নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারদিকে নদী বেষ্টিত বৃত্তাকৃতির দ্বীপের মত, চির সবুজের সমারোহ বিকেল বেলায় পশ্চিমা আকাশে রুদ্রের লুকোচুরি খেলা এক অজপাড়া গাঁয়ের নাম নিজ ছেংগার চর।জনম দুঃখিনী মায়ের অন্ধেরযষ্টি এলএলবি সমাপ্ত করে সম্মান জনক পদে অধিষ্টিত থাকায় নিরন্তর সংগ্রাম অব্যাহত।।

আমি সম্মানের পাত্র নই

যুগ্মসাধারন সম্পাদক (রায়াব)

আমি সম্মানের পাত্র নই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১:২০


উপরের হেড লাইনটি দেখে প্রথমেই লেখকের প্রতি বিরক্তি বা ঘৃনার মানসিকতা পয়দা হতে পারে ।এ জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।দুঃখ জনক হলে সত্য যে এই মহামরি করোনাকালে নিজের প্রয়োজনেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রতিটি নাগরিকের প্রথম ও প্রধান কাজ! তাই না? ।আমরা এমন এক দেশে বাস করি এখানকার মানুষগলো করোনা পজিটিব হলে হাসপাতাল থেকে পালানোর সংবাদ সবাই দেখেছি।হাতিরঝিল কিংবা বিনোদন কেন্দ্রে মাক্স ছাড়া একে অপরকে জড়িয়ে ধরে মাখ-মাখি করি।মহান আল্লাহ:র উপর ভরসা রাখলে করোনা আক্রান্ত হবে না।প্রতিটি পাড়া মহল্লায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘুরাঘুরি করছি।সাধারন ছুটিতে বেড়াতে পর্যন্ত যাচ্ছি।করোনাকে্ আমরা পাত্তাই দিচ্ছে না। এইগুলো হল জনগণের ফিরিস্তি।

এবার আসতে চাই মুল আলোচনায়,গণপরিবহন সীমিত আকারে আগামী ৩১ মে থেকে রাজপথে চলাচল শুরু করবে।এটা নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী সিদ্বান্ত।জনগণকে অঘোষিত লকডাউনে রেখে খাবারের সুব্যবস্থা করতে না পারলে না খেয়ে মরে যাওয়ার চেয়ে কাজ করে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে করোনা সংক্রামন হয়ে মারা যাবিতো যা।সম্পুন্ন আল্লাহ:র উপরেই একমাত্র ভরসা।

গণপরিবহন নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতার কথা আপনাদের সামনে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই আজ হাজির হলাম ভার্চুয়াল জগতে।জানিনা আমার অভিজ্ঞতার সাথে আপনারা একমত হতে পারেন কি না?যে কোন বিষয়ে মত-দ্বিমত থাকতেই পারে,তবে সাধারনের মনের ভাব ফুটিয়ে তুলা কোন বিষয়ে বেশীর ভাগ মানুষই একমত পোষন করে এটা আমার অভিমত।

গণপরিবহনের সাথে যুক্ত আছেন যে বা যাহারা তারা যাত্রী সেবার নামে বরারই সাধারন মানুষগুলোকে জিম্বি করে তাদের দাবী আদায় করার নজির রয়েছে।তারা কথায় কথায় বারতি ভাড়া নেওয়া স্বভাবে পরিনত।তাই বলছিলাম কি সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচলের নামে ওরা জনগণের রক্ত চুষে খাবে।অর্থাৎ বারতি ভাড়া আদায় করবে।যুক্তি দেখাবে তার গাড়ির আসন সংখ্যা ৩০ জনের।সীমিত আকারে গাড়ি চালালে তার নিতে হবে ১৫ জন কি ২০ জন।বাকী আসনের জন্য বেশী ভাড়া না নিলে তাদের পোষাবে না।তাদের এই যুক্তি কিন্তু সঠিক।তাদের না পোষালে তারা গাড়ি চালাবে না।সরকার তাদের দাবী পুরন করল। গাড়ি রাজপথে নামল।সাধারন মানুষগুলোও মেনে নিল।কারন আমার সুরক্ষার জন্য না হয় কিছু বারতি ভাড়া দিব।আল-হামদুলিল্লাহ এক সপ্তাহ অতিবাহিত না হতেই গাড়ির সকল আসন পুর্নকরে যাত্রীদের কাছে যখন বারতি ভাড়া আদায়ের কাজটি করতে যাবে কিছু সচেতন নাগরিক তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে হতে হবে নাজেহাল।এখানেই খান্ত নয় বাসের হেলপার ও স্ট্যাফ সবাই মিলে ঐ ভদ্র লোকটিকে হয় চাকার নিচে পিষ্ট করবে নতুবা হাত-পা ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে রাখবে।তাই তর্ক-বিতর্ক,মারা-মারি,স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই সীমিত পদক্ষেপ বেশীদিন স্থায়ী হবে না।আর রেওয়াজ আছে এ দেশে একবার ভাড়া বারালে পরবর্তীতে আর কমানো যায় না।।কারন হচ্ছে আমরা লাভের বাঙ্গালী। তা না হলে এ দেশে জাতির জনককে জীবন দিতে হত না।

