নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজনীতি

চির উন্নত মম শির

হিমরাজ ব্লগ

চির উন্নত মম শির

হিমরাজ ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয় বাংলা: আসুন একতাবদ্ধ হই

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

মুর্শেদ রায়হান

সংগঠক, রাজনীতিক, গবেষক



অমিত সম্ভাবনার দেশ, আমাদের বাংলাদেশ। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা এগিয়ে যাব সফলতার দিকে। দেশের সাম্প্রতিক সময়ের অস্থিরতা সাময়িক এবং শীঘ্রই একতাবদ্ধ একটি জাতিতে পরিণত হবো আমরা। বৃহত্তর স্বার্থের জন্য নিজের মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে ঐক্যমত্যে আসা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এতে এগিয়ে যাবে দেশ, আসবে সমৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধ দেশের সকল জনগণ এতে লাভ করবে সফলতা, দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির পথে। সবাইকে সম্মিলিত করতে, একতাবদ্ধ জাতিতে পরিণত হতে এবং সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বার জন্যই আমরা রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছি। রাজনৈতিক সংগঠন ছাড়া কোনো জাতিকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব নয় এবং রাজনৈতিক দলের মাধ্যমেই কেবল এবং কেবলমাত্র বড় উদ্দেশ্যকে হাসিল করা সম্ভব।



সাম্প্রতিক সময়ের সব ধরনের অনৈক্যকে দূর করবার জন্য; বিদ্যমান অনিয়মসমূহকে বন্ধ করবার জন্য; সুস্থ রাজনৈতিকি ধারা তৈরি করবার জন্য; জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেকটি জনগণকে প্রাপ্য সবধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভোগ করবার সুযোগ তৈরির জন্য; শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রসার অথার্ৎ সর্বস্তরে সুশিক্ষার মাধ্যমে সাধারণ এবং টেকনিকাল শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো; দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন; জীবনযাত্রার মনোন্নয়ন; দুর্নীতির মূলোৎপাটন; কর্মসংস্থান তৈরি; জ্বালানী সমস্যার সমাধান; স্বাস্থ্য সেবার সবোর্চ্চ আধুনিকায়ন এবং সবার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা; উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো এবং অথর্ব্যবস্থা; কৃষির আধুনিকায়ন এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি; কৃষি ও প্রযুক্তিনিভর্র অথর্নৈতিক দৃঢ় ভিত্তি তৈরিসহ দেশের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি খাতকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য আমরা রাজনীতি করতে এসেছি। আমরা এসেছি আপনাদের জন্য, আপনাদেরসহ আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবার জন্য।



আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা সহজ সরল জীবন যাপন করতে চাই। আমরা নিঝর্ঞ্জাট সমাজে বসবাস করতে চাই। আমি আমার ধর্ম স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে চাই। আমি অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে চাই। প্রত্যেকটা ধমর্ই শান্তির কথা বলে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা বলে, ধমীর্য় এবং মানবিক সম্প্রীতির কথা বলে। আমরা ধমের্র দোহাই দিয়ে হানাহানি বন্ধ করতে চাই। আহবান জানাচ্ছি ধমের্র দোহাই দিয়ে সহিংস না হতে। ধর্মকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকুন। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করুন।



আমরা সবাই দেশপ্রেমিক। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি সম্বন্ধে সবাই ওয়াকিবহাল। বতর্মান পরিস্থিতিতে দেশের জনসাধারণ প্রবলভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সবাই একতাবদ্ধ থাকতে চাই। বতর্মানে যে বিভেদের রাজনীতি চলছে, যেধরনের বিপরীতমুখী শ্রেণিকরণ করা হচ্ছে, তা আমরা বন্ধ করতে চাই। দেশের মানুষের মধ্যকার দ্বিধাবিভক্তি আমাদেরকে পিছিয়ে দেবে। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসবাসকারী প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্থান জুড়ে যে অরাজগতা, যে ধ্বংসলীলা, যেধরনের নিরাপত্তাহীনতা- তার সবকিছুর মূলে কাজ করেছে অনৈক্য, পারস্পরিক কোন্দল, অধৈর্য এবং ধর্মান্ধ আচরণ। মনে করিয়ে দিতে চাই জাতিগত এবং আদর্শগত বিভেদ এবং রেশারেশির জের ধরেই সেসব দেশ আজ বৈদেশিক আগ্রাসনের শিকার, স্বাধীন হয়েও পরাধীন, সেসব দেশের জনগণ নিজভুমে পরবাসী। সবার প্রতি আহবান দেশকে অরাজক, অস্থিতিশীল বা পরমুখাপেক্ষী অবস্থার দিকে ঠেলে দিবেন না।



