নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাবির ছাত্রীর মতো ভাগ্য আমার ফুপাতো বোনেরও হতে পারতো!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫১



২০১১ সালের কথা। আমি তখন অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। ভার্সিটির আন্দোলনের কারনে ক্লাশ শুরু হচ্ছে না। এই সমস্যা শুধু আমাদের বিভাগেই ছিল। অন্যান্য বিভাগ ঠিকই ক্লাস-পরিক্ষা নিয়মিত ছিল। ক্লাস না থাকলেও মেসেই থাকি টিউশনি করাতাম বলে। ঘটনার দিন রাত আটটার দিকে বাড়ি থেকে ফোন আসে, নাদিয়াকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। বাসার সবাই খুবই চিন্তিত। আমার ফুুপি খুবই কান্নাকাটি করছে।

নাদিয়ার বাবা নাদিয়াকে ছয়মাসের ছোট রেখে যক্ষায় মারা গেছে। ওর একমাত্র ভাইও প্রবাসে। নাদিয়া আমার থেকে ছয় মাসের ছোট। কিন্তু ছাত্রী হিসেবে লাস্ট বেঞ্চার হওয়াতে আমার থেকে তিন বছর পর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ২০১১ সালে ওর তখন এসএসসি পরীক্ষা চলছিল। থিওরিটিক্যাল পরিক্ষা শেষ কিন্তু প্রাক্টিক্যাল পরিক্ষা তখনো বাকী।

-- পাওয়া যাচ্ছে না! একথা এখন বলতেছ কেন? দিনে বলতে পারলা না?
-- মনে করেছিলাম কোন বান্ধবীর বাসায় গেছে হয়তো চলে আসবে, তাই আগে জানাই নি। আর তাছাড়া, গ্রামের লোকজন জানাজানি হলেও সমস্যা। নানান কথা আড়িয়ে-বাড়িয়ে বলে বেড়াবে। ওর সব বান্ধবির বাসায় খোঁজ নিয়ে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না, তাই তোমাকে ফোন করলাম। (আমার মা উত্তর দিল।)
-- এত রাতে তো আর যাওয়া সম্ভব না, আমি সকালে আসতেছি। চিন্তা করো না। ওর কোন নাম্বার দিতে পারবা?
-- ওর তো কোন মোবাইল নেই। ওর মা'র মোবাইল চালাতো। ওই নাম্বারও বন্ধ!
-- আচ্ছা আমি কাল সকালে আসতেছি দেখি কি করা যায়।

আমার মায়ের সাথে কথা শেষ করে ফোনটা রেখেই ভাবতেছি, নাদিয়া তো এমন মেয়ে না। যাবে কোথায়? না কি কেও কিডন্যাপ করলো? নানান প্রশ্ন মাথায় আসছে। কোন উত্তর মিলাতে পারছি না।

বিছানায় শুয়ে আছি। ঘুম আসছে না চিন্তায়! যতটা না নাদিয়ার চিন্তা তার থেকে বেশি টেনশন হচ্ছে ফুপি কে নিয়ে। যদি ভাল-মন্দ কিছু হয় ফুপু তো একদম মরে যাবে। নাদিয়ার বাবা মারা যাবার পর থেকে ফুপু তার ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে নিয়ে চলে আসে আমাদের বাড়ি। তখন নাদিয়ার ভাইয়ের বয়স ১০/১২ বছর আর নাদিয়ার মাত্র ৬ মাস। কত কষ্ট করে ছেলে-মেয়ে দুটোকে মানুষ করছে। যে বয়সে ফুপা মারা যায়, ফুপু চাইলে আরেকটা বিয়ে করতে পারতেন। করেননি শুধু সন্তানদের কথা চিন্তা করে।

ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বাড়ি যেতে যেতে সকাল প্রায় ৯ টা বেজে গেছে। বাড়িতে লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। কান্নাকাটি করছে সবাই। কিন্তু বাড়ি গিয়ে যে কথা শুনলাম, তাতে করে আমার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে গেল। যে কথা শুনলাম তার সার-সংক্ষেপ হচ্ছে এ রকম:

