![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।
২০০২ সালের কথা। দ্বিতীয়বারের মতো পঞ্চম শ্রেণিতে বসলাম। রোল নম্বর এক হওয়াতে সহপাঠিদের মূল্যায়ন এবং স্যারদের ভালোবাসা আমাকে আর স্টাডি গ্যাপের কথা মনে করতে দিলো না। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণির সবচেয়ে ভয় ছিলো গনিত আর বিজ্ঞান স্যারকে নিয়ে। পঞ্চম শ্রেণিতে সেসময় আব্দুল মজিদ নামে এক স্যার ছিলেন। যিনি গনিত ও বিজ্ঞান পড়াতেন। মজিদ স্যার খুব ভালো পড়াতেন ঠিকই তবে পড়া না পারলে এমনভাবে মারতেন যেন গরু পিটাচ্ছেন! তার ক্লাশ যারা আগে করেছে তারা বলতো স্যারের ভয়েই নাকি পড়া গুলিয়ে ফেলতো অনেকে। শেষমেশ ভাগ্যে জুটতো পাকা বাঁশের শক্ত বেতের বারি। এমনকি মাঝে মাঝে এক-দুইটা বেতে হতো না। ভাগ্য ভালো, আমরা যখন পঞ্চম শ্রেণিতে উঠি সেই মজিদ স্যার তখন অন্য আরেকটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে চলে যায়।
ক্লাসের সময়গুলো ভালোই যাচ্ছে। প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষাতে আমার ধারে কাছেও কেউ নেই। আরবী কিংবা গনিত সব বিষয়েই এগিয়ে থাকতাম। পয়ত্রিশ ছাত্রের মাঝে আমার প্রতিযোগিতা হতো দুই রোল নম্বরের সাথে। আমাদের দু'জনের মোট নাম্বারের ব্যবধান সবসময় ১০ -২০ থাকতো। লেখাপড়ার মাঝে এক ধরনের ফ্লো পাচ্ছিলাম। আনন্দেই কেটে যাচ্ছিলো সময়গুলো।
আমাদের সময় "হাতেরকাজ" দেবার প্রচলন ছিলো। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সবার কাছ থেকে বার্ষিক পরীক্ষার পর হাতেরকাজের নাম করে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিস নেয়া হতো। এখন নেয়া হয় কিনা জানিনা। এর জন্য আলাদা ২৫ নম্বর দেয়া হতো। হাতেরকাজের মানের উপর নম্বর কম বেশি হতো। শুধু যে মাদ্রাসাতেই এই নিয়ম প্রচলন ছিলো তা নয়। স্কুলগুলোতেও ছিলো একই অবস্থা। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্তু ১২০ থেকে ১৫০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে যে পরিমান হাতেরকাজ উঠতো তাতে করে স্যারদের সাড়া বছর ঘরের ওসব জিনিসপত্র কেনার দরকার হতো না। কোন কোন স্যার তাদের ভাগেরটা বিক্রিও করে দিতেন। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ক্লাশের সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম, এবার কেউ হাতের কাজ দেবো না। আমাদের যুক্তি ছিলো, আমরা নিজ হাতে যা বানাতে পারি সেটাই আমাদের হাতেরকাজ, কিনে এনে যদি কিছু দেয়াই হয় সেটা কি করে হাতেরকাজ থাকে? ছাত্রজীবনের প্রথম বিদ্রোহও বলতে পারেন। আমার সাথে প্রায় সবাই একই সিদ্ধান্ত নিলো। যার রোল নাম্বার দুই ছিলো সেও আমার প্রস্তাবে রাজি। তার নাম ছিলো আবু সাঈদ। মনে মনে খুশি লাগছে খুব। জীবনের প্রথম বিদ্রোহতেই জয়ী!
বার্ষিক পরীক্ষা শেষে লম্বা ছুটি.....। ক্লাস নেই, পড়া নেই শুধু খেলা আর খেলা। বিকেল বেলা সমবয়সীদের সাথে পাড়ার মাঠে এমন কোন খেলা নেই যে খেলিনি। বউছি, গোল্লা, দাড়িয়াবান্দা, কাবাডি, কপাল টোকা, লুকোচুরি .......... আরো যে কত! সন্ধ্যায় খেলা শেষে পুকুরে দলবেঁধে গোসলের কথা এখনো মনে পড়ে। কি সুন্দর আর নিষ্কলুষ ছিলো সময়টা!
ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে রেজাল্ট। পাঞ্জাবী-প্যান্ট পড়ে, টুপিটা পকেটে ভরে সকাল সকাল মাদ্রাসায় হাজির। মাদ্রাসায় যাবার পর যা শুনলাম তাতে আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি যেন সরে গেলো! আমার রোল নম্বর নাকি দুই হয়েছে! যার দুই ছিলো তার এবার এক! যে খুশি নিয়ে মাদরাসায় রেজাল্টের জন্য এসেছিলাম সেই আনন্দের ঝিলিক মুখ থেকে বিদায় নিলো নিমিষেই। কিছুক্ষণের জন্য মনে হলো মাটি দু'ভাগ করে ভেতরে ঢুকে যাই! ফলাফল প্রকাশিত হবার আগে সংবাদটা দিয়েছে মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকা বড় ভাইয়েরা, যারা সেবছর দাখিল পরিক্ষার্থী ছিলো। আমার রোল নম্বর দুই হয়েছে শুনে যতটা না কষ্ট পেয়েছিলাম তার চেয়ে কষ্ট পেলাম বড় ভাইদের দেয়া তথ্য থেকে। তারা আমাকে বললো, আমি হাতেরকাজ দেইনি বলে নাকি রোল নস্বর দুই হয়েছে। অবাক ব্যাপার! কেউই তো হাতেরকাজ দেয়নি। আবু সাঈদও না। তাহলে? তাহলে কি আবু সাঈদ আমার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে? বড় ভাইয়েরা আরো জানালো, আবু সাঈদ গোপনে এসে হাতের কাজ দিয়ে গেছে! আমার মাথায় হাত! মাত্র ত্রিশটা টাকার জন্য রোল এক থেকে বঞ্চিত হলাম! এ যেন আমার চোখে দেখা সাক্ষাত মীরজাফর!
আমার মুখের অবস্থা তখন প্রায় কেঁদে দেবার মতো। বড় ভাইয়েরা তখনো সামনে দাঁড়ানো। সবাই আমাকে আশ্বস্ত করলো। বললো, "হাবিব, চিন্তা করোনা, তোমার রোল নম্বর আমরা দুই হতে দেই নি। আমরা নিজেরাই একটা প্লাস্টিকের জগ কিনে তোমার নামে হাতেরকাজ দিয়েছে। ৪৫ টাকা খরচ হয়েছে মাত্র।" কথাটা শুনে তাদেরকে জড়িয়ে ধরেছিলাম আবেগে। এতক্ষণ শান্ত থাকলেও বড় ভাইদের কথা শুনে চোখের পানি একাই পরছিলো। মনে হলো একজন বন্ধু চিনলাম। আর একজন মীরজাফরকে........!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪০
হাবিব বলেছেন: আবার আসবেন বলে প্রতি উত্তর করছি। প্রথম পর্বে আপনাকে পাইনি কিন্তু..........
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হাজিরা দিয়ে গেলুম...
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪২
হাবিব বলেছেন: সবাই খালি লাব্বাইক দিয়ে যাচ্ছেন কেন???
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
ল বলেছেন: হাতের কাজ এখনো কি আছে!! খুউব জানতে ইচ্ছে করে।
ছেলেবেলার গল্পগুলো আসলেই অন্যরকম - নস্টালজিয়া।
চলুক পর্ব
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৩
হাবিব বলেছেন:
যাক, এবার তাহলে পড়েছেন। গত পোস্টে আসার কথা বলে তো আর আসলেন না.......।
খোঁজ নিতে হবে, হাতের কাজ আছে কি না.........!
