নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারদিকে নদী বেষ্টিত বৃত্তাকৃতির দ্বীপের মত, চির সবুজের সমারোহ বিকেল বেলায় পশ্চিমা আকাশে রুদ্রের লুকোচুরি খেলা এক অজপাড়া গাঁয়ের নাম নিজ ছেংগার চর।জনম দুঃখিনী মায়ের অন্ধেরযষ্টি এলএলবি সমাপ্ত করে সম্মান জনক পদে অধিষ্টিত থাকায় নিরন্তর সংগ্রাম অব্যাহত।।

আমি সম্মানের পাত্র নই

যুগ্মসাধারন সম্পাদক (রায়াব)

আমি সম্মানের পাত্র নই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাজেট নিয়ে অপব্যাখার নমুনাঃ

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না, বিভ্রান্তি ছড়াবেন নাঃ
এই মুহুর্তে বাজেটের সবচেয়ে আলোচিত দিক হল ব্যাংক একাউন্টে আবগারি শুল্ক। অনেকে অনেক রকম পোস্ট দিয়ে অনেক কিছু বুঝাইতে চাইছেন কিন্ত পুরা ব্যপারটা বুঝতে পারেন নাই,শুধুই বিভ্রান্তি ছড়াইতেছেন।

এই ব্যপারে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত কথা হইল - "ব্যাংকে ২০ হাজার টাকার বেশি ব্যাংকে জমা দিলে বা তুললে প্রতি লেনদেনে কমপক্ষে ২০০ টাকা আবগারী কর দিতে হবে"।

এই কথাটা ১০০% মিথ্যা বা ভুল। এই ভুলের শুরু করে কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা আর তা আরও বাজে ভাবে ভুলভাল মিশিয়ে পরিবেশন করে নামসর্বস্ব পত্রিকাগুলা।

সাধারনত সেভিংস বা কারেন্ট একাউন্টে সরকার মুলত দুই ধরনের শুল্ক বা ট্যাক্স বা কর কাটে।

প্রথমত, একাউন্টে জমা টাকার প্রাপ্ত লাভের উপর TIN ধারী হলে ১০%, TIN ধারী না হলে ১৫%।

দ্বিতীয়ত হল, এক্সেস ডিউটি বা আবগারি শুল্ক। এই আবগারী শুল্ক কাটা হয় বছরে একবার। আবগারি শুল্ক বহু আগে থেকেই আপনার একাউন্ট থেকে কাটা হয়। সম্ভবত ১৯৯৩/৯৪ সাল থেকে শুরু। তখন শুল্ক পরিমান অনেক কম ছিল তাই মালুম করি নাই আমরা। এই আবগারি শুল্ক আপানর একাউন্ট থেকে কাটা হয় প্রতি বছরের শেষ দিনে মানে ৩১ ডিসেম্বর বা অনেক ব্যাংকে ১লা জানুয়ারি। আপনাদের একাউন্ট চেক করলেই পাবেন। এইবার বাজেটে এই শুল্ক এর পরিমান বাড়ান হইছে এই যা।

এইবার আসেন কি হিসাবে বছরের শেষ দিনে একবারই শুল্ক কাটা হয় তা হিসাব করি।

সারা বছর আপনার লেনদেন উপর ভিত্তি করে এই আবগারী শুল্ক কাটা হয়।
বর্তমান বাজেটের প্রস্তাবনামত হিসাবটা এই রকমঃ
সারা বছর আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স যদি ১০০০০০ এর নিচে থাকে তাহলে কোন আবগারী শুল্ক দিতে হবে না,
ব্যালেনস যদি ১ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকার মাঝে থাকে তাহলে ৮০০ টাকা আবগারী শুল্ক দিতে হবে,
এবং ১০ লক্ষ টাকার উপর গেলে ২৫০০ টাকা হবে।

এবং এই আবগারী কর বা শুল্ক একবারই, হ্যাঁ "একবারই" এবং "একবারই" কাটা হবে। প্রতি বছর ডিসেম্বর ৩১ তারিখে বা জানুয়ারি ১ তারিখে।

হ্যা আপনার মত ফেসবুক নাগরিককে বলছি এই আবগারী কর বা শুল্ক একবারই কাটা হয়।

এবার বলি এফডিআর ও ডিপিএস এর কথা।

এফডিআর ১/৩/৬/১২ মাস যে মেয়াদেই রাখেন ওই একই হিসাব প্রাপ্ত লাভের উপর TIN ধারী হলে ১০%, TIN ধারী না হলে ১৫%।
আর আবগারী কর বা শুল্ক তাও ঐ একই হিসাব এফডিআর এ টাকার পরিমাণ
১০০০০০ এর নিচে থাকে তাহলে কোন আবগারী শুল্ক দিতে হবে না,
যদি ১ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকার মাঝে থাকে তাহলে ৮০০ টাকা আবগারী শুল্ক দিতে হবে,
এবং ১০ লক্ষ টাকার ঊপর গেলে ২৫০০ টাকা হবে।

৩/৬ মাসের এফডিআর এর হিসাবে একটা ধরা আছে। এফডিআর যদি বছরের মাঝে শুরু হয়ে বছরের মাঝেই শেষ হয় তাহলে আবগারী কর বা শুল্ক একবার দিতে হবে। কিন্তু তা যদি এক বছর শুরু হয়ে পরের বছর শেষ হয় মানে অক্টবরে বা নভেম্বরে শুরু হয়ে পরের বছর জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয় তাহলে দুইবার দিতে হবে। এক বছরের বেশি মেয়াদে এফডিআর করলে বছর প্রতি হিসাব হবে।

ডিপিএস এর বেলায় একই কথা যে মেয়াদেই রাখেন প্রাপ্ত লাভের উপর TIN ধারী হলে ১০%, TIN ধারী না হলে ১৫%। আর আবগারী কর বা শুল্ক বছর প্রতি বছর জমা হওয়া টাকার পরিমানের উপর ঐ একই ১ লক্ষ টাকার উপরে থাকে তাহলে ৮০০ টাকা এবং ১০ লক্ষ টাকার উপর গেলে ২৫০ টাকা হবে।

অনেক প্রবাসী ভাই দেখি ব্যপক আতংকে, টেনশনে আছেন। তাদের বলি আপানাদের পাঠান রেমিটেন্স এ কোন আবগারী কর বা শুল্ক নাই।

আশা করি অনেকের ভুল ধারনা কাটবে এবার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.