নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিক্রিয়ায় বিক্রিত মনুষ্য।

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড

বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে  সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন  একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১ এর হারিয়ে যাওয়া কবিতা

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

★★ লিখাটি একটি হারিয়ে যাওয়া ৭১
এর কবিতার কথা, আশা করি পড়বেন।

চট্টগ্রাম শিল্প, সাহিত্য,
জ্ঞানে, কর্মে সৃজনে ঐতিহ্যবাহী এক জায়গার নাম। আঞ্চলিক ভাষার অনেক গুণী কবি এই চট্টল দেশে জন্ম নিয়েছিল আর তাদের মধ্যে এক গ্রাম্য কবি নাম 'মিলন সরকার ' ।

১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালির বড়ঘোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন বিনোদ বালা। তৎকালীন পরিবেশে খুব অল্প নারীই গ্রামে লেখাপড়া করার সৌভাগ্য হতো, বিনোদ বালা তাদের মধ্যে একজন। ১৯৭১ সাল মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে রাজাকাররা বিনোদ বালা ও তাঁর এক মেয়েকে ধর্ষক করে হত্যা করলে পুরো বাঁশখালিতে শোকের ছায়া নামে। অসম্ভব সুন্দরী বিনোদ বালার আরেকটি মেয়ে ছিল সেও মা,বোনের
শোকে অতি দ্রুত মারা গেলো।

ঠিক তখন মিলন সরকার অতি কষ্ট নিয়ে একটি গান লিখলেন, যা ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বাঁশখালির ঘরে ঘরে গাওয়া হতো এবং গানটি গভীরতা এতই প্রবল ছিল যে সকলের চোখ ভিজে উঠতো।

মিলন সরকারের অংশবিশেষ গানটি
হলো :

ইয়াহিয়া গুন্ডা, বাঙালিরে
গরলি (করলি) সর্বনাশ
ঘর পুড়িলি ( পুড়াইলি) , ছাই গরিলি
(করলি)
দিলি গণভোট।
তারপরেতে ( তারপর থেকে) শুরু গরলি
(করলি) বাঙালিরে লুঠ;
বাঙালি অবাঙালি মিলি
গরলি ( করলি) সর্বনাশরে।
বিনোদ বালার দুটি মেয়ে ,
মেট্টিক ফাস ( পাশ) গরিল ( করিলো)
একটি মেয়ে রাজাকারে, গুলিতে
মারিল;
অপর মেয়ে মারা গেল ,কাদিয়ারে
কাদিয়ারে (কান্না করে করে) ।

এই গানটির শেষ গায়ক এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
দিদারুল হক বলেন, এই গানটি তার এখন
পুরোপুরি মনে নেই। বর্তমানে এই
গান বিলুপ্ত।

হারিয়ে যাওয়া কিছু গল্প, ইতিহাস আর মুক্তিযুদ্ধ! ভাবছেন মুক্তিযুদ্ধকে আমি কেন হারিয়ে যাওয়া ? হ্যাঁ আমি বলছি । বিজয়ের এত বছর পরও রাজাকার পুত্র থেকে ইতিহাস শিক্ষা নিতে হয়, রাজাকাররা বিশেষ দলের সাথে হাত মিলিয়ে
সংসদের বসার সাহস দেখাই। আর আমরা বাঙালিরা ঐ নষ্ট
লম্পটদের ধারা বিভ্রাট হয়ে আজ
আমরা আমাদের ' জয় বাংলা ' ভুলতে
বসেছি।

[তথ্য সূত্র : চট্টগ্রামের আঞ্চলিক
গান *শামসুল আরেফীন]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে গেলে পথভ্রষ্ঠ হবে জাতি| একে প্রাণে স্থান দিতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.