নাদিয়া ওর মায়ের ফোন চালাতো। একদিন হঠাৎ রং নাম্বার থেকে ফোন আসে। ও পাশে ছেলে কন্ঠ। এ কথায় সে কথায় ওদের মধ্যে কথিত ভালোবাসার জন্ম নেয়। ছেলে পরিচয় দেয় তার বাড়ি রাজশাহী। সে একটা ব্যবসায়ী। তারা দুই ভাই, বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছে। তার বড় ভাই বিয়ে করেছে। এখন তার পালা। মা-বাবা নেই। বড় ভাই-ভাবি তাদের অভিবাবক। এসব কথা শুনেও নাদিয়া পটে যায় নি। সে বলেছে, আমার চেহারা কালো, দেখতে আমি সুন্দর না। আমরা গরীব। এক ভাই আছে সিঙ্গাপুরে। ছেলেটি জানায়, আমার সুন্দর চেহারা দরকার নেই, আমার দরকার সুন্দর মন। সুন্দর চেহারা আর ক'দিনই বা থাকে। এই সব কথা বলেও নাদিয়াকে অবশেষে পটাতে ব্যর্থ হয়। ছেলেটি তার ভাবির সাথে নাদিয়াকে কথা বলিয়ে দেয়। নাদিয়া আমার ছোট ফুপুর সাথে কথাটা শেয়ার করে। ছোট ফুপুও একদিন ছেলের সাথে এবং ছেলের ভাবির সাথে কথা বলে। তাদেরকে বলে যে আপনার যদি সত্যিই নাদিয়াকে নিতে চান তাহলে আসেন আমাদের বাড়িতে, আপনাদের অবিভাবক নিয়ে। কথা বলে যা করার সামাজিক ভাবে করেন। ছেলেটি বলে, ঠিক আছে একদিন আসবো।

আমার ছোট ফুপু নাদিয়াকে ছেলের সাথে কথা বলতে নিষেধ করে। কিন্তু আবার সেই ছেলের সাথে কথা বলে। পা দেয় ছেলেটির ষড়যন্ত্রে। ওর পরামর্শেই নাদিয়া একটা সিম কিনে। সেই নাম্বারেই কথা হয় ওদের। সবাই ধারনা করছে সেই ছেলের সাথেই নাদিয়া চলে গেছে। আমারও তেমনটাই মনে হয়। কিন্তু তার সাথে যোগাযোগ করবো কিভাবে কিছুই বুঝতে পারছি না।

ফুপু কান্না করছে আর বলছে, খোঁজার দরকার নাই। গেছে গেছেই। আমি মনে করবো আমার কোন মেয়ে নাই।

সেটা না করে কি আর থাকা যায়! আমার বড় কাকাকে পাঠালাম থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে। আর আমি ওর বান্ধবীদের বাসায় খোঁজ নিতে গেলাম। কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, ওরা কিছুই জানেন না। যাবার দিন ওদের কারো সাথেই কথা হয়নি। সব শেষে একজনের সাথে কথা বলে কিছুটা সন্দেহ হলো। তাকে শক্ত করে ধরলাম। বললাম, তুমি যা জানো বলো। নাদিয়ার কিছু হলে কিন্তু তোমার নামে মামলা হবে। ভয় দেখাতে অবশেষে নাদিয়াকে খোঁজার একটা ক্লু পেলাম। মেয়েটি বললো, "নাদিয়া আজকে যাবে তা জানতাম না আমি। কিন্তু ও বলেছিল একটা সিম কিনে দিতে। তাই আমার মায়ের ভোটার আইডি কার্ড আর ছবি দিয়ে একটা সিম কিনে দেই। কিন্তু নাম্বারটা আমি রাখি নি।" কি বিপদ নাম্বার কই পাই এখন! মেয়েটিকে ওর মায়ের ভোটার আই কার্ড আর ছবি দিতে বললাম। বললাম, চলো আমার সাথে। যে দোকান থেকে সিম কিনেছ দেখিয়ে দিবে। মেয়েটিকে সাথে নিয়ে গেলাম সেই দোকানে, যেখান থেকে সিম কেনা হয়েছিল। অনেকক্ষন খোঁজার পর পেলাম সেই নাম্বার। কিছুটা স্বস্তি পেলাম!

