নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসমাপ্ত অধ্যায়

জন্ম নিয়েছিলাম আমার মায়ের মত একজন মানুষের গর্ভে,সেই সূত্রে হয়তোবা আমিও মানুষ। কিন্তু আমার অবুঝতা কাটবার পর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজ থেকে মানুষ হবার। সাধারণ আমি আর এই সাধারনের মাঝেই খুঁজে বের করার চেস্টা করি অসাধারন কিছু। সোজা সাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করি। আমি প্রচন্ড বাস্তববাদী একজন পাবলিক। আবেগের ধার খুব কমই ধারি।

অসমাপ্ত অধ্যায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টুলিশ এবং আমরা

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

নিজের প্রশংসা শুনতে সব সময়ই সবারই ভাল লাগে। এই ভাল লাগাটা মোটেও দোষের কিছু না।
নিজের সময় কাঁটাতে নানান রকমের অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। এই অ্যাপ ব্যবহারও দোষের কিছু না। সময় কাটাতে একটু আকটু ব্যবহার করাই যায়।

স্টুলিশ অ্যাপ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই, নেই কোনো ক্ষোভ কিংবা বিরক্তি। আপত্তি যা একটু আছে, তা হলো এটার ব্যবহার নিয়ে।

আগেই বলেছি, নিজের প্রশংসা শুনতে সব সময় ভাল লাগে। নিজের রূপ,গুন সবকিছুর প্রশংসা সব সময়ই শোনা যায়, শুনতে মন চায়।

কিন্তু কে আমার কি প্রশংসা করলো, সেটা ঢালাও ভাবে শেয়ার করাটা আমার মনে হয় একটা রুচির ব্যাপারের মধ্যে পড়ে।

নামিদামি ফাউন্ডেশন, ডিএসএলআর, ইন্সটা ফিল্টারের এই যুগে এতো কিছু ব্যবহার করেও সম্ভবত আমরা আমাদের রূপের সৌন্দর্যের কথা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌছাতে পারি নাই। তাই বাধ্য হয়ে এখন স্টুলিশে ভরসা। ব্যাপারটা আমার কাছে এমনটাই মনে হয়।

আমরা এখনো ক্রিটিসিজম এক্সেপ্ট করতে পারি না। আত্মীয় স্বজন-পাড়া প্রতিবেশী, বন্ধু বান্ধব এমনকি নিজের বাপ মা পর্যন্ত নিজের কোনো খারাপ গুন নিয়ে কথা তুললে আমাদের বুঁকে গিয়ে বাধে। একটা বার ভাবতে চাই না, তারা কি খারাপ কিছু বলছে নাকি। আমার কোনো আচরন কিংবা কাজ নিয়ে কি আমার ভাবা কিংবা কাজ করা উচিত নাকি

অথচ আমরা পড়ে থাকি এই ২ দিনের স্টুলিশ নিয়া। হ্যা ভাই ২ দিন। আজ আছে, কাল নেই। প্রশংসা অবশ্যই শুনবেন,পড়বেন, কেনো না। পরিচিত হোক, আর অপরিচিত, নিজের রুপ গুনের কথা অপর মুখ থেকে শুনতে আসলেই অনেক অনেক ভাল লাগে।

স্টুলিশ বাদ দেন, মনে করেন স্টুলিশ নাই। একটু নিজেরে নিজে জিজ্ঞেস করেন, শেষ কবে কে আপনার মুখোমুখি হয়ে, লুকিয়ে না, মুখোমুখি হয়ে আপনার কোনো কাজের সুনাম করে গেছে? আপনার প্রিয় মানুষটা শেষ কবে বলেছে যে আপনাকে দেখতে সুন্দর লাগছে?? আপনার কোন আত্মীয়টা এসে আপনাকে বলে গেছে যে “শুনসি তুমি এই কাজটা করছো, শুনে খুব খুশি হইসি, খুব ভাল লেগেছে, তোমার থেকে এগুলাই আশা করি”, আপনার প্রিয় মানুষগুলো শেষ কবে আপনার দিকে তৃপ্তি সহকারে তাকিয়ে বলেছে যে আপনাকে তাদের জীবনে পেয়ে তার সন্তুষ্ট?? একটু প্রশ্ন করেন।

