![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।
জুলাই মাস বাঙলাদেশের ইতিহাসে এক অভিশাপ । এটা কোনো বিপ্লবের মাস নয়, এটা কোনো স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানের মাসও নয়, এটা আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদী সিন্ডিকেট ও দেশীয় দালালচক্রের মেটিক্যুলাস ষড়যন্ত্র; যার লক্ষ্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আধুনিক ও শক্তিশালী বাঙলাদেশকে ধ্বংস করা। লক্ষ্য জাতির পিতার কন্যার এবং আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশ ছিনতাই করা ।
এই জুলাই বাঙলাদেশকে দিয়েছে লাশের পর লাশ। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ধ্বংস। ধর্ষণ, ছিনতাই, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ। নারীর চোখে কালি,শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের বিপরীত স্রোত। রাজাকারদের উল্লাস আর জঙ্গিবাদের নতুন পৃষ্ঠপোষকতা।
এই ‘জুলাই’র কারিগর কারা? এই চিত্রনাট্য কাদের হাতে লেখা? এই সহিংসতা, বিভ্রান্তি, অপপ্রচার, আর প্ররোচনার উৎস কোথায়?
উত্তর সহজ—
দেশি-বিদেশি এক স্বার্থান্বেষী চক্র, যারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়নযজ্ঞে আতঙ্কিত। কারণ, শেখ হাসিনার বাঙলাদেশ মানেই সার্বভৌমতার প্রশ্নে আপসহীনতা, উন্নয়ন-অগ্রগতির অবিচল যাত্রা এবং “জয় বাঙলা”র চেতনায় এক মুজিববাদী রাষ্ট্র বিনির্মাণ।
যে দেশ এক দশকে পদ্মা সেতু বানায় নিজস্ব অর্থায়নে, যে দেশ বিশ্বকে তাক লাগায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে, যে দেশ ইউএন স্বীকৃত উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উত্তরণ করে; সেই দেশকে থামাতে কি নিছক "জনগণের ক্ষোভ" যথেষ্ট?- না।
তাই 'জুলাই' বানানো হয় এক ষড়যন্ত্রের ল্যাবরেটরিতে।
এই ষড়যন্ত্রের মুখ্য চরিত্র কে?
আন্তর্জাতিক ঋণচক্রের ‘সুদখোর’ মুখপাত্র ও তথাকথিত ‘নোবেলজয়ী’ ইউনুস। শান্তিতে নোবল লইয়া বাঙলাদেশের শান্তি ধ্বংস করছে যে...! আর স্থানীয় রাজাকারপন্থী চক্র, যারা কখনও জনগণের কণ্ঠস্বর নয়;
জুলাই'তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয় অপপ্রচারের বিষ।
জনগণের ‘বিপ্লব’ না, বরং গুজবের প্ররোচনা। জুলাই কোনো মুক্তি মঞ্চ নয়, বরং এটি ছিল জনগণের ক্ষোভকে ভুল পথে চালনা করার এক প্রক্রিয়া।
শেখ হাসিনার বাঙলাদেশকে থামিয়ে দিতে মিডিয়া হাইপ ও ডিজিটাল বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।
আজ একটি প্রশ্ন সকলের বিবেকের দরজায় কড়া নাড়ে—
যদি এই ‘জুলাই আন্দোলন’ সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য হতো, তবে কেন নারী, শিশু, সংখ্যালঘু, নিরীহ শ্রমিক রইল আগুনের ভেতর পুড়ে? কেনো ২৫৬টা কারখানা বন্ধ হয়ে গেলো? কেনো দেশে এই দশমাসে একটাকা বিনিয়োগও আসে নাই? কেনো ঘরের ভেতর ঢুকে নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে? কেনো নারীরা আজ নিরাপদ নয়?
