নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুগ্মসাধারন সম্পাদক (রায়াব)
বিশ্বজুরে আতঙ্ক ছড়ানো প্রানঘাতি করোনার ভয়াল থাবা থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার মহান ব্রত নিয়ে গত ২৫ তারিখ বুধবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দিয়ে
করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিষয়সহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নাগরিকের করনীয় বর্জনীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা মুলক আপদকালীন সময়োপযোগী বক্তব্য সর্বমহলে প্রশংসিত।এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
গতকাল শাহবাগ মোরে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের রিক্সা/ মটর বাইক থামিয়ে সাধারন মানুষগুলোকে হ্যান্ড গ্লাভস বিতরন ও সচেতনতা মুলক ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। পুলিশের এই আচরন দেখে মনে হয়েছিল এটা বাংলাদেশের পুলিশ নয়, পশ্চিমা বিশ্বের সভ্য কোন দেশের পুলিশ বা কানাডা ইউরোপের পুলিশ।জীবনের ঝুকি নিয়ে বর্তমানে করোনার সংক্রমনকে উপেক্ষা করে আমাদের ভাল রাখার মহান ব্রত নিয়ে পাহারায় রয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ভাই-বোনেরা। আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা জানা নেই।আল্লাহ আপনাদের সহায় হউন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বাহিরে ঘুরা-ফেরা না করেন।আমরা নেত্রীর নির্দেশনার বাহিরে নই।জরুরী প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে যাবার অধিকার নেত্রী দেশবাসীকে দিয়েছেন।তাছাড়া লগ ডাউন তো সরকার করেনি।আমার পারিবারিক চাহিদাগুলো আমার ছাড়া যেহেতু কেহ পুরন করার নেই তাহলে তো আমাকেই চাহিদা পুরনের তাগিদে সরকারী নিয়ম মেনে ঘরের বাহিরে যেতে হবে।সেই চাহিদা পুরনকল্পে বাবার বয়সী যশোরের মনিরামপুরে এসি ল্যান্ড কর্তৃত কান ধরে উঠবসের দৃশ্য ফেইসবুকে ভাইরাল।জাতির জনকের এই বাংলাদেশে ঐ এসি ল্যান্ড এই গরীব মানুষের সেবক হওয়ার কথা ছিল।বাস্তবে হয়েছেন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মত ছোট লট সাহেব।এরুপ লট সাহেবদের ধীক্কার জানাবার ভাষা নেই।আছে শুধু অনুশোচনা আর লেখায় প্রতিবাদ।মাননীয় তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এহেন ন্যাক্কারজনক কাজ হতে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন শুনে কিছুটা নিভৃত হয়েছি।তারপরও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমার এ প্রয়াস।
আর্দশলিপি বইয়ে মহৎ ব্যক্তিদের বানী চিরন্তনগুলো আজও স্মৃতির জাদুঘরে ভেসে উঠে তাইতো অতি উপসর্গের প্রতি আমার শৈশবকাল থেকেই প্রচন্ড রকম ঘৃনা ছিল। অতি ভক্তি চোরের লক্ষন।অতি ভোজন ভাল নয়।বাস্তবিক অর্থে অতি শব্দটা সমাজ জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনে আজকের করোনার মত ভয়ানক ভাইরাস সৃস্টিকারী সংক্রমক।ইহা আজ বিশ্ববাসীর ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং সর্বক্ষেত্রেই ইহার ব্যবহার নিন্দনীয় ও সমালোচিত। উদারন স্বরুপ পরগাছা দিয়ে যেমন কাঠ হয় না এবং ফার্নিচার তৈরি করা যায় না ।অতি উৎসাহীদের নিয়েও যুদ্ধ জয়লাভ করা যায় না।মনে রাখতে হবে জগতে এই অতি+রাই সকল মহৎ অর্জন নিমিষে ডাষ্টবিনে নিক্ষেপ করে।
পরিশেষে শুধু বলব সামাজিত দুরত্ব বজায় রাখার জন্য করোনা সংক্রামন রোধ করার জন্য সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনা করেছে।লগ-ডাউন নয়।অতএব বিনা প্রয়োজনে আড্ডা মারলে,অযথা ঘুরাঘুরি করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে মানুষ খুশি হবে।আর উপরে উল্লেখীত মুরব্বিদের এই চিত্র দেখলে জিয়া-এশাদের মার্শাল ল জারির কথা মনে পড়ে যায়।অতিরিক্ত কিছু করার আগে কেন?কি কারনে ঘরের বাহিরে আসছেন?এই দুটি প্রশ্ন করে যদি যথাযথ উত্তর না পাওয়া যায় তা হলে অন্তত বয়স বিবেচনায় রেখে তার চেয়েও কঠিন শাস্তি কার্যকর দেখতে চাই।দেখতে চাই প্রশাসনের সংবেদনশীল আচরন।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: সায়েমা হাছান ভুল করেছে। তাকে নিয়ে আর সময় পার করবেন না। বড় বড় কাজ থেকে যাচ্ছে। সায়েমা আপনি কাজে নামুন। দৃষ্টান্তমূলক কাজ করুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: