নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামান্যরকমের বিশাল কিছু

গৌতম গোস্বামী

চিন্তাতেই মুক্তি

গৌতম গোস্বামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীর্ষেন্দুর চোখ

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০০


'দূরবীন'-এর মতো শীর্ষেন্দুর 'চোখ' উপন্যাসটাকেও নির্দিষ্ট কোনো ধরণে ফেলা সম্ভব হলোনা। শীর্ষেন্দুর লেখার এই স্বভাবটা ভালো লাগে। থ্রিলার, রোমান্স, সাইকোলজিক্যাল সর্বোপরি একটা পারিবারিক উপন্যাস; কোনোটাই ছাড়া যায়না। একটা ফুল প্যাকেজ সবকিছুর।

পুলিশ যীশু বিশ্বাসের স্ত্রী তাকে অনেক ভয় পেতো তার চোখের অস্বাভাবিক দৃষ্টির জন্যে। সে মনে করতো যীশু তাকে একদিন খুন করে ফেলবে। যীশুর চোখ নাকি ধকধক করতো। পুলিশের চাকরি করতে গিয়ে যীশুকে চারটা খুন করতে হয়েছিলো। মূল কাহিনী চতুর্থ ব্যক্তির মৃত্যু নিয়েই। সে জেলের ভেতরে খুন করেছিলো এই অপরাধীকে। এই খুনের পেছনে কার্যকারণ হিসেবে ধরা যায় আরেক নারীকে। যার সাথে যীশুর গড়ে উঠে এক অস্পষ্ট সম্পর্ক। লেখক এই সমস্ত কিছুর মধ্যে যীশুর চোখকে নিয়ে এসছেন। চোখের দৃষ্টি নিয়ে এক রোমাঞ্চের প্রকাশ ছিলো গল্পে। এই চোখের জন্যে যীশু বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিক নারী চরিত্রের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

রাজনীতিগত অনেক অপ্রিয় সত্য আর অপরাধ জগতের লোকেদের জীবন উঠে এসছে গল্পে। উঠে এসেছে মানুষের প্রতিশোধপরায়ণতার চিত্রও।

অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে যীশু বিশ্বাসকে অতিমানব হিসেবে দেখানো হয়েছে, যা লেইম লাগলো।
সবমিলিয়ে চোখ উপন্যাস একটা দারুণ কিছু। আস্তে আস্তে ঘটনার জটিলতা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু এই জটিলতাকে লেখক খুব সুন্দরভাবে সহজবোধ্য করে দিয়েছেন উনার লেখার ভঙ্গিমায়। চোখ উপন্যাসের সফর আনন্দদায়ক ছিলো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



সামুতে আপনাকে স্বাগতম। হ্যাপি ব্লগিং।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.