নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হার্ড নাট

সভ্য সমাজের অসভ্য নাগরিক।

হার্ড নাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠকরূপী বহুরূপী।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

লেখক পাঠক মিলন মেলা বইমেলায় হাজারো পাঠক মন পায়চারি করে। দেখতে সবাইকে পাঠক মনেহলেও কিছু পাঠকরূপী মানুষও থাকে। আসলে মেলায় উপস্থিত থাকে বিভিন্ন ধরনের মানুষ। নিচে এদের শ্রেনীবিভাগ করা হল।

১। দর্শক - এরা আসলে দর্শক। এদের কাজ মেলা প্রাঙ্গনে ঘুরতে থাকা মানুষ দেখা। এবার ছেলে হোক আর মেয়ে। স্টলের সামনে গিয়ে কিছুক্ষন বই নিয়ে নাড়াচাড়া করবে তারপর চলে যাবে অন্য স্টলে। লেখকের সাথে একদল ছেলেমেয়ে সেলফি তুলছে এরা সেটা তাকিয়ে দেখবে। কিন্তু নিজে তুলতে যাবেনা।

২।সেলফি কুইন - ইদানীং সেলফি নামক যে ভাইরাস এসেছে এরা সেই ভাইরাসে আক্রান্ত। বিশেষ কিছুর খবর পেলেই এরা ছুটেযায় সেলফি তুলতে। বইমেলায়ও লেখক পেলেই এরা লেখককে সন্তুষ্ট করার জন্য একটা বই কিনে তার সাথে সেলফি তোলে। বাসায় গিয়ে বইটা তুলেরাখে আলমারিতে আর সেলফি আপলোড দেয় ফেসবুকে। সেলফি নিয়ে দুইতিনদিন আলোচনা চলে অথচ বইটা একবার খুলেও দেখে না।

৩।উপহার দেওয়া পাঠক - এদের কাজ বই কেনা। এরা প্রচুর বই কিনে তা উপহার হিসেবে বন্ধু বান্ধবী বা পরিচিতদের দেয়। পরিচিতরা বই পেয়ে তা যত্ন করে সেলফে তুলে রাখে। এরাও বইটা খুলে দেখবেনা। এদের কাজ বই পড়া নয় বই কিনেছে এটা জানিয়ে স্টাটাস আপডেট করা।

৫।সত্যিকারের পাঠক - সত্যিকারের পাঠক নিজের জন্য বই কেনেন। বাসায় গিয়ে যত্ন সহকারে বই তুলে না রেখে তা পড়তে পড়তে মলাটের ঘাম খুলে ফেলেন। প্রতিটা কাগজে লেগে থাকে হাতের ঘ্রাণ। এরাও সেলফি তোলে তবে লেখকের চেয়ে বেশি পছন্দ করে লেখকের বইতের সাথে সেলফি তুলতে। প্রতিটা সাহিত্যিক এমন পাঠক চায় যে তার রাতজেগে গড়া সাহিত্য রাজ্যে হেটেবেড়াবে।

মেলা প্রাঙ্গনে তো কত মানুষই হাটে তবে লেখকের রাতজেগে গড়া সাহিত্য প্রাঙ্গনে খুব কম মানুষই হাটে।অধিকাংশ মানুষই পাঠকরূপী বহুরূপী। বইগুলো আলমারিতে সাজানো থাক এটা কোন লেখকই চায় না। প্রতিটা লেখকই চায় তার লেখা বই পাঠকের অন্তরে থাকুক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.