নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

।। জেলখানার জিন্দেগী ।।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

জেলখানায় একটা লোকের সাথে আমার বেশি সখ্যতা হইছিলো । লোকটার বাড়ি উখিয়া থ্যাইংখালী । লোকটার নাম আবু তাহের । বয়স আনুমানিক ৩৮ বছর । স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক । দুই হাজার গুটি (ইয়াবা) লইয়া ধরা খাইছে মইজ্জ্যার টেক । ৬ মাস ধরে জেল খাটছে । মেজিস্ট্রেট কোর্ট জজ কোর্ট জামিন দেয় নাই । তার মামলার ফাইল এখন হাইকোর্টে ।

সখ্যতা বেশি হওয়ার কারণটা বলি । পাকিস্তান ভারতের খেলা চলছে বিটিভিতে । আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনাল খেলা। আমরা সকল ওয়ার্ডবাসী খেলা দেখছি । আমি ভারত সাপোর্টার । আর বাকি সকলেই পাকিস্তান সাপোর্টার । আমি মুসলমান ঘরে জন্ম লইয়া কেনো হিন্দু রাষ্ট্র ভারতকে সাপোর্ট করছি এই জন্যে সকলেই আমাকে টিপ্পনি খাটতে লাগলো । বিপরীতে আমি তাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরছি । কিন্তু তারা তা বুঝতেও চায় না শুনতেও চায় না । তাদের কথা পরিস্কার ফকফকা । বাঙলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পাকিস্তানের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম । মুসলমান মুসলমানের পক্ষে থাকবে হিন্দুর পক্ষে নয় । খেলা শেষে যখন পাকিস্তান জিতে গেলো তখন , সবার টিপ্পনী কাটার মাত্রাটাও বেশি হয়ে গেলো ।

পাকিস্তানী সাপোর্টারের কথার গুঁতায় আমি কাহিল হইয়া একটা বই নিয়া পড়তে বসছি । কিছুক্ষন পর আবু তাহের আমার পাশে আইসা ফিসফিসাইয়া কয়, একাত্তরে পাকিস্তানীরা কতো নির্যাতন করছে এই বাঙালিরে অথচ আইজ এই বাঙালিই দেশের ভিতর বুক চাপড়াইয়া পাকিস্তানের পক্ষে কথা কয় । এইসব কথা আমি ওয়ার্ডে কই না । ওয়ার্ডের এরা বেশির ভাগই অশিক্ষিত । আমি যদিওবা পড়ালেখা বেশি করি নাই ! কিন্তু তারপরেও আমি দেশের জন্ম ইতিহাস জানার চেষ্টা করছি । আপনি মন খারাপ কইরেন না । আমিও কিন্তু ভারত সাপোর্টার । আপনার মতো প্রকাশ্যে করি না মনে মনে করি । আজকে যদি ভারত জিততো তাইলে আমি কিন্তু খুশি হইতাম ।

আমি সেদিন তার সাথে আর কোন কথা বলি নাই । পরের দিন সকালে আমি আর আবু তাহের বিল্ডিংয়ের নিচে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলছি । প্রায় ২০ মিনিট যাবত । এমন সময় একজন লোক এসে বলল, আমাদেরকে মেট- এ ডাকে । (ওয়ার্ডটি যার দায়িত্বে থাকে তাকে মেট বলে । মেট'ই হচ্ছে একটি ওয়ার্ডের সর্বসর্বা) । আমি আর আবু তাহের দুইজনই তড়িঘড়ি করে ওয়ার্ডে চলে আসছি । ওয়ার্ডে এসে দেখি থমথমে অবস্থা । সবাই যার যার সিটে আওয়াজ ছাড়া বইসা আছে । মেট আবু তাহেরকে জিজ্ঞাস করলো , তুই নতুন পোলা (আমার দিকে আঙ্গুল দিয়া ইশারা কইরা) ইতার লগে এতো কথা কি ? আবু তাহের আমতা আমতা কইরা কয় , কিছু না বদ্দা (বড় ভাই) আমরা এমনিতেই কথাবার্তা বলছিলাম । মেট বসা থেকে উইঠা , লাথি ঘুষি কিল চড় থাপ্পড় দিতে দিতে কয় , তুই জানস না জেলখানায় নতুন আসামীর সাথে কথা বলা যায় না ! তোদের ফাইলের সময় আমি বলি নাই ! আবু তাহের বদ্দা বদ্দা... ছাড়া আর কিছুই বলবার সুযোগ পাইতেছেনা । শুধুই মাইর চলতেছে ! আমি বেকুব বইনা গিয়া হাঁটু বুকে লইয়া বইয়া থাকলাম ।

