![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিপিএলের তৃতীয় ম্যাচে নাটকীয়তা রীতিমত হতবাক করেছে গোটা ক্রিকেটবিশ্বকে। প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু দ্বিতীয় ম্যাচে জয়, রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে চিটাগাং এক রানে হারিয়েছে সিলেট সুপার স্টার্সকে। তবে দলটির অধিনায়ক তামিম ইকবাল বেশ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেমে অবাক করা ঘটনায় স্বীকার হয়েছেন তামিম ইকবাল।
আর সেটা সিলেট ফ্রাঞ্চাইজির কর্মকর্তাদের মারাত্মক বাজে আচরণ করার কারণে। এতে বেশ অপমানিত হয়েছেন তিনি। আর এ কারণেই তিনি বলেছেন, ‘ধারাবাহিক অপমানিত হতে থাকলে ক্রিকেটই ছেড়ে দেব’।
অনেকেই হয়ত বুঝতেই পারছেন না কেন এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। মূল ঘটনাটি ঘটেছে ম্যাচ শুরুর আগেই। যেখানে ইংলিশ দুই ক্রিকেটার রবি বোপারা ও জশুয়া কবের ম্যাচে অংশগ্রহণ নিয়ে। প্রথমে তাদের দুজনের ছিল না এনওসি (অনাপত্তি পত্র)। এ ফাঁকে দলীয় খেলোয়াড় তালিকা নিয়ে টস করে ফেলেন মুশফিক। টসের পর দেখা গেলো এনওসি জমা দেয়া হলো বিসিবিতে। সিলেট সিদ্ধান্ত নিল দুই ইংলিশ ক্রিকেটার খেলাবে। কিন্তু বাদ সেধে বসলো চিটাগাং। তাদের যে তালিকা দেয়া হয়েছিল, সেখানে তো নেই জশুয়া কব আর রবি বোপারার নাম! এ নিয়ে সিলেট ফ্রাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় চিটাগং অধিনায়ক তামিম ইকবালের। তামিমের অভিযোগ, ঐ সময় সেই কর্মকর্তারা তাকে বাজে ভাষায় আক্রমণ করে। যা তাকে অপমানিত করেছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে উঠতেই তামিম বেশ হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটার। সেখানে বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে কোন ফ্রাঞ্চাইজির কর্মকর্তারা আমার পরিবার নিয়ে কটুক্তি করবে, তা আমি মেনে নিতে পারি না। সেই সময় আমার সঙ্গে ভিক্ষুকের মতো আচরণ করা হয়েছে। এমন যদি ধারাবাহিকভাবে ঘটতে থাকে, তাহলে ক্রিকেটই ছেড়ে দেব’।
তিনি আরও বলেন, ‘একটা জিনিস আমি সবাইকে বলতে চাই, বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সম্মান করা উচিত। বিপিএলের পয়সা আছে তার মানে এই না যে জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে ভিক্ষুকের মত ট্রিট করবে। বিপিএলর সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। আমি এখানে খেলতে এসেছি। আমার মা-বাবা, আমার পরিবারের ব্যাপারে গালি শুনতে আসিনি।’
যিনি খারাপ ব্যবহার করেছেন, তার নাম বলতে চাননি অবশ্য তামিম, ‘আমি তার নাম বলতে চাই না। আমি ওই মানুষটার প্রতি যথেস্ট সম্মান দেখিয়ে তাকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেছিলাম। তাকে স্যার, স্যার, স্যার বলেও সম্মান করেছি। সে আমাকে বলেছিল দাঁড়িয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে। আমি সেই কাজটিও করেছি। এরপর সে আমার পরিবার নিয়ে খুব বাজে মন্তব্য করে, যেটা খুব অপ্রীতিকর।’
তবে তামিমের বিশ্বাস বিষয়টি সুরাহা করবে বিসিবি। তার মতে, ‘আমি বিশ্বাস করি আমি বিসিবির একটা পার্ট। বিসিবির ডিসিপ্লিন কমিটি অবশ্যই এটা নিয়ে পদক্ষেপ নিবে। আমাদের কিভাবে সম্মান দিবে সেটা নিয়ে ভাববে। তারা যদি আমাদেরকে ভিক্ষুকের মত ট্রিট করা শুরু করে তাহলে আমাদের খেলা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
হোয়াইট টাইগার বলেছেন: কিছু সাড়শ বাঙালী আছে যারা কখনো মানুষ হতে পারেনি ।এদের কে শুয়োরের খোয়ারের পাহাড়াদার রাখলে জাতি শান্তি পাবে ।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
ইলুসন বলেছেন: শুয়োরের বাচ্চারা নিজেদের কী মনে করে? তামিম একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়। ওকে গালি দেয়ার সাহস পায় কিভাবে? টাকা দিয়ে মানুষ কিনে ফেলছে নাকি? টসের আগে দলের খেলোয়াড়দের নাম জমা দিতে হবে। টসের পরে আর দল পরিবর্তন করা যাবে না, এই নিয়ম না জেনে খেলতে আসছে কেন? এটা কি পাড়ার রাস্তার ক্রিকেট খেলা নাকি? সব জায়গায় টাকার গরম দেখাতে চায়।
এর আগে আশরাফুলের ক্যারিয়ার নষ্ট হইছে এমন এক হারামজাদা ফ্রাঞ্চাইজি মালিক ও তার ছেলের কারণে। বিসিবির উচিত এসবের সুরাহা করা। আগের দুইবার প্লেয়ারদের ঠিকমত টাকা দেয়া হয় নাই। এবার এই কাণ্ড! আর ফ্রাঞ্চাজির মালিকের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হবে কেন? ও কোন নবাবের বাচ্চা?
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ই-সব কোন আচরণ!
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
অসামাজিক শফিক বলেছেন: বিসিবি'র উচিত বিষয়টি সুরাহা করা।
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সত্য ঘটনা জানিনা। কারণ, অন্য পক্ষর বক্তব্য এখনো আমরা জানি না। তবে তামিমের এটিটিউড প্রবলেম আছে।
৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: টাকার গরম দেখিয়ে ফ্যামিলিকে নিয়ে কথা বলে দিল।
তবে পুরো খবরটা আগে জানতে হবে। কতটুকু মিডিয়ায় আসবে আর কতটা সত্য হবে সেটাও জানিনা।
৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বিপিএল দেখছি না| তবে কারও পরিবার নিয়ে কথা বলাটা অন্যায়| লিটন দাসকেও ধর্ম নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে| বাজে ব্যাপার একটা| বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র এখনও বুনোই রয়ে গেছে
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১
কিরিটি রায় বলেছেন: ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক বিয়স আসবে কেন? ঐ কথিত কর্মকর্তারা কি ভাবে নিজেদের?
অবশ্যই বিসিবর কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত! ফ্রেঞ্চাইজিদের ব্যবসার চেয়ে জাতীয় ক্রিকেট সম্মাননা অনেক দামী !!! এটা মাথায় রাখতে হবে।