নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যখন আঁধার নামে

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৮



আজকে আমার বাবা তিন নম্বর মাকে ৩য় বারের মতো বিয়ে করছে। আমার মনে মোটেও আনন্দ নেই। জন্মদাত্রী মা এ বাড়ি থেকে বিদায় নেবার পর ২য় মাকে পেয়েছিলাম আমার মায়ের মতো আদুরে। ঠিকমতো গোসল করানো, খাওয়ানো, ঘুম পারানোর মতো সব কাজ ২য় মা-ই করতেন। কিন্তু কখনো শাসন করতেন না। আমার বাবা তো তার নিজের তালেই আছে। রাতে কখন আসে তা দেখিনি, তবে বেলা বারোটার সময় ঘুম থেকে যখন আমার ২য় মা ঢেকে উঠাতেন তখন দেখতাম বাবা খুব রাগ করতেন। একটা দিনও ঝগড়া ছাড়া তাদের কাটতো না। ৩য় মায়ের সাথে বাবার যে খুব মিল সেটাও নয়। এই নিয়ে দুইবার তালাকও দিয়ে দিয়েছেন।

বাবা যখন আমার মাকে বিয়ে করে এ বাড়িতে আনেন তখন আমার দাদা জীবিত ছিলেন। দাদাই মাকে এ বাড়িতে এনেছিলেন বাবার জন্য। আমার মা দেখতে মোটেই সুন্দরি ছিলেন না। তার বাড়ির অবস্থা যে খুব ভালো ছিলো তাও না। তবুও আমার নানা মাকে বিয়ে দেয়ার সময় পঞ্চাশহাজার টাকা যৌতুক দিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে বাড়ির কাছে একখন্ড জমি কিনেন আমার দাদা। সাথে একটা দুধেল গাভি। আমার দাদার সংসার স্বচ্ছল ছিলো না। দাদা ভাবছিলেন তার ছেলে বিয়ে করার পর হয়তো সংসারের কাজে মন বসাবে। কিন্তু তার সে আশায় গুড়েবালি। বাবা আরো উচ্ছৃঙ্খল হয়ে গেলো। রাত বিরাতে বাড়িতে আসতো আগের মতোই। একেকদিন একেক মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়িতে আসতো। মা কিছু বললেই ধরে ধরে মারতো। মা শুধু বসে বসে কান্না করতো। আর আমি মায়ের আচল দিয়েই মায়ের চোখ মুছে দিয়ে শুধু বলতাম, "কান্না করো কেন মা?"

আমার মা যখন এ বাড়িতে বউ হয়ে এসেছিলো তখন থেকেই মায়ের একটা সমস্যা ছিলো। চোখে কম দেখতো। সম্ভবত ছানি পড়েছিলো চোখে। অল্প ট্রিটমেন্টেই সেরে যেতো হয়তো কিন্তু পোড়া কপালে মায়ের ভাগ্যে সেটুকুও জুটেনি। আমার জন্মের পর মায়ের সমস্যা আরো প্রকট হতে লাগলো। রান্না করতে গিয়ে কতদিন যে মা মার খেয়েছে বাবার হাতে তার ইয়াত্তা নেই। গাছের শুকনো পাতা কখনো কখনো রান্না করা তরকারিতে নাকি পেতো বাবা। আর সেকারনেই মায়ের পিঠে পড়তো কিল-ঘুষি। একবার তো মায়ের বুক বারবর লাথি মেরে অজ্ঞানই করে দিয়েছিলো বাবা। তবুও মা কোনদিন নানা বাড়ি গিয়ে নালিশ পর্যন্ত করে নি।

আমি তখন খুব ছোট। বাবা যখন মাকে বকাঝকা করতো মা বলতো, "বাবা, পোলাপানদের সাথে খেলতে যাও।" তখন বুঝতাম না মা কেন আমাকে খেলতে যেতে বলতেন। মা হয়তো জানতেন তার উপর বাবার পা উঠবে এখন। আমি দেখলে ভয় পেয়ে যাবো হয়তো। কিন্তু সব সহ্য করেও তো মায়ের ঠাঁই হলো না এ বাড়িতে।