মেট আবু তাহেরকে মাইরা আমার কাছে আইসা কয় , ইতার কোন দেখা নাই সাক্ষাৎ নাই (কেউ দেখতে আসে না ) । সিটের টাকা পাবো এক হাজার টাকা সেইটা দিতে পারতেছেনা । নতুন কেউ আসলে ভাউ দিয়া টাকা পয়সা হাতাইতে চায় । ইতার থেকে দূরে থাকবা । কোন কথা বলবা না । আমি আইচ্ছা কইয়া জুবুথুবু হই বইসা রইলাম !

আবু তাহেরকে কঠোর ভাবে নিষেধ করে দেওয়ার পরেও সে আমার সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলতো । আওয়ামীলীগ করার কারনে তাকে এলাকার অশিক্ষিত কুশিক্ষিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং ধর্মান্ধ উগ্রবাদীরা কিভাবে মানসিক নির্যাতন করতো তা বলতো । আমি তার কথা শুনতাম আর হ্যাঁ হু করতাম । আর আমি বুঝতে পারতাম আমার সাথে তার এই সখ্যতা কেবলই বিড়ি খাওয়ার জন্য । কারণ তার দেখা নাই (সাক্ষাৎ করতে কেউ আসে না ) । জেলখানায় সরকারি ভাবে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হলেও সরকারি ভাবেতো আর বিড়ি খাওয়া যায় না ! বিড়ি খাইতে হইলে ক্যাশ টাকা লাগে । আর সেই ক্যাশ টাকা তার নাই ।

আমি সকালের ভাত খেয়ে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে ওয়ার্ড থেকে নিচে নেমে বারান্দায় বই পড়তে আসি প্রত্যেকদিন । আবু তাহের সকালের রুটি আর মিঠা নিয়ে বারান্দায় আমার পাশে বসে খায় । উদ্দেশ্য তার খাওয়া শেষ হইলে আমার সিগারেট থেকে ভাগ নিতে পারবে । আর আমিও তারে না দিয়ে খায় না ।

এইভাবে দুই একদিন যাওয়ার পর আমি আবু তাহের সম্পর্কে একটা ধারনায় আসলাম । এই লোকটি নিন্মমধ্যবিত্ত জীবন যাপনের একজন আওয়ামীলীগ সমর্থক । আওয়ামীলীগরে ভালোবাসে । সে চায় মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এই বাঙলাদেশে কায়েম হোক । কিন্তু অভাবের জন্য জেলখানায় বিড়ি খাইতে পারছে না । তাই সে এর ওর কাছে বিড়ি খুইজা খায় । আর এই খুইজা খাইতে খাইতে তার মান ইজ্জত হারাইছে । আমি চিন্তা করলাম এই লোকের যদি বিড়ির অভাব দূর করা যায় তাইলে এরে দিয়া কিছু কাজ করাইতে পারবো ।

