নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিক্রিয়ায় বিক্রিত মনুষ্য।

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড

বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে  সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন  একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনযুদ্ধে বাঙালি

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

হঠাৎ চিল্লাচিল্লি,  অদ্ভুত এক ভারী বিষন্নতা যেন পুরো এলাকাজুড়ে নিবৃত্ত হয়ে আছে। নিয়াজ বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে?  সে সবার কাছে জানতে চাচ্ছে আসলে কি হয়েছে আজকে এলাকায়। কেও কিছু বলছে না, শুধু বিষন্ন মুখ নিয়ে দেখে আছে সবাই।

অপুর্বার মা  নিয়াজের মাকে ধরে কাঁদছে,  সাদা পাঞ্জাবী ও জীর্ণ এক ধূতি পরে মাটির দেওয়াল ধরে কাঁদছে অপুর্বার বাবা।

চারদিকে এক চাপা শুণ্যতা, হঠাৎ করে অপুর্বা এসে বলল আমরা চলে যাচ্ছি রে, নিয়াজ বলল,  কই যাচ্ছিস? অপুর্বা বড় একটা শ্বাস নিয়ে  বলল ওপার বাংলাই, এখানে আর থাকবে না। নিয়াজ কেন? শব্দটি বের না করে অপুর্বা দিকে তাকিয়ে আছে। তারা ২ জন বন্ধু,  তাদের বয়স এই ১১ বছরের প্রাণবন্ত কিশোরের মতো। মার্বেলের টুকানি শব্দ,  পদ্মার দৌড়ঝাঁপ নিয়ে সে ছেলে বেলা থেকে করে আসছে তার এই প্রাণের বন্ধু অপুর্বার সাথে, আজ এই পদ্মাকে জীর্ণ করে অপুর্বারা চলে যাচ্ছে কোন এক ভিন জায়গাই।



১৯৪৭ সাল,  বাঙালি ইতিহাসের পাতায় চির ধরল,  বাংলা ভাগ হবে। জিন্নার দ্বিজাতিতত্ত্ব হিন্দু মুসলিম এক থাকতে পারবে না। বঙ্গভঙ্গ রদ হলো ভাগ করা হলো এক আত্নাকে, ভাগ করা হলো এক জাতিকে ।

ভাগ করে দেওয়া হলো  নিয়াজ আর অপুর্বা মতো একটি কিশোর জীবনকেও,  কেও পদ্মা নদীর মাঝি হলো আবার কেও গঙ্গার স্রোতস্বিনী।

এই ৪৭ এর চিরের টোপ হয়ে কত বন্ধুত্বকে পদ্মা, গঙ্গার স্রোতে বিলীন হয়েছে সেটা হইতো কোন ইতিহাসের পৃষ্টায় লিখা থাকবে না। কিন্তু বাংলা যে শুধুই বাংলা।

তুমি আমি সবাই যে অ, আ, ই অক্ষরে গড়ে উঠা এক বাঙালি

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

এহসান সাবির বলেছেন: স্বাগতম।

বাঙালি ইতিহাসের পাতায় চির ধরল

এই ৪৭ এর চিরতা

বানান গুলি দেখবেন দয়া করে

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.