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪২
জুন বলেছেন: প্লাষ্টিকের জগ হলো শেষে হাতের কাজ ,ভালোইতো হাবিব স্যার
আপনি যে খেলাগুলোর নাম লিখেছেন তার অনেকগুলো আমরাও ছেলেবেলায় খেলেছি অনেক । মনে পড়ে গেলো ।
লিখতে থাকুন সাথে আছি আপনার রেজাল্ট জানার জন্য
আবদুল মজিদের কথায় মনে পড়লো আমার ছেলের জন্য রাখা আরবী শিক্ষক এর কথা । মুলত তাকে ইন্ডায়রেক্টলি সাহায্য করার
উদ্দেশ্যে আমার ৫ বছরের ছেলের জন্য তাকে নিযুক্ত করা হলো । একদিন রুমে ঢুকে দেখি টিচারের হাতে এক স্কেল আর আমার ছেলে চোখে পানি হাতে আরেক স্কেল নিয়ে । তারপর হুজুরের বিদায় কারন ছেলের ঘোষনা সে আর আরবী পড়বে না । আরেকটু বড় হয়ে কোরান শরীফ খতম দিয়েছিল ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৭
হাবিব বলেছেন:
প্লাস্টিকের জগ ছাড়া আর কিইবা করার ছিলো.........।
ছোটবেলার খেলাধুলার মাঝে কি যে আনন্দ ছিলো .......
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, জুন আপু.......
পেটানো শিক্ষকগুলো আমার দেখতেই ইচ্ছে করে না।
আর যাই হোক, তাদের কাছ থেকে পড়া শেখা হয় না।
আপনার ছেলের জন্য খারাপ লাগছে...... কিন্তু আপনার ছেলের হাতে স্কেল কেন বুঝলাম না।
শেষমেশ শুকরিয়া যে কোরআন শরিফ খতম দিয়েছে।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৬
করুণাধারা বলেছেন: প্লাস্টিকের জগ হাতের কাজ জেনে আমিও জুন এর মত প্রভূত আনন্দ পেলাম হাবিব স্যার। দারুন উদ্ভাবন।
আমার খুব জানার আগ্রহ, এই বিজ্ঞান- গণিত- ইংরেজি- বাংলা এগুলো কি সাধারণ বাংলা স্কুল এর মতই ছিল? আর আরবি কি ভাষা হিসেবে শিখতেন, অর্থাৎ ভোকাবুলারি গ্রামার এই সবকিছু? তাহলে তো মাদ্রাসায় যারা পড়ে তারা কোরআন শরীফ অনুবাদ না পড়েই বুঝতে পারে!! এটা একটা দারুন ব্যাপার।
আশা করি পাঠ্য বিষয় সম্পর্কেও কিছু লিখবেন। লিখতে থাকুন, সাথে আছি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২০
হাবিব বলেছেন: স্কুল আর মাদ্রাসার মধ্যে পাঠ্যপুস্তকের পার্থক্য নেই। মাদরাসায় বাড়তি হিসেবে ছিলো আরবি ১ম ও ২য় পত্র, আকাইদ ও ফিকাহ ( মাসআলা মাসায়েল সক্রান্ত বই), এছাড়াও কোরআন(প্রতিক্লাশের জন্যই কুরআনের নির্দিষ্ট কিছু সূরা আছে। এভাবে ক্লাশ ওয়ান থেকে মাস্টার্স মানে কামিল পর্যন্ত প্রায় সমস্ত কোরআন পাঠ্য করা।) হাদিস বিষয়ও তাই । আরবি ১ম পত্র ছিলো সাহিত্য ( বাংলা সাহিত্যের মতো গদ্য-পদ্য), আরবি ২য় পত্রে আরবী গ্রামার ছিলো। যা ভালোভাবে পড়লে কুরআন হাদীস অনুবাদ করা খুবই সহজ।
আলাদা করে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। সেখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন আশা করি।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৯
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হা হা হা।
মানুষের ফলাফল তার কর্মের ওপর নির্ভর করে।হয়তো আপনি ভালো করে পড়েন নি বলেই দ্বিতীয় হয়েছেন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৩
হাবিব বলেছেন: ভাই, শেষটা কিন্তু এখনো বলিনি.......... ২য় না ৩য়, নাকি ১ম তা কিন্তু ঘোষণা হয়নি। আশা করি আগামীকাল ফলাফল জানাতে পারবো। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ছোটবেলায় অদ্ভুত সব খেলা খেলেছেন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৪
হাবিব বলেছেন:
হুম, গ্রামের খেলা এগুলো........