নাম্বারটা নিয়ে ফোন দিলাম নাদিয়াকে। কয়েকবার রিং হওয়ার পর ধরলো ফোনটা। কাপা কাপা গলায় "হ্যঁলো কে" বললো নাদিয়া। আমি পরিচয় দেয়ার সাথে সাথেই ফোনটা কেটে দিল। আবার ফোন দিলাম। ধরলো কয়েকবার বাজার পর। ধমক দিলাম এবার বেশ জোরে। ফোনটা তখন সেই ছেলের হাতে দিল। ছেলেটি আমার সাথে কথা বললো। বললাম, আপনারা কোথায় আছেন। আর এভাবে সবাইকে টেনশনে কেন রাখছেন! আপোসেও তো আপনি বিয়ে করতে চাইলে না করতাম না। ছেলেটি বেশি কথা বললো না। কেটে দিল লাইন। সবাই নিশ্চিত হলাম নাদিয়া কার সাথে আছে।

বিকাল প্রায় সাড়ে চারটা বাজে। একটু পরে দেখি নাদিয়ায় কল দিয়েছে আমার নাম্বারে। কল দিয়ে যা বলছে তাতে আরো আশ্চর্য হলাম। মাটি যেন পায়ের নিচ থেকে সরে গেল। ওকে নন্দন পার্কে বসিয়ে রেখে ছেলেটি কোথায় যেন চলে গেছে। ওর সাথে থাকা গহনা আর টাকা মিলে প্রায় ২ লক্ষ টাকার জিনিস নিয়ে গেছে। সাথে একটি টাকাও নেই। বাসায় আসার সাহসে কুলাচ্ছে না ওর। বলছে, আমি যদি বাসায় যায় তাহলে আশে-পাশের মানুষের কথা শুনে শুনে তিলে তিলে মরতে হবে। তার থেকে ভাল হবে গাড়ির নিচে পরে এখানেই মরে যাই। অন্তত মানুষের কথা আর মায়ের চোখের জল দেখতে হবে না। আমি বললাম, একদম চুপ থাক কোন কথা বলবি না।

ফোনটা রেখে দিলাম। নাদিয়া যে নন্দন পার্কে বসে আছে সেই কথাটি বললাম বাড়িতে। ফুপুর কান্নার আওয়াজ ততক্ষণে আর শুনা যাচ্ছে না। দিনরাত কান্না করতে করতে স্বর বেরুচ্ছে না গলা দিয়ে। শুধু বলছে, আমি এই মেয়েকে ঘরে তুলবো না। ওকে বাড়িতে নিয়ে আসার কোন দরকার নাই। চাচাদেরকেও জানালাম নাদিয়া নন্দন পার্কে আছে সে কথা। ওনাদেরও সেই একই কথা, এই মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসার কোন দরকার নেই। আমি সবাইকে বুঝালাম, আপনারা যে সমাজের মানুষের কথার ভয় পাচ্ছেন ওকে নিয়ে না আসলে যদি এর থেকে বড় কিছু হয়, যদি এক্সিডেন্ট করে বসে। তাহলে আপনাদেরই আবার থানা পুলিশ করতে হবে। সবাইকে বুঝিয়ে ওকে নিয়ে আসতে গেলাম। বাড়িতে আনার সাহস করলাম না তবুও। বাড়িতে নিয়ে আসলে এ সময়ে সবাই ওকে ঘিরে ধরবে। শহরে আমার এক চাচার বাসায় নিয়ে রাখলাম শেষ পর্যন্ত।

তার মাত্র দু'দিন পর নাদিয়ার প্রাক্টিক্যাল পরিক্ষা ছিল। ওকে সাথে করে পরিক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দেখাশুনার অনেকটা দায়িত্ব আমাকেই পালন করতে হয়েছে। আকারে ইঙ্গিতে জিজ্ঞেস করলাম, তোর সাথে কোন খারাপ আচরন করছে কিনা! তোর সাথে কিছু করে থাকলে ডাক্তার দেখাতে হবে। নইলে পরে সমস্যা হবে। ও নিশ্চয়তা দিয়ে বললো, কোন কিছুই হইনি ওর সাথে। এ কয়দিনে নাদিয়ার দিকে তাকানো যায় না। না খেয়ে খেয়ে হাড্ডিসার অবস্থা। মেন্টালি সাপোর্ট দিয়ে দিয়ে কিছুটা সুস্থ করার চেষ্টা করলাম।

