নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী বইমেলা-২০১৯খ্রি:-দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর উপায় কী?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯



এতটা অপমান মেনে নেওয়া সত্যিই কঠিন। ইসলামি সাহিত্য নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য দেখে আকাশে দিকে তাকিয়ে ভাবি—অনেক দূরের পথ বাকি। এর কারণ কি? নিম্ন মানের ইসলামী সাহিত্য নাকি নিম্ন মানসিকতা?

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ইসলামি বইমেলা শুরু হয়েছে গত রবিবার। আয়োজক ইসলামিক ফাউন্ডেশন, উপলক্ষ্য সিরাতুন্নবি। মাসব্যাপী বইমেলা। একটা বিজ্ঞাপন কোথাও দেখেছেন? প্রচারণার ন্যূনতম কোনো আলামত আছে? বুঝি না, কেন এই বইমেলার আয়োজন করা হয়? আয়োজক কর্তৃপক্ষ সম্ভবত চান না এই মেলায় কোনো পাঠক আসুক। ঠ্যাকায় পড়ে অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নিজ গরজে যতটুকু ক্যাম্পেইন করে, স্রেফ এতটুকুই।

এই মেলায় অংশগ্রহণ করা নিতান্তই লস প্রজেক্ট। খরচের টাকাও উঠে আসে না। তবুও আমরা যাই। কারণ, লড়াইটা থামিয়ে দিলে তো সব শেষ। প্রতিকূলতা নিয়েই ইসলামি বই ছড়িয়ে দেওয়ার সংগ্রাম জারি রাখতে চাই। বাংলা একাডেমির বইমেলায় ইসলামি প্রকাশনীগুলো স্টল বরাদ্দ পাবে না। এটা অঘোষিত নিয়ম, আর দৃশ্যমান ঐতিহ্য।

সম্মানিত ঢাকাবাসী,
চিৎকার করে বলছি—বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে 'ইসলামি বইমেলা' হচ্ছে। কেউ তার প্রচারণা করবে না। না মিডিয়া, না আয়োজক। যদি সুযোগ থাকে পরিবার, বন্ধু-বান্ধবসহ মেলায় আসুন। আশা করা যায় আপনারা নিরাশ হবেন না। পূর্বের সেই চিরচেনা নিম্ন মানের কাগজে ছাপানো বইয়ের বদলে আপনারা পাবেন উন্নত কিছু বই। যার সাহিত্যমানও উন্নত। সিয়ান পাবলিকেশন্স, গার্ডিয়ান, সমকালিন প্রকাশন সহ আরো কিছু প্রকাশনির বই আপনার মনের খোরাক মিটাবে।

সুযোগ থাকলে এই মেলার ক্যাম্পেইন করুন। কোন পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন তো প্রচার করলোই না, সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সর্বশেষ এবং একমাত্র মাধ্যম। আপনাদের দাওয়াত দিলাম। বই কেনার দরকার নাই, বইমেলায় এসে প্রকাশকদের পিঠে হাত বুলিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। আমরা হতাশ নই, চ্যালেঞ্জ নিয়েই তো জীবন!

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: যাওয়ার ইচ্ছা আছে। কবে পর্যন্ত সময় আছে

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬

হাবিব বলেছেন: বিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) ১৪৪১ হিজরি উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে চলছে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা।
গেলো ৯ নভেম্বর শনিবার বিকালে (বাদ আসর) ধর্মসচিব মোঃ আনিছুর রহমান বইমেলার উদ্বোধন করেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মেলা চলবে ।
এবারের মেলায় ৬১ টি স্টল অংশগ্রহণ করছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০.০০ টা রাত ৮.০০টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) উপলক্ষে প্রতি বছরই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা বিভাগ এ মেলার আয়োজন করে থাকে।
মেলায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ, তাফসীর, হাদিস গ্রন্থসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মৌলিক ও গবেষণামূলক গ্রন্থ স্থান পেয়েছে। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলে আকর্ষণীয় কমিশনে পবিত্র কুরআনের অনুবাদ, তাফসীর, হাদিসসহ বিভিন্ন গবেষণামূলক গ্রন্থ বিক্রয় করা হচ্ছে।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: প্রচারণা না চালালে পাঠক জানবে কি করে?
মেলা কতদিন থাকবে? মাসব্যাপী না সপ্তাহব্যাপী?
ধন্যবাদ বিষয়টি জানানোর জন্য।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

হাবিব বলেছেন: প্রচারণা যতটুকু হচ্ছে সেটা প্রকাশকদের পক্ষ থেকে। আয়োজক কমিটি কোন প্রচারণা চালাচ্ছেন না। মেলা শুরু হয়েছে ০৯ তারিখ থেকে। চলবে একমাস।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ইসলামি বইমেলা, আলাদাভাবে করা হচ্ছে হয়তো ইসলামধর্মের মানুষদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে। এই মেলায় ইসলামি প্রকাশনাগুলোর স্টল না পাওয়াটা দুঃখজনক।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

