নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারনে সৌদি আরবে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে আমার মনে হয়

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫



বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশ আসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকে। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আহরণ করে সৌদিআরব থেকে। সৌদিআরবে পাঠানো শ্রমিকদের বড় একটা অংশ নারী। প্রতিদিন শতশত নারী গৃহকর্মী হিসেবে সে দেশে যাচ্ছে। তার বিপরীতে সৌদিআরব থেকে অনেক নারী লাশ হয়ে আসছে। তারপরও সে দেশে নারীদের গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানো বন্ধ নেই। অনেক নারী ফিরে এসে তাদের উপর নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিচ্ছে। কেন এমন হচ্ছে? এর কি কোনই সমাধান নেই?

প্রথমেই আসা যাক কেন নারীরা লাশ হয়ে আসছে বা তাদের উপর কেন নির্যাতন চালানো হচ্ছে সে বিষয়ে!

এর কারণ হিসেবে আমার যা মনে হয়:

১) যারা নারীদেরকে গৃহকর্মী হিসেবে নিচ্ছে তারা আসলে একেবারে কিনে নিচ্ছে। সে দেশে লোক পাঠানেরা জন্য যে সকল এজেন্টরা দায়িত্ব নিয়েছে তারা হয়তো কথিত গৃহকর্মী হিসেবে আসলে দাসী সাপ্লাই দেবার দায়িত্ব নিয়েছে। ঐ সমস্ত এজেন্টরা, যে সকল নারী বিদেশে যাবার জন্য আসছে তাদের থেকেও টাকা নিচ্ছে আবার সৌদি আরব থেকেও মোটা অংকের টাকা পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে টাকার বিনিময়ে কিনে নেয়া দাসীদের সাথে যাচ্ছে তাই ব্যবহার করা হচ্ছে।

২) গৃহকর্মী হিসেবে যাওয়া ঐ সমস্ত নারীদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে বাবা-ছেলে উভয়েই। যে সমস্ত নারীরা রাজী হচ্ছে তারা বেশ ভালোই আছে। কিন্তু যারা রাজী হচ্ছে না তাদের উপরই নেমে আসছে মহা অত্যাচার।

৩) যারা গৃহকর্মী হিসেবে (আসলে দাসী) নারীদেরকে ব্যবহার করছে ঐ সমস্ত সৌদিয়ানরা হয়তো কোরআন-হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এটাকে হালাল করে নিচ্ছে। কারণ দাস-দাসী প্রথা ইসলাম রহিত করেনি এই ফতোয়ায়।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, সৌদি আরবে ইসলামের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেও সে দেশে যেমন আবুবকর-ওমর (রা.) এর মতো সাহাবী ছিলেন তেমন আবু জেহেলের মতো বদ লোকও ছিলো।

এর থেকে উত্তরণের উপায় কি?

১) উপায় হিসেবে একটা কথা বলা যেতে পারে তা হচ্ছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে শ্রমিক পাঠানো।
২) নামে-বেনামে এজেন্টদের মাধ্যমে বিদেশে না যাওয়া।
৩) সরকারের হস্তক্ষেপ এবং দ্রুতাবাসগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকা।

সৌদিআরব থেকে কতজন নারীর লাশ এসেছে, কতজন নির্যাতিত হয়ে ফিরে এসেছে সে হিসাব সবার কাছে আছে। কিন্তু গত দুইদিনে একজন নারীকে উদ্ধার করে যে পরিমান প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা দেখে নিজেরই লজ্জা হচ্ছে। এক ফেলানিকে যখন মেরে কাঁটাতারে ঝুলানো হলো দেশজুড়ে তোলপার শুরু হলো। সীমান্তে দু-একজন মানুষকে হত্যা করা হলে আমরা ভারতকে গালি-গালাজ করে একবোরে ধুঁইয়ে দেই। এটা বলছি না যে, ভারত যে সীমান্তে মানুষ মারছে সেটা ঠিক কিন্তু সৌদিআরবে যা হচ্ছে তা দেখে মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো লোকগুলি কোথায় এখন? এক ফেলানীর জন্য ফেসবুক ইউটিউব গরম হলে হাজারো নারী গৃহকর্মী যারা সৌদিআরব থেকে লাশ হয়ে আসছে তাদের জন্য মুখে কুলুপ কেন? রেমিটেন্স বন্ধ হওয়ার ভয়ে? মুসলিম রাষ্ট্র বলে? তারা আমাদের কেমন বন্ধু এখনও টের পায়নি মনে হয় আমরা!

