নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।
সকাল প্রায় সাড়ে ১১টা বাজে। মাদ্রাসার ক্লাসরুমের পার্টিশন খুলে হলরুম বানানো হয়েছে। শিক্ষক-অবিভাবক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ফলাফল প্রকাশের দিনটিকে অন্যরকম আনন্দ আর উৎকন্ঠায় পূর্ণ করে তুলেছে। কোরআন তেলাওয়াত আর ইসলামী সংগীতের পর প্রারম্ভিক কথা শেষ করেছেন মাদ্রাসার সভাপতি মহোদয়। এবার ফলাফল ঘোষণার পালা। রুম ভর্তি মানুষ অথচ পিনপতন নিরবতা। টিনের চালে একটা শুকনো পাতার শব্দও যেন কানে এসে পৌঁছে। ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ শ্রেণির ফলাফল ঘোষণা শেষ। ফলাফল ঘোষণার সাথে সাথে যাদের রোল নম্বর এক, দুই ও তিন হচ্ছে সবাইকে সভাপতি মহোদয় পুরষ্কৃত করছেন। এবার আমাদের পালা। মাইকে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে, "এবার পঞ্চম শ্রেণি থেকে যারা ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠছে তাদের ফলাফল ঘোষণা করছি!" ঘোষণা শুনে বুকের ভেতর হৃদপিন্ডটা ধরে রাখা কষ্ট হচ্ছে। "রোল এক, হাবিবুর রহমান!" মাইকের আওয়াজ কানে আসলো ঠিকই কিন্তু আমি যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না। উঠে দাঁড়ালাম পুরষ্কারের জন্য। শেষ হলো প্রতিক্ষার প্রহর। পনের নম্বরের ব্যবধানে প্রথম হলাম। প্রথম হয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু করবো এবার।
স্বপ্নের ষষ্ঠ শ্রেণি। যেখানে আরো দুইবছর আগে বসার কথা ছিলো। আজ একটুও আফসোস নেই। দুই বছর হারানোর কথা এখন আর মনে হয়না। কিছু পেতে চাইলে কিছু হারাতেই হয়। আমার জন্য হয়তো এটাই ভালো ছিলো।
আমাদের সময় ষষ্ঠ শ্রেণিতে বাংলা আর ইংরেজি ছিলো ১০০ নাম্বারের। কোন ২য় পত্র ছিলো না। সহপাঠি চাচাতো ভাইদের ঘরে যখন যেতাম, দেখতাম বাংলা ১মপত্র-২য় পত্র, ইংরেজি ১মপত্র-২য়পত্র। তখন খুবই ইচ্ছে করতো ২য় পত্র পড়ার। ইংরেজিতে ন্যারেশন, ভয়েস চেঞ্জ, আর্টিকেল সহ কত কত টার্ম ছিলো....। মাদ্রাসায় এর কোনটায় পাঠ্য নয়। বাংলাতেও একই অবস্থা। ২০০ নাম্বারের বাংলা ইংরেজি কোন দিনই পড়া হয়ে উঠেনি। এখন অবশ্য বাংলা ইংরেজিতে ২য় পত্র চালু করা হয়েছে।
সিলেবাসে না থাকলে কি হবে, ইংরেজি স্যার ২য় পত্রের টার্মগুলো আমাদের পড়াতেন। সপ্তাহে দুইদিন মাত্র। কিন্তু অনেক ছাত্রই বলতো, "এগুলো পড়ে কি হবে? পরিক্ষায় আসবেনা কিছুনা..." কিন্তু স্যার আমাদের বুঝাতেন, "আজ হয়তো তোমরা এর উপকার পাবেনা কিন্তু একদিন ঠিকই মনে হবে।" আজ বুঝি স্যারের কথা কতটা বাস্তব ছিলো।
আরবিতে দুই পত্র, সামাজিক বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান, কোরআন, হাদিস আর স্কুলের ইসলাম শিক্ষার আদলে একটু বড় পরিসরে ছিলো আকাইদ ও ফিকাহ। গনিতে বীজগনিত, পাটিগনিত আর জ্যামিতি ছিলো স্কুলের অনুরূপ। কিন্তু হলে কি হবে, মাদ্রাসার নাম শুনলেই লোকে যে নাক ছিটকাতো তা আমার সময়েও ছিলো। "স্কুল থেকে ফেল করে এসে মাদ্রাসায় দুই বছর পড়েই কিভাবে দাখিল পাশ করে?" এই প্রশ্ন তখন মাদ্রাসায় পড়ুয়া আমাদেরকে ছোট করে রেখেছিলো। আমিও চিন্তা করতাম, কিভাবে সম্ভব পাশ করা? কোন উত্তর খুঁজে পেতাম না!