হাবিব বলেছেন: বাংলা একাডেমির বইমেলাতে ইসলামী প্রকাশনার স্টল দুই একটা। ইসলামী বইমেলা আলাদা করে করা হলেও প্রচারণা নেই।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, কি কি বই কিনলেন জানাবেন কিন্তু

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইনশাআল্লাহ

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

হাবিব বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দিন

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: হকারদরে নিকট থেকে স্টলের যায়গা নেয়া লাগে X((

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

হাবিব বলেছেন: পাতি নেতার তো আর অভাব নেই ভাই

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: ইসলামি ফাউন্ডেশনের স্টলে শেষ বার যেয়ে দেখি বিভিন্ন নেতার জীবনী ছাপানো আছে, এটাই এখন নতুন ধর্ম। এর পর আর ওখানে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেৈ। একই কথা শিশু একাডেমির বিষয়ে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

হাবিব বলেছেন: ইসলামী ফাউন্ডেশনের স্টলে ও ছাড়া কিছু পাবেন না। সিয়ান, গার্ডিয়ান, সমকালীন প্রকাশনের স্টলে যাবার আমন্ত্রণ রইলো। ভালো কিছু পাবেন

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রচারণা যদি না চালায় তবে মানুষ জানবে কিভাবে, ইসলামিক গাফিলতি ছাড়া আর কিছু নয়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯

হাবিব বলেছেন: ইসলামিক ফাউন্ডেশন দায়সারা কাজ করছে। মিডিয়াও কোন সংবাদ পরিবেশন করছে না।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলি-
মানুষ আজকাল বই ই পড়ে না।
ইসলামী বই আরো কম পড়ে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

হাবিব বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন। তবে যারা আগে পড়তো এখনো তারাই পড়ে

১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ইসলামী বই মেলায় যাবেন,রাস্তায় আপনি পুলিশ বা ডিবি দ্বারা প্রচুর জিহাদি বইয়ের সাথে ধরা পড়তে পারেন এবং তারা আপনাকে শিবির এবং সন্ত্রাসী হিসাবে ঘোষণা করতে পারে ।

সুতরাং, এখন ইসলামী বই মেলায় যাবার আগে প্রত্যেকে দু'বার ভাবে ।একসময়, বায়তুল মোকারম গেটে সারা বছর প্রচুর ইসলামিক বই পাওয়া যেত । সে সব এখন ইতিহাস ।

সমস্ত মানুষ এখন তাদের সুরক্ষার জন্য ইসলামী বই এড়িয়ে চলে । কারণ, এই ফলে কমপক্ষে তারা তাদের পৈএিক জীবনটা রক্ষা করতে পারে এবং জংগীবাদের অপবাদ থেকে মুক্ত থাকতে পারে ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

হাবিব বলেছেন: আপনি একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। এখনতো কুরআন হাদীসও জিহাদী বই।

১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইসলামি বই মেলা!! এই জিনিষও দেখার বাকি ছিল

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

হাবিব বলেছেন: কেন ভাই?

১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

আরোগ্য বলেছেন: পোস্ট ও মন্তব্য দুই ই পড়লাম৷ বেশ কিছু মন্তব্য পড়ে আঘাত পেলাম।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

হাবিব বলেছেন: আঘাত পেলে নিজেকে সামলে নিন। নইলে আবার ঝামেলা আছে

১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

বলেছেন: অথচ আরবী, মাদ্রাসা এগুলোই হলো চিন্তা ও শিক্ষার বাতিঘর।।।


অসহায় হয়ে চেয়ে রই।।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

হাবিব বলেছেন: কি আর করা বলুন...... ইসলামী সাহিত্য মানেই তো আবার জিহাদী বই

১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: 'ইসলামী বই'- নামটার প্রতি একটি অবজেকশন আছে। আমার মনে হয় না, জাতীয় বইমেলায় যেসব বই প্রকাশিত হয়, সেগুলো অইসলামী। আলাদা করে ইসলামী বইমেলা আয়োজনের যৌক্তিকতা আমি খুঁজে পাই না। দু'টিকে এক করে সমন্বিত ভাবে বইমেলা আয়োজন করা প্রয়োজন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

হাবিব বলেছেন: আপনার মতো আমারো অবজেকশন আছে। কিন্তু বাংলা একাডেমি সেটা হতে দিলে আলাদা করে বই মেলা করার কোন ধরকার ছিলো না।

১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আপনার মতো আমারো অবজেকশন আছে। কিন্তু বাংলা একাডেমি সেটা হতে দিলে আলাদা করে বই মেলা করার কোন ধরকার ছিলো না।

বাংলা একাডেমী বাধা দিচ্ছে, এই খবরটা আমার জানা ছিলো না। :| B:-)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭

হাবিব বলেছেন: আমাদের বোধোদয় হোক। সত্য সবাই জানতে পারবে একদিন

১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

ওমেরা বলেছেন: ইসলাম প্রিয় মানুষেরা কই সব?

