![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেই তবু যা আছের মতো দেখায় আমরা তাকে আকাশ বলে ডাকি, সেই আকাশে যাহারা নাম লেখায় তাদের ভাগ্যে অনিবার্য ফাঁকি ! --নির্মলেন্দু গুণ
আমাদের বাংলায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ট সম্প্রদায়। ধর্মের টানে সকল মুসলিম এক। আল্লাহ ও রাসুল পাক (সঃ) কে সকল মুসলিমই মানে, বিশ্বাস করে এবং ভালোবাসে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ন্যায়ের ধর্ম, পবিত্রতার ধর্ম! ইসলামের মূল বিষয় হচ্ছে ইমান। আর নবী করিম (সঃ) বলেছেন, দেশ প্রেম ইমানের অঙ্গ। তাঁর মানে হচ্ছে যার মধ্যে দেশপ্রেম নেই তাঁর ইমান নেই। আর যার ইমান নেই, সে মুসলিম হওয়ারও যোগ্যতা রাখেনা।
রাসুল (সঃ) আমাদের বলে গেছেন, সকল মুসলিম ভাই ভাই। অর্থাৎ এক মুসলিম ভাই অন্য মুসলিম ভাইয়ের কল্যাণে কাজ করবে। ইসলামে আছে, প্রতিবেশীর প্রতিও আমাদের কিছু কর্তব্য রয়েছে। ইসলামে এটাও বলা আছে অন্যায় যে করে এবং যে সহে দুজনেই সমান অপরাধী।
আসুন তাহলে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেই ব্যাখ্যা করা যাক জাতি আজ কাদের পাশে দাঁড়াবে!
আসুন বাংলার ইতিহাস থেকে একটু ঘুরে আসিঃ
বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে জানা যায়, গৌড়াধিপতি শশাঙ্কের সময় থেকে (৬০৬ খ্রিস্টাব্দ) ১৯৪৭ এর পূর্ব পর্যন্ত বাংলা কোনদিন পাকিস্থানের সাথে ছিল না। ৪৭ এ দেশ ভাগের সময় মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ট পূর্ব বাংলা পাকিস্থানের সাথে যুক্ত হয়। এর কারণ এটা ছিল না যে পাকিস্থানিরা মুসলিম, এর প্রকৃত কারণ ছিল ভারতীয় কংগ্রেসের প্রাধাণ্য থেকে পূর্ব বাংলাকে মুক্ত করা। অতএব দেখা যাচ্ছে পাকিস্থান কোন ভাবেই আমাদের দেশ হতে পারে না। আমরা ৪৭ এ তাঁদের সাথে গিয়েছিলাম শুধু সাময়িক সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য, তবে সেখানেও শর্ত ছিল পাকিস্থান হবে একটি কনফেডারেশন যেখানে পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম পাকিস্থানের সমান অধিকার থাকবে। দেশ ভাগের কিছুকাল পরই বাঙ্গালি বুঝে গেল পাকিস্থানিরা আমাদের না। ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামিলীগ সংখ্যা গরিষ্ট দল হওয়া সত্ত্বেও পাকিরা মুজিবকে অবিভক্ত পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী বানাতে অস্বীকার করল (মুজিবও কিন্তু মুসলিম ছিলেন)। আর এই সূত্র ধরেই ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ। আর এই যুদ্ধের OUTPUT দুইটি শ্রেণী। একটি রাজাকার (আজকের তথাকথিত আস্তিক), অপরটি দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের সমর্থক (তথাকথিত আস্তিকদের ভাষায় নাস্তিক)।
যারা আজ আস্তিক বলে স্বীকৃত ৭১-এ তাঁদের কর্মকান্ড,
২৫ শে মার্চ রাতে, পাকহানাদাররা আমাদের আক্রমণ করল, আমাদের ভাইদের মারা শুরু করল, আমাদের বাড়ীঘরে আগুণ দিল, আমার স্বজন, আপনাদের স্বজনদের হত্যা করল। এসব ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হল তাঁদের অধিকাংশই কিন্তু মুসলিম ছিল, যাদের উত্তরসূরীরা আজ আস্তিকদের ভাষায় নাস্তিক হয়ে গেছে। তথাকথিত আস্তিকরা তখন পাকিদের সাথে যোগ দিল, নিজের দেশের সাথে বিরুদ্ধাচারণ করল, নিজ প্রতিবেশীদেরও ক্ষতি করল, মুসলিম ঘরের মা বোনদেরও ছাড় দিল না! যথার্থই এরা আল্লাহ ও রাসুলের দেখানো পথেই ইসলাম কায়েমে মনোনিবেশ করেছিল (আল্লাহ রাসুল যা বলেছিল তাঁর কিছুই শুনল না)।
মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে, মুজিব সাহেব তাঁদের ক্ষমা করে দিলেন, এই ভেবে যে এরা হয়ত এখন সংশোধণ হয়ে যাবে। কিন্তু কই আস্তিকেরা তাঁদের পাপকর্ম অব্যাহত রাখলো.................................................................. দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর! বর্তমান সময়ে এসে সরকার যখন তথাকথিত আস্তিক (রাজাকারদের) শাস্তি দিতে চাইলেন, তখনই আস্তিকদের বাচ্চারা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করতে চাইছে। ব্লগার রাজীব নাস্তিক ছিল কিন্তু সে তো দেশ ও জাতির ক্ষতি করেনি। আপনার আমার কোন ক্ষতি করেনি। তাঁকে প্রাণ হারাতে হয়েছে, আস্তিকরা কিন্তু তাঁকে ইমানের পথে ধর্মের পথে আনার চেষ্টা করেনি!
ফ্রান্সিস বেকনের একটি উক্তি, “বিজ্ঞান সম্পর্কে অল্প জানলে মানুষ নাস্তিক হয়, কিন্তু বিস্তর জানলে সে আস্তিকে পরিণত হয়ে যায়!” তথাকথিত আস্তিকরা কিন্তু রাজীবকে বিস্তর জানার সময় দেয়নি।
তাই ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজকে বলতে চাই, দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে এক হোন; রাজাকারদের বিচার চান, জামায়াত শিবিরের পতন চান, এরা মুসলিম নয়, এরা ধর্মব্যবসায়ী একটি কুচক্রী মহল, এরা আপনাদের ভুল বোঝানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত, এরা সর্বযুগেই ইসলামের নাম দিয়ে তাঁদের পাপাচার কায়েম রেখেছে, আসুন এদের পাপাচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেই!
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২২
কিউ জামান বলেছেন: যদি এই ২য় বারের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হতে চান তবে নাস্তিকদের ভোট দিন। না হলে রাজাকের থেকে যাবেন।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬
হাসান ২৯ বলেছেন: Shibir killed 1 (?).......(?)
your people killed more then 30 since shabag square started.
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪০
নাদরীস বলেছেন: হাসান ২৯ এর জন্য;
একজন দেশপ্রেমিকের বিপরীতে একলক্ষ দেশদ্রোহী মরলেও দেশপ্রেমিক শহীদের আত্মা শান্ত হয় না, যতক্ষণ না দেশের নিরাপত্তা অর্জিত হচ্ছে। বাঙ্গালির আজকের নিরাপত্তার মানেই হচ্ছে জামায়াত, শিবির, রাজাকার মুক্ত বাংলা!
“HOPE THAT U UNDERSTOOD”
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১
ইনফা_অল বলেছেন: অবশ্যই আস্তিকদের পাশে এবং সকল অপরাধের বিপক্ষে।