![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে
ছোটবেলায় যখন প্রাইমারীতে ছিলাম,
দেখতাম বড় ভাইয়া আপুরা গুরুজনদের
দোয়া নিত এক বিশেষ দিনে। পাড়ায়
মহল্লায় চলত বিশেষ প্রার্থনা,
মসজিদে বিশেষ করে জুমার দিন
মোনাজাতে দোয়া দরুদপাঠ করত।
অনেক জিজ্ঞাস
করে চিন্তা ভাবনা করে বুঝতে পারলাম
এর কারণ, কারণটি হল এস.এস.সি পরীক্ষা।
আপার থেকে জানতে পেরেছিলাম এই
পরীক্ষার জন্য ১০ বছরের সাধনা প্রয়োজন,
আমি তখন ক্লাস ৩ কিংবা ৪ এ
পড়ছিলাম, কৌতুহুল প্রবণতার
কারণে সবসময় সবকিছুতে আমার কৌতুহুল
ছিল আকাশছোয়া।
পরে আসতে আসতে বুঝতে পেরেছি এটাই
ছাত্রজীবনের বড় পরীক্ষা।
এখন আমি সেই ১০ বছরের সাধনার
পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছি,
চারদিকে একধরণের চাপা আমেজ
আমেজটি কোন আনন্দের নয় ভয়ের। আমার
আব্বা আম্মা হাসি মুখে আমার
ভাইয়া আর
আপুকে সে পরীক্ষা দিতে নিয়ে গিয়েছিল,
আর আজকে সেই হাসি ভরা মুখে ছাপ
ফেলেছে চিন্তার।
আর সেই চিন্তা হল, হরতাল
কিংবা অবরোধ। হরতাল বা অবরোধ হই
গণমানুষের আন্দোলনের আরেক না কিন্তু
আমাদের দেশে
হরতালে হই মানুষ পুড়ানোর মহাযোগ্য আর
ককটেল হই একজন মানুষকে মারার হীন
চেষ্টা।
আমি রাজনীতি বুঝি না, তবে বই পত্র
বা পেপার থেকে যা বুঝেছি কোন এক
বিশেষ রাজনীতিক দল ক্ষমতায় আসার
জন্য বারবার এই হীন কর্মে লিপ্ত থাকে।
কিছুদিন আগে আমার মতোই এক
পরীক্ষার্থী ককটেলের হামলায় গুরুতর
আহত হয়েছিল, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তার
চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
যাই হোক আমরা কেন? এই রাজনীতিক
সহিংসতার স্বীকার হচ্ছি, কেন
আমি বা আমার বন্ধুরা স্কুলে যেতে ভয়
পাচ্ছে? এটাকে তো গণতন্ত্র বলে না।
আমাদের ভবিষ্যৎ দায়ভার কে নিবে?
আমরাও তো সুশিক্ষায় শিক্ষিত
হতে চাই, প্লিস আমাদের
থেকে এভাবে আমাদের স্বপ্ন
কেড়ে নিবেন না।
স্বপ্ন নিয়ে বেচে থাকার অধিকার কি তাদের নেই?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
পরীক্ষা সামান্য পেছনে যাবে; দেশ সন্ত্রাসীরা দখল করেছে, দেশ মুক্ত হোক।