বাবা তখন জুয়ার আসরে যাতায়াত ছিলো নিয়মিত। কখনো কখনো জিতে যেত, কখনো বা সব দিয়ে আসতো। মায়ের কাছে আরো টাকা দাবী করে বসলো একদিন। আমার মাকে বলে, "কানার বাচ্চা কানা, তর বাপের বাড়ি গিয়ে টাকা নিয়ে আয়।" মা শুধু এতটুকুই বলে, "ও বাড়িতে টাকা কই পাবে? আবার কি জমিদারী আছে নাকি?" আর কই যাবি! মুখে যা আসে তা বলে গালিগালাজ তো করলোই সাথে সব রাগ ঢাললো মায়ের পিঠে। ওমাগো, বাবাগো বলে চিৎকারে পাড়ার মানুষ জোটে গেলো। আমি ঘরের এক কোনে দাঁড়িয়ে শুধু কাঁপছিলাম। আমার দাদি ফিরাতে গিয়েছিলো ঠিকই কিন্তু তাকে মেরে আহত করেছিলো আমার পাষন্ড সে মানুষটি।

মা নাকি চোখে দ্যাখেনা, রান্না করতে পারে না, কানা.......। বিভিন্ন দোষ ধরে মাকে তালাক দেয়ার বন্দোবস্ত করে। আমার দাদা ততোদিনে ভব সংসার ত্যাগ করেছেন। বাবা একদিন শালিস ডেকে মাকে তালাক দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। আমার মায়ের চোখে সেদিন ছিলো নির্বাক চাহনি। আমি যে তার ছেলে তা হয়তো সেদিন ভুলেই গিয়েছিলেন। আশি হাজার টাকা কাবিনে ধার্য ছিলো। তাই দিয়েই মাকে এ বাড়ি থেকে বিদায় করা হলো। মা আমাকে সাথে করে নিয়ে যেতে চাইলেন। কিন্তু কি মনে করে যেন আমি গেলাম না তার সাথে। এ বাড়িতেই থেকে গেলাম। তখন বুঝিনি বলেই হয়তো। শুধু সমবয়সীদের সাথে খেলা আর সময়মতো খাবার পেলেই খুশি থাকতাম সেসময়। তাইতো শাসনবিহীন সময়টাকে বেশ উপভোগ করতাম। আমার মা যাবার সময় দাদীর সেকি হা হুতাশ..........! কিন্তু বাবা নামক মানুষটি কারো কথা শুনেনি।

তালাক হয়ে যাবার অল্প ক'দিন বাদেই আমার মায়ের বিয়ে হয়েছে আবার। সেখানে নাকি এক সন্তানও হয়েছে। মা এখন সুখেই আছে। কিন্তু আমি আছি নরক যন্ত্রনার মাঝে। তবুও থাকবো। বাবা নামক মানুষটাকে শেষ দেখার আশায় আছি। তার সব পাপের প্রায়শ্চিত্ত দেখার আশায়। তালাক দেবার পর নতুন বিয়ে করে বউ আনবে বাবা, মায়েরাও বিয়ে করে সুখে থাকবে। মাঝখান থেকে আমার মতো সন্তানেরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে।