যারা গ্রামে বড় হয়েছে তারা সবাই এসব খেলার নাম জানে......
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৩
জুন বলেছেন: দুঃসম্পর্কের আত্নীয় সেই হুজুর আমার ছেলেকে নাকি প্রায়ই মারতো যা আমরা জানতাম না ।
সেইদিন আমার ঐটুকুন ছেলে তার ধৈর্য্য রাখতে পারে নি তাই।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৫
হাবিব বলেছেন:
কি সাঙ্গাতিক ব্যাপার.......!
আপনার ছেলের প্রতিবাদী চরিত্র খুব ভালো লাগলো।
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি ই বিপদে বন্ধু আর মীরজাফর সবাই কে চেনা যায়।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
হাবিব বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন মনিরা আপু......
১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রথম থেকে দাখিল পর্যন্ত একই মাদ্রাসায়?
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৫
হাবিব বলেছেন: জ্বি ভাই, প্রথম থেকে দাখিল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে।
১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভালোই লাগছে আপনার মাদ্রাসার সময়কার স্মৃতিকথন। একথায় বলা চলে হাবিব স্যার ভালো ছাত্র ছিলেন। আমার কিশোর বন্ধুদের বেশ কয়েকজনই মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতো। এমনকি একজন সিনিয়র ভাই ছিল সে আমার দুই ক্লাস উপরে পড়তো এমন কি তার অনেক সহযোগিতা আমি পেয়েছি আমার পড়াশুনার জীবনে। ধর্মে কেউ আমার চেয়ে বেশী মার্ক তুলতে পারতো না। সে অংকেও পাকা ছিল। লোকটি এখন একজন আলেমে দ্বীন। মসজিদে ইমামতি আর একটি হাই স্কুলের হেডমাওলানা। আপনার কথা শুনবো সাথেই আছি।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৬
হাবিব বলেছেন: খুব ভালো বলবো না, তবে ক্লাশের মধ্যে সেরা ছিলাম। সে গল্পও হবে আশা করি। সাথেই থাকবেন সুজন ভাই।
১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাই সাহেব, আপনি মাইনক্যার চিপায় পড়ে গেছেন! মাটির সোনালী ব্যাংক থাকলে ৫ টাকার , ১০ টাকার কয়েন জমাতে থাকুন। সম্ভবতঃ আপনি বাংলাদেশের সব চেয়ে দামী পাসপোর্ট গুলোর একটির (এধরনের দামী পাসপোর্ট যারা ইউরোপে অবৈধ পথে গেছেন তারা বাধ্য হয়ে বানান।) মালিক হতে চলেছেন। টাকা পয়সা সাবধানে খরচ করবেন। মনে রাখবেন, টাকা যতক্ষণ আপনার হাতে আছে ততক্ষণ উহার মালিক আপনি। আল্লাহ সোবাহানা তায়ালা পাসপোর্ট অফিসের লোকদেরকে সুমতি দিন। আমিন। পাসপোর্ট পাবার পর বিস্তারিত কাহিনী নিয়ে একটি মেগা সিরিয়াল পোস্ট পড়ার অপেক্ষা করছি।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৮
হাবিব বলেছেন: বলেন কি সাজ্জাদ ভাই...........! এখন উপায়? মাটির ব্যক তো আছে কিন্তু ১০ টাকার কয়েন কই পাই?