যখন বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন শেখ হাসিনা বলেন
“আমি বাঙালি, মাথা নোয়াব না। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব।”
এই যে আত্মমর্যাদার ঘোষণা, এই যে এক ইঞ্চি পিছু না হটার সাহস- এই সাহসই আজ দেশের শত্রুদের আতঙ্কের কারণ।
জুলাই মাস সেই সাহসের প্রতিদ্বন্দ্বী না-
জুলাই মাস হলো সেই সাহসকে ধ্বংস করতে চাওয়া লোভী পুঁজির রক্তচক্ষু।
কিন্তু তারা জানে না, “শেখ হাসিনাকে হারানো মানে বাঙলাদেশকে পাকিস্তানের পথে ফেরত নেওয়া।”- আর এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রজন্ম কখনোই হতে দিবে না।
শেষ কথা
জুলাই মাস আমাদের জন্য শিক্ষণীয় এক অধ্যায়। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—
জাতির পিতার স্বপ্ন, মুজিবকন্যার নির্মাণযজ্ঞ, উন্নয়ন ও আত্মমর্যাদার বাঙলাদেশকে রক্ষা করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে মগজে, মননে, বোধে, চিন্তায়, চেতনায়, কলমে, রাজপথে এবং যুক্তিতে।
জুলাইতে যারা আগুন দিয়েছে,
তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আগুন হবে আস্থা, একতা ও উন্নয়নের আলো।
জয় বাঙলা।
জয় বঙ্গবন্ধু।
জয় শেখ হাসিনা।
জয় মুজিববাদ।
বাঙলাদেশ হারবেনা।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ রাত ১:০৯
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সহমত ।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৪৭
ইয়া আমিন বলেছেন: লেখাটি পড়ে মনে হলো, একজন দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে আবেগপ্রবণ হয়ে ‘জুলাই’ মাসকে একতরফাভাবে দোষারোপ করা হয়েছে। যেখানে জনমতের বাস্তবতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের চেষ্টা কিংবা রাজনৈতিক প্রতিবাদ—সবকিছুই গুজব, ষড়যন্ত্র আর আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। লেখক শুধু একটি পক্ষের অবস্থান তুলে ধরেছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের কষ্ট, দুঃখ, মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, কিংবা বিচারহীনতার সংস্কৃতির কথা একবারও বলেননি।
আসলে ‘জুলাই’ মাস যদি কিছু মানুষকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করে, তবে তার পেছনে কোনো না কোনো বঞ্চনা তো আছে। সেখানে সব দোষ রাজাকার, ইউনুস কিংবা বিদেশিদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়াটা খুবই সরলীকরণ। এটা রাষ্ট্রের দায় এড়িয়ে চলার একটা কৌশলও হতে পারে।
রাজনীতি মানেই দলবাজি নয়, আর দেশপ্রেম মানেই একপক্ষকে দেবতা বানানো নয়। গণতন্ত্রে বিরোধিতা মানেই ষড়যন্ত্র নয়—এই বাস্তবতা বুঝতে না পারলে 'জয় বাংলা' বলার অধিকারও ক্ষীণ হয়ে আসে।
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৪৯
ইয়া আমিন বলেছেন: লেখকের চোখে জনগণের কোনো দাবিদাওয়া, কষ্ট বা প্রতিবাদের মূল্য নেই—সবই ষড়যন্ত্র, গুজব আর “বিদেশি দালালের কাজ”! পুরো লেখাটি একরকম অন্ধ আনুগত্যে ভরা, যেখানে যুক্তি নেই, আছে শুধু গলা ফাটানো দলীয় স্লোগান। দেশের বাস্তব অবস্থা—জ্বালানির দাম, নিত্যপণ্যের দাম, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষার দুর্দশা—এসব বিষয়ে একটিও কথা নেই।
লেখক সবকিছু ঢেকে দিতে চেয়েছেন “শেখ হাসিনার উন্নয়ন” নামক পর্দায়, যেখানে কেউ কথা বললেই সে রাজাকার, জঙ্গি বা বিদেশি চক্রান্তের হাত। এই চরম দলীয় মানসিকতা আসলে গণতন্ত্রের জন্য ভয়ানক হুমকি।
‘জুলাই’ মাসে যদি মানুষ রাস্তায় নামে, প্রাণ দেয়, প্রতিবাদ করে—তবে সেই মানুষগুলোও তো এই দেশের নাগরিক। তারা কি সবাই ষড়যন্ত্রকারী? তাদের বেদনা, ক্ষোভ, অভাব—এসব কি শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্প দিয়ে চেপে ফেলা যায়?
লেখাটায় আসলে কোনো বোধগম্য বিশ্লেষণ নেই—আছে একরকম চিৎকার, আছে ব্যক্তিপূজা, আর আছে গণমানুষকে হেয় করার প্রবণতা।
যে লেখায় নারীর ওপর সহিংসতা, শ্রমিকের মৃত্যু, গণবিচারের অনুপস্থিতি পর্যন্ত 'ষড়যন্ত্র' বলে চালিয়ে দেওয়া হয়, সেই লেখা সত্যের বিপক্ষে দাঁড়ানো এক প্রোপাগান্ডা মাত্র।
জয় বাংলা বললেই যদি দেশ চলে, তবে গণতন্ত্রে ভোটের মূল্য কোথায়?
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:৫১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অকাজের পরিণতিতে জুলাই-আগষ্ট ফিরে ফিরে আসে। এক আগষ্টের বিচার কাজ সম্পূর্ণ না হতেই আরেক আগষ্ট এসে হাজির। মরার আগে এইটার বিচার কি দেখা হবে? আপনার কি মনে হয়। জয় বাংলার পরে অবশেষে বার বার এসব কি হয়? এর জন্য দায়ী কে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জুলাইয়ে আসলে ধোঁকা হয়েছে, কিন্তু সেটা আওয়ামী লীগের সাথেই। ২ প্লাস ২ বৈঠকের পর আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠরা ভেবেছিলেন, সবই ম্যানেজ হয়ে গেছে। কাউ্য়া কাদেরের মতো লোকেরা ভেবেছিল, দিল্লি আছে, আওয়ামী লীগ আছে — তাই নিচে নিচে সব ম্যানেজ হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। যাই হোক, শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে অবসরে পাঠানো গেলো। এমন একজন দেশের নেত্রী দরকার নেই, যিনি নিজের মুখে তার পিওনের সম্পদ ৪০০ কোটি টাকা বলে হেসে ফেলেন।