নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিক্রিয়ায় বিক্রিত মনুষ্য।

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড

বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে  সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন  একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটাই স্বাধীনতা

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

ক্যান্টারমেন্ট থেকে একে একে বের
হচ্ছে জলপাই রঙের দানবগুলো। গুম গুম
আওয়াজ করে দানবরা এগিয়ে চলল।
ঢাকার ৪টি জায়গা তাদের মূল
টার্গেট : ঢাকা ভার্সিটি,
রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ইপিয়ার,
বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নং বাসা।
দানবগুলোর ইয়া বড় বড় মেশিনগান, মটার
শে'ল । রাস্তারধারে ঘুমন্ত
রিকশাওয়ালা সেদিনকার মতো
রাস্তায় ঘুমিয়ে, হঠাৎ উজ্জল আলোয় ২
সে.মি গুলি বেদ করে চলে গেল তার
মাথা দিয়ে মূহুর্তে তরল মস্তিষ্ক
ছড়িয়ে পরলো চারদিকে।
আশেপাশে ঘুমন্ত মানুষের উপর কাপুরুষ
পাকিস্তানিরা তাদের ম্যাশিনগান
চালাতে থাকে।
সঙ্গে যোগ দেই বিহারি সাচ্চা
পাকিস্তানি মুসলমান কারণ
বাঙালিরা মুসলমান ছিল না এই জন্য
ধরে ধরে বাঙালি জবাই দিতে ব্যস্ত।
দানবদের বুটের আওয়াজ ঢাকা
ভার্সিটির হল গুলো থেকে আর্তনাদ
ঘুমন্ত ছাত্রদের বুকের রক্ত ঐ দানবদের
চাই চাই। না দানবদের ক্লান্তি নেই।
জগন্নাথ হলের গুলির আওয়াজ শুনে
রোকেয়া হলের বুড়ো দাড়োয়ান তার
শক্ত লাঠি নিয়ে গেটের সামনে
দাঁড়িয়ে আছে।

ইতিমধ্যে রোকেয়া হলের মেয়েদের
মধ্যে ভয় কাজ শুরু করেছে।
মূল গেটে জোরে জোরে লাথি
মেরে উর্দুতে এক দানব বলল " খোল এই
দরজা " বুড়ো দারোয়ান জবাবে বলল
"কাবি নেহি " সঙ্গে সঙ্গে এক ঝাক
গুলি তারে উড়িয়ে নিয়ে গেল।
মেয়েরা যাই হোক এই পাকিদের
প্রতিরোধ করবেই কাঁচের বোতল মারা
শুরু করল কিন্তু না তারা পারল না ঐ
দানবদের সাথে আর তাদের কালো
হাত গিয়ে পরলো ঐ বীরাঙ্গনাদের
কাছে।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বাঙালি
সৈন্যরা তাদের সাধারণ অস্ত্র নিয়ে
প্রতিরোধ করতে চাইলে তারা পেরে
উঠে না ঐ পাকিস্তানি দানবদের
সাথে। লাল রক্তের দাগ সেই কালো
রাতকে লজ্জিত করেছিল। হইতো সেই
রক্ত বলেছিল স্বাধীনতা আসবেই।

ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা
দিয়ে দেন এবং তিনি বুঝতে পারেন
হইতো থাকেও তারা বাঁচাবে না,
নেতা কর্মীরা তাকে বারবার বলতে
থাকে আপনি চলুন আমাদের সাথে।
কিন্তু না তার কঠিন ব্যক্তিরুপে কারো
কথা বলার সাহস নেই।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পত্র :
ইহাই আমার শেষ বার্তা। আজ হতে
বাংলাদেশ স্বাধীন। আপনাদের যা
কিছু আছে তাই নিয়ে মোকাবেলা
করতে হবে। পাকিস্তানের শেষ সৈন্য
এবং চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত যুদ্ধ
চালিয়ে যেতে হবে।

২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর ম্যাসেজটি
চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের
হাতে পৌছাই।
তারা সকলে বৈঠকে সিন্ধান্ত নেন
কিভাবে বাঙালিদের কাছে
বার্তাটি পৌছিয়ে দিবে।
পরের দিন ২৬ মার্চ দুপুর ২টা ৩০
মিনিটে চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগ
নেতা এম.এ হান্নান ঘোষণা পত্রটি
পাঠ করেন।

