নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিক্রিয়ায় বিক্রিত মনুষ্য।

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড

বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে  সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন  একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ১৭ই মার্চ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

মার্চ মাস ১৯৭১, বাঙালি জাতি নিজেদের তুলে ধরছে  পাকিস্তান জিন্দাবাদকে লাথি মেরে।
স্লোগান শুরু একটাই জয় বাংলা।

রক্তঝরা মার্চ, বাঙালি তার স্বাধীনতার  গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে। বাঙালিদের দাবি একটাই তারা তাদের অধিকার চাই।

বাঙালি ভুলল না, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বাঙালির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন।

১৭ মার্চ ১৯৭১, সকাল থেকেই নেতা কর্মী,
শুভাকাঙ্খী, দেশী বিদেশী
সাংবাদিকদের উপচে পড়া ভীড় ৩২
নম্বরের বাড়ীতে।

সবাই অবাক!!! বাড়ি ভর্তি মানুষ এসেছে  ঠিকই কিন্তু কেক নেই,  মৌমবাতি নেই। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসাটির মধ্যে কোন উৎফুল্লতা নাই।

শেষ পর্যন্ত এক সাংবাদিক বলে উঠলেন,  " আপনি এত বড় নেতা! অথচ আপনার জন্মদিনে কোন কেক নেই, মৌমবাতি নেই।
উৎসব নেই কেন?

বঙ্গবন্ধু হঠাৎ আনমনা হয়ে গেলেন, অদ্ভুত এক দৃষ্টিতে ঐ সাংবাদিকরে তিনি কিছুক্ষণ দেখলেন এবং কি বললেন জানেন?
তিনি বললেন--

“আমি
যাদের নেতা, তাদের জন্ম-মৃত্যুর দিন তারিখের হিসাব কেউ রাখে না।
আমার ভাগ্যতো আমার জনগনের ভাগ্যের সঙ্গে একই সুত্রে বাঁধা।
তাইতো আমার জন্মদিনের কোন
আলাদা বৈশিষ্ট্য নেই; কেক নেই, নেই
মোমবাতির আড়ম্বর।
ওদের জীবন মৃত্যু নির্ভরশীল অন্যের
খেয়াল খুশীর ওপর। জন্মের পর থেকেই শুরু
হয় ওদের বাঁচার সংগ্রাম।
কিন্তু কার অদৃশ্য হাতের ইশারায় মৃত্যু
কখন ওদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে ওরা
জানতেও পারে না।
দেখছেন না - খুলনায়, চট্রগ্রামে,
রাজশাহীতে, ঢাকায় কিভাবে
আমার মানুষ মরছে! মানুষের মর্যাদায়
ওদের দাফনটুকু পর্যন্ত হচ্ছে না!
কেউ মরছে অনাহারে, কেউ বা রোগ
যন্ত্রণায়; আমি তো ওদেরই একজন।
ওদের জন্যেই আমি বেঁচে আছি! একদিন
হয়তো ওদের মতই সকলের অলক্ষ্যে
হারিয়ে যাবো!!


জি ভাই!! আপনারা যতই বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে কটাক্ষ করেন না কেন ,বঙ্গবন্ধু কিন্তুই বঙ্গবন্ধুই।
তাঁর মতো বাঙালি আর দশটা জন্মাবে না।

"যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা ততদিন রবে জয় বাংলার, জয় বঙ্গবন্ধুর ধ্বনির "

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.