নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরোবরে সৌরভ জাগ্রতচিত্তে !!জীবনে অনেক ঘুমিয়েছি এখন জেগে থাকতে চাই! !!

হ্যা সৌরভ

সরবরে সৌরভ জাগ্রতচিত্তে! !

হ্যা সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সানগ্লাস এবং একটি সমাপ্তি শুরুর গল্প

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

পাংশার সদ্য নতুন সাজানো রেলওয়ে স্টেশনে ছেলেটা দাড়িয়ে !!



সানগ্লাসটা কালচে লাল ধরনের | কাছ থেকে ভালোমতো দেখলেও পরিহিতের চোখের মনিটা দেখতে পাওয়া দুস্কর |



সীমাহীন স্বপ্নদৃষ্টা সদ্য তরুন ছেলেটার স্বপ্নের অল্পটাই পূরন হয়েছে কেবল | সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া ছেলেটা ভাইবা দিতে যাচ্ছে ঢাকা |



চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে লাজুক ছেলেটা তার লাজ-লজ্জার খোলস মোচনের উপলক্ষ পেয়েছে মনে হয় | বাসা থেকে বেরোনোর পর একবার সানগ্লাস চোখে দিচ্ছে তো আরেকবার খুলছে আর ভাবছে আরে ঐ তো অমুক স্যার ঐতো অমুক Uncle দাড়িয়ে, স্যানগ্লাস চোখে দেখলেই কি না কি ভাববে ? এই ভেবে একবার চোখে দিচ্ছে তো আরেকবার খুলছে |



লোকালভাবে আন্তঃনগর ট্রেন,ফেরী আর বাসের সমন্বয়ে দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে ঢাকা যাবে সে |ট্রেনটা আজ ১ ঘন্টা লেট |

চোখে সানগ্লাস থাকা যেন যা খুশী তাই দেখার এক অপার স্বাধীনতার নাম | কারন তুমি কি দেখছো তা কেউই ধরতে পারছে না চোখের সামনে থাকা ঐ কৃত্রিম কনজাংটিভার (পর্দা) কারনে |



অগোচরে তার দিকেই হঠাত হঠাত তাকানো মেয়েটাকে এবার লক্ষ্য করল সে । কালচে লাল ফ্রেমে দেখা ঐ অপরূপার রূপের বর্ননা কেউ শুনবে না তাই সে তা শোনাবেও না | প্রথম প্রথম পাত্তা দেয়নি ছেলেটা | নিজেকে শাহরুখ খান ভাবা তার সাজে না | সে নিজেকেও নিছক এক সাধারন ই মনে করে | কিন্তু বারবার ওয়েটিং রুম থেকে আসা সূচন কম্পাঙ্ক থেকে বেশী কম্পাঙ্কের ফোটন সম্বলিত ঐ চাহনিকে ছেলেটাও আর উপেক্ষা করতে পারছে না, পারছে না ঐ আলোর ঝলকানিকে অবজ্ঞা করতে |



চোখের ভাষা বুঝতে ও বোঝাতে অজ্ঞ ছেলেটা আজ চোখের ভাষা শিখবে ঠিক করেছে | আর এই অপরূপা যেন আজ বেত হাতে থাকা ঐ ম্যাডামটার দায়িত্ব নিয়েছে,যে আজ ক্লাসের সবচেয়ে দুর্বল ছাত্রকে চোখের ভাষার স্বরবর্ন আর ব্যান্জনবর্ন শিখিয়েই ছাড়বে | চোখের ভাষা শিক্ষার স্কুলের একমাত্র Uniform খোলা চোখ | ছেলেটি সানগ্লাসটা খুলবে কিনা ভাবছে আর ঐদিকে ক্লাস শুরুর ঘন্টাটা বেজে গেছে |

কিন্তু সদ্য শুরু হওয়া প্রাইভেট ক্লাসটা অসম্পূর্নই থেকে যায় | অযাচক হিসেবে হঠাত্ করে আসা ট্রেনের হুইসেলটা যেন ক্লাস সমাপ্ত করার ঘন্টাটা বাজিয়ে দিল |



ছেলেটি তার নতুন চশমাটা খুলেছিল কিন্তু দেরীতে ক্লাসে যাওয়ার খেশারতটা তাকে দিতে হল । হয়ত মেয়েটা তার ব্যতিক্রমী ফ্রেঞ্চ কাটের উপর থাকা চশমাটা দেখে চিড়িয়াখানার নতুন কোন প্রানী ভেবে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়েছিল,আর তাই তাকে দেখছিলো কিন্তু ছেলেটা তা ভাবে না ভাবতে পারেনা |



সানগ্লাসটা চোখে নিয়ে ছেলেটি ট্রেনের সিটে বসেছে কেউ আর তার চোখ দেখছে না | ছেলেটি জানে তাকে এখন ঘুমাতেই হবে,স্বপ্নচারী - মনোহরিণী যে তাকে ডাকছে তার স্বপ্নের পৃথিবীতে |



ছেলেটি এখন ঘুমাবে, এই ঘুম থেকে না ওঠার ধূসর প্রত্যাশা নিয়ে | ছেলেটি জানে কেউ তাকে আর বিরক্তও করবে না কারন কেউ তো জানতেই পারবে না সে জাগ্রত নাকি ঘুমন্ত |



ছেলেটির সানগ্লাসটা যে ছিলো কালচে লাল !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.