একটা কাজ করলে কেমন হয়? নারীদেরকে আর গৃহকর্মী হিসেবে আমরা পাঠাবো না। তাতে করে কি হবে! কিছু রেমিটেন্স হয়তো হারাবো, হয়তো পেঁয়াজের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা হবে, হয়তো গ্যাসের দাম ১৫০০ হবে, হয়তো বিদ্যুতের দাম আরো ৫ টাকা প্রতি ইউনিটে বেড়ে যাবে কিন্তু তরুণ-তাজা মা বোনদের লাশ, চিৎকার-হাহাকার আর সইতে পারছি না। ১৯৭১ সালে মা-বোনদের ইজ্জত খেয়েছে পাকসেনারা যুদ্ধের ময়দানে। আর ২০১৯ সালে এসে খাচ্ছে আরো একটি মুসলমান দেশ। পার্থক্য কোথায়? একদেশ খেয়েছে বাড়িবাড়ি গিয়ে আরেক দেশ খাচ্ছে নিজেদের দেশে দাওয়াত করে নিয়ে গিয়ে।

আপনারা আপনাদের মতামত জানাতে পারেন। আমি ভুল কিছু বললে শোধরে দেবার অনুরোধ রইলো।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এসেছিলাম মাদ্রাসা জীবনের পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট করতে। কিন্তু এসে দেখলাম টাটকা পোস্ট। তবে পোস্টটি পড়ে মনটা ভিজে গেল। শুধুমাত্র দুমুঠো ভাতের জন্য কত নারী এভাবে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। পোস্টে লাইক কিন্তু স্যাড বাটনে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

হাবিব বলেছেন: আপনার পূর্ণাঙ্গ মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। বর্তমানের এই অবস্থা হতো না কর্তাব্যক্তিরা সাবধান হলে। জানিনা কবে হুশ হবে আমাদের

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: রাস্ট্রের দায়িত্বশীল গুষ্ঠি দায়িত্ব পালন না করলে বা দায়িত্বে অবহেলা করলে এমন সমস্যার সমাধান হবে না। আমার তো মনে হয়, দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দালালদের সুযোগ করে দিচ্ছে।
সরকার এইসব দুর্নীতিবাজ আমলাকামলাদের বিরুদ্ধে একশন না নিলে এসব থামানো যাবেনা।

দরিদ্র মানুষজন দালালদের খপ্পরে পড়ে দাসী হিসেব বিক্রি হবেই!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

হাবিব বলেছেন: সরকার চাইলে সবই পারে। আশাকরি দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন। কিন্তু বেশি দেরি হয়ে গেলে বহু সন্তান জন্মনিবে পিতৃ পরিচয়হীন

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হাবিব বলেছেন: আপনার মতামত প্রদান ও আমার সাথে একাত্মতার জন্য ধন্যবাদ

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাবিব স্যার,





উপায় বা সমাধান একটাই - ঐ সব আদম ব্যাপারীদের ধরে ধরে গুলি করে মারা।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

হাবিব বলেছেন: সেটা না হয় করা গেল কিন্তু যারা গেছেন সে দেশে তাদের কি অবস্থা হবে? যারা সর্বশান্ত হয়ে ফিরে আসছে তারাই বা কোন অবস্থায় আছে? সে খবর কি কেউ রাখছেন?