১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাবিব স্যার,
মোনাফেকীর ঘটনার অভিজ্ঞতা আপনার মতো আছে আমারও।
৫ নম্বর প্রতিমন্তব্যের বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে চাই। যদিও বলেছেন আলাদা পোস্টের কথা কিন্তু মনে হয় এভাবে গল্পের ছলে সেগুলো সামনে আনলে সুখপাঠ্য হবে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৯
হাবিব বলেছেন:
আপনার ঘটনা শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
আচ্ছা ঠিক আছে, সব কথা গল্পের ছলেই হবে। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০১
আরোগ্য বলেছেন: আজকের পোস্টে আমারও দুটি ঘটনা মনে পড়লো।
১. ক্লাস সিক্সে আমাদেরও একটা স্যার ছিল গরুর মত পিটাতো। পরে আমরা চালাকি করে তাকে বহিস্কার করি।
২. ক্লাস এইটে গ্রীষ্মের ছুটি দেই নি তাই নিজেরা পরামর্শ করে এক সপ্তাহের ছুটি কাটাই কিন্তু দুই মিরজাফর কথা রাখেনি।
আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১১
হাবিব বলেছেন:
১. খুব ভালো কাজ করেছেন। এমন স্যারদের গরুর রাখাল হিসেবেই বেশি মানায়।
২. এমন দু'চারজন সব স্থানেই থাকে।
আপনার অপেক্ষা আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিলো। ভালো থাকবেন আরোগ্য
১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একদম একী । আমরাও ওয়ার্ক এডুকেশন এ মায়ের তৈরি ঝাড়ু নিয়ে স্কুলে জমা দিতাম। জানতাম কোননা কোন স্যার সেগুলো বাড়িতে নিয়ে যাবেন। চলতে থাকুক আপনার স্মৃতিচারণ ....
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারবর্গকে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৩
হাবিব বলেছেন: এখনও কি হাতেরকাজের প্রচলন আছে আপনাদের ওখানে? অতিসাধারন সৃতিচারন আপনাদের মন্তব্যে সমৃদ্ধ হচ্ছে। কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার ও আপনার পরিবারের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
হুম, গ্রামের খেলা এগুলো........
যারা গ্রামে বড় হয়েছে তারা সবাই এসব খেলার নাম জানে......
এসব খেলার নাম জানি। কিন্তু কখনও খেলার সুযোগ হয়নি।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
হাবিব বলেছেন: সুরভি ভাবীও কি খেলেনি কখনো?
১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: নস্টালজিয়া?
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
হাবিব বলেছেন: কিছুটা সেরকমই........ মনে পড়ে শৈশবের কথা।
১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫১
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ভাল হইছে কিন্তু
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ ,ভাই পবিত্র।
১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল ভাই। ভালো থাকবেন।
২০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২১
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনার হাতের কাজের ঘটনা আর মীরজাফরের কথা গুলো বেশ কস্টদায়ক। একদিকে ভালো-ই হয়েছে, আপনি ছোটবেলা থেকেই সাবধান হওয়ার চেষ্টা করেছেন।
ভালো লাগলো আর পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
হাবিব বলেছেন: ঠিকই বলেছেন মুক্তা। বিপদে না পড়লে হাতে কলমে শেখা হয় না। আপনার অপেক্ষা নতুন ব্লগ লিখতে প্রেরণা জোগাবে। ভালো থাকবেন।
২১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২
অজ্ঞ বালক বলেছেন: এইরকম স্মৃতিচারণ পড়তে ভাল্লাগে। আহহা। কিসব দিন আছিল। আমিও লিখুম ভাবতাসি। আর কক্ষনো আন্দোলন লীড দিবেন না। যা ঢুকবে না রে ভাই জায়গামতন, বসতে প্রবলেম হইবো বেশ কয়দিন। জীবন থেইকা নেয়া।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩
হাবিব বলেছেন: ধইন্যবাদ বিজ্ঞ বালক। আপনিও লেইখা ফেলেন........ এতো ভাবাভাবির কিচ্ছু নাই
২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৫
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ১২০ থেকে ১৫০
জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে যে পরিমান
হাতেরকাজ উঠতো তাতে করে স্যারদের
সাড়া বছর ঘরের ওসব জিনিসপত্র কেনার
দরকার হতো না। কোন কোন স্যার তাদের
ভাগেরটা বিক্রিও করে দিতেন।
হাহা.. স্যাররা সেটা বিক্রি করে দিত জেনে হাসলাম।
আপনি তো দেখছি চরম বিদ্রোহী লোক.. স্যার আমিও একজন বিদ্রোহী মানুষ। এজন্য বিদ্রোহী মানুষদের পছন্দও করি খুব। বিদ্রোহ সবাই করতে পারে না...