আরবি ২য় পত্রে তাহক্বীক-তারকীবের মতো কঠিন টার্ম, আরবি হতে বাংলা-বাংলা হতে আরবিতে অনুবাদ, আরবি সাহিত্যের বড় বড় প্রশ্ন মোটেই সহজ ছিলো না। বর্তমানে তারাই ভালো তাফসীর করেন যারা আরবি ব্যকরণে পাকা ছিলেন। সেই সমস্ত হুজুরেরাই জাতির মধ্যে বিভেদ তৈরি করেন যারা ফাঁকি-ঝুকি দিয়ে পাশ করেছে। এমবিবিএস ডাক্তার যদি কোন বিষয় না শেখে ঐ বিষয়ে চিকিৎসা দেন তাহলে যেমন হয় ঠিক তেমন অবস্থা হয় কাঠ মোল্লাদের বেলায়। আমাদের আরবি স্যার প্রায়ই বলতেন, "ভালো করে পড়। নইলে তো কাঠ মোল্লা হয়ে জাতির মধ্যে মারামারি লাগাবি!" চিকিৎসায় ভুল হলে একজন মানুষ মরবে কিন্তু কোরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা যে পুরো জাতিকে মারতে পারে। আজ হচ্ছেও তাই............।
আকাঈদ ও ফিকাহ পড়াতেন এক ম্যাডাম। কেমন পড়াতেন সে বিষয়ে যাবো না, কিন্তু তিনি শিক্ষিকা না হয়ে সংবাদ পাঠিকা হলে ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারতেন তা আমি নিশ্চিত। বেচারি দেখে দেখেও রিডিং পড়া ভুল করে ফেলতেন। বইয়ে যা আছে তার বাইরে একটা অক্ষর কম কিংবা বেশি লিখলেই খবর আছে। পড়া ধরতেনও বই দেখে পরিক্ষার খাতা দেখার সময়ও বই দেখে লাইন বাই লাইন মিলাতেন। কি যে বিপদে পরেছিলাম এই বিষয়টা নিয়ে! ম্যাডাম আবার আমাদের মাদ্রাসার সহকারি প্রধান শিক্ষকের সুযোগ্য কন্যা। তিনি মারতেন না খুব একটা, কিন্তু গ্রাম্য ভাষায় খোঁচা দিয়ে দিয়ে কথা বলতেন। সবাই কথার ভয়েই পড়া মুখস্থ করে আসতো।
কুরআনের একজন দুই নাম্বার হুজুর নিয়ে আমরা ট্রল করতাম ইচ্ছা মতো। ক্লাসে পান চিবাতে চিবাতে আসতেন আর এসেই মেয়েদের দিকে ঘুরে পড়ানো শুরু করতেন। ঘন্টা বাজা অবধি ছেলেদের দিকে তাকাতেন না। একদিন স্যারের নামে দিলাম প্রিন্সিপালের কাছে নালিশ। যে স্যার কোনদিন বেত নিয়ে আসেন না, সেই স্যারের হাতে বেত দেখে সেদিন সবাই নড়ে-চড়ে বসলাম। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। দুই একজন বাদে সবার পিঠেই পড়লো বেতের বারি। এই একমাত্র স্যার ছিলো ফাঁকিবাজিতে চ্যাম্পিয়ন।