প্রথম একবার হয়েছে জাতীয়তাবাদ নিয়ে বিভেদ: বাঙালি-বাংলাদেশি। এখন চলছে মুসলমান-অমুসলমান আর আস্তিক-নাস্তিক বিভেদের অপচেষ্টা। বারবার বলতে চাই ধর্ম প্রত্যেকটা মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত চর্চার বিষয়। ‘তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে’। একে অপরে একে অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন, ধর্মকে হেফাজত করতে হবেনা, ধর্ম এতটাই ব্যপক এবং নির্ভরতার জায়গা যেটি নিজ গুণেই আমাদের সবাইকে হেফাজত করে এবং সাথে সাথে নিজ মহত্ত এবং গুণেই হেফাজতে থাকে। প্রত্যেকটা ধর্মের বাণী শান্তি স্থাপনের জন্য। নিজ নিজ ধর্মকে আরো গভীরভাবে জানুন, ধর্মের অনুশাসন মেনে চলুন; বাগারম্বরের প্রয়োজন নেই, সহিংস হবার প্রয়োজন নেই কিংবা অযাচিত উৎসাহী দায়িত্ব গ্রহণের প্রয়োজন নেই।



আমরা এখন অনেক সচেতন। মনগড়া এক একটা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করবার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। সচেতন রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিসেবে আপনাদের সবধরনের অপচেষ্টা রূখে দেব আমরা। সহজ কথা বলা যায় সহজে। দেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধাচারণের জন্য যেভাবে একের পর এক মনগড়া বিবৃতি প্রদান করছেন তা অত্যন্ত স্থুল মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। কথা বলার ক্ষেত্রে আরো সহনশীল, এবং শালীনতা বজায় রাখার আহবান জানাচ্ছি প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে।



দেশের চলমান অবস্থায় দুমাস আগেও বর্তমানের মতো অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজমান ছিলনা। আবার আহবান করছি বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে কখনো কখনো বা সাময়িক সময়ের জন্য নিজের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে ঐক্যমত্য স্থাপন করবার। গণজাগরণ মঞ্চকে ধন্যবাদ। দেশপ্রেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী তরুণ প্রজন্মের কাযর্ক্রমকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তারপরও পুরো ঘটনাপ্রবাহে আমাদের অবস্থান ও পর্যবেক্ষণকে আমরা পরিষ্কার করতে চাই। গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্বকে আহবান জানাই আর একটু ধৈর্য প্রদর্শন করতে; আর একটু বিচক্ষণ হতে। প্রথমত, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যে সুস্পষ্ট অবস্থান আপাতত এতটুকু দাবিতেই অটল থাকুন আপনারা। দ্বিতীয়ত, জামায়াতে ইসলামের রাজনীতি নিষিদ্ধের যে দাবি, তা থেকে আপাতত সরে আসুন। তৃতীয়ত, অনুগ্রহ করে গণসংযোগ করে মানুষ-জনকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করুন। চতুর্থত, জামায়াতে ইসলামী বা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর বর্তমান অবস্থানকে, মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন তাদের ভূমিকা, বর্তমান সময়ে তাদের ভূমিকা জনসাধারণের সামনে, বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন; এটি করতে ব্যপক গণসংযোগ গড়ে তুলুন; পঞ্চমত, ব্লগার, গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কিত সবধরনের অপপ্রচার, ধর্মহীনতার অভিযোগ বা নাস্তিকতার আখ্যা বিষয়ক প্রতিটি অপচেষ্টার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ, যৌক্তিক, গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, প্রচার-প্রচারণা জনগণ অর্থাৎ শিক্ষিত, অশিক্ষিত, সচেতন, অসেচেতন প্রতিটি মানুষের কাছে সহজভাবে তুলে ধরুন। আপনাদের অবস্থানকে পরিষ্কার করুন- তাদের কাছে যারা আপনাদের বুঝতে পারছেনা, তাদের কাছে যাদেরকে আপনাদের সম্পর্কে বিভ্রান্ত করবার চেষ্টা করা হচ্ছে।



