![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিভৃত চাষি, এক খন্ড জমির খোঁজে...
দৃশ্যের পাশে পড়ে আছে সমস্ত সংসয় ----
কি ভাবে ঘুমের মত ভাষাহীন হওয়া যায়
বলেছে যা নৈঃশব্দে -- কি ভাবে কি পৌঁছায়
প্রতিটি দরজার পাশ দিয়ে পথ চলে যায়
কতটা নিভৃতে মরে যাওয়া যায়...
দূরতম-দিন,
ছায়ার পাশাপাশি ছায়া
হেঁটে গেছে প্রাচিন রমণীরা;
পুত্রের কানে বাজে মসগুল পথিকের সুর
মা বুঝি সেই পথিক
আমি যেন তার সহচর ---বিব্রত শ্রোতা এক,
আমার জন্ম কোনো সুবহেসাদিকে
মায়ের কোল থেকে আরেক কোলে।
শূন্যস্থান পুরনের...
পথের বাঁকে যেমন পথ ঘুরে যায়
পিতাও হারায় যেন পুতের ছায়ায়
মেমোরি উসকে দেয় সাদা ট্যালকম
তখনো ছিলো জল শ্রাবণ ঘনায়
ডাকের ওপাশে নড়ে অনুচ্চ আভাস
জন্মের সাথে বাড়ে কালো মেলানিন
কন্ঠির হাড়ে কূট বিরান বাতাস
জলের...
পূর্বোক্ত মতে ছিলাম আমি মনু পুত্র
কিংবা হাওয়ার গর্ভে, আদম জাতক
মাটির পুতের দেহে, কিড়া রোগ শোক
কিছুই কি জানি তার ভেদ মন্ত্র সূত্র;
আহার্যে লাঘব ঘটে দেহজ বেদন
যদিও হারাই তাও ভোজ অন্নকূটে
মহর্ষি বাক্য...
অকস্মাৎ বৃষ্টি
আম্মা আড়ালে গেলে
ঝাপসা দৃষ্টি।
একটি মক্তব
শীতে জবুথবু ভোর
শিশুরা উষ্ণ চাদর।
একা হলেও
কে যেন হাটে সাথে
চেয়ে দেখি মা।
জোড়া দুটি গাছ
বায়ুতে কাঁপে পাতা
বলে কি কথা।
গাছকে বলি মা
অফল গাছটিও
যেন মা গাছ।
বৃষ্টিতে...
জোড়া দুটি গাছ হাওয়ায় কাঁপে বহু পাতা
কে বঙ্কিম আর কে ঋজু সরলতা
মানুষের দিকে যদি থাকে বৃক্ষের সাযুজ্যতা
পাতার ইংগিতে খোলে ভাষার মৌনতা
গাছের কি থাকে যোগাযোগ কোন ভাষা?
শব্দের চেয়ে ভিন্ন...
আমাদের পানি তোমাদের রক্তে হলো জল
তোমাদের জল আমাদের রক্তে হলো লাল
আমাদের এপার অথবা তোমাদের ওপার
এখানে পোড়ে মন্দির ওপাড়ে মসজিদ ঘর
একই নদী বহে তুমি জানো গঙ্গা আমি মানি পদ্মা
এখানে...
প্রতিবেশ ও পরিবেশের প্রেক্ষিতে মানুষ মুলত একটি পরজীবী প্রানি।মানুষ প্রকৃতিকে রোগগ্রস্ত আর বিরক্ত করে চুরান্ত পর্যায়ে নিয়ে এনেছে।তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ দাবি করে আর মেনে নিয়ে,নিজেদের মুলত দূর্বল আর ভঙ্গুর করছে...
এই খানে রেখ গেছো যারে
নিয়তে রেখ যেমন রেখেছে
মাটির আগল তারে
দুয়ারে জোনাকির ভিড়
আলোর প্রার্থনা শান্তির।
ভিড় করে এসো প্রিয় সুহৃদ সখা,
দিয়ো তবে কিছু ধুলা বুকের উপর
যা ছিল তোমার করোতলে...
সরিষা ক্ষেতময় সারাদিন
মধুভার মৌচাকে ভায়োলিন
কাঠচেরা হাহাময় সারাদিন
করাতের হ্রেসায় সমাসীন
বিষখালী নদী তীর বুধবার
বাকু বাদশাহর মজলিশ
জঙ্গমে কাঁপে কচি বুক তার
আজনবি চোখেতে সে নবিশ
ঠোঁটের উপর ফোটে তাসাহুদ
মুনাজাতে ঝরে মোর সে দাবি
রাত্রির...
ঘরের অধিক তুমি তুলেছো যে দ্বার
অসুখের চেয়ে বেশি দাওয়া গুরুতর
হাড়ের গভিরে যত ক্ষত রক্ত নিলাভ
তৃষ্ণার ঠোঁটেতে হেমলক পাপতাপ
ধরণির থাকে দেশ জঙ্গযখ কাঁটা
অমৃত টানো তুমি গরলে নিলকন্ঠা
বায়ুর মায়া টানে, ফেরে চতুুর...
জানোতো সরল পথে নেমে আসে রোদ
স্কেলে রুল টেনে নিলে বাঁকে না মার্জিন
একই বলয়ে ঘোরে বিশ্ব জল জোয়ার
তবুও দেখা হয়না কারো সাথে কারো।
পকেটের নিচে যে ধুকপুক বাজে হরদম
সেও তবে ভুল করে...
❑
ফিরলো যদি মাষকলাই ক্ষেতে
শীত বিকালে হলুদ কার্ডিগান
ছেড়া জুতার একলা খালি পা
অস্তগমন মুখের অভিমান --
সহজ হাওয়ার শীতল আঙুল
ছুঁয়ে দিলে পড়শি বাড়ির ছেলে
পত্রমিতা সেও তো দূরের স্রোতা
চিঠির ভাষা ভিজলো ছলাৎছলে
সইয়ের...
©somewhere in net ltd.