নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামান্যরকমের বিশাল কিছু

গৌতম গোস্বামী

চিন্তাতেই মুক্তি

গৌতম গোস্বামী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সানিয়া রুশদী\'র হসপিটাল

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪০


যে ব্যাপারটা আমাদেরকে আমাদের ফিজিক্যাল এন্টিটির বাইরেও একটা অস্তিত্ব দেয়, যে ব্যাপারের কারণে আমাদের সাইকোলজিক্যাল স্টেইটগুলা হয়তো শুধুমাত্র হরমোনাল থাকে না, সেইটা নিয়ে ভাবতে গেলে আসে ইন্ডিভিজুয়ালিজম । এই ইন্ডিভিজুয়ালি লাইফ দেখার সার্বক্ষণিক প্রবণতা নিয়ে আগাইছেন সানিয়া । সাইকোলজি নিয়া বিস্তর পড়াশোনা থাকায় লেখক এই ব্যাপারে শক্তিশালী টার্গেট করেছেন । দুঃখজনক হলেও সত্যি, সাইকোলজিস্টরা কাউকে এই ইন্ডিভিজুয়ালাইজড ওয়েতে দেখেন না । একটা প্রিডমিনেন্ট কারণ বলে দেন যে, আমাদের ত এত সময় নাই যে আলাদাভাবে সবাইরে ট্রিট করা যাবে । অথচ এখানেই মূল সমস্যাটা তৈরি হয় ।

সানিয়ার পারিবারিক আবহ যথেষ্টরকমের কেয়ারিং, তাই উনি উনার অসুস্থতার সময়ে পারিবারিক একটা হেলদি সাপোর্ট পেয়েছেন নিরন্তর । এমনটা সবাই পায় না বলে ব্যাপারগুলো আরো ক্রিটিকাল হয়ে যায় ।

একটা বায়বীয় ক্লাসিফিকেশন করি আলোচনার সুবিধার্থে । পৃথিবীতে দুই রকমের মানুষ আছে । এক হলো, নিজের সাথে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে কনসার্ন্ড না । ভাবার মতো সময় অথবা এবিলিটি নাই। দুই হলো, এইসব ব্যাপারে যারা কনসার্ন্ড ওয়েতে ডিলিং করতে চায় । একজন মানুষ যখন নিজের উপরে এক্সটার্নাল যত রেস্পন্সের ইফেক্ট সম্পর্কে সচেতন হয়ে যায়, তখন তার মধ্যে নতুন অনেক বোধগম্যতা তৈরি হয়; সেটাও ইন্ডিজুয়ালি ভেরি করে, পার্থক্য থাকে ।

সানিয়া ভাষা নিয়ে যে ডিলিং-টা করেছেন সেটা নিয়ে কিছু বলি । আন্তরিকভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় আমাদের আইডেন্টিটির পুরোটা জুড়েই ভাষা জড়িত । যে যেই ভাষায় কথা বলি, সেই রকমের একটা বাহ্যিক অভিব্যক্তি মানুষের মধ্যে তৈরি হয় । জার্মান ভাষা শিখতে গিয়ে দেখেছি, সব বস্তুতে মাস্কিউলিন, ফেমিনাইন অথবা নিউটার একটা আইডেন্টিটি দিয়ে দেওয়ার প্রথা রয়েছে, যা জার্মানদের চিন্তায়ও নিশ্চই প্রভাব ফেলে । যেমন, জার্মানে চাঁদকে পুংলিঙ্গ হিসেবে ব্যক্ত করা হয়, আর সূর্যকে স্ত্রীলিঙ্গ । এটা আমার কাছে একটা সিগনিফিক্যান্ট উদাহরণ হিসেবে মনে হয় ।

সুতরাং ভাষার এই প্রভাব কাজে লাগিয়ে মানসিক বিভিন্ন ট্রিটমেন্টে আগানো যায় বলে লেখকের বিশ্বাস । সকল রোগীকে মেডিসিনের প্রেস্ক্রিপশন না দিয়ে কাউন্সিলিং এর উপরে জোর দিয়েছেন । ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং অসাধারণ বিশ্লেষণ দক্ষতায় এই সিদ্ধান্তে এসেছেন উনি । এই ইন্ডিউভিজুয়াল কাউন্সেলিং এর সাথে রিলেটেড একটা টিভি সিরিজ আছে, 'দ্যা সোপ্রানোস' । ভাষা এবং এক্সপ্রেশন কীভাবে আমাদের মেন্টাল স্টেইটে প্রভাব ফেলে সেটা এই সিরিজটাতেও প্রাঞ্জল ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সংক্ষেপে সুন্দর রিভিউ করসেন। ২০১৯ সালে বইটা পড়সিলাম। লিখতামও হয়তো। সানিয়া আপা এখনও কিছুটা কষ্টের মধ্যেই আছেন যদ্দুর বুঝি। ওনার সোশ্যাল মিডিয়ার স্ট্যাটাসগুলি পড়লে একধরনের অস্থিরতা আছে বলে মনে হয়। হসপিটাল বইটা অটোবায়োগ্রাফিকাল, এবং সাইকোলজি ও দর্শন নিয়ে লেখকের নিজের ডিপ আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্পষ্ট করে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৮

গৌতম গোস্বামী বলেছেন: ফেসবুকে উনার সাথে যুক্ত আছি, তাই আগে থেকে অল্প ধারণা ছিলো উনার জীবন সম্বন্ধে । উপন্যাসটা পড়ার সময়ে রিলেট করতে পারলাম ।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি কি মেডিকেলের ছাত্র? লেখাটি ভালো লেগেছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

গৌতম গোস্বামী বলেছেন: আমি মেডিকেলের ছাত্র নই। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সানিয়া রুশদী আপনার কি হয়?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

গৌতম গোস্বামী বলেছেন: কিছু হোন না। ব্যক্তিগত কোনো পরিচয় নেই। সানিয়া বলে সম্বোধন করায় কি এই প্রশ্ন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.