সে বছর নতুন গনিত স্যার এসেছে মাদ্রাসায়। স্যার দেখতে খুবই হ্যান্ডসাম ছিলেন। পড়াতেনও খুব ভালো। ষষ্ঠ শ্রেণির বীজগনিত-পাটিগনিত খুবই সহজ করে বুঝাতেন। আমাদের অনেকের কাছেই স্যার প্রিয় হয়ে উঠলেন অল্প ক'দিনের মাঝেই। নতুন গনিত স্যার ছিলেন খুবই মিশুক প্রকৃতির। আর এ স্বভাবের কারনেই মাদ্রাসার সবার কাছে স্যার হয়ে উঠলেন পরিচিত নাম।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
হাবিব বলেছেন: আমি আমার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বলতে পারি, অন্য প্রতিষ্ঠানের খবর আমার কাছে নেই। যারা আমাদের প্রতিষ্ঠানে ছিলো কারো ভয়াবহ সময় কাটতে দেখিনি। কাটলেও সেটা মাদ্রাসার কারণে নয়। অন্য কোন কারনে ছিলো।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৯
আরোগ্য বলেছেন: লেখাটা আরেকটু বড় করতে পারতেন না।
লিখতে থাকুন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৫
হাবিব বলেছেন: পাঠক বোরিং হতে পারে ভেবে কম করে দিয়েছিলাম। আপনার কথয় আরেকটু দিলাম। আরোগ্য থাকবেন সবসময়।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
লেখাগুলো পড়তে ভালো লাগছে, মাদ্রাসা'র পড়া জেনারেল পড়া থেকে মনে হয় কঠিন। আপনার স্যারের উপদেশ সবচেয়ে দামী। আরও লিখে যান, সাথেই আছি +++
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৭
হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ মুক্তা, সাথে থাকার জন্য। শেষের তিন প্যারা নতুন করে দিয়েছি। পড়ে দেখবেন। লাইক ও প্লাস প্রদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০১
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: পড়লাম স্যার... ভালো লাগলো আপনার মাদ্রাসা জীবনের স্মৃতিচারণ....
সিলেবাসে যা ছিল না তাও শিক্ষক পড়িয়েছেন ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে.... ওরাই আসকে প্রকৃত শিক্ষক। শিক্ষকের প্রতি আমার শ্রদ্ধা জাগলো।
আর এটা ঠিক বলেছেন, ভালো ভাবে না পড়লে পরে জাতির মধ্যে বিবেদ তৈরি করবে।।।।।
দ্বিতীয় পর্বে হাজিরা দিয়েছিলাম। এখনো পড়িনি। পড়ে ফেলবো শীঘ্রই। ভাল থাকবেন স্যার...
