![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিভৃত চাষি, এক খন্ড জমির খোঁজে...
পরপুষ্ট কোকিল আমি নাঙের পুত
ডাকিনী সাপানী জানি ভেদ মন্ত্র নাম
আতর কিনিয়া বেচি বেনিয়ার সুত
পশ্চিমে যাইতে মানা সর্ব পূর্বে ধাম
ছলন জানিনা কিছু সুপুত্র সুবোধ
ছুঁই জল ধরি মাছ জলের অতল
কৌটার ভোমরা...
শূণ্য মেলের ধুধু জংশনে
কি উদ্দেশে ফুরায় হাওয়া
ভাবি কি তরায় নৌকা ডুবে
কারো আর হয়নি যাওয়া
তোমাকে ডাকছি অনর্থক
ফিরায়ে দিচ্ছে প্রতিধ্বনি
দুটি তীর শুধু অপচয়
ভূমি ক্ষয়ে ভাঙে দেহখানি
জপেছি রাতের আঙুলের
সহসা সরল অন্ধকার
তুমি...
কলসির সবটুকু জল ঝরে যাক অবিরল
আমার তৃষ্ণার তরে তবে তোমার জলের দাবি
ভাঙে যদি তোমার কুজা আমার বাসনা বিফল
বিত্তে বিমুখ চাইনা মনি, আমি তোমাতে অভাবী
তাম্বূল পাতা মুখের আদলে সাজানো...
সত্যের মত করে বলে গেলো যে ভাষণ
আমি সে ছুড়ির নিচে গলা পেতে দিয়েছি
ইহা একটি পূণ্য
অথবা ইব্রাহিমের বিশ্বস্ত হাত ভেবে
গলা বাড়িয়ে দিয়েছি আমি পুত্র তোমার
চেয়ে দেখি ভেসে গেছে ভাইয়ের গলা
তোমার হালালা...
কলসির সবটুকু জল ঝরে যাক অবিরল
আমার তৃষ্ণার তরে তবে তোমার জলের দাবি
ভাঙে যদি তোমার কুজা আমার বাসনা বিফল
বিত্তে বিমুখ চাইনা মনি, আমি তোমাতে অভাবী
তাম্বূল পাতা...
তুমি যে কার মর্মকথায় বাজো
দুর্বিপাকে খামচে ধরো আঙুল
দুটি পারের হয়নি দেখা আজো
মাঝ নদীতে অমীমাংসিত ভুল
দু-কূল ধূধূ ছলাৎ জলের মাঝে
নামলে তোমার জোড়া মুখি চাঁদ
লেপটে গেলে আচল টানো লাজে
ভিনদেশি চোখ হানলে অকস্মাৎ
ষোলোর...
আত্ম হত্যার পদ্ধতিতে হারিকিরি মনে হলো শ্রেষ্ট,
আর খুজে নিলাম এক প্রবীণ সামুরাই যোদ্ধা
যে আমাকে শিখাবে এ আত্ম হনন কৌশল।
তার আছে দৈর্ঘ্যে প্রস্থে ঔজ্জ্বল্যে আদর্শ তরবারি
আর তাকে বললাম যেহেতু আপনি শেখাবেন
তাই...
চলে যায় হাওয়া ---
মুখস্থ নিয়মে উড়ে যায় বায়ুর বহর
স্পর্শে ছুয়ে যায় সব পথ ও পাথর
সমস্ত দৃশ্য ছবি ---- পথে, আলোতে,আধারে
সেখানেই উড়ে যায় ------হাওয়া
কি সহজে ছুঁয়ে যায় মৃত্যের...
বাতাসের কাছ থেকে ফুল যত দূরে লুকাতে পারে
এর চেয়ে বেশি দূরে যেতে পারিনি, নুরুন্নাহার---
তোমার সমস্ত জুড়ে যে আগরের ঘ্রাণ
পাশ ফিরে ছড়িয়ে যাও একান্ত ঢংয়ে
একটি বিকেল ভেঙে দিয়ে
ঘরে ফিরে...
নাইওরীর শাড়ীতে দুধ সাদা ফুল
প্রহরে প্রহরে বাড়ে গতরের জ্বর
মরদের খোয়াবে কে পুঁছাবে খবর
বেলেহাজে পড়ে স্বামী সহজ কবুল
তবকের ওমে ফাঁপে পুরান সেমিজ
কাচারি ঘরে ঘুমায় কাঁচা জাইগির
দ্বিপ্রহরে শুধে কনে খোয়াব...
মরুদ্যানে নামে সে খোদার মেহমান
পাথরের পুত্তলিকা ভাঙে খানখান
হেরার বুকেতে নামে জিব্রাইল দূত
পড় তার নামে যিনি মহান মাবুদ
সওয়াল জওয়াবে উড়ে রফরফ
হাওয়ার বেগে ছিল কোন মাজাহাব
খরিদ ক্ষমাতে কাঁদে হাবসি গোলাম
উষ্ট্রের গ্রীবা ভাজে...
ফি বছর তুলবে আবার মাটির চাঙড়
জুড়ে হাল ঠেলবে নাঙল তীক্ষ্ণ ফলায়,
কে আর ভাঙবে নিশীর জমির আলের,
পোড়া ধান কৃষাণ বিবি তুলবে গোলায়,
দাইবে না ধান ভোলার জমায়,
জলের দামে বেচবে কি সে মৌলতা...
কৃষি বিনিময়
--
আনাজের গোল বঁধু বুকেতে তোমার
গৃহস্থ লাঙল তুমি খোদার সহায়
জমির আলে রোপিত কৃষি নিরাময়
গহনার হেম বঁধু তোমার খামার
ভালোবেসে বীজতলে রোপো ধাতুবীজ
শিশু মুখে ঢালো সাল দুধ গুনাগুন
পিতলের বাকসো না পায় ফেরাউন
গলেতে...
সরিষা ক্ষেতময় সারাদিন
মধুভার মৌচাকে ভায়োলিন
কাঠচেরা হাহাময় সারাদিন
করাতের হ্রেসায় সমাসীন
বিষখালী নদী তীর বুধবার
বাকু বাদশাহর মজলিশ
জঙ্গমে কাঁপে কচি বুক তার
আজনবি চোখেতে সে নবিশ
ঠোঁটের উপর ফোটে তাসাহুদ
মুনাজাতে ঝরে মোর সে দাবি...
আমি কি পালিয় যাবো প্রভু?
আমি তো চিনিনা ভিন্ন কোন পথ
জন্ম আর মৃত্যুর এই মধ্য সময়;
আমি কি সমস্তই জীবনের দাস?
আনন্দ আর পাপের ভিতর,
বিরোধ আর পূণ্যের কাছ থেকে
আমি কি পালিয়ে যাবো...
©somewhere in net ltd.