এই ঘটনার প্রায় দুইমাস পর ওকে বাড়িতে নিয়ে আসতে পারছিলাম। পরিস্থিতি তার পরেও স্বাভাবিক করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে আমাকে। নাদিয়ার কাছ থেকে পরে জানতে পেরেছিলাম, সেই ছেলেটি যাকে ওর ভাবি বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল সে আসলে ওর নিজেরই বউ ছিল। ওদের পেশাই হচ্ছে এভাবে মেয়েদেরকে প্রেমের জালে ফাসিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া। একবার চেয়েছিলাম, ছেলের চৌদ্দগোষ্টি দেখে দেই। কিন্তু সবাই মানা করাতে অবশেষে আর কোন আইনি পদক্ষেপ নেই নি। যাই হোক, মেয়েটি বেঁচে গিয়েছিল সেই লম্পটের হাত থেকে। কিন্তু পাড়া প্রতিবেশির হাত থেকে রেহাই পেতে পারেনি অনেকদিন। যতবারই কোন বিয়ের প্রস্তাব আসতো ততবারই নাদিয়ার বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবার কথা বলে প্রতিবেশি নামধারী কিছু লোক বিয়ে ভেঙে দিত।

অবশেষে কিছুদিন আগে বিয়ে হলো ওর। দোয়া করি সুখী হোক। কিন্তু আমার আরেক বোন, ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হলো! বড় কথা হচ্ছে, তনুর মত জীবনটা কেড়ে নেইনি ওরা। এখন আমার ভয় হচ্ছে, বেঁচে যাওয়া ঢাবির ছাত্রীকে আমরা কি কথা আর বাঁকা চোখের তীরে মেরে ফেলবো দৈনিক?

দ্রষ্টব্য: পোস্টে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনাটা দুঃখজনক। এ‘ধরনের ঘটনা অনেক কমিয়ে আনা যায়, মেয়েরা যদি একটু সচেতন হয়। লেখাপড়া জানা শিক্ষিত মেয়ে, এ‘দেশেই বড় হয়েছে, দেশের অবস্থা জানে…….তারপরও কেন এ‘ধরনের প্রতারকদের খপ্পড়ে পরে?

লিলিপুটিয়ান বুদ্ধি নিয়ে চললে তো প্রতি পদে বিপদে পরবেই!!! X(

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২০

হাবিব বলেছেন: ২০১১ সালে এসএসসি পড়া গ্রামের একটা মেয়ে আর কতটুকুই বা বুঝবে বলুন? এই সব ঘটনা অহরহই এখন ঘটছে। সবার সচেতনতা সত্তেও ঘটছে। ধর্ষকেরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে বলে।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: চারিদিকে এত এত খারাপ খবর যে দম বন্ধ হবার দশা হয়েছে।
শুধু মনে প্রশ্ন জাগে এর থেকে মুক্তি কবে পাবো ? আদৌ কি পাবো?
সামনে কি আরো ভয়ঙ্কর দিন আসছে? তখন কোথায় যাবো?
পরবর্তী শিকার কে আমি না আমার কোন আপনজন? তারপর কি হবে? আসলে আমি আর ভাবতে পারছি না.....।
এতো জঙ্গলের রাজত্ব শুরু হয়ে গেল।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

হাবিব বলেছেন: প্রতিবাদ আর বিচারহীনতার অভাবে কিংবা অপরাধিরা ছাড়া পেয়ে যাবার কারনেই আরো বেশি বেশি এরকম ঘটনা ঘটার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এরকম ঘটনার একটা নাটক দেখেছিলাম কিছুদিন আগে।
চঞ্চল চৌধুরী এবং তার বউ মিলে এমন ঘটনা ঘটাতো।
পেশা ছিলো বাটপারি।
আপনাকে ধন্যবাদ
কাহিনীটি শেয়ার করার জন্য।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

হাবিব বলেছেন: নাটক সিনেমা তো জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। খারাপ ব্যাপার হচ্ছে, অপরাধিরা এগুলো দেখে দেখে অপরাদ করে। আর সাধারণ মানুষ এসব থেকে শিক্ষা না নিয়ে শুধু বিনোদন উপভোগ করে। সবকিছুতেই শেখার উপকরণ আছে। আমাদের সন্তানরা তবুও নিরাপদ থাকুক, এটাই চাওয়া।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

এই দুঃসময়ের অবসান নেই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

হাবিব বলেছেন: আমরাও যে চুপ হয়ে যাচ্ছি দিনে দিনে!