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৯
হাবিব বলেছেন: আপনার আন্তরিকতা মুগ্ধ করলো আমাকে। পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে লেখার আগ্রহ জাগিয়ে দিলেন। ২য় পর্ব আপনার স্বীকারোক্তি আপনার প্রতি আমার ভালোবাসা বৃদ্ধি করলো। ভালো থাকবেন সবসময় স্বজনদের নিয়ে। শুভরাত্রি।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৬
ল বলেছেন: যে সকল হুজুর্রা ফাঁকি- ঝুঁকি দিয়ে পাস করেন তারাই জাতির মধ্যে বিভেদ তৈরি করে--- সহমত
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২০
হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ রহমান লতিফ ভাই, শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় দেয়ার জন্য। আরোগ্য থাকুন সবসময়।
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: স্কুলের একটা স্যারের কথা মনে পড়লো। পড়া ধরার জন্য সামনে ডাকতো আর মেয়েদের পা হতে মাথা অবধি পর্যবেক্ষণ করতো।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৪
হাবিব বলেছেন: হা হা হা....আমার লেখা পড়ে আপনার বিভিন্ন ঘটনা মনে পড়ার বিষয়টি দারুণ লাগলো। ভালো থাকবেন আরোগ্য।
৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি আমার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বলতে পারি, অন্য প্রতিষ্ঠানের খবর আমার কাছে নেই। যারা আমাদের প্রতিষ্ঠানে ছিলো কারো ভয়াবহ সময় কাটতে দেখিনি। কাটলেও সেটা মাদ্রাসার কারণে নয়। অন্য কোন কারনে ছিলো।
আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনের কাছে তাদের মাদ্রাসার জীবন কাহিনী শুনেছি। ভয়াবহ তাদের অভিজ্ঞতা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৫
হাবিব বলেছেন: কিছুটা বর্ণনা করলে জানতে পারতাম, যদি সম্ভব হয়।
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০০
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মাদ্রাসা টাঙ্গাইলেই ?
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৭
হাবিব বলেছেন: জ্বি, টাঙ্গাইলেই। দাখিল: তক্তারচালা দাখিল মাদ্রাসা, সখিপুর টাঙ্গাইল। আলিম: দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা, সদর, টাঙ্গাইল।
৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হা হা হা আমি কি ভেবেছিলাম আর কি হয়ে গেল।
ভালোই তো।
সহজ সরল সুন্দর ভঙ্গিমায় কথাগুলো লিখেছেন।আর এই ব্যাপারটা আমার কাছে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে।
অনেক শুভকামনা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৮
হাবিব বলেছেন: হা হা হা......জ্বি তাই। আপনার ধারনা ঠিক হয়নি। ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান ভাই, সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৮
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
১. ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪২ ১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ভাগ্য ভালো আপনার মাদ্রাসার জীবন আনন্দময় ছিল।
এদেশের বেশির ভাগ ছেলে মেয়ের মাদ্রাসার জীবন ভয়াবহ কেটেছে।
এই ধারণা ভুল। আমি দাখিল জীবনে চারটা মাদ্রাসায় পড়েছি। যেখানে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত ছিল। আমরা আপনার ধারণার মতো ভয়াবহ অবস্থায় পড়ি নাই এই যাবৎ। সহশিক্ষায় বড় হয়েছি ছোট থেকেই। বলতে গেলে আমাদের চোখের সামনেই সব সুখেই ছিল। এখনো আছে।
তবে কওমি মাদ্রাসা একটু ভিন্ন জাতের। আমি কওমি তে ছয় মাস পড়েছি। সেখানে কিছু বড় ভাইদের অতি আদরের কারণে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। সহ্য হচ্ছিলনা তাদের অতি আদরে। তবে এই বড় ভাইদের সংখ্যা অতি নগণ্য। এরাই মাদ্রাসার বদনাম নিয়ে আসে।
_____
হাবিব ভাই, মাদ্রাসা নিয়ে আপনার এই লেখাগুলো পড়তেছি। লেখা চালিয়ে যান। তবে একটা কথা আপনাদের আগের মাদ্রাসার যে অবস্থা ছিল। এখন তা অনেক উন্নত হয়েছে।
অনিঃশেষ শুভকামনা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৪
হাবিব বলেছেন: আমার প্রতিষ্ঠানেও কাউকে ভয়াবহ জীবন কাটাতে দেখিনি। কাওমি মাদ্রাসার কথা বলতে পারবো না। এক-দুই জন মানুষের জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের সবাইকে দায়ী করা ঠিক হবে না। আপনার কথা একদম ঠিক আছে, ্ওদের সংখ্যা আসলেই নগন্য।আমার পোস্টের সাথে আছেন শুনে ভালো লাগলো। আশাকরি কুশলেই আছেন।
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বা-ব্-বা-রে আমি এত্ত দেরি করে ফেললাম!!! ঠিক আছে আগামীকাল সকালে আবার আসবো ।
শুভ রাত্রি।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৭
হাবিব বলেছেন: হা হা হা........... আমার যে আরো বেশি লেট হয়ে গেলো। আপনি দুই দুই বার এলেন, আর আমি একবারই আসতে পারলাম না!!
