![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে
গাড়ি গুলোর ছুটে চলা/ তখনও বন্ধ হয় নি/ নিয়ন আলোর উপরে/ আমরা দেখলাম /এক মুঠো জ্যোৎস্না নিয়ে/ দাঁড়িয়ে থাকা আব্দুল আজিজকে।
রাত্রির জোনাকি সেজে থাকা সেই আব্দুল আজিজ যে ভালবাসতে জানে এই পথকে।
ক্লান্ত নগর চলে গিয়েছে/ উঁচু উঁচু দালান কৌটার ভিতর /তাদের জীবনযুদ্ধের সংগ্রাম সেখানে ঘুমিয়ে আছে/ আব্দুল আজিজের কোন সংগ্রাম নেই / সে বেঁচে আছে / সবুজ পাতার আষ্ঠে গন্ধে / উদাম গাঁয়ে জ্যোৎস্নার অপেক্ষায় থেকে।
চাঁদটা তখনও সুকান্তের কবিতার ঝলসানো রুটি, সূর্য্যটা তীব্র কারবারের জন্য তখনো অপেক্ষায় আব্দুল আজিজ ঠিক এই সময়ে দাবি করে বসলো এই পথের একমাত্র জোনাকি সে।
তখনি আকাশের কালো মেঘ গুলো কম্পিত আওয়াজ! কিংবা থেমে যাচ্ছিলো সময়.. তার দাবি মেনে নিয়েছে কিনা ঠিক জানা যাচ্ছিলো না..
সে দাবি করতে থাকে আমার পেটের ক্ষুধার ভালবাসা জন্য এই পথ,
আমার ২০ বছরের জেল ভালবাসার জন্য এই পথ,
আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালোবাসার জন্য এই পথ,
কালো রেব কিংবা নীল পুলিশের রসের আলাপের জন্য এই পথ।
আমি নিয়ন আলোয় জ্বলতে পারি
অন্ধকারে উড়তে পারি, আমার বৃদ্ধ আঙুল একাই সংগ্রাম মহাসড়কের ফাঁদে।
জাহাজিরা ছাড়ছে এই বন্দর, ট্রাকগুলো ছুটে যাই উত্তরের দেশে বিলাসিরা উত্তর থেকে ছুটে আসে দক্ষিণে সমুদ্রের হাওয়া বুঝতে...
আব্দুল আজিজ ৫ টাকার জীবন খুঁজে এক ধোঁয়াটে চায়ের কাপে
পৃথিবীর সুর সব নিস্তব্ধতা বরণ করলে বাঁশিতে বেজে উঠে জীবনের তরঙ্গ
আব্দুল আজিজ জ্বলতে থাকে আলো থেকে আলোর ভিতর সে বলতে থাকে
বাঁশির সুরে জোনাকিরা আরাম পাই,
তারারা হাসে।
১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৫
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ! অসাধারণ লেখনি!
কিন্তু লেখাটা দুবার উঠে গেছে। এডিট করে ঠিক করে দিন।
১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই। ঠিক করে নিলাম।
এই কবিতার প্রত্যকটা বাক্য সত্য ঘটনা
৩| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। + +
১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৮
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
৪| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাইড্রোক্লোরাইড এসিড,
এসিডের মতোই আব্দুল আজিজ পুড়ে পুড়ে যাচ্ছে শুয়ে থাকা নিঃস্পন্দ পথে । চায়ের কাপের ওঠা ধোঁয়ায় ভেসে যাচ্ছে তার রাতের চন্দ্র, দিনের সূর্য্য , প্রিয়তমা স্ত্রীর যাবতীয় অনুসঙ্গ । তার বুড়ো আঙুলে তুলে আনে সে জীবনের সংগ্রাম ।
চমৎকার লেখা ।
১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪০
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: বাহ! দারুণ চিন্তা। খুব সুন্দর ভাবে আব্দুল আজিজকে বিশ্লেষণ করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ
৫| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: জীবনটা ছোট বড় অনেক অসন্তুষ্টিতে পূর্ণ।
১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২৭
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: আব্দুল আজিজের জীবন তরঙ্গে আঁকাবাঁকা এক বহমান নদী।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩
অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: খুবই সুন্দর লেখনী , অনেক ভালো লাগলো