নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিক্রিয়ায় বিক্রিত মনুষ্য।

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড

বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে  সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন  একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৌ কমান্ডো ১৯৭১ সাল

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:০৬

এম আর আখতার মুকুল স্যারের সেই বিখ্যাত  'চরমপত্রের ' ভাষায় :

বাঙালি পোলাপান বিচ্ছুরা দুইশ ' পঁয়ষট্টি দিন ধইরা বংগাল মুলুকের কেদো আর প্যাকেরা মাইদ্দে ওয়ার্লড (world)  এর বেস্ট (best)  পাইটিং ফোর্সগো পাইয়া,... আহারে,  বাড়িরে বাড়ি!!  ভোমা ভোমা সাইজের মছুয়াগুলো ঘৎ ঘৎ কইরা দম ফালাইলো। ইরাবর্তীতে জনম যার,  ইছামতীতে মরণ।
( 'চরমপত্রের শেষ প্রতিবেদন থেকে) 


জি ভাইজান, আমাদের বাঙালি বিচ্ছুরা ১৯৭১ সালে পাইক্যা গুলারে পানির মধ্যে এমন ডলা দিছিলো যে ' অপারেশন জ্যাকপটের ' নাম শুনলে তারা এখনো আতকে উঠে।

নৌ - কমান্ড পরিচত :

যুদ্ধের সময় আলাদা একটি সেক্টরের নাম ' নৌ - কমান্ড '।  এর সার্বিক কমান্ডে ছিলেন মিত্রবাহিনীর অফিসাররা। ট্রেনিং ক্যাম্পের নাম ছিল ' কমান্ড ক্যাম্প '।  এ ক্যাম্পে ট্রেনিং শুরু হয় ১৯৭১ সালের ২৬ মে নদীয়া জেলার পলাশীর আম্রকাননে।  এর  সাংকেতিক নাম ছিল সি - ২ পি। ট্রেনিং ক্যাম্পের কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন সেমুন, ট্রেনিং  কমান্ডার ছিলেন লে: কর্ণেল মার্টিস।
প্রশিক্ষক ছিলেন ৮ জন বাঙালি নৌ- অফিসার , যারা ফ্রান্স  সফররত সাবমেরিন MANGO হতে চাকরিরত থাকাকালীন স্বাধীনতার জন্য  মুক্তিযুদ্ধে যোগদান উদ্দেশ্যে পালিয়ে এসেছিলেন। এরা হলেন,  আবদুল ওয়াহেদ  চৌধুরী,  রহমাত উল্লাহ,  আবদুর রহমান,  বদিউল আলম, আহসান উল্লাহ , আমানুল্লাহ শেখ,  মীর মোশারফ হোসেন ও এ.আর.মিয়া।  ক্যাপ্টেন দাশও এই ট্রেনিং ক্যাম্পে জড়িত ছিলেন। তিনি নৌ - যোদ্ধাদের বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার পথে দুর্ঘটনায় নিহত হন। যোদ্ধাদের ট্রেনিং  শেখানো হতো খরস্রোত ভাগীরথী নদীতে। শীত বর্ষা ৪৮ ঘন্টা পানিতে থাকার অভ্যাস করতে হয় এই নৌ যোদ্ধাদের।

এ ক্যাম্পে ৫ শতাধিক নৌ - যোদ্ধেদের তৈরি করা হয়েছিল, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ছিল তাদের প্রধান টার্গেট।  এছাড়া দেশের বিভিন্ন নৌ - বন্দরের অপরেশনের জন্য প্রস্ততি গ্রহণ।
আর 'অপারেশন জ্যাকপটের ' মাধ্যমে নৌ - কমান্ডোরা দেখিয়ে দেন তাদের চরম পারদর্শিতা।
চট্টগ্রামের শহরে এই যোদ্ধারা বিভিন্ন স্থানে গোপনভাবে থাকতো।  কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্যা হতে এই অপরেশন পরিচালিত হয়। চরলক্ষ্যার আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে এই যোদ্ধারা বেছে নিয়েছিলেন, ইউনুস খামারে বাড়ি, কালামিয়া সওদাগরের বাড়ি,  ইব্রাহিম সওদাগরের বাড়ি। ( চলবে) [ তথ্যসূত্র : দেয়াঙ পরগণার ইতিহাস]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: অপারেশন জ্যাকপট বাঙালির গেরিলাদের গৌরবগাঁথা। আরও বিস্তারিত প্রত্যাশা করেছিলাম।

২| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমিও তাই বলতে চাইছিলাম। অনেক বড় এই কাহিনী। কোন একসময় নিজেরও লেখার ইচ্ছা আছে। আপাতত কিলো ফ্লাইট নিয়ে পড়ছি।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৪

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: যে লিখাটা লিখেছি প্রথমে আমি নৌ কমান্ডোদের পরিচত দিয়েছি এবং পরে 'অপরেশন জ্যাকপটের ' বীরত্বের কথা তুলে ধরবো। খুব শীঘ্রই।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

টি এম মাজাহর বলেছেন: ইদানিং এটা নতুন শুরু হয়েছে, কোন একটা আকর্ষনীয় বিষয়ে লেখা শুরু করে হঠাৎ থামিয়ে বলা হয়, বাকিটুকু শীঘ্রই আসিতেছে, সেই শীঘ্রইটা আর আসে না। আর অনেক পরে দুই একটা আসলেও তখনকার লেখার মান আগের মতোও হয় না, সবচেয়ে বড় কথা, পাঠকরা ঝুলে থেকে শেষে উইকিপিডিয়া/অন্যান্য অনলাইন সোর্স থেকে বিষয়টা পড়ে নেন। কোন লেখা পুরো করার আগে অংশবিশেষ ছাপানো অনুচিত। আপনি পার্ট বাই পার্ট ছাপতে পারেন, কিন্তু এনশিওর করে নেবেন যে আপনার হাতে পুরো পান্ডুলিপি আছে, এবং নির্দিস্ট সময় পরপর আপনার নির্ধারিত সময়ই আপনি দিতে পারবেন।
বেশীরভাগ লেখকই সাময়িক উৎসাহে একটা লেখা শুরু করেন, তখন তাদের লেখাটি সুন্দর ও উচ্ছল হয়, কিন্তু কয়দিন পর উৎসাহ হারিয়ে লিখতে বসলেও তার ভাষা আগের মতো প্রানোচ্ছল হয় না।

৫| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

গেন্দু মিয়া বলেছেন: ভাই, খুব ইন্টারেস্টিং টপিক।

আরো লেখেন এ নিয়ে। বিস্তারিত।

সম্ভব হলে আরো তথ্যসূত্র সহ। :)

অল দ্য বেস্ট!

৬| ১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.