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সৌদিতে যে সব নারীরা যাচ্ছে, তারা লোভের শিকার। তারা নিজেরা যাওয়া বন্ধ না করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। সরকারের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে কোন লাভ হবে না।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

হাবিব বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমি অনেকটাই একমত। তবে নারীদেরকে লোভ দেখানো বন্ধ করতে হবে। মানে শেয়ালের ভূমিকায় যারা আছে তাদেরকে থামাতে হবে। যে সমস্ত নারীরা মোবাইলে লটারী পাবার খবরে ৫০,০০০ টাকা দিয়ে দিতে পারে তাদেরকে ঠেকাবেন কিভাবে?

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমরা না শিঙ্গাপুর ইউরোপ আমেরিকাকে টেক্কা দিচ্ছি , আমাদের যৌনদাসী বেচে ফরেন কারেন্সি আনতে হচ্ছে কেন? X((

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪০

হাবিব বলেছেন: গোরায় গলদ ভাই, মহা গলদ

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১২

নতুন বলেছেন: দেশের মানুষের মাঝে দানবের সংখ্যা কি দিন দিন বেড়েই চলছে?

সরকারকে কঠর হতে হবে। নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে । এই নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে ভালো উদ্দোগ.

সৌদি আরবের মানুষ এখনো সভ্য হতে পারেনাই। তারা নারীদের মানুষ মনে করেনা।

আজই দেখলাম দুবাইয়ের একজন স্হানীয় ছেলে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে নারী ধষ`ন করেছে তার সাজা ৬ মাসের কারাদন্ড।

সৌদির অবস্তা আরো খারাপ, সেখানে আমাদের নারীরা নিযাতিত হলে পুলিশে গিয়ে অভিযোগ করতেও পারেনা।

কিছু আদম ব্যপারীরা টাকার জন্য দাসী বানিয়ে বিক্রি করছে নারীদের।

সরকারী অফিসারদের এই ব্যাপারে মাথাব্যাথা নাই। মাস গেলে বেতন আর ঘুষ পাইলেই তো হইলো। ঝামেলা করতে যাবে কে?

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২

হাবিব বলেছেন: আমলারা সবাই নিজের বুঝ বুঝে নিচ্ছে। কে কোন অবস্থায় আছে তার চিন্তা কেউ করেনা।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯

সোহানী বলেছেন: হাবিব স্যার, সৈাদীতে নারীদের এ আর্তনাদ এখন নয়, বরাবরেই চলে আসছে। আলজাজিরা সহ অনেক মাধ্যমেই অসংখ্য রিপোর্ট হয়েছে। কিন্তু তাতে কিছু্ই হয়নি অসভ্য সৈাদিদের। আসলে ওরা একটা অসভ্য, বর্বর, হিংস্র, অশিক্ষিত, ফুর্তিবাজী ছাড়া কিছুই বুঝে না। ধর্মের নামে এতোটা অধর্ম আর কেউ করে কিনা জানা নেই। আসলে ধর্মের কিছু ভুল ব্যাখ্যা আর পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব এদেরকে এতোটা উগ্র করে রেখেছে।

তবে একটি পয়েন্টে দ্বিমত পোষন করছি, "যারা রাজি হচ্ছে তারা ভালো আছে।" .... না ঠিক নয়। সবাই ই খারাপ আছে। কারন সেখানে যারা যাচ্ছে তারা গরীব হতে পারে কিন্তু পতিতা নয় যে বেশ্যাবৃত্তিতে সুখী থাকবে।

আর দেশের অযোগ্য কুলাঙ্গার ক্ষমতাসীন আমলাদের কথা কি বলবো..... এ শ্রমিকদের রক্তের উপর ওরা ফুর্তি করে। সরকার চাইলেই নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে পারে কিন্তু এতো এতো কিছুর পরও চুপ করে আছে।

আমার একটাই দাবী অসভ্য সৈাদীতে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে।
নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে।
[নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে।
নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

হাবিব বলেছেন: যারা রাজি হচ্ছে তারা ভালো আছে বলতে বুঝাতে চেয়েছি তাদের উপর নির্যাতন হচ্ছে না। হলেও কম, হয়তো সহ্য করার মতো। ঋণের কথা চিন্তা করে তারা দেশে আসার সাহস পাচ্ছে না।

আপনার সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই, নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবাই বলছে
নারীশ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে।
সরকার লোভি বলছে সবাই
দালালদের বিচার চাইছে

কিন্তু সৌদিদের বিচার কেউ চাচ্ছে না। গূনাহ হবে?

