবাদ করতে পারে না আবার সমাজের অন্য লোকদেরকেও চুরির বিষয়টি জানিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে পারে না ।

এমতাবস্থায় যদি কেউ একজন অনলাইনে একটি ফেইক আইডি খুলে অথবা রিয়েল আইডি দিয়ে সঠিক তথ্য উপাত্য হাজির করে সেই ক্ষমতাধর চোরের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে তাহলেও এই ৫৭ ধারায় তা অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হইবে ।

ক্ষমতাধর চোর লোকটি থানায় গিয়া যদি বলে , অমুক আইডি থেকে অমুক লোকটি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে আমার সামাজিক , সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং ব্যাক্তিগত মানহানি করেছে । তাহলে থানা ফেইক আইডি অথবা রিয়েল আইডির মালিককে ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করতে পারে । অপরাধ প্রমাণিত হওয়া না হওয়া পরের ব্যাপার । কিন্তু ক্ষমতাধর চোর চেয়ারম্যানের মান বাঁচাইতে থানা আইডির মালিককে এই কালো আইনে গ্রেফতার করতে পারবে । এই আইনে সেই ক্ষমতা দেওয়া হইছে । চোর চোরই থাকবে মাঝখান থেকে একজন চুরির প্রতিবাদকারী নিরীহ নাগরিক হয়রানির শিকার হবে ।

তারপর এই আইনে বলা হচ্ছে অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে...

আইচ্ছা কোনটা শ্লীল কোনটা অশ্লীল তার সীমারেখা কে ঠিক করে দিবে ? কারো কাছে শব্দ করে ভাত খাওয়াটা শ্লীল আবার কারো কাছে শব্দ করে ভাত খাওয়াটা অশ্লীল । কারো কাছে ভাত খাওয়ার পর সেই প্লেইটে পানি দিয়ে ধুয়ে সেই পানি খাওয়াটা শ্লীল আবার কারো কাছে তা বেশ গা গিনগিনে ব্যাপার । আবার কোন কোন পরিবারে মেয়েদের ছোট ছোট জামা কাপড় পরা বেশ ফ্যাশন্যাবল এবং বেশ অভিজাত্যের প্রতীক আবার কারো কারো কাছে তা বেশ অশ্লীল । কারো কারো কাছে বড় করে পাদ দেওয়া অশ্লীল কিছুই নয় আবার কারো কারো কাছে তা বেশ অশ্লীল ।

এখন যদি কোন ব্যাক্তি যে শব্দ করে ভাত খায় , যে ভাত খাওয়ার প্লেইট ধুয়ে পানি খায় , যে পরিবারের মেয়েরা ছোট জামা কাপড় পড়ে , যে ব্যাক্তি বড় করে পাদ দেয় তাদের বিরুদ্ধে লেখে কোন ফেইক আইডি বা রিয়েল আইডি থেকে এবং ওই সকল ব্যাক্তি যদি থানায় গিয়ে অভিযোগ করে তাহলেও ৫৭ ধারায় আইডির মালিককে গ্রেফতার করা যাইবে । কারণ এই আইনে সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে ।

আবার এই আইনে যারা গ্রেফতার হয় তাদের বিচার করাও কিন্তু বেশ কঠিন । কারণ তথ্য প্রমান সব গায়েব হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে । যেমন ধরুন কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগকৃত কোন আইডির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আইডির মালিককে গ্রেফতার করা হইলো । আইডিতে যেসব লেখা আছে তা প্রিন্ট করে এজহার দাখিল করা হইলো আদালতে । বিচার চলার সময় দেখা গেলো যে আইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে সেই আইডিটি অনলাইন দুনিয়ায় নাই । আইডিটি ডিয়েক্টিভ । অথবা আইডি আছে কোন লেখা নাই । অথবা আইডির নাম ছিলো একটি এখন আইডির নাম হয়ে গেলো আরেকটি । এই অবস্থায় বিচারক কি সাজাদিবেন । অভিযুক্ত আইডির যে লেখাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হইছে সেই লেখা সেই আইডি যদি কোন কিছুই অনলাইনে না থাকে তাহলে অভিযুক্ত ব্যাক্তি জামিনে অথবা বেকুসুর খালাসে বের হয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু হয়রানির স্বীকার হয় এটা সত্য ।

আমরাতো জানিই , ফেইসবুক কতৃপক্ষ ডিয়েক্টিভ আইডির তথ্য কাউকে দেয় না এমনকি সরকারকেও না । ফেইসবুক ইউজারের সাথে গোপনীয়তা রক্ষায় ওয়াদাবদ্ধ । যদি কোন ইউজার তার আইডি ডিয়েক্টিভ করে দেয় অথবা কোন লেখা ডিলিট করে দেয় অথবা আইডির নাম পরিবর্তন করে দেয় তাহলে তা ফেইসবুক কতৃপক্ষ কখনোই কাউকে দেয় না ।

৫৭ ধারা আইন অনলাইন এক্টিভিষ্টদের হয়রানি ছাড়া অন্য কিছু করতে পারে না । এই আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের অপরাধ গোপন রাখার বৈধতা দিয়েছে । অপরদিকে নিশ্চিত করেছে অনলাইন এক্টিভিষ্টদের হয়রানি ।

৫৭ ধারা একটি কালো আইন ।
৫৭ ধারা বাতিল করো ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৫৭ ধারা একটি কালো আইন ।
৫৭ ধারা বাতিল করো ।

আফনের ৫৭ ধারার ভুই নাই ;)

++++

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: সঠিক তথ্য উপাত্তসমেত অভযোগ উপস্থাপন করলে তা ৫৭ ধারায় পড়ে বলে মনে হয় না (যদিও আমি আইনটার সবিস্তার জানি না)। বরং আমরা দেখেছি, অনেকবারই এরকম তথ্যসমেত লেখার সূত্র ধরে অনেককেই বিচারের আওতায় আনা গেছে। আর হ্যাঁ, বাকস্বাধীনতার নামে বিদ্বেষ প্রকাশক ও উস্কানিমূলক লেখা অবশ্যই নিন্দনীয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.