![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মার্কসের দ্বান্দ্বিক মানুষ আর হেগেলের দ্বান্দ্বিক মানুষ পরস্পরবিরোধী৷ অথচ প্রায় প্রতিটি মানুষের মাঝে অস্তিত্বমান একজন করে মার্কস ও হেগেল৷ মার্কস কিন্তু সাদরে গ্রহণ করলেন হেগেলের দ্বান্দ্বিকতাকে৷ ধারণা করা হয়, শুধু দ্বান্দ্বিকতত্ত্বের কারণেই ভাববাদী হেগেল বস্তুবাদী হয়ে উঠতে পারতেন যদি তিনি মার্কসের সাহচর্য পেতেন৷ সেকথা থাক৷ আমাদের জানাশোনা দুজন বিপরীত দর্শনের মানুষ নিয়ে দুয়েকটি কথা বলা যাক৷ যতীন সরকার ও গোলাম সামদানী কোরায়শী৷ প্রথমজন বস্তুবাদী৷ পরেরজন ছিলেন অজ্ঞেয়বাদী৷ যতীন সরকারের সুসঙ্গ পেয়ে শেষতক দ্বন্দ্ববাদী হলেন৷ নিজেকে বস্তুবাদীও ভাবলেন অথচ দ্বান্দ্বিকতাকে সেভাবে প্রকাশ করলেন না বা করতে পারলেন না কোনো লেখায় কিংবা বক্তৃতায়৷ আমি মনে করি, সামদানী সাহেব দ্বান্দ্বিকই রয়ে গেলেন হেগেলের মতো, নিখাদ বস্তুবাদী হতে পারলেন না৷ উনার অন্তর্জগতের অস্থায়ী পরিবর্তনের কৃতিত্ব অনেকটাই যতীন স্যারের৷ এ প্রসঙ্গে উদ্ধৃত করতে হচ্ছে হেগেলকে, মার্কসকে নয়৷ হেগেলের দ্বান্দ্বিকতামতে বলা যায়, দুটি পরস্পরবিরোধী ধারণাতত্ত্বের মাধ্যমে ও সমন্বয়ে তৃতীয় কিছু আসতে পারে৷ কিন্তু দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ থেকে সেই নতুন কিছুর নৈকট্য ও দূরত্ব কতটা তা-ও তো বিবেচনায় আনতে হবে৷ এতেও সমস্যা একটা থেকেই যায়৷ কেননা এদেশের কথিত বস্তুবাদীদের অনেকেই দ্বান্দ্বিকতার ব্যাপারটা ভালো বোঝেন না৷ তা নিয়ে আমার এত মাথাব্যথা নেই৷ আমার অভিযোগ দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী তথা মার্কসের মানুষদের বিরুদ্ধে৷ তাঁরা বস্তুবাদকে আপন আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করছেন ঠিকই, কিন্তু রক্ষা করার ব্যাপারে কম উদযোগী হচ্ছেন৷ এমনকি যতীন সরকারসহ এদেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় বস্তুবাদীগণও এর ব্যতিক্রম নন৷ মার্কসের মানুষ হিসেবে কখনো বিস্তৃত হতে পারছি না, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদই আমাদের মুক্তচিন্তা ও মুক্তির প্রধান সোপান৷ তাই সদাসক্রিয় ক’জন যতীন সরকার চাই যারা উদ্দীপন ঘটাতে পারেন অগণন গোলাম সামদানীর সুপ্ত দ্বান্দ্বিকতার৷
©somewhere in net ltd.