কেউই বলছে না ধর্ষণের হত্যার বিচার চাই।
একটা লাশেরও রি পোস্টমর্টেম করা হলো না। কেন?
একজন কামাল কি নেই যে আদালতে এরপর সৌদি আদালতে হত্যা মামলা ক্ষতিপুরন মামলা দায়ের করে বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচিত করতে।
যে বাসায় কাজে ছিল সেই বাসার কর্তাকে তলব করা হলেই তো খবর হয়ে যাওয়ার কথা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫২

হাবিব বলেছেন: সৌদিয়ানদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে লোভী দালালদের শাস্তি দিতে হবে।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৪

মা.হাসান বলেছেন: হাবিব স্যার, এই দুঃখী মানুষগুলোর জন্য আপনি যে মমতা দেখালেন, যদি আইন প্রণয়নকারীরা বা ক্ষমতাবানরা এর সিকি ভাগও দেখাতো, তাহলে আমাদেরকে এই দুঃখের ঘটনা গুলো দেখতে হতো না। অত্যন্ত দুঃখের কথা এই যে এই নির্যাতন বন্ধ হবে না । এটা একটা বড় ব্যবসা। দালালরা দুই পক্ষ থেকে টাকা খায় । সৌদিরা বলে গৃহকর্মীর জন্য তারা বেতন দেবে ১৫০০ রিয়াল, দালাল বলে ১৫০০ রিয়াল দেওয়া লাগবে না ৫০০ রিয়াল হলেই হবে, আমাকে লোক প্রতি ৩০০ রিয়াল দিও। অল্প শিক্ষিত লোকদের ভুল বুঝিয়ে, এক কাজের কথা বলে আরেক কাজে পাঠিয়ে দালালরা টাকা কামিয়ে যাচ্ছে। মানুষ মরলে ঐ জায়গায় নতুন লোক যাবে, দালালের লস কোথায়?

প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয়ের আমলারা নিজেদের সুবিধার বিনিময়ে এসব কোরাপ্ট ম্যানপাওয়ার এজেন্সিকে লাইসেন্স দেয় এবং চোখ বুঝে এদের অপকর্মে সায় দেয়।

এই সমস্ত শ্রমিক/ গৃহকর্মীদের সমস্যা আছে কি না দেখভাল করার দায়িত্ব ছিল সৌদিতে বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের; কিন্তু দুতাবাসের লোকদের যা আচরণ তা মধ্যযুগীয় জমিদারদের আচরণকে হার মানায়। সৌদি আরবে শুধু মহিলা না, পুরুষরাও নির্যাতনের শিকার। যারা সৌদিতে কাজ করছে এরকম দু-একজনের সঙ্গে কথা বললে বুঝতে পারবেন। এই সৌদিতেই ভারতের লক্ষ লক্ষ লোক কাজ করে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের চেয়ে বেশি বেতনে এবং বেশি মর্যাদায়, কারণ তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শক্তিশালী। আমাদের দুর্ভাগ্য, ক্ষমতাবানদের লক্ষ্য হালুয়া-রুটি , এই দুর্দশা বন্ধ হবে না । কে করবে? কেন করবে? আমার পরিচিত কেউ মধ্যপ্রাচ্যে কামলা খাটার কথা বললে আমি নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করি। বাকি তাদের মর্জি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

হাবিব বলেছেন: ভাইজান, আমি আপনি মায়া দেখিয়ে আর কি লাভ বলুন? যাদের একটু পদক্ষেপ সমস্যার সমাধান হতে পারে তারাই তো নির্বিকার। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় কি করছে? দ্রুতাবাস কি করছে? তাদের কি কোনই দায়িত্ব নেই?

