নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঁচমিশালী ছবি ব্লগ

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬



(১)
কচুপাতায় জলের বিন্দু মনে করিয়ে দেয়
ক্ষণস্থায়ী জীবনের কথা!
মনে করিয়ে দেয় ঠুনকো জীবনের মেয়াদোত্তীর্ণের কথা।
সবুজ পাতায় জলের বিন্দু যেমন সুন্দর
তেমনি মনোরম আমাদের জীবন।
একটুখানি হাওয়ার ঝাপটা যেমন ফেলে দিয়ে যায় জলখানি
তেমনি করে কোন এক হাওয়ার মৃদু আচরেই
ছিন্ন ভিন্ন হবে দেহপাখি!
আমরা যার নাম দিয়ে থাকি মৃত্যু।

জলের স্বচ্ছ ফোঁটা থেকে পতঙ্গেরা তৃষ্ণা মিটিয়ে নেয়
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোন প্রাণীর পিপাসা মেটায় এই জলবিন্দু
এটাতেই তার জন্ম নেয়া স্বার্থক হয়ে উঠে।

মানব জীবনের স্বার্থকতা নিহিত তার কর্মের মধ্যে
মানবিকতার উর্ধ্বে উঠে ধর্মের দেয়াল ভেঙ্গে
যখনি কোন হাত স্পর্শ করে অভাবীর,
মনে রেখো, তুমি নি:শেষ হলেও
তোমার কর্ম তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল!





(২)
যে রূপের সুধাজলে সিক্ত করিলে মন
যে রূপের ঝলকানি মেলে চমকে দিয়েছো মোরে!
সে আলো লুকিয়ো না সহসায়, ওগো প্রিয়জন
কেটে যাক বেলা আর শেষ হোক প্রাণ বায়ু তব ঘোরে!!



(৩)
কেন তুমি চলে যাও প্রিয়?
দিন শেষে কেন ম্লান তব রূপ!
তুমিহীনা রাতের দৈর্ঘ্য যে বেড়ে যায় বহুগুণ
কষ্টের উচ্চতা ছাড়িয়ে যায় হিমালয়কে
তোমার প্রতিক্ষায় চোখেতে ক্লান্তির আশ্রয়
অবতল লেন্সের আশ্রয়ে বেঁচে থাকি দিন শেষে!!



(৪)
বাবা হতে গেলে কাঁধের ব্যাসার্ধ বাড়াতে হয়
বাড়াতে হয় হাতের প্রশস্ততা
পাঁজরের হারকে টেনে নিয়ে যেতে হয় গোল পোস্ট পর্যন্ত
তৈরী করে দিতে হয় নিরাপদ এক আশ্রয়
সন্তান আর অর্ধাঙ্গীর জন্য!!




(৫)
জীবনে চলার পথ এরকমই
শুরুতে থাকে তার কন্টকময়তা
বন্দুর চলার পথে বিছানো থাকে শত শত কাটা
অমসৃণ পথ পাড়ি দিলে অবশেষে মিলে যায় সুখ
মিলে যায় ফুলের বিছানা!!



(৬)
সূর্যাস্ত মানেই দিনের শেষ নয়
সূর্যের প্রস্থান মানেই আলোকের যবনিকা নয়
আবার শুরু হবে ভোর,
শুরু হবে ক্লান্ত দুপুর, শান্ত বিকেল, স্নিগ্ধ গোধূলী বেলা।
হেরে যাওয়া মানেই জীবনের শেষ নয়
হেরে যাওয়া মানে নতুন করে কিছু করার অনুপ্রেরণা
সামনের দিনে আর এমন ভুল না করার অশম্ভাবী পাঠ!!




(৭) কোমলতাই আসল সৌন্দর্য্য। সুন্দর সবই কোমল। সুন্দর সবই সজীব। অসুন্দরই রুক্ষতা।



(৮) জল আর নীলের এমন রূপ দেখলে মনে প্রেম জাগে। মনে হয় প্রিয়জনের পিঠে হেলান দিয়ে কাটিয়ে দেই সারা বিকেল। মনে হয় হেঁটে চলি এই পথ ধরে। পারি দেই একশ মাইলের পথ।



(৯) আবার কোন দিন তুমি আর আমি মিলে পারি দেব জুলন্ত ব্রীজ। প্রেমের স্বাক্ষর রেখে আসবো ব্রিজের প্রতিটি পাটাতনে। পাহাড়ের গায়ে আঁকা থাকবে তোমার আমার আগমনের কথা। বৃক্ষরা সাক্ষী হবে আমাদের ভালোবাসার।



(১০) কুমড়োর ছানাগুলো বড্ড বেয়ারা। সারাদিন টইটই করে ঘুরে বেড়ায় এ পাড়া থেকে ঐ পাড়া। অগত্যা আম্মা এগুলোকে বন্দি করে রেখেছে কঞ্চির বেড়ায়। তবুও এদের আটকানো যাবে?