আবু তাহেরকে হুমায়ন আহমেদের " শঙ্ঘনীল কারাগার" বইটা দিয়ে কইলাম , আপনি যদি এই বই ৫০ পাতা পড়তে পারেন আজ এবং কালকের ভিতরে তাইলে আপনি ১২ টা বিড়ি পাইবেন । আর যদি পুরা শেষ করতে পারেন তাইলে এক বান্ডি বিড়ি পাইবেন । আবু তাহের কয় ঠিকাছে আগে বিড়ি দেন তারপর পড়বো । আমি কই , আগে পড়েন তারপর বিড়ি । যদি পড়া শেষ করার পর আপনি বিড়ি না দেন তাইলে ? আমি কইলাম , ভাই আমি জবানে এবং ঈমানে ঠিক । আমি যা কইবো তা অবশ্যই পালন করবো । বাঙলাদেশের কসম । তবে আমি কিন্তু আপনার থেকে জিজ্ঞাস করবো যা পড়ছেন তার সম্পর্কে । আবু তাহের রাজি হইলো ।

সে বই পড়ে আর আমি তাকে বিড়ি দিই । একটা বই পড়তে পারলে এক বাড্ডি বিড়ি আর এক কাপ চা ।

প্রথম বই পড়ার পর তার ভেতর একটা অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম । সে বলে , এই বই পড়ে আমার বহুত কিছু পরিবর্তন আসছে মনমানসিকতায় । আপনি আমাকে আরো কয়েকটা বই আইনা দেন । আমি কই, বিড়ি খাওয়ার জন্যে নাকি মন মানসিকতা পরিবর্তন করার জন্য । কয়, দুইটায় ।

এইভাবে "নন্দিত নরকে" "হিমু সমগ্র" "বেকারত্বের দিন গুলিতে প্রেম" "তিথির নীল তোয়ালে" "অথচ আজ বসন্ত" এবং "মা" পড়ার পর তারে কইলাম , তাহের ভাই আপনি যদি , এই দেয়ালে (বারান্দার দেয়াল)
হিন্দু
মুসলমান
বৌদ্ধ
খৃষ্টান
ভুলে যান
পরিচয় এক্কান
"বাঙালি"
- এই কথা লিখতে পারেন তাইলে আমি আপনাকে লেখা শেষ হওয়া মাত্রই এক বান্ডি বিড়ি আর এক কাপ চা খাওয়াবো । আবু তাহের খুশি হইয়া কয় , একটা বই পড়তে দুই তিন দিন লাইগা যায় আর এতো মাত্র ত্রিশ মিনিটের কাম । আমি কইলাম তাইলে লেখা শুরু করেন ।

বারান্দা থেকে বের হয়ে সে একটা লাল ইটের টুকরা নিয়ে এলো । বারান্দার দেয়ালে সাদা চুন দেওয়া । তাই লাল রঙের ইটের ঠুকরা দিয়ে লিখবে । আমি কইলাম , তাহের ভাই আমি আগে লিখে দিই আপনি সেই লেখার উপরে বারবার লিখতে থাকবেন । আমি লিখে দিলাম তারপর সেই লেখার উপর বারবার লিখে আবু তাহের চিকা সম্পন্ন করলো । আর আমিও তার ঘাম না শুকাবার আগেই বিড়ি দিয়ে দিলাম আর লেখা শেষে চা খাওয়াইলাম । জেলখানায় এক বান্ডি আকিজ বিড়ি ত্রিশ টাকা আর এক কাপ চা (আমরা টং দোকানে যে চা খাই তার তিন ভাগের একভাগ চা পাঁচ টাকা)

আবু তাহের আর আমি কর্নফুলি বিল্ডিংয়ের বারান্দায় প্রায় ১৩টা চিকা মারি । এবং এই প্রত্যেকটি চিকার জন্যে আবু তাহেরকে বিড়ি আর চা খাওয়াইছি জবান মতো । চিকাগুলো হইলো...