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
@স্রাঞ্জি সে,
আপনি বলেছেন, "এই ধারণা ভুল। আমি দাখিল জীবনে চারটা মাদ্রাসায় পড়েছি। যেখানে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত ছিল। "
-আপনার পোষ্ট ইত্যাদি বলে যে, আপনার মাদ্রাসা আসলে ইউৈভার্সিটির লেভেলে ছিলো।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৮
হাবিব বলেছেন: এ ব্যাপারে স্রাঞ্জি সে বললেই ভালও হয়।
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৬
অজ্ঞ বালক বলেছেন: আপনার লেখার ঠেলায় নিজেও স্মৃতিকথা দিয়া দিলাম। তবে আপনার লেখাটা আগ্রহ লইয়া পড়তাসি। মাদ্রাসার জীবন নিয়া যা শুনছি তা মিলাইয়া নিমু। সব জ্ঞানই জরুরী।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২০
হাবিব বলেছেন: বজ্ঞি বালক, আপনার ইতিহাস আমার নজরে এসেছে। পাঠান্তে মন্তব্যে আসবো ইনশাআল্লাহ। আসলেই সব জ্ঞানই জরুরী
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১০
এম.জে. রহমান বলেছেন: শিক্ষা জীবন সুখের জীবন...............
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২১
হাবিব বলেছেন: পরীক্ষার সময়টা আমার কাছে বেশি ভালো লাগতো। আসলেই, শিক্ষা জীবন সুখের জীবন...............
১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আপনার স্মৃতি শক্তি অনেক প্রকট
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৪
হাবিব বলেছেন: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। প্রকট বললে ভুল হবে, তবে ছোট্টবেলা থেকে শুরু করে সবই মনে আছে। ধন্যবাদ পবিত্র
১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেশ ঝরঝরে প্রাঞ্জল লাগলো এবারের পর্বটি
দারুন
চলুক আত্মকাহিনী অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হতে ঋদ্ধ করতে।
+++
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৬
হাবিব বলেছেন: ভৃগুদা, সবধরনের লেখায় আপনার দিল খোলা মন্তব্য আমাকে বেশ প্রেরণা যোগায়। ভালো থাকবেন সব সময়।
১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,
শৃঙ্খলিত আপনার মাদ্রাসা জীবনের তৃতীয় পর্ব পড়ে বেশ ভালো লাগলো। বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্টের দিন শ্রেণিকক্ষের মাঝে দর্মার বেড়া গুলোকে সরিয়ে দিয়ে হল ঘর বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে উঁচু নিচু শ্রেণীর গুলির মধ্যে একটি কমিউনিটি বোধ চলে আসতে বাধ্য । প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট কার্ড ও পুরস্কার প্রদানের পর পঞ্চম শ্রেণীর রিপোর্ট কার্ড দেওয়ার আগে সম্পাদক মহোদয় আবার কিছু নিয়ম নিষ্ঠার কথা ঘোষণা করলেন। ততক্ষণ মনের মধ্যে শুরু হওয়া দুরু দুরু বিস্ফোরকের ন্যায় প্রকাশ হওয়ার প্রতীক্ষায়। এমন সময় সম্পাদক মহোদয়ের মাইক্রোফোন হাতে 16 নম্বর বেশি পেয়ে প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে আপনার নামটি ঘোষণা করাতেই মনের বাঁধনহারা উচ্ছাস চোখের জলে সমর্পিত হলো।