যে ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে আপনারা দেশব্যাপি যে গণঅবস্থান তৈরি করেছেন, যে দাবি নিয়ে আজ মাঠে অবস্থান করছেন; গুরুত্বানুসারে একটি একটি করে সমাধান করুন। আপনাদের কর্মসূচীর পাল্টা কর্মসূচী যেন না আসে। অনুরোধ করছি সর্বজনগ্রাহ্য হয়ে সর্বোচ্চ জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবার। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি, আমরা আপনাদের সঙ্গ দেব। এক একটা সমস্যা একটা একটা করে পর্যায়ক্রমে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা সমাধান করবো। আমরা বিশ্বাস করি তরুণদের অমিত শক্তি। তারপরও প্রতিটি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য সচেতনভাবে এগুতে হবে। প্রথম যে দাবি- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার’, সর্বোতভাবে সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। এটিও খুব সহজসাধ্য একটা ব্যপার নয়। খুব অল্প সময়েও যে এটি বাস্তবায়ন করা যাবে সেটিও আপাতভাবে মনে হয়না আমাদের। এর সাথে জড়িয়ে আছে জাতীয়-আন্তর্জতিক রাজনীতি, বিভিন্ন অপশক্তি। আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে; আইন চলবে আইনের গতিতে। ততটুকু সময় অপেক্ষা তো করতে হবেই। আপাতত জাতীয় এবং আন্তর্জতিকভাবে প্রয়োজনীয় প্রচারণায় মনোনিবেশ করুন। জনমত, জনআস্থা অর্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যারা আস্থা স্থাপন করেছে তাদের নয়; গুরুত্বারোপ করতে হবে তারা যারা আস্থা অর্জন করেনি বা বা বিরুদ্ধাচারণ করছে তাদের আস্থা অর্জনের জন্য।



আমরা গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করছি। গণতন্ত্রকে অনেক কষ্ট করে এদেশে স্থাপন করেছি। গণতন্ত্রকে স্থায়ী করতে আপনাদের ভূমিকা পালন করতে হবে। গণতান্ত্রিক দেশে জামায়াতে ইসলামের সমথর্কদের রাজনীতি করবার অধিকার আছে। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে জনমতকে আমাদের প্রাধান্য অবশ্যই দিতে হবে। যে পরিমাণ জনসমর্থন আজ জামায়াতে ইসলাম তৈরি করেছে, সে সংখ্যাটিকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। আজ হঠাৎ জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করলে পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে আরো ঘোলাটে। উদাহরণ আছে আমাদের চোখের সামনেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে দাবি আর জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের যে দাবি এবং এর ফলশ্রুতিতে যেধরনের অপরাজনীতি, গণ্ডগোল, জীবন হানি হলো সেটি কি জামায়াত নিষিদ্ধ করলে বন্ধ হবে? নাকি আরো বাড়বে? জামায়াত নিষিদ্ধ হলে এর কর্মী-সমর্থকরা চোরাগুপ্তা হামলা চালাবে আমাদের উপর। প্রয়াস চালাবে দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করবার। চেষ্টা করবে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ তৈরি করবার মতো অবস্থা তৈরি করতে। আমাদের এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি, মানুষ হত্যা, রগকাটার মতো হাজারো দৃষ্টান্ত তাদের রয়েছে। আসুন, আর একটু সময় নিই। তাদের নিষিদ্ধ হবার পথটি তাদেরকেই তৈরি করতে দিই। সময়ই যথাসময়ে তাদের নিষিদ্ধ করবে। আস্থা রাখুন। আপনাদের হাত দিয়েই এটি সম্পাদিত হবে।



যতদিন না আমরা আরো বেশি শিক্ষিত হচ্ছি, যতদিন রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারছি, সুশাসন স্থাপন করতে পারছি এবং শক্তিশালী, কার্যকর, এবং স্বচ্ছ একটি জননিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করতে পারছি ততদিন অপশক্তি, অপরাজনীতি, এবং দুর্নীতি চেষ্টা করে যাবে সচল হতে, তাদের কালো হাতকে সম্প্রসারিত করতে এবং জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে।



যে দোষের কারণে আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে সেটির যৌক্তিক একটি ভিত্তি আছে। সচেতন প্রতিটি নাগরিক এ বিচারের পক্ষে। অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো কোনো ব্যাক্তি বা রাজনৈতিক সংগঠন এটির পক্ষে অবস্থান না নিলেও বিরুদ্ধাচারণ অন্তত করবেনা, করছেনা। এমনকি জামায়াতের প্রধান মিত্র দেশের প্রধান বিরোধী দলও না। আপনারা জনমত তৈরি করুন, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমতকে একক দাবিতে পরিণত করুন, সময়ই নির্ধরণ করবে আমরা কি চাই, আমরা কি করবো। গণজাগরণ মঞ্চকে বলছি, আসুন আপনাদের অমিত শক্তিকে জনগণের মধ্যে সুশিক্ষা বিস্তারে এবং গণসচেতনতা তৈরি করতে ব্যবহার করুন। আমাদের দেশপ্রেমকে আর একটু বাড়িয়ে দিতে ভূমিকা পালন করুন। স্বার্থপরতা থেকে আমাদের মানসকে বের হতে সহায়তা করুন। আপনাদের চেষ্টার সাথে আমরাও সম্পৃক্ত হবো। আমরা আমাদের দেশকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। রাষ্ট্র যদি তার নাগরিকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে না পারে, জীবনযাপনকে সহজ করতে না পারে, সঠিক ও বৈধ উপায়ে প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জনের নিশ্চয়তা প্রদান করতে না পারে তখন তৈরি হয় দেশের প্রতি বিদ্বেষ, দেশপ্রেমের ঘাটতি। আসুন আমরা সবাই মিলে শিক্ষিত এবং উপার্জনক্ষম একটি জনবল তৈরি করি। আমরা বিশ্বাস করি, সুশিক্ষা, সচেতনতা এবং ঐক্যমত্য আমাদেরকে সফল, মাথাউঁচু জাতিতে পরিণত করবে।



সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, এবং ২৩টি সংগঠনের হরতাল আহবানকে আমরা সমালোচনা করছি। মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ। তারপরও যেকোনো ধরনের অনিয়ম-অপশক্তিকে রুখতে আমরা নিয়ম অনুসরণের পক্ষে। আমরা বিচক্ষণতার পক্ষে। আমরা আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে হতে দেবনা। আমরা চ্যলেঞ্জ ছুড়তে চাইনা। আমরা বিশ্বাস করি, আপনাদের যে পরিমাণ জনসমর্থন এবং শক্তি রয়েছে সেটি প্রদর্শনের খুব বেশি প্রয়োজন নেই। আপনারাই আপনাদের প্রকাশ। ধৈর্য ধারণ করুন। আপনারা স্বাধীনতার প্রেরণাকে ধারণ করেন। আপনাদের অনেকে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আপনারা অনেকে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ।



আমরা হরতাল বিরোধী। আমরা যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরোধী। আমরা অবরোধ বিরোধী। আমরা মত প্রকাশের পক্ষে। আমরা আলোচনার পক্ষে। আমরা সহনশীলতার পক্ষে। যেকোনো ইস্যুতে বিরোধী দলীয় হরতাল যেমন আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য, তেমনি আপনাদের আহবানকৃত হরতালকেও আমরা অগ্রহণযোগ্য মনে করি। হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক বক্তব্য বা কর্মসূচীর ন্যূনতম ভিত্তি নেই এবং তাদের দাবি এবং ও দাবি আদায়ের নামে গৃহীত কর্মসূচীগুলোর সবকটিই অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য। তবে এটিকে ঠেকানোর জন্য হরতাল আহবান অবশ্যই পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করবে। স্পষ্ট বিভক্তি তৈরি করবে। বারবার বলছি, আমরা দ্বিধাবিভক্তি চাইনা। আমরা কোনোধরনের অস্থিতিশীলতা চাইনা, আমরা সম্পদের ক্ষতি চাইনা, আমরা রক্তপাত চাইনা, আমরা জীবন হারাতে চাইনা।



আপনারা আলোচনা করুন। মানুষ-জনকে বোঝান। ‘ইসলাম আমাদের দেশে হেফাজতেই আছে, পাশাপাশি আমাদেরও হেফাজত করছে’ এটি জনগণকে বোঝান আপনারা। তথাকথিত হেফাজতে ইসলাম একবারের জন্য সহিংস হলে, একটা ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে, তাদের অবস্থানকে জনসাধারনের সামনে তুলে ধরুন। হেফাজতে ইসলামের মুখোশ উন্মোচিত হতে দিন। সরকারকে সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করতে দিন। সরকারকে সহায়তা করুন।



বাংলাদেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। বুদ্ধিমান। তবে বর্তমান অস্থিতিশীল পরিবেশে দেশের জনগণ উদ্বিগ্ন। জনগণ আস্থাশীল একটা মঞ্চ চায়। আস্থাশীল একটা অবস্থান চায়। আমরা সেধরনের আস্থা অজর্নকারী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাই। আপনারা আমাদের সমথর্ন দিন, আমাদের মতামতকে বিবেচনা করুন, আমাদের নিদের্শনা দিন, আমরা আপনাদের সবাইকে আস্থাশীল একটি রাজনৈতিক দল উপহার দেবো।



আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। বর্তমান সময়ে এ বিচারপ্রক্রিয়া কোনোভাবে, কোনো কারণে ব্যহত হলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি ক্ষমতায় যেয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করবার। এমনকি সময় অতিক্রান্ত হলে প্রয়োজনে গত ব্যক্তির বিচার এবং তার শাস্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতেও আমরা দ্বিধা করবোনা। জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।



বিজয় সুনিশ্চিত। জয় বাংলা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

নন্দনপুরী বলেছেন: হেআল্লাহ......তুমি জামাত শিবির ও কিছু নাস্তিক ব্লগারের হাত থেকে দেশ ও ইসলামকে রক্ষা কর

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

তনুদ্‌ভব বলেছেন: জয় বাংলা। জামার শিবির নিপাত যাক।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জয় বাংলা বলতে মন আমার,
এখনো কেন ভাব রে মন?
হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.