মা চলে যাবার পর সপ্তাহ না ঘুরতেই বাড়িতে নতুন মায়ের আগমন ঘটলো। যেমন সুন্দরি তেমনি তার ব্যবহার। শুধু দোষের মধ্যে ছিলো তিনি তালাকপ্রাপ্তা। গুনে তার কমতি ছিলো না। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কতবার যে মারামারি করেছে তার হিসাব রাখিনি। এ লড়াই আরো তীব্র। আগের মা প্রতিবাদ করতোনা বলে হয়তো এতো বেশি হতো না, কিন্তু নতুন মা ছেড়ে কথা বলে না। খুবই প্রতিবাদী নতুন মা আমার কাছে মা দূর্গা হয়ে এসেছিলেন মনে হয়। মাঝে মাঝে এই ২য় মায়ের সাথে কিছুতেই পেরে উঠতো না আমার বাবা। অবস্থা বেগতিক দেখে বাবা এবার নতুন ফন্দি আঁটলো। মানুষের মাঝে ২য় মাকে চোর হিসেবে প্রচার করতে লাগলো। বাবার পকেট থেকে মা নাকি টাকা চুরি করে। আবার বছর ঘুরে এলে নতুন মায়ের কোন সন্তান হয়না দেখে তাকে বাঞ্ঝা বলেও প্রচার করতে লাগলো। সব মিলিয়ে নতুন মা এ বাড়িতে যেন আর থাকতে না পারে সে ব্যবস্থা করে ফেললো আমার বাবা। নতুন মা নেয়াহেত ভালো ঘরের মেয়ে বলে আর বাড়ালেন না কাহিনী। আবার সংসার ছেড়ে সেও চলে গেলেন। এবার সে বাবাকে ডিবোর্স দিয়ে বাঁচলেন।

বাবা যেন আরো উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠলো। আগে শুধু জুয়া খেলতো, আর এখন নাকি হেরোইন-ইয়াবার মতো মাদকের কারবার শুরু করে দিয়েছে। তাইতো নিত্য নতুন মোটর সাইকেল চালান। নেশাখোরেরা নেশার টাকা না দিতে পেরে মোটর সাইকেল দিয়েই ওসব কিনে নিয়ে যায়। আর বাবা নামক মানুষটার মুখেও চকচকে হাসি। রাজার হালে চলে।

মাস না যেতেই বাবা ৩য় বারের মতো বিয়ে করে নিয়ে আসলেন। এর সাথে নাকি আগে থেকেই যোগাযোগ ছিলো। যাকে বলে প্রেম করে বিয়ে। তিন নম্বর মা আরো সুন্দরী। সবাই শুধু বলে, ওর কাছে এতো সুন্দর মেয়ে কে বিয়ে দেয়। মানুষের কি মেয়ে বেশি হয়েছে নাকি? আমিও চিন্তা করি, বাড়িঘর দেখার খবর নাই, ছেলের চরিত্র দেখার খবর নাই, মানুষ কি করে এতো সুন্দর সুন্দর মেয়ে বিয়ে দেয়? বাবার চেহারা এখনো চমকায়। যেমন লম্বা তেমন শরীরের গঠন। খুবই হ্যান্ডসাম মানুষটার মুখের কথায় যেন মধু ঝরে। তাই শুনেই হয়তো মেয়েরা ভুলে যান।

তিন নম্বর মা আরো ভয়ংকর। তার সুন্দর চেহারায় যখন রাগ ফুটে উঠে কখন আরো ভয়ংকর দেখায়। দু'মাস যেতে না যেতেই বাবাকে দুই বার অজ্ঞান করেছে মেরে। বাবার কথা শুনে যা বুঝলাম তা হলো, এই নতুন মা তাকে প্রজনন অঙ্গে ধরে টান মেরেছে। আর তাতেই বাবা কুপোকাত! হা হা হা...... শুনে আমার খুবই হাসি পেয়েছে। যাক! এই তিন নম্বর মা হয়তো বাবাকে শায়েস্তা করতে পারবে। কিন্তু আমার সে আশায় ঘুরেবালি! ছয় মাস না যেতেই মাকে কাজি অফিসে গিয়ে তালাক দিয়ে দিলো বাবা। খুবই হতাশ হলাম, যখন দেখলাম নতুন মাও আপসেই চলে গেলো।

আমার ধারনা ভুল ছিলো। দুইদিন যেতে না যেতেই তিন নম্বর মা আবার এলো এবাড়িতে। বাবা তাকে কোন ভাবেই বাড়ি থেকে তাড়াতে পাড়লো না। অগত্যা নতুন মায়ের বাড়ির লোক ডেকে তাদের হাতে মেয়ে বুঝিয়ে দিলেন। কিন্তু মা সেদিনই রাতে আবার চলে আসলো। বাবা যখন দেখলো একে সরানো যাবে না তখন আবার বিয়ে করে ঘরে উঠালো। বাবা ভেবেছিলো হয়তো এবার জাত হবে নতুন মা। কিন্তু তিন নম্বর মায়ের আচরন অপরিবর্তিত থাকলো। বাবার সাথে ঝগড়া বাঁধলে কোন ছাড় দেন না।