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: যেটা বলতে এসেছিলাম সেটা হাসান ভাই বলে দিয়েছেন। সরকার ইচ্ছে করলে একদিনে এইসব বন্ধ করতে পারে। কিন্তু করবে না। লুটপাটের টাকা পয়সা আসবে কোথা থেকে বলুন?

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

হাবিব বলেছেন: একদিনের সব কিছুর হিসাব দিতে হবে কড়ায়গন্ডায়। সেই দিনের অপেক্ষায়........

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন "কেউ সৌদিদের বিচার চাইছে না " - খুবই ন্যায্য কথা ।

সৌদিদের বিচার চাওয়ার মতো হেডম বাংলাদেশের কোনো নেতা ও আমলাদের আছে বলে মনে হয় না | গোটা বাংলাদেশের নেতা/আমলা ও ব্যবসায়ীদের প্যারাসাইট শ্রেণীর রুটি রুজির উৎসই হচ্ছে দুই শ্রেণীর দাস-দাসীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অর্থ - দেশে গার্মেন্টস দাসদাসীদের শ্রম আর প্রবাসে হতভাগ্য দাসদাসীদের রেমিটেন্সের পাঠানো অর্থ |

কোনো প্যারাসাইট গোষ্ঠীই এই দুইটি প্রধান উৎস থেকে অর্থ প্রবাহ বন্ধ করার মতো ঝুঁকি কোন অবস্থাতেই নিবে না |

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৩

হাবিব বলেছেন: নিরীহ লোকদের পুঁজি করেই তারা বেঁচে আছে। নব্য দাস প্রথা পৃথিবীতে। নব্য উপনিবেশবাদের কবলে আমরা

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৭

বলেছেন: হাবিব স্যার,
এটা কোন কথা হলো???

শ্রমিক আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে??

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৬

হাবিব বলেছেন: আন্দোলন করে আর কি হবে? কয়েকটা লাশ ছাড়া আর কিছুই জুটবে না

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২০

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনার ৩ নম্বর কারনের ব্যাখ্যায় বলবো যে ইসলামে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ ঘোষনা করে গেছেন আমাদের নবীজি বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে। সুতরং দাসপ্রথা ও তাদের সাথে যৌনসম্পর্ক স্হাপন করা যে ইসলাম অনুমোদন দেয় এই তথ্যটি সম্পূর্ন ভূল। হ্যা, ইসলামে সবকিছু একবারেই চূড়ান্ত করে দেয়নি বরং ধাপে ধাপে করা হয়েছে বিধায় অনেকে অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। মদ চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটি এক্ষেত্রে উদাহরন হিসাবে বলা যেতে পারে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৫

হাবিব বলেছেন: তবুও কিছু স্বার্থান্বেশী লোকজন (নামদারী মুসলমান) ইসলামকে কাজে লাগিয়ে এসব করছে। তাদেরকে কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না???

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আসল কারন সৌদিরা আজও বর্বর। ওদের টাকা আছে কিন্তু মানবিকতা নেই।
আজ দুবাই এত উন্নত কারন তারা আধুনিক হতে পেরেছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৬

হাবিব বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এখনো অনেকেই জাহেলী যুগের অভ্যাস থেকে বের হতে পারেনি

১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১

কিরমানী লিটন বলেছেন: কোথাও কেউ নে, বলার- শুনার ! লুটেরারা আকন্ঠ লুটপাটে নিমজ্জিত। হতভাগা মানুষদের জন্য এদের কোন দায় নেই।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৭

হাবিব বলেছেন: মানুষ মানুষকে পন্য করে, মানুষ মানুষকে জীবিকা করে......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.