নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিক্রিয়ায় বিক্রিত মনুষ্য।

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড

বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে  সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন  একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'বাবা\' শব্দটি যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

সম্ভবত লিখার শিরোনাম দেখে আপনারা হইতো অনেকে ভ্রু কুঁচকেছেন ভাবছেন ব্যাপারখানা কি?  এই লোকটি কি বলতে চাই? হ্যাঁ আমি বাবাদের নিয়ে বলছি, যে শব্দে আছে ভালবাসা, যে শব্দে আছে এক বটবৃক্ষের ছায়া এবং এখন সে শব্দে জুটেছে রক্তের লাল খেলা।
রক্তের লাল খেলা! হ্যাঁ রক্তের লাল খেলা।
পৃথিবীতে সমাজের ২- ৩ হাজার বছরের ইতিহাসে পরিবারে একমাত্র অধিপতি 'বাবা' যার নামে বংশ,  ধর্ম, সমাজ, সম্মান সবই নির্ভর করে।
পরিবারে 'মা' জাতির ভূমিকা কি? 'মা' পরিচয়ে কোন সন্তান এখন পর্যন্ত সমাজ বাঁচতে পারি নি।  'মা' কে চিরকাল ভালবাসা, দয়াবান, ত্যাগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে আস্তে আস্তে জীবনে সবটুকু দিয়ে তার সন্তান পৃথিবীতে বাঁচার প্রশিক্ষণ দেই কিন্তু পরিচয় তার নামে হই না, বাংলাদেশের আইনি ক্ষেত্রেও মাত্র কিছুদিন আগে 'মা' পরিচয় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একটু খেয়াল করলে লক্ষ্য করবেন পৃথিবীতে যত প্রকার গালি আছে সব 'মা' কে কেন্দ্র করে। কারণ 'মা' শব্দটি মানুষের সবচে  দূর্বল ও কোমল জায়গা। মানুষ মানুষকে মানুসিক ভাবে আঘাত করার জন্য কুৎসিত ভাষা দিয়ে 'মা' কে সবার আগে আঘাত করে।  'মা' র ক্ষমতা নেই, অর্থনীতিক শক্তি নেই তাই তার নামে সন্তানের পরিচয় হবে না।
বাবার আছে ক্ষমতা,  অর্থনীতিক শক্তি সন্তানের সিংহভাগ দায়িত্ব 'মা ' পালন করা সত্ত্বেও পিতৃপরিচয় হীন সন্তানের কোন মূল্য সমাজে নেই।
'বাবা ' জাতিকে নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই সময়ের সাথে সাথে বাবাদের অবস্থান একই থাকলেও আধুনিক কালে 'মা' পাশাপাশি বাবাদের সন্তান লালন পালনে ভূমিকা দেখা যাচ্ছে।
আজ থেকে বিশ বছর আগেও বাবারা ছিলো বাঘের প্রতীক বাবা বাসায় ঢুকার সাথে সাথে ছেলে মেয়ে সবাই শৃঙ্খলে আবদ্ধ।  এখন এটা কমে এসেছে 'বাবারা ' এখন কোমল হয়ে উঠছে।
সম্পর্কের দিক গুলো সুন্দর হয়ে উঠছে কিন্তু প্রাচীনতম পুরুষতান্ত্রিক ভয়াল থাবা থেকে এখন ও মুক্ত হতে পারি নি আমাদের পিতারা।
ভালবাসার অপর প্রান্তে যখন লেখা হয় পুরুষ তন্ত্র মন্ত্র জাদু তখন বাবাদের দেখতে লাগে ভয়ঙ্কর হিংস্র দানব।
মূল কাহিনীতে আসছি.....

বিউটি ১৬ বছরে এক বাচ্চা মেয়ে জগৎ তার কাছে সুন্দর হয়ে উঠছে তার ১৬ বছর বয়সে।
এই কিশোরী হইতো কোন রঙিন স্বপ্ন দেখতো,স্বপ্ন দেখতো রঙিন ঘুড়ি হয়ে আকাশে ঘুরে বেড়ানোর।   কিন্তু সেই স্বপ্ন তার দেখা হই নি তার আগেই একজন নেকড়ে যার মানুষের মতো দুটি হাত, দুটি পা আছে। নেকড়েটি সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন করেছে বিউটিকে। স্বাভাবিক ভাবে নেকড়েবাঘরা সমাজে আসল পুরুষ হয়ে বীরের বেশে সমাজে প্রতিষ্ঠিত সবাই তাদের সম্মান করে।
ছিন্নবিচ্ছিন্ন বিউটিকে নেকড়ে বাঘটি বাসায় দিয়ে যায়।  গরীব পিতা তখন চিন্তায় মশগুল তার কাছে ক্ষমতা নেই ঐ নেকড়ে বাঘটির সাথে লড়াই করার।  ইতিমধ্যে বিউটির 'বাবার' মাথায় ঘুরতে থাকে তার মেয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই।
তাই ' বাবা ' ১০ হাজার টাকা দিয়ে একজন পেশাদার খুনি ঠিক করে তার কন্যাকে হত্যা করেছে।
আহ! বিউটি সমাজ, পরিবার, পৃথিবী রাষ্ট্র কেউই তার না। সমাজ যে তাকে নষ্ট উপাধি দিয়েছে। জানি না কেন নারী জাতিকে কেন্দ্র করে অভিশাপ ঘুরে....
কথা বলছি হবিগঞ্জের বিউটি হত্যা নিয়ে।
ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়ে এই ১৬ বছরের বালিকা তার রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছে এই রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার, রাজনীতি সবই নষ্ট গন্ধে ভরা। 
আজ প্রথম আলো পত্রিকার ভাষ্য অনুসারে, ২১ জানুয়ারি বিউটিকে অপহরণ করেন কলম চান বিবির ছেলে দুই সন্তানের জনক বাবুল মিয়া। দুই সপ্তাহ বিউটিকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন বাবুল। এই নিয়ে গ্রামে সালিশি বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয় নি।
এই ঘটনা কাজে লাগান এক রাজনীতিবিদ যার সাথে বাবুল মিয়ার 'মার' বিরোধ ছিলো নির্বাচন নিয়ে।  তিনি বিউটির বাবাকে বুঝান এই মেয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে, বাড়িতে থাকলে অন্য মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না।  তাই একে খুন করা দরকার।
তাই পরিবারের সম্মানে বাবা তার মেয়েকে হত্যা করতে উদ্যোগ নেই।

