নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিক্রিয়ায় বিক্রিত মনুষ্য।

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড

বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে  সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন  একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তির কাহিনী একজন মুজিব আদর্শের পিতা

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪১

হ্যাঁ তিনিই বাঙালির জাতির জনক এবং তিনিই জয় বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা। আর তাঁকেই ভালবেসে বরণ করেছিল সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাকে নিয়ে লিখা  শুরু করা যাবে কিন্তু সে লিখার শেষ নাই।
কলমের কালিও শেষ পর্যন্ত ঐ ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের কাছে নত করে এক অপার শ্রদ্ধাভরে।
আমি তাঁরে নিয়ে আজ লিখবো না, লিখবো ৭১ সালে তাঁর আদর্শকে বরণ করে নেওয়া এক পিতা ও পুত্রের গল্প,

না এটা কোন শহর নয়, একটি গ্রাম চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কি.মি দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলা বরুমচড়া ইউনিয়ন।
মোহাম্মদ ইদ্রিস এই এলাকার এক সাধারণ তরুণ। তার বাবা তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং একনিষ্ঠ আওয়ামীলীগ সমর্থক নুর আহমদ।
ইদ্রিস কিন্তু রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল না তার পিতার মতো।  কিন্তু স্বপ্ন দেখতো আর দশটা মুক্তিকামী মানুষের মতো দেশটারে জয় বাংলা স্লোগানে স্বাধীন করতে।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলা মাকে বাঁচাতে ইদ্রিস মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিলো।

৯ অক্টোবর ১৯৭১, একই উপজেলার বটতলী রুস্তম হাটে ধরা পরলেন মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস। তাঁকে দেখে রাজাকার কুলাঙ্গাররা আর অপেক্ষা করলো না ৩ সে.মি গুলিতে তাঁকে থেথলিয়ে ফেলা হলো। কিন্তু তিনি তখনও মরে নি। মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটপট করতে করতে তিনি গড়িয়ে গড়িয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেই।
কিভাবে যেন রাজাকাররা বুঝতে পারে ইদ্রিস মারা যান নি। রক্তের দাগ অনুসরণ করে রাজাকাররা ইদ্রিসকে আবার ধরে ফেলে এবং কয়েক রাউন্ড গুলি করে অনেকে বলে ঐটা আর শরীর ছিল না কিছু তরল খন্ডকার মাংশপিন্ড।
ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস হত্যার খবর তার পিতা জানতে পারে। রাজাকার কমান্ডার এই ফাঁকে এক কূট ষড়যন্ত্র আটে ইদ্রিসের পিতা  নূর আহমদকে ধরার জন্য কারণ তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধের একান্ত সমন্বয়ক । ছেলে মরে নি এরকমই একটি চিঠি দিয়ে ছেলেরে নিয়ে যেতে রাজাকার অফিসে আসতে বলে রাজাকার কমান্ডার।

চিঠির জবাবে নূর আহমদ একজন পিতা কি বলেছিলেন, জানেন? সে এমন এক জবাব যা শুধুই বাঙালি পিতারাই পারে।

তিনি বলেছিলেন,  "এদেশের হাজার ছেলের মতো আমার পুত্রও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হবে,  তাতে কষ্ট কিসের? "

সন্তানের রক্ত আর ঐ পিতার কঠিন ব্যক্তিত্বের এক দেশপ্রেমে আমরা পেয়েছি একটি লাল সবুজের পতাকা।
আর ঐ পতাকাটি  বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনার, আমার এবং সবার।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.