ছয়মাস পরের কথা। তিন নম্বর মা কন্যা সন্তান জন্ম দিলো। নতুন সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বাবার চরিত্র হয়তো পাল্টাবে ভেবেছিলাম, কিন্তু তা হলো না। মায়ের সাথে বাবার ঝগড়া চলতেই লাগলো। মাকে আবার তালাক দিলেন বাবা। কিন্তু মা তালাক মেনে নিলেন না। কিছুতেই ছাড়লেন না এ বাড়ি। আবার নতুন মায়ের বাবা-চাচাদের ঢেকে আনা হলো। নতুন মাকে বলা হলো, সে এবাড়ির ভাত খাবে কি না। মা বললেন, "খাবো"। শালিসে বাবাকে আবার বিয়ে করতে বললেন। দু'জনের মধ্যে মিলমিশ করে দেয়া হলো আবার। আবার সংসার শুরু করলেন। ঝগড়ার সংসার। আমার মনে শুধু একটাই চিন্তা, আরো একটি সুন্দর শিশুর ভবিষ্যৎ আমার মতো অন্ধকার হলো।

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা কি 'চলবে' নাকি?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

হাবিব বলেছেন: না না মফিজ ভাই, লেখাটা এখানেই ইতি। তবে এটা একটা বাস্তব গল্প। আমার চোখে দেখা। সেই জীবন চলছে, চলবে।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আমার দেখা এমন একটা বাস্তব চরিত্র আছে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

হাবিব বলেছেন: পবিত্র, এটাও যে বাস্তব গল্প। নায়ক শুধু ভিন্ন।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫

আমি মুক্তা বলেছেন: আমাদের দেশে এরকম গল্প হামেশা দেখা যায়। তবে আপনার লেখার গুণে পুরো চিত্রটা সহজেই ফুটে উঠেছে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০১

হাবিব বলেছেন: লেখার প্রশংসায় ধন্যবাদ মুক্তা ভাইয়া। আসলেই ঠিক বলেছেন, এমন গল্প আমাদের সমাজেরই।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



এই সমাজেরই অন্ধকার একটি দিক ফুটে উঠেছে লেখাটিতে। আঁধার দূরিভুত হোক। আলোকের দেখা মিলুক সহসাই।

ধন্যবাদ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

হাবিব বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নকীব ভাই। ভালো থাকবেন।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: জমজমাট কাহিনি।
ভালো লেগেছে।
ইচ্ছে করলে কাহিনিটা আরো বড় করতে পারতেন।
একটা ধারাবাহিক গল্প লেখার মতো উপাদান আছে এই গল্পে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

হাবিব বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। তবে ধারাবাহিক লেখার মতো যোগ্যতা এখনো তৈরি হয়নি। একবার লিখেছিলাম, পড়ে দেখতে পারেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম ভাই।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালী পুরুষের চরিত্রটা অন্য জাতির তুলনায় খুবই দুর্বল।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

হাবিব বলেছেন: এরাই আবার বড় বড় কথা বলে।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ভাই, সুন্দর লিখসেন। তবে ঐ যে কইলেন, না দেইখা বিয়া দেয় কি না? অনেক দেইখা বিয়া দিয়াও যেই ফ্যাসাদে আছি, পারিবারিক কাহিনী আর কিছু কইলাম না, কিন্তু এইডা আসলে একটা লটারি। হয় ছক্কা, নাইলে ফক্কা। খারাপ লাগতেসে পোলাডার লেইজ্ঞা। এই রকম পোলাপাইন হয় খুব শাইন করে নাইলে একদম ফুস কইরা মিলাইয়া যায় হাওয়ায়। দুইডাই দেখার অভিজ্ঞতা আসে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ বিজ্ঞ বালক। এমন ফ্যাসাদে পড়লে কি যে জ্বালা। নিজ চোখে দেখছি। তারপরেও আশা ভালো থাকুক প্রিয়জনেরা। ঠিকই বলছেন, এমন পরিবারের সন্তানদের ভাগ্য এমনই হয়, খুব শাইন করে নাইলে একদম ফুস কইরা মিলাইয়া যায় হাওয়ায়