চিকা-২।
আসুন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরত যাই
আমরা জাতির পিতার রক্ত
বাঙলাদেশের ভক্ত ।

চিকা-৩।
দুই লাখ মা বোনের ইজ্জত
ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত
ভুলি নাই ।
দেশ প্রেম না থাকিলে ঈমানদার হওয়া যাইবে না ।

চিকা-৪।
নামাজ পড়বেন
অন্যের বিরুদ্ধে নামাজকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করবেন না ।

চিকা-৫।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যারা ধর্মকে ব্যবহার করে তারা ধার্মিক নয় । তারা ভন্ড ।

চিকা-৬।
কোন ধর্মই ছোট নয়
যারা অন্যের ধর্মকে ছোট করে দেখে তারা ধার্মিক নয় । তারা ঝামেলাবাজ ।

চিকা-৭ ।
ধর্মের চাইতে মানুষ বড়
মানুষের চাইতে দেশ বড়
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বাঙলাদেশ গড় ।

চিকা-৮।
যারা জাতীয় সংগীত গায় না
যারা জাতীয় পতাকাকে সম্মান দেয় না
তারা দেশপ্রেমিক নয়
তারা দেশদ্রোহী
তাদের ঘৃণা করতে হবে ।

চিকা-৯ ।
অসাম্প্রদায়িক চেতনা
বাঙালি জতির প্রেরণা

চিকা-১০।
পাকিস্তানপ্রেমীরা দেশপ্রেমিক নয়
১৯৭১ ভুলি নাই ।

চিকা-১১।
জয় বাঙলা কোন দলীয় স্লোগান নয়
জয় বাঙলা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সকল বাঙালির প্রাণের স্লোগান ।

চিকা-১২ ।
সবার আগে "দেশ"
তারপর "মানুষ"
তারপর "ধর্ম"
হে মানব সমাজ
চিন্তা করে দেখলে
বুঝিবে এই কথার মর্ম ।

চিকা-১৩।
যারা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে
তারা ধার্মিক নয়
তারা ভন্ড ।

পাঁচতলা বিল্ডিংয়ে প্রায় ৮০০ জন লোক থাকে । তাদের মধ্যে গড়ে প্রায় ৫০০জন লোক দিনের বিভিন্ন সময়ে বারান্দায় হাঁটতে আসে । তারা কেউ এই চিকাগুলো পড়ে চিন্তা করে আবার কেউ এই চিকা পড়ে গালাগালি করে আবার কেউ এই চিকা পড়ে ভালাও কয় না খারাপও কয় না ! তবে এই চিকাগুলোর কারনে ওয়ার্ডে একটা প্রভাব পড়ছে । ওয়ার্ডের যেসব লোক মুক্তিযুদ্ধ , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়মীলীগ নিয়া কুটুক্তি করতো প্রকাশ্যে তারা আর প্রকাশ্যে করে না । এবং কিছুটা চুপ গেলো ।

জেলখানার দেওয়ালে লেখালেখি করা অন্যায় । কে লিখছে কইতে পারলে ব্যাপক ঝামেলা পোহাইতে হইবে । তার উপর মাইরতো আছেই । তবে জেলখানায় সচরাচর কেউ বিচার দেয় না কেউ সাক্ষীও দেয় না । কারণ বিচারের সাক্ষী যে হইবে তাকেও পাছার উপর দুই ডান্ডাবারি নিতে হইবে ।- আমি এমনটি শুনেছি তবে দেখিনি । যে সাক্ষী দিবে তাকে কেনো মারবে ?

কিন্তু প্রত্যেকটি বিল্ডিংয়ের দেয়ালে প্রেমিক প্রেমিকার নাম , মোবাইল নাম্বার , জেলখানায় আগমনের তারিখসহ বিভিন্ন কিছু লিখে রাখছে বিভিন্ন লোকজন । আমি এইসব লেখাগুলো দেখে চিন্তা করলাম তাদের লেখাগুলোর চাইতে আমার চিকা গুলো বহুত মূল্যবান ।

আবু তাহের বারান্দায় এসে চিকা গুলোর দেখাশুনা করতো । কেউ মুচে দিচ্ছে কিনা অথবা কেউ দেয়ালে হেলান দিলে অজন্তে মুচে যায় কিনা ! যদি মুচে যায় তাহলে সে আবার লিখে দিতো । একদিন একটি চিকা মুচে দিয়েছিলো একজন হুজুর । তার বাড়ি টেকনাফ । নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ বছর ধরে জেল খাটছে । কর্ণফুলি তিন নং ওয়ার্ডে । ঘরে বউ থাকার পরেও মক্তবে পড়তে আসা ৭ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ।

