![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে
ছেলেটি জীর্ণ ছেড়া শার্ট, ফেটে যাওয়া প্যান্ট হালকা ধোঁয়াটে টাইপের শরীর বয়স কত বা হবে? এই ৫-৬ বছর। নাম তার বড়ই কঠিন নিথুর। নামের সাথেই কাজের মিল,নিথুর নিথুয়া পাথরের পৃথিবীর জীবন সংগ্রামে সে আজ লড়াকু সৈনিক।
সকাল শুরু হই পচা বাসি ভাত দিয়ে। বাবা রাস্তাঘাটে ঘুড়ে এবং একজন গাঁজা খোর। মা তাকে ছেড়ে পালিয়েছে পর পুরুষের সাথে তাই মা বাবা এই দুই শব্দের অর্থ আজ পর্যন্ত সে বুঝে নি। মা, বাবা স্নেহময় ভালবাসা থেকে সে আজ অনেক দূরে।
এই ব্যস্ত নগরীর কেও কাওকে চিনে না, কিন্তু নিথুরকে চিনে না এমন কোন অলি গলি আনাচেকানাচে নেই, জীবন সংগ্রামে ব্যস্ত সে। কিন্তু তার মুখের অচির হাসি যেন লেগেই আছে এক দুষ্ট ভরা মুখে।
এই নগরীর কেও কারো আপন না হলেও সে কিন্তু সবাইকে এক মায়া জালে আবদ্ধ করে তাদের আপন হয়ে যেতে পারে। অদ্ভুত এক শক্তিতে তার আপন দুনিয়াময় আজ যেন পুরো খেলার জায়গা, জীবনের চরকা বুনছে সে
ভাই! ভাই! । আমি হঠাৎ এই চিৎকার শুনে কিছুটা বিভ্রান্ত হলাম। দেখি নিথুর। উজ্জল হাসিমুখে তার ছোট ছোট পায়ে এগিয়ে আসছে আমার দিকে আমি হাত বাড়িয়ে দিবার সাথে সাথে দৌড়িয়ে আমার কোলে উঠল। আজকে সে ফুরফুরে মেজাজে আছে, কারণ ৫ দিন পর গোসল করেছে। ভাল পোশাক পরে পরিপাটি হয়েছে। আমার চোখগুলো তার সোনালি চুলের দিকে গেল কেমন অদ্ভুত ঝিলিক মারছে কেমন একটা গন্ধ পাচ্ছি সে আজকে চুলে তেল দিয়েছে তাই প্রচন্ড খুশি সে। নিথুর আমারে বলল সকাল ৪ টা বাজে আপনি এখানে কি করছেন? তার কথাই কিছুটা বিভ্রান্ত হলাম। আমি ভাবলাম সে পাগল নাকি আমি পাগল!!!! ২ চোখ মেলে চারদিক তাকালাম দেখলাম সূর্যি মামা তার রৌদ্রস্নেহ দিয়ে নগরের রাস্তাঘাট ধুয়ে দিচ্ছে, নগরের ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। সকাল ৭:৩০। বুঝতে পারলাম আমি পাগল হই নি, আমার মাথা ঠিক আছে কিন্তু এটা বুঝলাম নিথুরের সময় সম্পর্কে বোধ জ্ঞান এখনো হই নি।
এক অট্যহাসিতে ফেটে পরলাম, আমার হাসি দেখে সেও হাসতে শুরু করল বুঝলাম না কেন সে হাসছে। কিছুক্ষণ পর সে বলল তার ক্ষুধা পাইছে খাবে। আমি বললাম তারে আমারে খেয়ে ফেলতে ( দুষ্টামি করে) । সে বলল আমারে খেয়ে নাকি তার পেট ভরবে না তাই সে অন্যকিছু খাবে। সকাল বেলা আমারো ক্ষুধা পাইছিল তাই ২ জনে চললাম চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে। গিয়ে গরম চা নিয়ে বসলাম সে পরটা দিয়ে চা খাবে। তাই পরটার অর্ডার দিল। সে খাচ্ছে আর আমি তার খাওয়া দেখছি । সে খাচ্ছে পরটা চায়ের ভিতর চুবিয়ে পরটা উঠানোর সময় চারদিকে ফোটা ফোটা চা ফেলছে। অদ্ভুত এক ধরণের খাওয়ার স্টাইল দেখার পর তারে নিয়ে গেলাম এক বইয়ের দোকানে গিয়ে দেখলাম লাইব্রেরিয়ান ও তার বন্ধু মানুষ সোজা ঢুকে এক মিনা কার্টুনের কমিক্স নিয়ে আমার সামনে এসে বসল।
একটার পর একটা বিরামহীন প্রশ্ন করে যাচ্ছে, জানার কি তীব্র ইচ্ছা তার!!!! হালকা হলদে চোখে দুনিয়ার বিস্ময় এক আকুল আবেদন যেন।
সৃষ্টির লীলা খেলার সাথে সে খেলে যাচ্ছে লড়াকু সৈনিক হয়ে জীবন চরকা বুনছে আপন মনে।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছা ।।