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: খুবই দু:জনক কাহিনী। পড়ে মন খারাপ হলো।
ধন্যবাদ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

হাবিব বলেছেন: এ ঘটনা আমার চোখের সামনেই ঘটতেছে। দেখছি এখনো। যে বাবার কথা বলা হয়েছে সে আসলে দুরসম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। বদের হাড্ডি ।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

করুণাধারা বলেছেন: আশায় ছিলাম শেষটায় হয়তো বাবার পরিবর্তন দেখব। হলো না! এটা কি বাস্তব? বড় দুঃখজনক!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০

হাবিব বলেছেন: জ্বি আপু, একেবারেই বাস্তব ঘটনা। একটুও বাড়িয়ে লিখিনি। এখন আরো উচ্ছৃঙ্খল ছেলেটা।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিবভাই,

কাহিনী বেশ ভালো লাগলো। তবে বেশ কিছু জায়গায় টাইপো আছে। আরো একটু সাজানো গোছানো দরকার। প্রথম মায়ের ক্ষেত্রে ছানি কাহিনীটি ঠিক যুক্তিযুক্ত মনে হলো না। চোখে ছানি আসতে গেলে মধ্যম/বরিষ্ঠ বয়সের দরকার। কিন্তু আপনার মায়ের ক্ষেত্রে যেহেতু প্রথম বিবাহ কাজেই বোঝা যাচ্ছে বয়স বেশি নয়। মোটের উপর ভালো হয়েছে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনার গোটা পরিবারবর্গকে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩

হাবিব বলেছেন:




প্রিয় পদাতিক দাদা, টাইপো ঠিক করে নিবো সময় করে। তবে ধরিয়ে দিলে বেশি ভালো হতো। কাহিনীটি ঘটছে আমার পাশের বাড়িতেই। তাদের কাহিনী দেখতে দেখতে চোখ পঁচে গেছে একেবারে।

ভালোো থাকবেন পরিবারের সাথে। ভালোবাসা রইলো।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

মুক্তা নীল বলেছেন:

খুবই দুঃখজনক ঘটনা । মন্দের মাঝে এ টুকু-ই ভালো লাগা
রইলো প্রথম স্ত্রী বর্তমানে ভালো আছেন ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

হাবিব বলেছেন: ঠিক বলেছেন মুক্তাআপু। কিন্তু সেই মা হারা ছোট্ট ছেলেকে দেখলে খুব মায়া হয়।

১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
হ্যাঁ, ছোট্র বাচ্চাটার জন্য খারাপ তো লাগছেই। নিজের মা তো
মা-ই। ছেলেটাকে এভাবে রেখে যাওয়াটা ঠিক হয় নাই মায়ের।
আপনি আরও সত্যি ঘটনা লিখুন। হাবিব স্যার ভালো থাকবেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ মুক্তা আপু। আপনি ঠিক বলেছেন। কিন্তু ছেলেটাই যেতে চান না। ওর মা নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। সময় করে লিখবো আপু। আপনিও ভালো থাকবেন।

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

আরোগ্য বলেছেন: অনেক পরিচিত মানুষের সাথে মিল খুঁজে পেলাম। যেহেতু বাস্তব কাহিনি অবলম্বনে লেখা তাই মিল খুঁজে পাওয়াটা স্বাভাবিক।

টাইপোগুলো আরেকবার রিভিশন দিলেই ধরতে পারবেন।

পদাতিক ভাইটির মন্তব্যে সহমত।

লিখতে থাকুন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

হাবিব বলেছেন: আরোগ্য, মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আবার রিভিশন দেবো একটু পর। আশা করি ভালো আছেন।