প্রথম বিদ্রোহে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু হেরে যেতে হয়েছে মীর জাফর এর কাছে... আবারো জয়ী হয়েছেন বন্ধুদের মানে বড় ভাইদের সহায়তায়।(বড় ভাইদের কাহিনীটা পরে আমার চোখেই জল জমতে শুরু করেছিল যদিও তা গড়িয়ে পড়েনি)।
এটা কি আমাদের শিক্ষা দেয় না যে যতই মীরজাফর থাকুক, মীর জাফর যতই মীর জাফরী করুক। সত্যবান মানুষ, সত্যিকারের বন্ধু পাশে থাকলে মীর জাফররা কখনো জয়ী হতে পারে না।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬
হাবিব বলেছেন:
জ্বি আকতার ভাই, স্যারেরা তাই করতেন। হাতেরকাজের দিন এলে ব্যাপারিরা প্রতিষ্ঠানে চলে আসতো। অল্প দামে কিনতে পেয়ে তারাও খুশি হতো।
চরম বিদ্রোহী হয়তো না, তবে অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতে ইচ্ছা করে। এরকম প্রতিবাদ অনেকবারই করেছি। কোনটা সফল হয়েছে কখনো বা মীরজাফরদের কবলে পরেছি। আপনি বিদ্রোহী মানুষদের পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো।
বড় ভাইয়েরা সবাই আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। আপনার কথায় প্রমান করে আপনি অনেক বড় হৃদয়বান মানুষ।
শেষের দুটি লাইন আমার লেখাকে পূর্ণতা দিয়েছে। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানবেন আকতার ভাই। ভালো থাকুন।
২৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার পরিসর আরেকটু বড় হলে ভাল হতো। খুব বেশী ছোট হয়ে গেছে।
সেই ছোট বয়সেই মীর যাফরের সাথে পরিচয় হয়েছিল আপনার। আশাকরি, এর পর থেকে তাদেরকে সহজেই চিনতে পেরেছেন এবং তাদের থেকে দূরে থেকেছেন।
আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখন আমাদের আরবী (অথবা উর্দু, যে কোন একটি) পাঠ্য বিষয় ছিল। আমি আরবী নিয়েছিলাম। এখনো মনে পড়ে, "আল আদাবুল জাদীদ" নামে আমদের একটি আরবী শিক্ষা বই ছিল। সেখান থেকে শিখেছিলাম, মা হাযা- ইহা কী? হাযা কিতাবুন- ইহা একটি বই, হাযা ক্বালামুন- ইহা একটি কলম, হাযা আনানাসুন- ইহা একটি আনারস, হাযা মাসজিদুন ইহা একটি মাসজিদ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪
হাবিব বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান ভাই, অনেক পূর্বের পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখে আনন্দ পেলাম। বুঝতে পারলাম, আপনি আমার লেখা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন।
প্রিয় ভাই, লেখার পরিসর আরেকটু বড় করতে পারতাম তবে অনেকেই সেটাকে বিরক্ত মনে করে। আপনার আগ্রহ আমাকে আপ্লুত করলো।
আপনার সেই ছোটবেলার পড়াগুলো দেখি এখনো হুবহু মনে আছে! তবে, আপনি কি স্কুলে পড়েছেন নাকি মাদ্রাসায়?
২৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে, আপনি কি স্কুলে পড়েছেন নাকি মাদ্রাসায়? - আমি ক্লাস সিক্স পর্যন্ত ঢাকার সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুল এ পড়েছি, যার বর্তমান নাম বোধকরি "মতিঝিল সরকারী বালক বিদ্যালয়"। তারপর এইচ এস সি পর্যন্ত পড়েছি মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজ এ, যার বর্তমান নাম (১৯৮২ সালের মার্চ মাস থেকে) "মির্জা্পুর ক্যাডেট কলেজ"।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯
হাবিব বলেছেন:
আপনি মাদ্রাসায় অধ্যয়ন না করেও আরবী পড়েছেন শুনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
আর মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ তো আমার বাসার কাছেই।
স্যরি ভাইয়া মন্তব্যের উত্তর সঠিক সময়ে দিতে পারিনি। আশা করি আপনি কুশলেই আছেন
২৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩
অ্যানোনিমাস বলেছেন: ভালো লাগলো!
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯
হাবিব বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহা..... খারাপ করে পড়ে লাইক দিলাম ; ভালো করে পড়ে কমেন্টে আসবো।