সে মুচে দিয়েছিলো "কোন ধর্মই ছোট নয় যারা অন্যের ধর্মকে ছোট করে দেখে তারা ধার্মিক নয় । তারা ঝামেলাবাজ ।"- এই চিকাটি।

কিন্তু আবু তাহের সেটি আবার বড় করে লিখে দিয়েছে । আর আমার কাছে এসে বলে , ভাই এই চিকা কেউ যদি আমাদের সামনেও মুচে দেয় আমরা কিছুই কইতে পারবো না । কারণ আমরা যা করছি তা জেল কোডের লঙ্ঘন । তাই বিচার দিতে পারবো না আর মারামারিও করতে পারবো না । তবে একটা জিনিষ করতে পারবো যতোবার মুচে দিবে অথবা মুচে যাবে আমরা ততোবার লিখে দিবো । আমি কইলাম ঠিকাছে !

আমার জামিনের সময় তাহের ভাই আমার কাপড় চোপড়ের বস্তা লইয়া আমাকে মেইন গেইট পর্যন্ত আগাইয়া দিতে আসছিলো । আর ওয়াদা করেছিলো , সে যতোদিন থাকবে ততোদিন চিকাগুলোর হেফাজত করবে । আর বাইর হইতে পারলে সে এই চিকাগুলো তার ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসার দেওয়ালে লিখে দিবে । তার কাছে আমি ছিলাম এক বিচিত্র কিসিমের লোক ! যে জেলখানায় পকেটের পয়সা খরচ করে বিড়ি আর চা খাওয়াইয়া মানুষকে বই পড়ায় । জেলখানায় টাকার বহুত মূল্য ! টাকা নষ্ট করে কয়জন !

আমার জামিনের দুই দিন আগে তাহেরের বাড়ি থেকে তার জন্যে দুই হাজার টাকা পাঠাইছে । তাই আমি জামিন হইয়া বাইরে আইলেও আবু তাহেরের আর বিড়ি আর চা'র অভাব পড়বে না । দীর্ঘ আড়াইমাস আবু তাহের জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আদর্শ কায়েমে আমার সহযোগী হিসাবে ছিলো ।

আবু তাহেরের জন্য ভালোবাসা ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: পড়ে যাচ্ছিলাম যখন দেখলাম আওমি বন্দনা তখনি বাদ দিলাম।

তবে একটা কথা বলি বাংলাদেশে সকল হিন্দুই আমলিগ, সকল হিন্দুই ভারতের সাপোর্টার।

আমলিগ আর ভারতের সাপোর্টার দুটাই আজ দারুনভাবে ঘৃণিত

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

কাউয়ার জাত বলেছেন: বুঝলাম, কোন ধর্মই ছোট নয় তবে আওয়ামীলীগ ধর্ম বহুত বড়া উচা হ্যায়। আরও বুঝলাম যে তুমি আওয়ামী ধর্মে পাক্কা ঈমানদার। তোমার ভরসা নৌকায় আর খাউজানি ইসলামে।

তো এই মহা-মহীয়ান আদর্শের যুধিষ্ঠির, তুমি তোমার কোন মহৎকর্মের কারণে জেলে গিয়েছিলে সেটা প্রকাশ না করে অন্যদের (যারা আওয়ামীলীগ পছন্দ করে না) জেলে যাওয়ার কীর্তি গাইতেছ কেন?

আরে হুলো বেড়াল! তুমি নিশ্চয়ই বিনা অপরাধে জেলে যাওনি। কি কর? ইয়াবা ব্যবসা?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

জিপসি রুদ্র বলেছেন: ৫৭ (২) ধারায় গেছিলাম ।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি বাবতেছি এই লেখা এতগুলো ছাগুর লেজে আগুন লাগালো কেম্নে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.