(১১) জমিদারী ভাব নিয়ে টঙে বসে আছে সাহেবখানা। নাম তার ক্যাপসিকাম।



(১২) ওগো বিদেশিনী, তোমার চেরী ফুল দাও, আমার শিউলি নাও ............... ফুলটার নাম ভুলে গেছি।



(১৩) বাবুর খেলনা সাইকেল। সাইকেলটি খুবই ছোট। বাবু এটাতে চরতে পারে না।



(১৪) আলী (রা.) এর রওজা মোবারক। ছবিটি আমার ছোটভাই তুলে পাঠিয়েছে।



(১৫) এই ছবিটি আলী (রা.) এর রওজা সংলগ্ন মসজিদের। এটিও ছোট ভাইয়ের তোলা ছবি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভুলে যাওয়া ফুলের নাম নাগচাঁপা।
পোস্ট ভালো হয়েছে।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

হাবিব বলেছেন: আমার বিশ্বাস ছিল আপনিই এই ফুলটির নাম বলে দিবেন।
পোস্টের প্রশংসার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৫

আল-ইকরাম বলেছেন: ধন্যবাদ। ঘরোয়া পরিবেশে ও ভিন্ন আঙ্গিকে দারুন উপস্থাপনা। চলতে থাকুক এই প্রত্যাশা। নিরাপদে থাকুন।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১১

হাবিব বলেছেন: আল ইকরাম ভাই, আপনার সুন্দর মূল্যায়ন আমাকে মুগ্ধ করলো। ভালো থাকবেন সবসময়।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তরতাজা অপরাজিতা ফুল । লিখেছেন বেশ। ভাল লেগেছে আপনার পোস্ট।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৩

হাবিব বলেছেন: অপরাজিতা ফুল আমার বারান্দা বাগানের। একজন কবির মুখ থেকে প্রশংসা পেতে কার না ভালো লাগে বলুন। পুলকিত হলাম।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


সবগুলি ছবিই খুব সুন্দর হয়েছে ।
কচু পাতার উপরে এক ফোটা পানি দেখে
কিশোর কালের কথা মনে পড়ে ।
সে সময়ে ক্লাশমেটদের কেও প্রেমে
ছেকা ম্যাকা খেয়ে যদি করত ধর ফর
তাহলে বলতাম কি আর এখন করবে,
তবে একটাই পারিছ কচু পাতার জলে
নাক ডুবাইয়া মর
, দেখবে প্রমিকা তোর
কেমন করে চোখের জলে নাকের জলে
একাকার হয়ে এসেছে চলে তোর কাছে।

আপনার এই পোষ্টে পোষ্টে থাকা পাঁঁচমিশালী
ছবিগুলির মধ্যে কয়েকটি বেশ মন কেড়েছে ।
অপরাজিতার নীচে থাকা 'পর্তুগাল গ্রান্ডিফ্লোরা'
তথা টাইম ফুল নাইন অ ক্লক নামেই আমাদের
কাছে বেশ পরিচিত , কারণ এটা ভোরে সুর্যের
তাপ বাড়ার সাথে সকাল ৯টার দিকেই তার
আখি মেলে আর সুর্যের তাপ কমে আখি মুদে
চলে যায় নীশি যাপনে, তবে দিনের বেলায়
ফুটে থাকা দৃষ্টিনন্দন অজস্র রংগীন ফুল বাগানের
শোভা বাড়ায় , একবার গুটি কয়েক টবে কিংবা
বাগানে লাগালে দিন কয়েক পরেই ভরে যায়
অজস্র রংগীন ফুলে , পরিচর্যাও সহজ , ফুল
দিয়ে চলে নিত্য দিন ধরে ।

ইরাকের পবিত্র নগরী নাজাফে আশরাফে্‌ অবস্থিত হজরত আলী( রা)’এর
মাজার এর অভ্যন্তরের ছবিটি দেখানোর জন্য
আপনার মাধ্যমে ছোট ভাই এর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ।
শুনেছি দেশ-বিদেশের জিয়ারতকারীরা সেখানে ভিড় জমান। মাজারে দিন-রাত ২৪
ঘণ্টাই নাকি চলে ভক্ত মানুষের আনাগোনা। কখনওই সুপ্তিমগ্ন হয়না সে এলাকা।
পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন যে মানুষ দাফনের আগে, সম্ভাব্য ক্ষেত্রে, তার মরদেহকেও
নাকি ঘুরিয়ে নেয়া হয় সে পবিত্র প্রাঙ্গণ। অবশ্য সকলই শুনা কথা, জানিনা এর
সত্যতা কতটুকু । সে যাই হোক, খোলাফায়ের চার খলিফা এবং ইসলামের প্রাথমিক
যুগে ইসসলাম ধর্মের প্রচার , প্রসার ও বিকাশ সাধনের তরে অসাধারণ অবদানের
জন্য তাঁর প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ও সালাম ।