এমবি সোয়াত জাহায চট্টগ্রাম
বন্দরে তৎকালীন চট্টগ্রাম ইস্ট
বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি
ক্যাপ্টেন রফিক বুঝতে পারে
পাকিস্তানিরা চট্টগ্রাম বন্দর
দিয়ে রসদ ও গোলাবারুদ আনছে। ১৯৭১
এর
২৪শে মার্চ রাতেই ক্যাপ্টেন
রফিকুল ইসলাম কার্যত বিদ্রোহ
শুরু করেন। তাঁর আদেশ পেয়ে
সীমান্ত ফাঁড়িতে বাঙালি
সৈন্যরা অবাঙালি সিপাহিদের
নিরস্ত্র ও নিষ্ক্রিয় করে
চট্টগ্রামে এসে প্রতিরোধ
যুদ্ধে যোগদানের জন্যে
প্রস্তুত হয়। এম. আর. চৌধুরী ও
মেজর জিয়াউর রহমানের
অনুরোধে সেদিন রফিকুল ইসলাম
তাদের চট্টগ্রামে আসার
নির্দেশ বাতিল করেন। কিন্তু
পরদিন ২৫শে মার্চ ১৯৭১ তারিখে
সংঘর্ষ প্রায় অনিবার্য
অনুধাবন করে ক্যাপ্টেন রফিক
সক্রিয় বিদ্রোহ শুরু করেন এবং
ইপিআরের অবাঙালি সৈন্য ও
অফিসারদের জীবিত অবস্থায়
বন্দী করে রেলওয়ে হিলে তাঁর
হেডকোয়ার্টার স্থাপন করেন।
তাঁর অধীনে ন্যস্ত সৈনিকরা
এম. ভি. সোয়াত জাহাজ থেকে
অস্ত্র খালাসের পথে
প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট
কর্নেল চৌধুরী ও মেজর জিয়াউর
রহমান সময়োচিত সিদ্ধান্ত
নিতে না পারায় ২০ বালুচ
রেজিমেন্ট -এর সৈন্যরা
চট্টগ্রামে অবস্থিত ইস্ট
বেঙ্গল রেজিমেন্টাল
সেন্টার-এর সহস্রাধিক বাঙালি
সৈনিক ও অফিসারকে সপরিবারে
নৃশংসভাবে হত্যা করে। মেজর
জিয়াউর রহমানের অধীনে ৮ম ইস্ট
বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর বাঙালি
অফিসার ও সৈনিকরা
ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগ করে
কালুরঘাট ব্রিজের দিকে
অবস্থান নেয়। কিন্তু রহস্যজনক
কারণে চট্টগ্রামের অন্যান্য
সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে
আগত ক্যাপ্টেন রফিকের অধীনস্থ
ইপিআর সৈনিকদের মেজর জিয়াউর
রহমান চট্টগ্রামে ক্যাপ্টেন
রফিকের বাহিনীর সাথে
যোগদানে বাধা দেন এবং ৮ম ইস্ট
বেঙ্গলের সৈনিকদের সাথে
কালুরঘাট ব্রিজ এলাকায়
অবস্থান নিতে বাধ্য করেন। এ
কারণে ক্যাপ্টেন রফিক
সেনাবলের অভাবে চট্টগ্রামে
যথাযথ দখল বজায় রাখতে ব্যর্থ হন
এবং এক পর্যায়ে পাকিস্তানি
সেনাবাহিনীর প্রচুর ক্ষতি
সাধন করে পশ্চাদপসরণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে ২৫ শে মার্চ
কালো রাতেই। ১৯৭২ সালে রবার্ট
পেইনের ম্যাসাকার বইতে বলা হয়, ২২
ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ সালে এক সামরিক
বৈঠকে ইয়াহিয়া বলেন,
ওদের মেরে ফেলো ,৩০ লাখ মারো
আর বাকিরা আমাদের খেয়ে পরে
বাঁচবে।
রবার্ট পেইনের মতে শুধুমাত্র ঢাকাতেই
২৫ মার্চ ৩০ হাজার মানুষ মরেছিল।

৪৪ বছর কেটে গিয়েছে এত গুলো বছরে
সূর্য উঠেছে ১৬,০৬০ বার।
কিন্তু প্রত্যেকবার এই সূর্য নতুন নতুন
উদ্দীপনা নিয়ে উদিত হই।
কিন্তু আজ বাঙালিরা তার ইতিহাস
ভুলতে বসেছে ,তার 'জয় বাংলা ' কি
সে নিজে জানে না। কারণ এত গুলো
সময়ে ঐ পাকি দালাল রাজাকাররা
আবার ফিরে এসেছে গোলাপি
শাড়ির আঁচলের নিচে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.