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৮

হাবিব বলেছেন: আমিন

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নাদিয়ার মত ভাগ্য কজনেরই বা আছে। আমরা পুরুষ জাতিরাও তো এত মহান(!) না। অনেক বছর আগে আমার এক বন্ধুর বোন-ও এক লাল্টু ছেলের সাথে সারাদিন ঘুরে টুরে রাত করে বাসায় এসেছিল। যা হোক, তখনকার ছেলেদের মোবাইল ছিল না, লিটনের ফ্ল্যাট ছিল না তাই বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল। শহরের হওয়াতে এই ঘটনা নিয়ে মাতামাতি হয়নি। পরবর্তীতে অন্য একজনকে বিয়ে করে সুখেই আছে সেই মেয়েটি...

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩১

হাবিব বলেছেন: ঠিক বলেছেন। নাদিয়াদের মতো ভাগ্য ক'জনেরই বা হয়। আমাদের সতর্ক থেকে, চোখ-কান খোলা রেখে চলতে হবে এটাই ফাাইনাল কথা। আর হ্যাঁ, দোষীরা ছাড়া পেয়ে গেলে ওরা যে আরো অপরাধ করার সাহস পায়, তার কি হবে?

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ হেদায়েত দিন সেইসব পুরুষদের

মেয়েরাও সতর্ক হচ্ছে না

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

হাবিব বলেছেন: কিছু মানুষের হেদায়াত কখনোই হবে না, কারণ ওরা হেদায়াত চায় না। ওরা মজে থাকতে চাই পাপের মধ্যে। ওরা হায়েনাদের ফেলে যাওয়া কীট!!!

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৯

আকতার আর হোসাইন বলেছেন:
এই সমাজ খুবই নোংরা, খুবই কলুষিত।

যত দোষ নারীর। কোন একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তাঁকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর মাশুল গুণরে হয়। তাঁকে দেখলে সমাজের মানুষ নাক সিটকায়। অশ্রাব্য ভাষায় নোংরা সমালোচনা করে।

যত শুদ্ধতা সব পুরুষের।

পুরুষেরা চুরি ডাকাতি ধর্ষণ দুর্নীতি করলেও কেউ তাঁদের দেখলে নাক সিটকায় না। উল্টো সে সমাদৃত হয়। চায়ের দোকানে গেলে সে অর্ডার করার আগেই অন্য কেউ তাঁকে চা কফি খাওয়ায়।

যত দোষ নারীর। যত শুদ্ধতা সব পুরুষের


এই শমাজ মারাত্মক নোংরা
কলুষতায় ভরা।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

হাবিব বলেছেন: আমরা এই যে নারী ক্ষমতায়ন, নারী অধিকার বলে চিল্লায় তার প্রতিফলন বাস্তবে তো পাইনা ভাই??

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: মেজাজ খারাপ হচ্ছে প্রতিদিন পত্রিকা পড়ে। ঢাবির ছাত্রী ধর্ষনের রগরগে বর্ননা দেয়া হচ্ছে !! এখন পর্যন্ত ধর্ষক সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্যই নাই কিন্ত ধর্ষিতার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। ছাত্রীটির মামা এবং তার বিভাগের ছাত্রছাত্রিদের সাক্ষাৎকার ছাপানো হচ্ছে !!!! এর নাম কি সাংবাদিকতা ?? সাংবাদিক নামধারী এইসব অমানুষের দল এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা উচিৎ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

হাবিব বলেছেন: এসব সাংবাদিক নয় ........ সাংঘাতিক!!!
এরা কবে আর বুঝবে কোনটি সঠিক কোনটি বেঠিক।
সাংবাদিকদের আরো দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এরকম একটা নাটক দেখেছিলাম চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২০

হাবিব বলেছেন: নাটকটির লিঙ্ক আমাকে দিয়েন তো .............