১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

আরোগ্য বলেছেন: আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আশা করি আপনি ও পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছেন।

গল্পের নাম দুটো প্রায় এক রকমের, আঁধার রাতের গল্প, যখন আঁধার নামে। আমার মনে হয় নামকরনের সময় পরবর্তীতে খেয়াল করলে ভালো হবে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

হাবিব বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আমি ও আমার পরিবার ভালো আছে। আচ্ছা ঠিক আছে, চিন্তা করবো।

১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গল্প ভাল হয়েছে। শুধু এই লাইনটা ক্লিয়ার নয়- একেকদিন একেক মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়িতে আসতো।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২১

হাবিব বলেছেন: মানে হলো সে আজকে আনতো এক মোটর সাইকেল কাল দেখা যেতো সেটা নেই, আরেকটা। আশাকরি বুঝাতে পেরেছি। গল্পের প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ লিটন ভাই।

১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাবিব স্যার,



টান টান লেখা। কাহিনীর ঘনঘটা না থাকলেও জমজমাট গল্প। নাহ... এটা গল্প নয়, বাস্তবেরই ছায়া পড়া।
আসলেই ঐ রকম লম্পট লোকেদের কপালে কি করে যে সুন্দরী সব মেয়েরা লাট খেয়ে পড়ে, বুঝিনে!

একেবারে শেষের লাইনটি, এই রকম একটা সংসারের করুন পরিনতি-ই!
ভালো লেগেছে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

হাবিব বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই, লেখার প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলেই এটা বাস্তব। একটি চলমান কাহিনী।
ওরকম সুন্দরী মেয়েরা বেশীর ভাগই কপাল পোড়া হয়।

ভালো থাকবেন সবসময়।

১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের দুঃখ কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

হাবিব বলেছেন: রাজীব ভাই, আপনি হৃদয়বান মানুষ। তাই মানুষের কষ্ট আপনাকে ব্যথিত করে। কিন্তু সহ্য না করে কি করবেন? আপনি কি তাদের কষ্ট ঘুচাতে পারবেন?

১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১০

নীলপরি বলেছেন: কাহিনীটা মর্মভেদী । ভালো লিখেছেন । ++

শুভকামনা

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৬

হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ পরি ভানু।

১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মানুষ এতো খারাপ হয় কি করে?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৭

হাবিব বলেছেন: কিছু কিছ মানুষ গল্প সিনামাকেও ছাড়িয়ে যায়। ওরা মানুষ নয়। মানুষের মুখোশ পরিহিত মাত্র।

২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সমাজের পঙ্কিলতার চিত্র এটা......

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

হাবিব বলেছেন: এদেরকে শাস্তি দেয়া দরকার।

২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৫৯

বলেছেন: সমাজের অপসৃত কিছু কঠিন সত্য চরিত্রকে গল্পে রুপদানের মুন্সিয়ানায় ভালোলাগা।।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

হাবিব বলেছেন: ভালোলাগার পরশ আমাকেও দোলা দিয়ে গেলো

২২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৫২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বাংগালী পুরুষের চরিত্রটা অন্য জাতির তুলনায় খুবই দুর্বল।


নদীর এই পাড়ের মানুষ কহে ঐ পাড়েতে সর্বসুখ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩০

হাবিব বলেছেন: অন্যজাতি দেখার সৌভাগ্য যে হয়নি আমার।

২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: কোথায় আপনি?
পোষ্টে আবার এসে দেখি মন্তব্যের উত্তর নেই??

