নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত কারাগার

অনুসরণ নয়, অনুকরণ নয়, নিজেকে খুঁজতে চাই, নিজেকে জানতে চাই, নিজের পথে চলতে চাই ।

হাম্মাদ সেজুল

অনুসরণ নয়, অনুকরণ নয়, নিজেকে খুঁজতে চাই, নিজেকে জানতে চাই, নিজের পথে চলতে চাই ।

হাম্মাদ সেজুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

“কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সাথে বন্ধুত্ব”- এটি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা নীতি । সামরিক খাতে শক্তিশালী হওয়ার অর্থ এই নয় যে আক্রমণাত্মক পরিবেশ বজায় রাখা । আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করাই মূল উদ্দেশ্য । বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শান্তিপ্রিয় দেশ । বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশাল অংশ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে । তাছাড়া বাংলাদেশ কারো প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব রাখে না । তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের শত্রু থাকবে না । আর নিজ নিজ স্বার্থ উদ্ধারে পরীক্ষিত বন্ধুও যে ঘোরতর শত্রু বনে যায় তার উদাহরণ সাম্প্রতিক বিশ্বে বহু রয়েছে । বলা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের কথা । তাই প্রতিটি দেশকেই শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা অর্জন করতে হয় ।

দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান বাংলাদেশের । বলা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববাসীর মনোযোগ মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে এসে দক্ষিণ এশিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকবে । বিপুল ও সহজলভ্য শ্রমশক্তি, সহজ বিনিয়োগ এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করবে । বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও চীন সবাই পারমানবিক ক্ষমতাধর । আরেক প্রতিবেশী মিয়ানমারও পরমাণু ক্ষমতা অর্জনের ধারাবাহিক চেষ্টা করছে বলে মাঝেমধ্যেই খবর পাওয়া যায় । সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের ড্রোন মোতায়েনের সংবাদ উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে । চীন সামরিক খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং ভারত সেই মাত্রায় পৌছতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে । ভারতবর্ষের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র সিকিম ও হায়দারাবাদের ভাগ্য যাতে বরণ করতে না হয় সেকারণে বাংলাদেশকে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করতে হবে ।

সামরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রথমত দরকার প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা । সোভিয়েত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত-পাকিস্তান-চীন পরস্পরের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকায় আজও নিজস্ব ভূখণ্ড সমেত টিকে আছে । তা না হলে অনেক আগেই প্রতিপক্ষের নখদর্পণে চলে যেত । প্রতিযোগিতার মানে এই নয় যে, অস্ত্রের সম্ভার গড়ে তোলা । প্রতিবেশীর সমপরিমাণ থাকাই বাঞ্ছনীয় । এতে করে আক্রমণাত্মক ও সাম্রাজ্যবাদী ভঙ্গি কমে যায় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব গড়ে ওঠে । আমরা ধরে নিতে পারি বর্তমান বাস্তবতা- বাংলাদেশ চীন থেকে দুটি সাবমেরিন কিনতে চায় , কিন্তু ভারতের চোখ কপালে উঠলো !

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: বাজেট কি পরিমাণ বাড়ানো দরকার?

বাংলাদেশ কোন কৌশলগত অবস্হানে নেই; আপনার চৌকি হয়তো আছে, ঘুমাতে পাশ চুরি রেখে ঘুমাবেন!

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: প্রস্তাবনা গুলো চমৎার, এবং দেশ প্রেমেরই একটি নমুনা প্রকাশ। কিন্ত সমস্যা কি জানেন ? দেশ তো সরকারে আসার আগেই বিক্রি হয়ে যায় বিদেশি ব্যাপারীদের কাছে। তারাই হয় নিতি-নির্ধারনকারী

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আমাদের দর্জিরা সেলাই মেশিন দিয়ে বাকীদের পাছা সেলাই করে দেবে: প্রস্তাবটা কেমন লাগে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.