![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে
হাতে স্টার সিগারেট ২ পয়সার সিগারেট এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ আনায়। সিগারেট পাওয়ায় এখন দুর্লভ হয়ে উঠেছে।
পাকি গুলার দালাল শান্তি কমিটি আর রাজাকারের বাচ্চাগুলা গ্রামের পর গ্রাম জালিয়ে দিচ্ছে।
সিগারেটের ধোয়া বেরুচ্ছে আর মনে মনে গালাগাল দিয়ে যাচ্ছে কিশোর আনোয়ার।
বন্ধু কালামের জন্য সাঙ্গু নদীর ধারে অপেক্ষায় আছে, মুক্তিযুদ্দের ট্রেডিং এর জন্য ওপার বাংলাই যেতেই হবে থাকে।
যদিও সে এক পাপ কাজ করে ঘর থেকে বেড়িয়েছে , তবে মনে মনে বলতে থাকে দেশটা স্বাধীন করাই আসল কাজ। ঘরের ধানের গোলা থেকে সে প্রায় কয়েক মন চাল বিক্রি করে টাকা নিয়ে তারপর সে পথ ধরেছে।
বৃষ্টি পরছে আবার রোদের ঝিলিকও মারছে, গ্রাম্য ভাষায় খেক শিয়ালের বিয়ে হচ্ছে। পাকিস্তানের শেষ ব্যাচের মেট্টিক পরীক্ষার্থী আনোয়ার, কিন্তু তারা এবার পরীক্ষা দিবে না দেশটা স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত।
আনোয়ার নদী দেখে আর ভাবে গত ৩ টি বছর সে জয় বাংলার রাজনীতি করতেছে , তাদের উপজেলায় কলেজ নাই কিন্তু এখানের ছাত্র রাজনীতি পরিচালিত হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রদের হাতে।
স্কুলের শেষ এসেম্বেলিতে সবাই মিলে " আমার সোনার বাংলা গাইছিল " সেবারই তাদের উপর শান্তি কমিটির লাঠিয়াল বাহিনী ধারা সে মারাত্নক জখম হয়েছিল।
এইসব কথা ভাবতে ভাবতে মনে হলো, পিছনে কেও তার পিছনে রিভালবার ধরছে, এই প্রথম রিভালবারের স্পর্শ! ১৬ বছরের কিশোর আনোয়ার চিৎকার করার সুযোগ পেল না। তারে বেধে নদীর পাড়ের গ্রামের ভিতর নিয়ে এক ধানের গোলায় বন্ধী করা হলো।
হঠাৎ করে আনোয়ার তার মায়ের কথা ভেবে ভেবে কাঁদতে শুরু করলো।
অনেকক্ষণ পর বাইরে বন্ধু কালামের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, আনোয়ারের চোখ ঝকঝকে হয়ে উঠলো।
তার বন্ধু কালাম ঐ রিভালবার ওয়ালা মানুষটারে ওস্তাদ বলে সম্মান করতাছে দেখে, আনোয়ার কিছুটা অবাক হলো ।
কালাম ধানের গোলা খুলে দেখে এটা তো তারই বন্ধু আনোয়ার ! কিন্তু তার ওস্তাদ এভাবে বেধে রাখলো কেন?
পরে ওস্তাদরে কালাম যখন বলল, এই তো ওপার বাংলার যাত্রী।
তখন ওস্তাদ কিছুটা লজ্জিত অনুভব করছিল। কারণ সে ভেবেছিল আনোয়ার চাতরি ইউনিয়নের শান্তি কমিটির অনুচর হিসেবে নদীর ধারে দাঁড়িয়েছিল।
পরে আনোয়ার জানতে পারে তাদের উপজেলার একমাত্র বাঙালি সেনাবাহিনী পাকিস্তান ক্যান্টারমেন্ট থেকে এখানে আসছে এবং তাদের ওপার বাংলাই নিয়ে যাবে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেডিং এর জন্য।
আনোয়ার তখন মনে মনে বুঝতে পারছে যুদ্ধ তাহলে শুরু হচ্ছে আর যুদ্ধের ভয়াবহতা ইতিমধ্যে মানুষের জীবনের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলাচ্ছে।
পরে ওস্তাদ সম্পর্কে জানতে গিয়ে সে আরও জানতে পারে, ২ দিন আগে যখন পাকিরা আক্রমণ করেছিল গ্রামে তখন তার বেশিরভাগ আত্নীয়কে মেরে ফেলে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সে শোকে ওস্তাদ কিছুটা মেজাজি হয়ে উঠেছে।
[ উপরোক্ত ঘটনা চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে গল্প শুনা,( সময়ের স্বল্পতা থাকার কারণে তিনি পুরো কাহিনী বলতে পারে নি)
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: জি ভাইয়া, আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল লাগল।
বানানের দিকে একটু নজর রাখবেন।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাইয়া। পাশে থাকবেন
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর ঘটনা ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০২
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাইয়া।
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বিস্তৃত বর্ণনা হলে ভালো হয়। বিবরণের ধারাবাহিতা কেমন জেন খাপছাড়া লাগল। যদিও সত্যি ঘটনায় হওয়ায় আপনার জাতে স্পেস কম। তারপরও। পাঠক হিসেবে চাওয়া পাওয়াটা বেশ দশ্যি।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৭
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: আমিই নিজেই খাপছাড়া মানুষ, তাই লিখাটাও খাপছাড়া।
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাল লাগল আপনার লেখনী।++
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫১
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল কাজ| পুরোটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন| তাদের অনুভূতিগুলো জানা দরকার