আসল ভাল লাগা এগুলোতে। এই ভালা লাগাগুলো শেয়ারও করতে মন চাবে না। নিজের মনেই পালবেন নিজের মতো করে।

যাদের কাছ থেকে এই প্রশংসা গুলো পাচ্ছেন, এই তারা সবগুলো যদি আপনার ইনবক্সে এসে ডেইলি একই প্রশংসা করে, ২ দিন বাদ দিয়ে ৩ দিনের ঠিকই নিজে বিরক্ত হয়ে যাবেন। জীবনটা আসতে আসতে ছোট হয়ে আসে। ১০০ জন প্রশংসকারী কমতে কমতে সংখ্যাটা ৩/৪ জনে যে কখন নেমে আসবে, নিজেও টের পাবেন না। যদি ৩/৪ জনও পান ভবিষ্যতে পান, নিজেরে ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী মনে করবেন। আর নইলে এই স্টুলিশের মতো ফুলিশ হয়ে মানসিক যন্ত্রনায় ভুগবেন। অসহ্য হবে সেই যন্ত্রনা, অসহ্য হবে সেই জীবন, যেই জীবনে কেও আপনার প্রশংসা করে না। আপনার ভাল লাগা গুলোও হারাবে স্টুলিশের মতোই। দ্রুত



মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

ফেনা বলেছেন: হুম ভাল।

২| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: নিজের প্রশাংসা শুনতে আমার একদমই ভাল লাগে না।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এই ক্রিটিসিজম আমরা যতদিন না একসেপ্ট করতে পারি ততদিন নিজেদেরকে পারফেক্ট করে গড়ে তুলতে পারবনা!

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৩

অসমাপ্ত অধ্যায় বলেছেন: সেটাই

৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: কিন্তু বর্তমানে প্রসংসার নামে চাটুকারিতা বা পাম (হাওয়া) দেয় বেশির ভাগ মানুষ। গঠন মূলক প্রসংসা যেমন ভালো লাগে উৎসাহ বাড়ায় তেমনি নিজের দোষ ত্রুটি জানার জন্য বা সংশোধনের জন্য গঠন মূলক সমালোচনারও দরকার আছে।

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৪

অসমাপ্ত অধ্যায় বলেছেন: গঠনমূলক সমালোচনাও করে অনেকেই । সমস্যা হলো আমরাই সেগুলো আড়াল করে রাখি। সেগুলো থেকে দূরে থাকতে চাই।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: কথা সত্য ভাইয়া, আমরা ফেসবুক এ ঢাক ঢোল পেটাতে একটু বেশী ই পছন্দ করি। কিন্তু stulish এ প্রশংসা ছাড়া ও কেউ তো নেগেটিভ কিছু ও তো বলতে পারে, কই আজ পর্যন্ত সেইরকম কিছু তো কেউ শেয়ার দিয়ে জানালো না :P

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৬

অসমাপ্ত অধ্যায় বলেছেন: ইজ্জত নিয়ে টানাটানি হয়ে যাবে যে

৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: কুইজ:
একটি রাষ্ট্র আছে, যে রাষ্ট্রের স্কুলে তার দূর্বল ও দুষ্ট ছাত্রদের গায়ে শিক্ষকদের হাত তোলা নিষেধ। অর্থ্যাত কোন শিক্ষার্থী কোন ভুল বা অন্যায় করলেও তাকে শারিরিক ভাবে শাস্তি দেয়া যাবে না। এটা হাইকোর্টের নির্দেশ। ইহাকে নির্যাতন হিসেবে গণ্য করা হইবে। সেক্ষেত্রে তাকে সংশোধন করতে হবে।
ওই রাষ্ট্রই আবার তার ‘দুষ্ট ও লবিংয়ে দূর্বল অল্প দুষ্ট’ নাগরিকদের শিক্ষা দিতে বা ‘সু-পথে’ আনতে ক্রসফায়ারে হত্যা করে!

বলতে হবে সেই রাষ্ট্রের নাম কি?

৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

কাইকর বলেছেন: ভাল লিখেছেন

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৭

অসমাপ্ত অধ্যায় বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালবাসা ও শুভকামনা রইলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.