ষষ্ঠ শ্রেণীতে বাংলা, ইংরেজির দ্বিতীয় পত্রে 100 নম্বরের পড়ার সুযোগ না পাওয়ার যাতনায় আবার মনের মধ্যে দেখা দিল কিঞ্চিৎ হতাশার কালো মেঘ। সেটা ঘনায়মান আকার নিল যখন আত্মীয় স্বজন থেকে পাড়াপড়শি প্রায় সকলেই মাদ্রাসার স্টুডেন্ট বলে অবজ্ঞা করতে থাকেন। অস্বীকার করবো না যে সেদিনের সেই ছোট্ট কৈশোরের সোনালী দিন গুলিতে এমন অবজ্ঞা নিঃসন্দেহে আপনাকে হাইল্যান্ডের ব্যাক বেঞ্চার হিসাবে কিছুটা পিছনে ঠেলে দিয়েছিল। কিন্তু মনের অদম্য জেদ সমস্ত প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলার উৎসাহ দেয়, যার সার্বিক রেজাল্ট ফুড টেকনোলজিস্ট হিসেবে আপনার আজকের পদার্পণ।
বিটিভির সংবাদ পাঠিকা হিসেবে ধর্মতত্ত্ব পড়ানো আপনার দিদিমণিকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছি না। সেদিনের সেই ছোট্ট কৈশোরে দাড়ি, কমা পূর্ণচ্ছেদের অপূর্ব মেলবন্ধনের মাধ্যমে উনি হয়ে উঠেছিলেন আপনাদের কাছে অনুকরণীয়। ভালো কিছুকে অনুকরণ করার একটা তাগিদ তখনই মনের মধ্যে তৈরি হয়েছিল। গ্রামের দিদিমণি, গ্রাম্য ভাষায় কটাক্ষ করার মধ্যে আপনাদের নিষ্পাপ প্রাণ গুলি তাৎক্ষণিক একটু বিষণ্ণ হলেও কোন বক্রতা খুঁজে পাইনি। একটা শ্রদ্ধাবোধ তো ওনার প্রতি ছিলই, যেহেতু উনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কন্যা।
প্রিন্সিপালের কাছে ফাঁকিবাজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নালিশ করাটা ভালো লাগেনি। অভিযোগ অভিভাবকরা করলে একটা অন্য মাত্রা পায়। স্টুডেন্টরা কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নালিশ করলে সেখানে মানসিক নির্যাতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
কমেন্টে সংগত কারণে তিনটি ভুল বিষয় আছে। আপনাকেও ঐ ভুল তিনটি খুঁজে বার করতে হবে। না পারলে খবর আছে হা হা হা হা.....
শুভকামনা ও ভালোবাসা হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারবর্গকে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৬
হাবিব বলেছেন:
হা হা হা হা..............
ভুল-০১: ১৬ নয় ১৫ নম্বরের ব্যবধানে প্রথম হয়েছিলাম।
ভুল-০২: ম্যাডাম আসলে সহকারি প্রধান শিক্ষকের মেয়ে। উনি আমাদের কাছে মোটেও অনুকরণীয় ছিলেন না।
ভুল-০৩: সম্পাদক নয় সভাপতি মহোদয়।
পরীক্ষায় কত নম্বর পেলাম জানাবেন।
আর হ্যাঁ, আপনার আজকের মন্তব্য অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি ভালো লাগলো। পুরস্কৃত করা হবে আপনাকে।
প্রিয় ভাই, আপনার ও আপনার পরিবারের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহা প্রতি মন্তব্যে আবার আসা।
আপনার জন্য পুরস্কার বরাদ্দ করে রেখেছিলাম। মানপত্র স্বরূপ তুলে দিলাম আপনার হাতে,
একমুঠো নির্মল বাতাস,
সঙ্গে গ্রহ-নক্ষত্র ভোগ দখলের
সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া হবে।
কি এবার নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন?
বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা আপনার গোটা পরিবারবর্গকে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
হাবিব বলেছেন: সৃষ্টি কর্তার অপার করুনা পুরষ্কারের মাধ্যমে স্মরন করিয়ে দিয়ে গেলেন প্রিয় পদাতিক ভাই। মানপত্রে আমি খুবই আনন্দিত। আপনার ও আপনার পরিবাররে উপর শান্তি বর্ষিত হউক।
১৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কথা কবে লিখবেন?
বিশেষ করে ওবায়েদ ভাই কেমন পড়ান সেটা আমার জানতে মন চায়।
উনাকে সালাম।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪১
হাবিব বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, সময় মতো সে কথাও হবে। কিন্তু আপনার সম্পর্কে কিছু জানতে পারলে ভালো লাগতো।
২০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪
করুণাধারা বলেছেন: এই পর্ব খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম, হাবিব স্যার। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন, আর বিশদভাবে লিখবেন। মাদ্রাসার জীবন আমার কাছে একেবারেই অপরিচিত, জানার খুব ইচ্ছা আমার।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
হাবিব বলেছেন: করুনা আপু, আপনার আগ্রহ আমাকে আনন্দিত করলো। ঠিকআছে আপু, খুব তাড়াতাড়ি দিবো। বিশদ ভাবে লিখলে লেখার কলেবর তো বড় হয়ে যাবে। যতটুকু সম্ভব লিখবো ইনশাআল্লাহ। আপনার জানার ইচ্ছা আমাকে লেখার প্রেরণা জোগাবে। ভালো থাকবেন সবসময়।
২১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৪
নীলপরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
++
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫
হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি। আশাকরি কুশলেই আছেন।
২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, সময় মতো সে কথাও হবে। কিন্তু আপনার সম্পর্কে কিছু জানতে পারলে ভালো লাগতো।
ভাইরে, আমি এক জন নগন্য অতি সাধারণ মানুষ। আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছুই নাই। তাই সবার কথা পড়ি। বিমোহিত হই।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৮
হাবিব বলেছেন: আপনি ভীষণ বর্ণচোরা মানুষ।
২৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: নইলে তো কাঠ মোল্লা হয়ে জাতির মধ্যে মারামারি লাগাবি!" চিকিৎসায় ভুল হলে একজন মানুষ মরবে কিন্তু কোরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা যে পুরো জাতিকে মারতে পারে। আজ হচ্ছেও তাই............।
খাটি কথা।
কিশোরের পর্ব পড়ে শৈশব পড়ার ইচ্ছাটা জাগ্রত হল।
আগাম পর্বের অপেক্ষায়।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৫
হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ভাই, পুরাতন পোস্ট পড়ার জন্য। সময় করে দিয়ে দেব আরেক পর্ব। সেই পর্বেই মাদ্রসা জীবন সমাপ্ত হবে।
২৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাদ্রাসার ছাত্রদের নিষ্ঠার সাথে ইংরেজী শিক্ষাদানে ইংরেজী স্যারের একাগ্রতার কথা জেনে খুব ভাল লাগলো। আর আক্বাঈদ এবং ফিকাহ পড়ানো সেই একরোখা ম্যাদামের কথা জেনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। এমন মানুষের শিক্ষাদানের মত মহান পেশায় যোগদান মোটেই কাম্য নয়।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
হাবিব বলেছেন: আকাঈদ-ফিকহের ম্যাডাম নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁর বাবার কারনে। ম্যাডামের বাবা ছিলেন মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল। একারনেই তার এমন অবস্থা ছিল। আপনার এমন আগ্রহ নিয়ে আমার পোস্ট পাঠ ও মন্তব্যে প্রীত হলাম। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ভাগ্য ভালো আপনার মাদ্রাসার জীবন আনন্দময় ছিল।
এদেশের বেশির ভাগ ছেলে মেয়ের মাদ্রাসার জীবন ভয়াবহ কেটেছে।