কুমড়া ছানা গুলিকে পাড়াময় ঘুরে বেড়ানো ছাগল ছানার কবল থেকে রক্ষার
জন্য আপনার মমতাময়ী মায়ের সেই উদ্যোগটাও হয়েছে দেখার মত ।

বাবুর সাইকেলটা ছোটই থাক, বাবুই বড় হোক , চালাক মোটর সাইকেল , মোটর
আর ইয়া বড় বড় উড়োজাহাজ, কিংবা হাল ধরুক দেশ চালাবার তরে, এ কামনাই
রেখে গেলাম সোনামনি বাবুর তরে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১৬

হাবিব বলেছেন: ছোট একটি জিনিসও আপনার নজর এড়ায় না। এটাতেই আপনার বিশেষত্ব। নাইন ও ক্লক আমার বারান্না বাগানের। ইদানিং টবে লাগানো গাছগুলোর চেহারা মলিন হয়ে যাচ্ছে। আগের মতো আর ফুল ধরছে না। কি যে করি!!
আপনার ফুলগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছে।

আশেপাশের বেয়াড়া ছাগল ছানা আর হাস মুরগীর জ্বালাতনে সবজি খেতে এমন বেড়া না দিয়ে উপায় নেই। তাই আম্মা এমন ব্যবস্থা করেছেন।

আমার ছোট ভাই অনেক বছর হলো ইরাক প্রবাসী। আলী রা. এর মাজারের পাশেই একটা আবাসিক হোটেলে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করে। মাঝে মাঝেই আমাকে এমন ছবি পাঠায়।

আমার ছোট্ট বাবাটার জন্য আপনার প্রার্থনা কবুল হোক। আমিন

ভালো থাকবেন সবসময়।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বহুমূখী প্রতিভার কবি, সাহিত্যিক,
চিত্রগ্রাহক হাবিব স্যারকে ধন্যবাদ।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১৮

হাবিব বলেছেন: আমার এতো গুণ নেই নুরু ভাই। আপনাদের দেখাদেখি কিছু একটা লিখার চেষ্টা করি । মনের কথাগুলো শেয়ার করে তৃপ্তি পাই বলে লিখে চলি। আপনাদের প্রেরণা আমার লেখার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। ভাল থাকবেন।

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫২

নতুন-আলো বলেছেন: ছবি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। শুভ কামনা রইলো

১৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১৯

হাবিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন কথা কাব্য আর ছবি পোস্ট
খুবই ভালো লাগলো

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৯

হাবিব বলেছেন: পোস্টের প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ ছবি আপা

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৩

কুশন বলেছেন: পোস্ট টি ভালো লেগেছে।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১০

হাবিব বলেছেন: পোস্টের প্রশংসায় প্রীত হলাম ্

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর ছবি ব্লগ। বাবুর সাইকেলটা দারুণ সুন্দর হয়েছে ‌ছবির সঙ্গে কথাগুলো ততটাই উপভোগ্য।বাবা সম্পর্কে ছোট্ট কথায় চমৎকার ধারণা দিয়েছেন। ঝুলন্ত ব্রীজটা কোথায়? আমরা দার্জিলিং এর শ্রীখোলায় এরকম ব্রীজ পেয়েছিলাম।হাঁটার তালে তালে ব্রীজটি দুলছিল। স্থানীয়রা দিব্বি হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের এরকম একটা ব্রীজে হাঁটতে রীতিমতো ভয় হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যেন এখনই ব্রীজটি খুলে পড়ে।
আম্মার হাতের কুমড়ো গাছ খুব ভালো হয়েছে। আগামীতে ফলে ভরে উঠুক।

শ্রদ্ধেয় ড. আলী ভাইয়ের কমেন্টটি ভালো লেগেছে।আলী (রা.) রওজা সম্পর্কিত মসজিদটি সম্পর্কে জেনে সমৃদ্ধ হলাম।কি সুন্দর আন্তরিকতার সাথে উনি কমেন্ট করেন যে প্রাণ ভরে যায়। শ্রদ্ধা ও ড আলী ভাইকে।
সবশেষে আপনার ও পরিবারের সকলের উদ্দেশ্যে রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৩

হাবিব বলেছেন:







ঝুলন্ত ব্রীজটি রাঙামাটি থেকে তুলেছি। ছবিতে যার চুল দেখা যাচ্ছে সে হলো আরিশের আম্মু।

আম্মুর হাতের এই গাছগুলোতে প্রচুর কুমড়া ধরেছিল।

আপনার এমন দারুণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি ভালো আছেন।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাবিব স্যার,





পাঁচমিশেলী ছবি ভালো হয়েছে। ছবির সাথে লেখা কবিতা সুন্দর মিশে গেছে। বিশেষ করে ১, ৪ আর ৬ নম্বর।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৪

হাবিব বলেছেন: ভাইয়া, ছোট্ট কথায় দারুণ মন্তব্যে হৃদয় ভরিয়ে দিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.