![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিভৃত চাষি, এক খন্ড জমির খোঁজে...
প্রতিবেশ ও পরিবেশের প্রেক্ষিতে মানুষ মুলত একটি পরজীবী প্রানি।মানুষ প্রকৃতিকে রোগগ্রস্ত আর বিরক্ত করে চুরান্ত পর্যায়ে নিয়ে এনেছে।তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ দাবি করে আর মেনে নিয়ে,নিজেদের মুলত দূর্বল আর ভঙ্গুর করছে ক্রমে।মানুষের সভ্য হওয়া (So called Civilize)বা সভ্যতা তৈরি করে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে ন্যাচার থেকে, আর হয়ে উঠেছে প্রায় কৃত্রিম জীবে।
অন্য সব প্রানি বা উদ্ভিদ তাদের সংকট সমূহ কিভাবে মোকাবেলা করে যেমন রোগগ্রস্ত হলে?গাছের ক্ষত কিভাবে নিরাময় হয়? কোন ঔষধে? বা প্রকৃতির অন্য যে কোন প্রানির ক্ষেত্রে, তারা কি নিরাময় পদ্ধতি অনুসরন করে? নাকি প্রাকৃতিক ভাবেই তাদের ভিতরে এ ক্ষমতা থাকে?তাহলে মানুষ কেন ব্যতিক্রম? তাকে কেনো চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে? কারন মানুষ প্রকৃতি থেকে সরে এসে সে তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে আর করে তুলছে দুর্বল ও পরনির্ভরশীল পরজীবীতে।
তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে মানুষের গড় আয়ু বাড়লো? আসলে মানুষের গড় আয়ু বাড়েনি কমতে ছিল সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে।তারা যতটা সভ্য হয়েছে দূরে সরে এসেছে প্রকৃতি থেকে এবং হয়ে পড়েছিল দূর্বলতর। নানাবিধ রোগে,রোগগ্রস্ত হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের গড় আয়ু কমে আসছিল।বিভিন্ন ধর্মীয় বয়ানেও পাওয়া যায় শতায়ু মানুষের হদিস।তবে তারা কেন এ সংকটে পড়লো?এর কারন হলো সভ্যতা বিনির্মাণ করতে গিয়ে তাদের শরীরবৃত্তীয় যে বৈশিষ্ট্য ছিল তা হারিয়ে ফেলে,যে কারনে নানাবিধ রোগ আর জড়ায় মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়ে জীবন চক্র ছোট হয়ে আসে। এ সকল সংকট মোকাবেলায় তারা হয়ে ওঠে আরো কৃত্রিম, নিয়ে আসে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি, তাতে করে কিছুটা গড় আয়ু বাড়ে তবে তা মোটেও সভ্যতার শুরুর আগের পর্যায়ে যেতে পারেনি এবং সুদূর ভবিষ্যতেও তার তা অর্জন করতে পারবে না। পারবে পরিপূর্ণ কৃত্রিম প্রানিতে পর্যবসিত হতে।
আর এর সাথে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেবে প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান। তার প্রধান নিয়ামক হবে নানা অকারনে যুদ্ধ। যা ধ্বংস করবে প্রকৃতি ও প্রতিবেশের সাথে সাথে নিজেদেরকেও। তবে প্রকৃতি তার অবিনাশী বৈশিষ্ট্য দিয়ে তার ক্ষতিকর উপাদান নির্মূল করতে পারঙ্গম। তাই হয়তো সবুজ এ গ্রহে মানুষ একটি বিলুপ্ত প্রানি হিসেবে থাকবে সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়!
তাহলে এর সমাধান কি?
এর সমাধান, মানুষকে পরিবেশের সাথে মিশে যেতে হবে। তারাও যে পরিবেশের একটি উপাদান এটা মেনে নিতে হবে (মানুষ যে পরিবেশের একটি উপাদার এটা তারা ভুলে গেছে অথবা তারা তা মানেই না) তাদের শ্রেষ্ঠত্ব কে খারিজ করতে হবে। ধীরে ধীরে খাপ খাওয়াতে হবে পরিবেশের সাথে। সময় নিয়ে মানুষকে ফিরে যেতে হবে তার উৎসে।হয়তো শত বছর লাগতে পারে অথবা আরও বেশি।তবে কালের পরিক্রমায় তা অনুপল সময় মাত্র!
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লিখনী।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: একদিন এই পৃথিবীতে এক জন মানুষও থাকবে না, এটা ভাবতে আমার কষ্ট হয়।