শুনেছি বাঙ্গালীর চরিত্র বিচিত্র হওয়ার নাকি বিভিন্ন কারন রয়েছে।আপনারা লক্ষ করে দেখবেন পশ্চিমা ও ইউরোপিয়ান এবং চায়নাদের জাতিগত মিল রয়েছে।আমাদের ক্ষেত্রে কিন্তু মিল খুজে পাওয়া খুবই দুষ্কর।তার কারন হিসাবে মনে করা যায় বিভিন্ন সময়ে এ দেশে বিনদেশীরা রাজ্য পরিচালনা করার কারনে বিচিত্র এ জাতিসত্বা।যাকগে জাতিসত্বা নিয়ে কম কথা বলাই শ্রেয়। কারন “আমি বাঙ্গালী, বাংলা আমার ভাষা,আমি বক্তব্য দিলে বাংলাতেই দিব,অন্য কোন ভাষাতে নয়”জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই অমিত বানি আজ সারা বিশ্বে একটি ইতিহাস।পাকিস্থানী রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে এই মহাপুরুষ আমাদের একটি পতাকা দিয়েছেন,একটি আলাদা ভূখন্ড দিয়েছেন,সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ তার সুযোগ্য কন্য তার সেই স্বপ্নের পথ ধরেই দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।তুমি ভাল থেকো পরপারে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিশ্ব মিডিয়ায় প্রকাশ বাঙ্গালীকে আর বিশ্বাস করা যায় না।এমন বক্তব্য থেকেই বাঙ্গালীর নিয়ে আমারও বেশকিছু প্রশ্নবোধক চিহ্ন?

এবার আসা যাক নৌপথে লঞ্চ মালিকগণ কি ভাবে সীমিত পরিসরে লঞ্চ চালাবে?আমার বিশ্বাস কোনভাবেই তারা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিধি নিষেধ মানতে পারবেনা।কারন সে যত যাত্রী পাবে সবাইকেই উঠাবে। আর অধিকাংশ লঞ্চে বসার চেয়ার নেই। তাহলে সীমিত রাখবে কিভাবে?

প্রশাসনের লোকজন কঠোর অবস্থান নেওয়ার পরও এই জাতিকে ঘরে রাখা যায় নাই।এখনতো বের হওয়ার সুযোগ হয়েছে এবার তাদের ঠেকায় কে? হ্যা সেনাবাহিনী প্রতিটি লঞ্চঘাট আর বাস স্টপে যুক্ত থাকলে কিছুটা সহায়ক হতে পারে এমনটা আমার বিশ্বাস হয়।

নইলে “বাহির হবি তো হ্যা মারা যাবিতো যা” এই নীতিই প্রনিদানযোগ্য।

অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এই পদক্ষেপের কোন বিকল্প নেই।তবে পরিবহন মালিকদের স্বেচ্চাচারী ভুমিকা প্রতিরোধ করতে না পারলে সীমাহীন যানচলাচল হোক এটা সাধারনের দাবী।।

Image may contain: one or more people

এই যদি হয় যানচলাচলের দৃশ্য স্বাভাবিক ভাবেই অনুমিত হয় পরবর্তী অবস্থা কোথায়?মহান আল্লাহই একমাত্র ভরসা।।নিজের সুরক্ষার নিজে যখন দিতে পারি না সরকার বা প্রশাসন দিয়ে কোন ক্রমেই সম্ভব নহে।।চলছে গাড়ি সিসিমপুরে।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:১৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: এরা স্বেচ্ছাচারী।এদের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই।নিয়ন্ত্রণ করবার রিস্কও নিতে চায় না।

২| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: গনপরিবহন মানেই সীমাহীণ দূর্ভোগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.