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

হাবিব বলেছেন: সমস্যা হলো দুই একজন যারা ইসলামী সাহিত্য পাঠ করেন, তারাও এর প্রচারণা করেন না।

১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উদ্যোগ ভালো, আহ্বান আরো ভালো।
আমাদের এখানে নামাজ শিক্ষা ও মাসালা শিক্ষার কিছু বই আছে মল্লিক ব্রাদার্সের। যাদের বাংলা ভাষা একেবারে পাতে দেওয়ার মতো না। তবুও কাজ চালিয়ে নিতে হয়।
তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত,ইসলামিক বইমেলার আয়োজন করে বাংলা ভাষা সাহিত্যে বইমেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করাটা বোধহয় দূরদর্শিতার পরিচয় নয়। আবেগ নিশ্চয়ই থাকবে কিন্তু বাণিজ্যিক স্বার্থ কতটা পরিপূর্ণ হবে সে বিষয়ে সংশয় আছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪০

হাবিব বলেছেন: যথাযথ স্টল বরাদ্দ না পেলে কি আর করার থাকে। ধর্ম মন্ত্রণালয় চাইলেই এর মামধান দিতে পারেন।

১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৬

নুরহোসেন নুর বলেছেন: দুর্ভাগ্য আমাদের, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের দেশে ইসলামী বইমেলার প্রচারনী নেই; এটা হতাশাজনক।
আয়োজক অথিরিটি সম্ভবত বিশেষ মহলকে খুশি করতে প্রচার বন্ধ রেখেছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪২

হাবিব বলেছেন: প্রকাশক আয়োজক উভয়েরই গাফেলতি।

১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৭

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আশ্চর্য! এমন বইমেলা হয় জানতামই না! আর আলাদা করে করার কি দরকার, ২১শে বইমেলার সাথে মিলে করছে না কেন?
হকারদের কাছ স্টল নিতে হয় জেনে খারাপ লাগলো।
ডিসেম্বরে অবশ্যই যাবো, আপরনার সাথে দেখা করবো।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

হাবিব বলেছেন: মেলায় আসলে ঠকবেন না আশা করি। নিম্নমানের বই না কিনে ভালো বই কিনবেন।

২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

মা.হাসান বলেছেন:



বই মেলায় স্টল বরাদ্দের জন্য বাংলা একাডেমির নীতিমালার অংশ বিশেষ



ইসলামি বই এর বাজারের অধিকাংশ বই ই অনুবাদ করা। প্রায় সকল ক্ষেত্রেই মূল লেখকরা কপিরাইট রাখেন না। কিন্তু মূল লেখকের লিখিত অনুমতি ছাড় বাংলা একাডেমির অনুমতি জোগাড় করা দুরূহ। খুব কম ইসলামি বইয়ের পাবলিশার আছেন যারা নিজেদের ১০০টির বেশি বই বের করতে পেরেছেন। এসব কারণে ইসলামি বই এর পাবলিশারদের জন্য একুশের মেলায় স্টল বরাদ্দ পাওয়া কঠিন।

আমাদের সামাজিক অবস্থার কথাও ভাবতে হবে। রক্ষনশীল মানসিকতার অনেকেই একুশের মেলায় আসতে আগ্রহী না। এখন বলতে পারেন, যারা আসতে চায় না তারা না আসুক, তাদের বই পড়ার দরকার নেই। অথবা তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেন। আমার কাছে পরেরটাই যুক্তি যুক্ত মনে হয়। লটারির মাধ্যমে স্টলের যায়গা নির্ধারন হয় বলে কয়েকশ স্টলের মধ্যে থেকে ইসলামি বইয়ের স্টল খুঁজে বের করাও খুব সহজ কাজ হবে না।

ভিড়, সময়ের রিজিডিটি, মেটাল ডিটেক্টর গেট পার হয়ে ঢোকা , ধূলা, কয়েকশত স্টল থেকে বই খুঁজে বের করা ---এসব কারণে আমি নিজেও মেলায় যেতে বেশি আগ্রহ পাই না; গোটা মাসে সর্বোচ্চ দুবার যাই। পরিচিত কয়েকজনের সাথে দেখা হয়ে যেতেও পারে এই লোভ না থাকলে হয়তো এটাও যাওয়া হতো না।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

হাবিব বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ অনেকটাই ঠিক আছে। ঐ যে বললেন, আয়োজক কমিটির কাছে উপযুক্ত হতে হবে। গলদ সেখানেই। বাছাই কমিটিতে যদি ইসলামিক স্কলার কেউ নাই থাকে তাহলে কিভাবে ইসলামী বইয়ের মান বুঝবে?

২১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩০

জাহিদ হাসান বলেছেন: এসব পড়ে খামোকা সময় নষ্ট করার মানে হয় না।

ঘরে কোরআন শরীফ। তাফসীর। সিহাহ সিত্তাহ হাদীস গ্রন্থসমূহ আছে। এটাই যথেষ্ট।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭

হাবিব বলেছেন: এগুলো পড়ে বুঝতে পারলে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে পারলে সত্যিই আর কিছু লাগবেনা

২২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৪

কিরমানী লিটন বলেছেন: গত শুক্রবার গিয়েছিলাম.....

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

হাবিব বলেছেন: মারহাবা, আপনি তাহলে ছাড়া পেয়েছেন..........

২৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: -ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) সবচেয়ে ভুল ধারণা। এত বড় হারাম এবং ভুল ধারণার উপর কিছু করতে গেলে এরচেয়ে বেশি আর কি হতে পারে?
-রাস্তা ঘাটে পাওয়া এইসব ধর্মের নামে বই গুলি বেশিরভাগই প্রচুর ভ্রান্ত এবং আজগুবি তথ্য দিয়ে লেখা। বেশিরভাগ লেখাতেই কোন সহী হাদিস কিংবা কুরআনের সূত্র উল্লেখ থাকে না।
-এমনকি কার অরিজিনাল বই, কে প্রথমে অনুবাদ করেছে, এখন কে লিখছে তার কোন হদিস খুজে পাওয়া যায় না। এইসব বই পড়ার চাইতে না পড়াই ভালো।
-আমি এইসব জায়গায় বিখ্যাত লোকের নামে এমন কিছু বইয়ের নাম দেখেছি যেইগুলি তারা লেখার প্রশ্নই আসে না এদের মাযহাবে ভিন্নতার কারণে। কি ভয়ংকর চিন্তা করুন।
-এমন কি কুরআন শরিফের বঙ্গানুবাদেও প্রচুর ভুল এবং মন গড়া লাইন দেয়া থেকে। হাদিস বইয়ের কথা তো বললামই না!
আমার এই পোস্ট পড়ে আসুন। বিষয়টা ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। আমি কখনই না জেনে কিছু বলি না।
ব্লগে পোস্ট দেয়া বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয় নিয়ে লেখার ব্যাপারে কিছু অপ্রিয় সত্যকথা

ধন্যবাদ এবং শুভ সকাল হাবীব ভাই।



২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯

হাবিব বলেছেন: আপনার ব্লগ ঘুরে আসলাম। বিশ্লেষণ একদমই ঠিক আছে। এসব বইয়ের ভীরে কিছু কবিতা উপন্যাস সহ বেশ কিছু মৌলিক গ্রন্থ আছে। সেসব দেখতে পারেন।

২৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন। তবে যারা আগে পড়তো এখনো তারাই পড়ে

দিন দিন আমাদের দেশে পাঠক কমে যাচ্চে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

হাবিব বলেছেন: জ্যামিতিক হারে কমে যাচ্ছে প্রযুক্তির প্রসারের ফলে।

২৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইসলামী চেতনা দিন দিন লুপ্ত হচ্ছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

হাবিব বলেছেন: চর্চা না করলে লুপ্ত তো হবেই........

২৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

রুদ্র আতিক বলেছেন: সত্যি বলতে সব ধরনের বই মেলার প্রতি আমার দুর্বার আকর্ষণ কাজ করে । কিন্তু পকেটে পয়সা না থাকায় যাওয়াই হয় না ! মেলায় গিয়ে খালি হাতে ফেরার মত দুর্ভাগা আর কে হতে পারে ? তবে বই পড়া কিন্তু বন্ধ নেই । আগে লাইব্রেরীতে গিয়ে গিয়ে পড়তাম, এখন অনলাইনে। অবশ্য আগের চেয়ে সময়ও কমেছে ঢের ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

হাবিব বলেছেন:
সময় এবং অর্থ কোনটাই বাধা নয় ইচ্ছার কাছে

২৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

মোঃ নুরুজ্জামান (জামান) বলেছেন: ইফা কি আসলে কোন কাজ দক্ষতার সাথে করে?
আমি ঢাকায় থাকলে আমার খুব উপকার হত!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

হাবিব বলেছেন: ঈদে চাঁদ দেখা নিয়ে যা করেছিলো........... কি আর বলবো বলুন

২৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ পোস্ট পাঠ করে অনেকেই এই বইমেলার বিষয়ে জানতে পারবেন। জাযাকাল্লহু খায়রান!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল ভাই। সময় পেলে ঘুরে আসবেন আশা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.