নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিক্রিয়ায় বিক্রিত মনুষ্য।

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড

বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে  সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন  একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রক্তিম সূর্যের আলোক রেখা

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

আমাদের ছাত্রলীগ, আমাদের প্রাণের
সংগঠন একটিই নীতি একটি স্লোগান জয়
বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
১৯৪৮ সাল
৪ঠা জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফজলুর হক মুসলিম হলে পূর্ব পাকিস্তান
মুসলিম ছাত্রলীগ গঠিত হই, বঙ্গবন্ধুর
হাতে।
ছাত্রসমাজের হৃদস্পন্দনের
ধ্বনিতে রাষ্টভাষা বাংলার
দাবি ৫২। শুরুতে ৪৮
সালে মার্চে তৎকালীন ছাত্রলীগ ও
তমুদ্দন মজলীশ
ভাষা দাবিতে আন্দোলনের করে,
পিকিটিং করা অবস্থাই নেতা শেখ
মুজিব ,শামসুর হক, অলি আহাদসহ গ্রেফতার
করা হই। সেই ছাত্রসমাজ
ফুঁসে উঠে রাষ্টভাষা বাংলার দাবি,
পরবর্তী এর চূড়ান্ত রুপ নে বন্দী
লীগ নেতাদের মুক্তির
দাবিতে আমরা পাই ৫২ এর ২১
ফ্রেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলা।
বাঙালির আবহমান কালের
থেকে রয়েছে অসাম্প্রদায়িক
চেতনা হিন্দু মুসলিম সকলে আমরা এক
জাতি বাঙালি । মুসলিম লীগের
দ্বিজাতিতত্ত্ব থেকে বের হয়ে গঠিত
হয় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ ও
আওয়ামীলীগ।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন তারও মূল
উদ্যোগ আওয়ামীলীগের। ২১
দফাকে সমর্থন করে যুক্তফ্রন্ট সরকার
ক্ষমতায় আসে, কিন্তু পাকরা তা সহ্য
করতে পারে নি বাঙালিদের এই বিজয়।
তাদের মিথ্যা তালবাহানায় যুক্তফ্রন্ট
সরকারকে বরখাস্ত করা হয়, মাত্র ৫৪ দিন
এই সরকার ক্ষমতায় ছিল।
সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে প্রথম
প্রতিবাদ তুলে এই ছাত্রলীগ। বাঙালির
অধিকার আদায়ে জন্য
লড়তে ছাত্রলীগের পতাকা তলে ভীড়
করতে থাকে হাজারও তরুণ ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদ দিলাম
গ্রাম থেকে গ্রামে প্রত্যক স্কুলে তখন
ছাত্রলীগের জয় ধ্বনি।
১৯৬২ সালে আইয়ুবের প্রস্তাবিত শাসন
তন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব
নিয়ে ছাত্রসমাজে প্রতিবাদের ঝড়
উঠে। ৬৬ এর বাঙালির প্রেরণা ৬ দফা,
৬৮ এর ছাত্রলীগের ১১ দফা প্রথম
স্লোগান হই জয় বাংলা।
বঙ্গবন্ধুরে আগরতলা মামলাই গ্রেফতার
করলে জনগণ ফুঁসে উঠে শিক্ষক থেকে শুরু
করে কৃষক রাস্তায় নেমে আসে ৬৯ এর গণ
আন্দোলন। শহীদ হয় ঢাকা ভার্সিটির
ছাত্র আসাদ।
২২
ফ্রেব্রুয়ারি মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য
হয়, ২৩
ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ
শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন।
আইয়ুব পতন হয়।
চারদিকে জয় বাংলা জয় ধ্বনি, সবার
মুখে এক স্লোগান শেখ মুজিবের পথ ধর
বাংলাদেশ স্বাধীন করো।
৭০ এর নির্বাচন নিরঙ্কুশ
আওয়ামীলীগের জয়। ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর
চক্রান্তে বাঙালিকে গদিতে বসতে দেওয়া হই
নি,
পাকরা ঝাঁপিয়ে পরে বাঙালিদের
উপর ছাত্রসমাজ
বসে থাকে নি ছাত্রলীগ গঠন
করে মুজিব বাহিনী। ১৭,০০০ বা তার
থেকে বেশি ছাত্রলীগ কর্মীর
রক্তে রাজপথে আকা হয়েছিল
স্বাধীনতার স্বপ্ন। ৭১ এ এরকম এক
ছাত্রলীগ নেতা যুদ্ধাবস্থায়
মাকে চিঠি লিখিছিল
তা নিচে দেওয়া হল:
২৯ এ মার্চ / রাজশাহী ১৯৭১
চিঠি লেখকঃ শহীদ কাজী নুরুন্নবী।
১৯৭১ সালে রাজশাহী মেডিকেল
কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র এবং কলেজ
ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিব বাহিনীর
রাজশাহী বিভাগের প্রধান ছিলেন। ১
অক্টোবর ১৯৭১
নুরুন্নবীকে পাকিস্তানি বাহিনী আটক
করে শহীদ জোহা হলে নিয়ে যায়। তাঁর
আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের
একটি হোস্টেল তাঁর নামে রয়েছে।
চিঠি প্রাপকঃ মা নুরুস সাবাহ
রোকেয়া। শহীদের বাবার নাম,
কাজী সাখাওয়াত হোসেন।
ঠিকানাঃ লতা বিতান কাজীপাড়া,
নওগাঁ।
চিঠিটি পাঠিয়েছেনঃ ডা. কিউ এস
ইসলাম, ১৮ শান্তিনগর, ঢাকা।
২৯ শে মার্চ/রাজশাহী'৭১
আম্মা,
সালাম নেবেন।
আমি ভালো আছি এবং নিরাপদেই
আছি। দুশ্চিন্তা করবেন না। আব্বাকেও
বলবেন। দুশ্চিন্তা মনঃকষ্টের কারণ
ছাড়া আর কোন কাজে আসে না।
এখানে গতকাল ও পরশু Police বনাম Army-র
মধ্যে সাংঘাতিক সংঘর্ষ হয়ে গেল।
শেষ পর্যন্ত আমরা জিততে পারিনি।
রাজশাহী শহর ছেড়ে লোকজন সব
পালাচ্ছে। শহর একদম খালি। Military
কামান ব্যাবহার করছে। ২৫০ মত Police
মারা গিয়েছে। ৪ জন
আর্মি মারা গিয়েছে। মাত্র।
রাজশাহীর পরিস্থিতি এখন Army-
আয়ত্তাধীনে রয়েছে। হাদী দুলাভাই
ভালো আছেন। চিন্তার কারন নেই।
দুলি আপার খবর বোধহয় ভালোই। অন্য
কোথায় যেন আছেন।
আমি যাইনি সেখানে।
পুষ্প
আপা সমানে কাঁদাকাটি করে চলেছেন।
ধাকার ভাবনায়। ক'দিন
আগে গিয়েছিলাম। ধামকুড়িতে বোধহয়
উনার মা আছেন। সম্ভব হলে খবর
পৌঁছে দেবেন। আমার জন্য ব্যাস্ত হবেন
না। যেভাবে সাধারণ
মানুষকে হত্যা করা হয়েছে,
সেখানে আমাদের বেচেঁ থাকাটাই
লজ্জার। আপনাদের দোয়ার
জোরে হয়তো মরব না। কিন্তু
মরলে গৌরবের মৃত্যুই হতো।
ঘরে শুয়ে শুয়ে মড়ার মানে হয় কি?
এবার জিতলে যেমন করে হোক একবার
নঁওগা যেতাম। কিন্তু জিততেই পারলাম
না।
হেরে বাড়ি যাওয়া তো পালিয়ে যাওয়া।
পালাতে বড্ড অপমান বোধহয়। হয়ত তবু
পালাতেই হবে। আব্বাকে ছালাম।
দুলুরা যেন অকারণ কোনোরকম risk
না নেয়। আমার ব্যক্তিগত
অভিজ্ঞতা থেকে বললাম কথাটা।
তাতে শুধু শক্তি ক্ষয়ই হবে।
দোয়া করবেন
ইতি
বাবুল, ২৯/
এভাবেই ছাত্রলীগ
কর্মীরা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিল
নতুন পুষ্পেভরা দুনিয়ায়।
ছাত্রলীগ তার নীতি আদর্শকে ধারণ
করে গণমানুষের আন্দোলনে আজও
সোচ্চার, কিন্তু গুটিকয়েক ভীম্রুল
ছাত্রলীগের মধ্যে ঢুকে বারবার
ছাত্রলীগকে তার
কার্যক্রমে বাধা প্রাপ্ত করেছে।
ছাত্রলীগের জন্মদিনে আমার একটিই
অনুরোধ এসব ভীম্রুল কে যেন যথাযথ
চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হয়।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় ছাত্রলীগ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.