কথা শুনে ভয় লাগছে তাই না? আমি ভয় পাচ্ছি না আমার চোখ গুলো তাকিয়ে থাকে পত্রিকার পাতায় কেমন যেন গন্ধ উঠে এই লিখা গুলোর থেকে।
দক্ষিণ এশিয়া বা ভারতীয় উপমহাদেশে ভালবাসার আলো দেখার আগে সমাজ, রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িকতা,ধর্ষণ খুন, রক্তের হলি খেলা চলে।

পাশের দেশ ভারত,  পাকিস্তানে পারিবারিক সম্মান রক্ষার জন্য কত নারী যে প্রত্যকদিন হত্যার শিকার হয় তার নমুনা একবার দেখুন
সূত্র সময় চ্যানেল: ২০.৯.২০১৭
পাকিস্তানের পেশোয়ারে পারিবারিক সম্মান রক্ষার নামে দুই মেয়েকে হত্যা করেছে এক বাবা। গত বুধবার, পেশোয়ারের আচার কালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে শনিবার জানায় পুলিশ।
আব্দুল গণি নামে ওই বাবা তার ২০ ও ১০ বছর বয়সী দুই মেয়েকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। আব্দুল গণির ছেলে আমজাদ গণি এ ঘটনা পুলিশকে জানানোর পর তার বাবার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই আব্দুল গণিকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট ফজল ওয়াহিদ। আব্দুল গণির বক্তব্য, তার দুই মেয়ে প্রায়ই বাড়ির বাইরে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে তিনি লজ্জিত ছিলেন।
এই হলো পাকিস্তানে নারীদের অবস্থা নারীরা যে মানুষ!  পরিবার তাকে স্বীকৃতি দেই না।

আর ভারত! কুসংস্কার ভরপুর থাকা এই দেশে ধর্মীয় অন্ধত্ব এখনও তীব্র। সেদিন কোথায় যেন দেখলাম বিহারে এক নারী ধর্ষণের স্বীকার হয়।সালিশি বৈঠকে ধর্ষককে  শায়েস্তা করার জন্য ধর্ষকের বোনকে তুলে এনে পঞ্চায়েতে গণধর্ষণ করানো হয়।
এ যেন গণিতের (মাইনেস ফর্মুলা) নারীর জন্য!

জানি না সমাজ, রাষ্ট্র , পৃথিবী কবে মানুষের হবে।  কবে ভালবাসায় পরিপূর্ণ থাকবে আমাদের বাবা,মা, পরিবারটি। পরিবার যেখানে ভালবাসা আশ্রয়ের মূল। যেখানে থাকবে না কোন তন্ত্র মন্ত্রের শিকল থাকবে শুধু ভালবাসায় পরিপূর্ণ নারী পুরুষের সহ অবস্থান

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পশ্চিমে অনেক দেশে বাবারা মেয়েদের সাথে যৌন সঙ্গম করে। তাই বলে, বাবা-রা খারাপ হয়ে যায়নি। কাজেই ২/৩ টা উদাহরণ দিয়ে বাবা-দের সম্মান নষ্ট করবেন না...

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: লিখাটি আপনি আরেকবার কষ্ট করে পড়ুন। আপনি বুঝতে বোধকরি ভুল বুঝেছেন।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো মন্তব্য করবো না।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একজন দিয়ে সবাইকে বিচার করা যেমন ঠিক নয়। তেমনি সেই একজন যে কত ভংকর হতে পারে এবং অন্যদের খারাপ করতে পারে তা বলাই বাহুল্য।

বিউটি েদশ , সমাজ, পরিবার তোমাকে কিছু না দিলেও পরপারে যেন আল্লাহ তোমায় পরিপূর্ণ রাখেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৩

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: দয়া করে লিখাটি আরেকবার পড়ুন। আমি একজনের জন্য পুরো বাবা জাতিকে নির্দিষ্ট ভাবে দোষারোপ করি নি। আমি চেয়েছি এমন এক পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র যেখানে 'বাবা, মা ' উভয় সমান ভাবে নতুন পৃথিবী সুযোগ্য করার জন্য কাজ করুক

৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ২:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোষ্ট লিখতে হয় সোজা করে, যাতে পাঠক বুঝতে পারে, আপনি কি বলছেন!

১৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: পাঠক বুঝতে পারার ধারণা উপরের মন্তব্যসূত্রে বুঝতে পারা যায়। সুতরাং ব্যাপারটা সহজ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.