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

একাল-সেকাল বলেছেন:
অস্ট্রেলিয়ায় কেঙ্গারু শাবক অগুন থেকে বাঁচতে দৌড়ুচ্ছে, আর বাংলাদেশে মেয়েরা ধর্ষক থে কে বাঁচতে । দুটি-ই মর্মান্তিক।
সমাজ সংস্কার (আদৌ হবে কিনা সন্দেহ থেকেই যায়) না হওয়া পর্যন্ত যতটা সম্ভব সতর্ক থাকা।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

হাবিব বলেছেন: আমাদের সবাইকে সবার জায়গা থেকে সোচ্চার হতে হবে ..... সচতেন থাকতে হবে।

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: এই দেশে শিক্ষিত মেয়েরা এই সব প্রতারকদের খপ্পড়ে পরে যায় সেটা আমার মাথায় ঢুকে না?
এত কিছু দেখে শুনে বুঝে কিন্তু আসল কাজের বেলায় নব গন্ডা!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

হাবিব বলেছেন: আর যখন বুঝে তখন আর কিছুই করার থাকে না!!!

১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ সমস্ত নারীদের ভালো রাখুক। কোনো বিপদ আপদ যেন তাদের না আসে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১০

হাবিব বলেছেন: আল্লাহ আপনার প্রার্থনা কবুল করুন

১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

একাল-সেকাল বলেছেন:
এখন তো মনে হয়, নারীর অধিক ক্ষমতায়ন নারীদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:১৪

হাবিব বলেছেন: নারীদের ক্ষমতায়ন নারীর জন্য অভিশাপ নয়, পুরুষ নামক কিছু দু'পেয়েদের মানসিকতায় সমস্যা। তারা নারীদের পণ্য বানিয়ে ছেড়েছে

১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দুঃখজনক এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা।
হাজারো নাদিয়া এরকম প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদেরকে সর্বশান্ত করে ফেলে।
পোস্টে বিষন্ন ভালোলাগা।
ছদ্মনামের নাদিয়ার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
শুভকামনা হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারের জন্যও।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:১৮

হাবিব বলেছেন: এটাই শুকরিয়া যে বোনটা অল্পে বেঁচে গিয়েছিল সে যাত্রায়। না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারতো। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল নাদিয়ারা। ধ্বংস হোক পুরুষ নামের কাপুরুষেরা, যারা নারীদেরকে শিকারী আর পণ্য মনে করে

১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৭

রুপ।ই বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে যায় ............দেশটা কেমন পিছিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২৫

হাবিব বলেছেন: দেশটা যতটা না পিছিয়ে যাচ্ছে তাঁর থেকে বেশি আমরা গিলে খাচ্ছি। প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছি সোনার স্বদেশকে।

১৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩২

সোহানী বলেছেন: হাবিব, তুমি যা বললে এটা দেশের প্রতিটি আনাচে কানাচে ঘটে। কিন্তু আমাদের এ বোকা মেয়েগুলোকে কে বোঝাবে বলো।

তোমার এ শেয়ারিং অনেককে সাবধান করবে।

নাদিরারা ভালো থাকুক সবসময়।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২৬

হাবিব বলেছেন: ওদের এই সরলতার সুযোগেই পণ্য বানিয়েছে কিছু দু'পেয়ে দুষ্ট লোক। ওদের বিচার না হওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে দিনদিন। যাও হয় সেটা হাতে গোনা। আর অগনিত মেয়েরা লোক লজ্জার ভয়ে প্রকাশ করেনা সত্যটা। কারণ ওরা জানে, এই ঘটনায় হয়তো তারা একদিন নির্যাতিত হয়েছিল কিন্তু যদি প্রকাশ পায় তাহলে ওরা নির্যাতিত হবে দিনেরপরদিন। আর কতদিন আপু? আর কত তনু প্রাণ দিলে ঘটনার ইস্তফা হবে??

১৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: এই ধরনের ভুল মেয়েরা বার বার করে আর কিছু পুরুষ থাকে হায়েনার মত ওত পেতে কিভাবে নারীর সরলতার সুযোগ নেবে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২৮

হাবিব বলেছেন: উপযুক্ত শাস্তির অভাবে অপরাধিরা আরো বেড়ে যাচ্ছে। আরো সচেতন হতে হবে আমাদের নারীদের।