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩২

হাবিব বলেছেন:




রাজীব ভাই, আপনার/আপনাদের মন্তব্যের জবাব দেরিতে দেয়ার জন্য দু:খিত।
একটু ব্যস্ততার কারনে উত্তর করতে পারিনি।
আবার খোঁজ নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গরীবদের মাঝেই এ সমস্যা বেশী দেখা যায়

সুন্দর হয়েছে গল্প

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

হাবিব বলেছেন: অনেকটাই ঠিক বলেছেন আপু, কথায় আছে অভাবে স্বভাব নষ্ট। অভাবের সাথে যখন শিক্ষাবিহীন হয় সে তো সোনায় সোহাগা.......... গল্পের প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আরেকটু সময় নিয়ে লিখলে ভুলগুলো শুধরাতে পারতেন।

সবমিলেয়ে খাপার নয়। চিরায়ত গ্রাম বাংলার ছবি উঠে এসেছে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

হাবিব বলেছেন: একদমই ঠিক বলেছেন মাইদুল ভাই। একেবারে যে খারাপ নয় এটাই রক্ষা পাওয়া গেলো। সত্য ঘটনা নিজের মতো করে লেখেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

নজসু বলেছেন:



কষ্টকর।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

হাবিব বলেছেন: ভাই, আপনি কোন দেশে আছেন?

২৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

জাতির বোঝা বলেছেন:
বাংলাদেশের সম্ভবত বেশীর ভাগ মানুষের মাঝেই খারাপ গুণের আধিক্য রয়েছে। সময় আর সুযোগ বুঝে উহা মাথা চাড়া দিয়ে উঠে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

হাবিব বলেছেন: আপনার মন্তব্য অনেকের সাথেই মিলে যায়/যাচ্ছে/যাবে..........

২৮| ১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আলহামদুলিল্লাহ। খুবই ভালো আছি। আপনার খবর কি? পাসপোর্ট সংক্রান্ত আপডেট টা একটু জানাবেন। শুনলাম দেশে পাসপোর্ট এর ক্রাইসিস চলছে। এ সময় পাসপোর্ট পাওয়ার খুবই ভাগ্যের একটি ব্যাপার।

১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

হাবিব বলেছেন: ওয়ালাইকুমুসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু........... আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি। আমার পাসপোর্টের কোন অগ্রগতি নেই। টাঙ্গাইল গিয়েছিলাম হেড অফিসে যেতে বলেছিলো......... হেড অফিসে গেলাম টাঙ্গাইল যেতে বললো........ কই যাবো এখন বুঝতেছি না.............

২৯| ১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

নজসু বলেছেন:



প্রিয় হাবিব ভাই।
সকালে আপনার কথাই ভাবছিলাম।
ব্লগে আসছেন কিনা জানতাম না।

আজকে তো আমি ভিপিএন ছাড়াই ব্লগে এলাম।


১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

হাবিব বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই, আমার কথা যে ভেবেছেন এটাই আমার জন্য বড় সৌভাগ্যের বিষয়............ আপনি ভিপিএন ছাড়া ব্লগে আসতে পেরেছেন যেনে অনেক আনন্দিত হলাম। আমি এখনো ভিপিএন দিয়েই ব্লগে আসছি.......... আশাকরি ভালো আছেন।

৩০| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,

অনেকদিন আপনাকে ব্লগে দেখছি না । অনেকদিন পর আজ আপনাকে ব্লগে দেখলাম। আশা করি ব্যস্ততার অবসান ঘটেছে। ওদিকে আপনার বিদেশে যাওয়ার কতদূর এগুলো?

আপনি ও আপনার গোটা পরিবারের উদ্দেশ্যে রইল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

হাবিব বলেছেন:




প্রিয় দাদা, এখনো ব্যস্ততার অবসান ঘটেনি......... তবে মাঝে মাঝে ব্লগে ঢু মারার ইচ্ছা আছে। আশা করি আপনি আপনার পরিবারের সাথে কুশলেই আছেন। এখনো পাসপোর্ট পাইনি।জানি না কবে পাবো...... :|

দেড়িতে উত্তর দেয়ার জন্য দু:খিত

৩১| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার পাসপোর্ট সমস্যার কি সমাধান হল?
দয়া করে জানাবেন।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬

হাবিব বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, এখনো আগের মতই অবস্থা । কোন উন্নতি হয়নি ........... খোঁজ নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন

৩২| ২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বহুদিন পরে এলেন !