১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: খুব দুঃখ এবং লজ্জা বোধ করছি এটা দেখে যে অনেকেই মেয়েদের দোষারপ করছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আমরা তো যুগের পর যুগ ধরে নারীদের ব্লেম করে গেলাম এবং নারীর উচ্চশিক্ষা, ঘরের বাইরে বের হওয়া, কাজ করা ইত্যাদিই যে নারীর অসম্মানের মূল কারণ তা অনলাইন অফলাইন সব জায়গায় ঢালাও ভাবে প্রচার করলাম। নারীবাদী শব্দটিকে গালি বানিয়ে ছাড়লাম। লাভটা কি হলো? এই অসচেতন/কুসংস্কারচ্ছন্ন সমাজে নারী সুখী নাকি পুরুষ? লেটস ট্রাই সামথিং নিউ নাও। লেটস ব্লেম দোজ হু আর কমিটিং দ্যা ক্রাইম! পুরুষ অন্যায় করলে শুধু পুরুষকে এবং নারী অন্যায় করলে শুধু নারীকে দোষ দেই না কেন? কেন নারীর দোষ নারীর দোষ এবং পুরুষের দোষও নারীর দোষ? কেন নারীর ভুল পাপ সমান এবং পুরুষের পাপ ভুল সমান?

একটা মেয়ে বোকা হোক, বাজে হোক যাই হোক, শি ডাজন্ট ডিজার্ভ রেপ, ফুলস্টপ! ছেলেরা কি ভালোবাসায় ভুল মানুষ নির্বাচন করেনা? ছেলেরা কি ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকেনা? ছেলেরা কি অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েনা? তো সমাজ এবং মানুষ কোন আস্পর্ধায় এটা আশা করে যে মেয়ে যারা "মানুষ" হয় ভুল করবে না? অবশ্যই ভুল করবে এবং ভুলের মাশুল গুনবে বাট রেপ ক্যান নট বি জাস্টিফাইড এট এনি কস্ট!

মেয়েদেরকে "ডোন্ট গেট রেপড" না শিখিয়ে ছেলেদেরকে "ডোন্ট রেপ" শেখাতে হবে। সবার এমন ভাব যেনো মেয়েটি রাতের বেলায় বের না হলে ওর বেডরুমে ঢুকে কাজিন/আত্মীয়/বাপ ভাইয়ের বন্ধু ওকে রেপ করতেই পারতনা। তেমনকিছু তো আমাদের দেশে হয়ইনা, হেল! আমাদের দেশের মেয়েদের জন্যে বেডরুম আর অন্ধকারের ঢাকা দুটোই বিপদজনক। কেননা আমরা মেয়েদেরকে দোষ দেই শুধু। পুরুষকে যে খারাপ বলিনা তা নয়, তবে কয়েক শব্দ, "পুরুষ নাহয় খারাপ হলোই কিন্তু মেয়েটির সচেতন হওয়া উচিৎ ছিল...এবং পুরো একটা প্যারাগ্রাফ শুরু হয়ে যায় উপদেশের! নোংরা মন মানসিকতার পুরুষেরা জানে যে ধর্ষণ করে আমি "দ্যা রিয়েল ম্যান" হবো এবং ধর্ষিত মেয়েটি "দ্যা প্রস্টিটিউট!"
খবরের কাগজে ধর্ষণের বর্ণনা দেওয়া হয় কেননা মানুষজন ওগুলো পড়েও তৃপ্তি পায়, ওসব খবরের কাটতি থাকে! ছি ছি ছি!

ব্লগার আকতার আর হোসাইনের মন্তব্যে লাইক।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৪

হাবিব বলেছেন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ভিক্টিম এবং তার পরিবারকে ক্যামেরার সামনে না এনে ওদের পরিবারকে সামনে আনা হোক। কিন্তু তা না করে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে ভিক্টিমকে। তাদের পরিবারের লোকজনদেরকে সামনে এনে ইন্টারভিও নেওয়া হচ্ছে। আমরা যারা ভিক্টিমদের আশে পাশে থাকি তারা আবার কয়েক ধাপ এগিয়ে। মরার আগ পর্যন্ত প্রতি মুহুর্তে মনে করিয়ে দেই ভিক্টিমই অপরাধি। বাঁকা দৃষ্টি আর কটু কথায় খুন করে ফেলি ধীরে ধীরে।

নারীরা কোথায় নিরাপদ বলুন? ঘরে? সেখানেও তো ওর বাবা, চাচারা ওঁৎ পেতে থাকে। ক্লাসে? সেখানেও তো লালা ঝরানো শিক্ষক নামধারী নরপশুদের লুলুপ দৃষ্টি। মাদ্রাসায়? কয়েকদিন আগেই তো নিউজে দেখলাম নারায়ানগঞ্জের ঘটনা। পুলিশি হেফাজতে??? সে কথা না হয় নাইবা বললাম!!

খবরে দেখলেন না, ঢাবি ছাত্রীর ঘটনায় যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার টার্গেট থাকে অসহায় নারী, প্রতিবন্ধী আর ভিক্ষুক শ্রেণি। অসহায় নারীদেরকে লম্পটেরা ফাঁসাতে পারে সহজে। তাই বলে দোষ কি এই সব অসহায় নারীদের দিতে হবে?? দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কবে দেখবে জাতি?? কবে বাসযোগ্য হবে এই ধরণি?

২০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৩৭

এমজেডএফ বলেছেন:



আপনার এই অভিজ্ঞতাটি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

"একবার চেয়েছিলাম, ছেলের চৌদ্দগোষ্টি দেখে দেই। কিন্তু সবাই মানা করাতে অবশেষে আর কোন আইনি পদক্ষেপ নেই নি।"

এটাই হচ্ছে বড় ভুল! আইনি পদক্ষেপ না নেওয়া মানে এরপরে ২য়, ৩য় নাদিয়ারাও ওদের প্রতারণার শিকার হউক। আমাদের দেশে মেয়ে ঘটিত ব্যাপারগুলো সবাই চেপে যেতে চায়। যার কারণে এসব বদমাসরা ধরা পরার পরেও অপকর্ম চালিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েটি যদি সমাজকে ভয় পেয়ে ধর্ষণের কথা চেপে যেত তাহলে কী হত! এই ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’তার অপকর্ম চালিয়ে যেত, আর ভয়াবহ পরিণতির শিকার হত আরো অনেকে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ এই ধরনের ঘটনায় নিজে আইনি পদক্ষেপ নেবেন, অন্যকেও তা করার জন্য উৎসাহিত করবেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫২

হাবিব বলেছেন: কেন চেপে যায় জানেন? কারণ তারা জানে ওদের পাড়া প্রতিবেশিরা বাঁকা কথার তীরে মরে যাবার আগ পর্যন্ত দগ্ধ করতে থাকবে। গ্রামে হলে তো আর কথাই নেই। গ্রামের মানুষদের অধিকাংশরই তেমন কাজ নেই (বিশেষ করে মেয়েদের )। আইনি পদক্ষেপ ইচ্ছা করলে নেয়াই যেত। আপনার কথাই ঠিক, তাহলে হয়তো বেঁচে যেত হাজারো নাদিয়া। এখনএকটাই চাওয়া, যেখানেই অন্যায় সেখানেই হোক প্রতিরোধ।

২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আল্লাহ আপনার প্রার্থনা কবুল করুন ।

আমাদের সকল প্রার্থনা প্রভুর কাছেই করা মঙ্গল জনক।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০০

হাবিব বলেছেন: ঠিক বলেছেন ..........

২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভুল সিদ্ধান্ত মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়! তার প্রমাণ নাদিয়া।

সে ভাল থাকুক, সুখে থাকুক।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০১

হাবিব বলেছেন: আমিন ...... আপনিও ভাল থাকবেন

২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিলো....

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০২

হাবিব বলেছেন: আমিও তাই চেয়েছিলাম। বাড়ির কেহ সায় দেইনি

২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: নাদিয়ার ভাগ্য ভাল ছিল, শুধুমাত্র স্বর্ণালঙ্কার এর উপর দিয়ে গেছে। তবে আপনি যেভাবে একটি ইমার্জেন্সী পরিস্থিতিতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন, তা খুবই প্রশংসনীয়।
আপনি অনেকদিন ধরে ব্লগে অনুপস্থিত আছেন। ভাল আছেন তো? আশাকরি বিপদমুক্ত আছেন।
আপনার পাসপোর্টের সমস্যাটির সমাধান হয়েছে কি?

০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

হাবিব বলেছেন: এখনো পাসপোর্ট পাইনি। মনে হচ্ছে পিএইচডি করার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।

আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনিও ভালো আছেন নিশ্চয়। দোয়া করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.