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬

হাবিব বলেছেন: জ্বি ভাই সাহেব। আসলে হয়েছে কি পরীক্ষার ব্যস্ততায় পড়াশুনায় করতে পারছি না। আপনি ভালো আছেন আশা করি।

৩৩| ২৬ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার পাসপোর্ট এর ব্যাপারে একটা আপডেট দিন।

৩১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩০

হাবিব বলেছেন: পাসপোর্টের কোন খবর নাই। হেড অফিসে গেলাম, সেখান বালিশ টাইপের দুই মহিলা বসা আছে। তারা বললো লোকাল অফিসে যান। কি যে মুশকিল রে ভাই,............. বড় মুসিবতে আছি

৩৪| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি এসেছিলাম আপনার পাসপোর্ট এর লেটেস্ট খবর পেতে। জয় হোক অবস্থা উন্নতির না হওয়ার জন্য যারপরনাই ব্যথিত। আশা করি যেন শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিস হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারকে।

৩১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩৩

হাবিব বলেছেন: ডাক্তার যখন রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখেন তখন যেমন শুধু উপরওয়ালাকে ডাকতে বলেন আমার এখন তেমন অবস্থা রে ভাই.......... সময় করে খোঁজ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা। আশাকরি পরিবার নিয়ে সুখেই আছেন।

৩৫| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পাসপোর্ট এর কি হলো জানাবেন। দরবেশ বাবা কি ধরতে পেরেছেন?

৩১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩৫

হাবিব বলেছেন: বিরোধী দলের নেতাদের মতো বলতে হয়, "ঈদের পরে সমাধান হবে"। আমার এখন তেমন অবস্থা। মানে কোন আপডেট নাই। পুরাই সাগরে আছি। মনে হচ্ছে জীনের বাদশাহ ডাকা লাগবে

৩৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মায়ের চোখে সেদিন ছিল নির্বাক চাহনি - গল্প পড়া শুরু করার পর থেকেই মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছিল, কিন্তু এ জায়গাটায় এসে না থেমে পারলাম না। বুকটা হু হু করে উঠলো।
শুধু সমবয়সীদের সাথে খেলা আর সময়মত খাবার পেলেই খুশী থাকতাম সে সময় - এ কথাটিও মন ভারাক্রান্ত করে দেয়। মানুষের জীবনটা কত বৈচিত্রে ভরপুর!
প্রথম প্রতিমন্তব্যে "তবে এটা একটা বাস্তব গল্প। আমার চোখে দেখা। সেই জীবন চলছে, চলবে" জেনে মনটা আরো বেশী খারাপ হয়ে গেল!
বাংগালী পুরুষের চরিত্রটা অন্য জাতির তুলনায় খুবই দুর্বল - বাস্তব জীবনের এ গল্পটা পড়ে চাঁদগাজী এর এ পর্যবেক্ষণকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
আরো অনেকের মত আমারও জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, আপনার পাসপোর্ট সমস্যাটির কি কোন সমাধান হলো?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

হাবিব বলেছেন: আমার বর্ণনার চাইতেও করুণ ঘটনা এটা। অবশেষে সেই দম্পতি এখন আলাদা। সেই লোকটা বিয়ের জন্য আবারো পাত্রী দেখছে। মজার বিষয় হলো প্রত্যেকবার সে আগের বারের চাইতে সুন্দরী বউ পায়। কিন্তু কপাল পুড়ে সন্তানদের। এমন বাঙ্গালীর চরিত্র কি কোনদনি পাল্টাবে? পাসপোর্ট সমস্যার কোন সুরাহা করতে পারলাম না। কি যে করি বুঝতেছি না!!!!!

৩৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর এ গল্পে পঞ্চদশতম প্লাস দিয়ে গেলাম। + +

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

হাবিব বলেছেন: আপনার মূল্যায়ন আর মন্তব্য আমাকে অনেক আনন্দিত করলো। দীর্ঘজীবী হোন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.