নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজনীতি

চির উন্নত মম শির

হিমরাজ ব্লগ

চির উন্নত মম শির

হিমরাজ ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা: কেন আমরা রাজনীতিতে সক্রিয়

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা: কেন আমরা রাজনীতিতে সক্রিয়?
ই.মেইল: [email protected]
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে কঠোর সংগ্রাম, ত্যাগ, তিতীক্ষা, জীবন এবং সম্ভ্রম বিসর্জনের মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা আমাদের সাহসীকতা এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোবল দিয়ে ৯মাসের অকুতোভয় যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। এর আগে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট থেকে ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ এ স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত আমরা ছিলাম পাকিস্তান শাসনের অধীন এবং পদে পদে নিগৃহীত একটি প্রদেশ: পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৭১ সালের পর থেকে ২০১৩ পর্যন্ত অতিক্রান্ত ৪২ বছরে আমরা এখন কোথায় দাঁড়িয়ে? আমাদের জনসংখ্যা, বর্তমান সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, শিক্ষা সংক্রান্ত এবং রাজনৈতিক অবস্থা এবং অবস্থান নির্ণয় এবং এর বাস্তবতা, নিকট ভবিষ্যতে জনগণের অবস্থান এবং দীর্ঘমেয়াদে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়বার জন্য আত্মানুসন্ধানের মাধ্যমে জনকল্যাণের জন্য আমরা আজ রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছি। রাজনীতিতে সক্রিয় হবার পেছনে আমাদের কারণগুলো অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট এবং পরিষ্কার:

প্রথমত, বাংলাদেশে সুশাসনের প্রতিষ্ঠা।

দ্বিতীয়ত, সমসাময়িক অগণতান্ত্রিক চরিত্রের, দুর্নীতিপরায়ণ, ব্যাক্তি এবং পরিবারকেন্দ্রীক রাজনৈতিক বলয় থেকে রাজনীতিকে মুক্ত করবার দৃঢ় প্রত্যয়।

তৃতীয়ত, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দল এবং পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্র পরিচালনা।

চতুর্থত, দেশে রাজনৈতিক সংস্কার এবং দেশ পুনর্গঠনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

পঞ্চমত, গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চ্চার মাধ্যমে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অন্যান্য সমসাময়িক রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উদাহরণ উপস্থাপন করা; যাতে করে অন্যায় এবং অন্যয্য অবস্থান থেকে সরে এসে জনকল্যাণমুখী রাজনৈতিক দল তৈরি হয় সে ধরনের ভূমিকা পালন।

ষষ্ঠত, দেশের সরকারী-বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত, প্রাইভেট সবধরনের চাকরিক্ষেত্রে যোগ্য এবং মেধাবী প্রার্থীর অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করে কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা করা।

সপ্তমত, দেশে ব্যাবসার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা। বৈদেশিক রপ্তাণির ক্ষেত্রে দেশিয় ব্যাবসায়ীদের জন্য শুল্ক হ্রাস এবং ব্যাবসায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দেশে শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করা।

অষ্টমত, কৃষি উৎপাদনকে আরো বেশি দ্রুতগতিসম্পন্ন করে উদ্বৃত্ত উৎপাদনশীল কৃষি অর্থনীতি তৈরি করা, কৃষকদেও মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনা এবং সমবায়ভিত্তিক কৃষি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম, কৃষক এবং সামগ্রিক দেশের উন্নয়ন।

নবমত, সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা, উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং মেধাবী শিক্ষক-গবেষক নিয়োগ এবং শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো মানের গবেষক সৃষ্টির জন্য বিদেশে বৃত্তি প্রদান এবং প্রাপ্তির জন্য উচ্চ শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা। তাত্ত্বিক শিক্ষার চেয়ে ব্যবহারিক, প্রায়োগিক, প্রাযুক্তিক এবং কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলণের মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা।

দশমত, দেশের সর্বস্তরে প্রদর্শিত এবং অপ্রদর্শিত সবধরনের ঘুষ-দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা।

একাদশত, দেশের বেকারত্ব হ্রাস এবং ক্ষুদ্র এবং বৃহৎ, একক এবং সমবায়ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের কৃষি, শিল্প এবং ব্যাবসায়িক প্রকল্প, উদ্যোগ এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং সহায়তা প্রদান।

দ্বাদশত, কৃষক, মজুর, শ্রমিক, ব্যাবসায়ী, পেশাজীবিসহ অর্থ উপার্জনকারী প্রত্যেকজনের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে শক্ত ভিত্তি প্রদান।

ত্রয়োদশত, শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ধর্মীয় সম্প্রীতির সেতুবন্ধ তৈরি।

চতুর্দশত, অপরাধ এবং অপরাধ প্রবণতা, সন্ত্রাসী কর্মকা-, হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণসহ সবধরনের সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, আইন শৃঙ্খলার উন্নতি সাধন, জননিরাপত্তা প্রদান, নিরাপদ জীবন-যাপন এবং অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিতকরণ।

পঞ্চদশত, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ এবং প্রশাসনকে পরস্পরের প্রভাবমুক্ত রেখে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করবার নিশ্চয়তা বিধান।

ষোড়শত, ক্রেতা-বিক্রেতা, উৎপাদক-ভোক্তা উভয় পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষণ।

সপ্তদশত, প্রতিটি মানুষের স্ব-স্ব ধর্ম পালনের সবধরনের সুবিধা প্রদান, সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি, ধর্মের প্রেমের বাণী প্রচার।

অষ্টাদশত, বেতন কাঠামোর পরিবর্তন, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, সময়োপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়নের মাধ্যমে বেতন বৃদ্ধি।

উনবিংশত, প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মাধ্যমে প্রযুক্তিখাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন।

বিংশত, দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে দেশীয় উন্নয়ন কর্মকা-ে নিয়োগ প্রদান এবং বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি।

একবিংশত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে খ্যাতিবান বাংলাদেশের নাগরিক শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানীসহ বিশেষায়িত প-িতদের দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে দেশে প্রযুক্তি, গবেষণা ও শিক্ষার বিকাশ।

দ্বাবিংশত, কৃষি বিপ্লব।

ত্রয়োবিংশত, সামরিক বাহীনিকে (সেনা, আকাশ এবং ণৌ) শক্তিশালী করা এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তি সন্নিবিষ্ট করে প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন। দেশিয় বিকশিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশিয়ভাবে যুদ্ধাস্ত্র, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান, বিমানবাহী রণতরী, সাবমেরিন তৈরি করে ব্যায় কমানোর মাধ্যমে এবং উদ্বৃত্ত যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধযান রপ্তাণি করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো হবে।

চতুর্বিংশত, মত প্রকাশের স্বাধীনতা তৈরি। জনমতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান। প্রতিটি মতের মূল্যায়ণ এবং সম্মিলিতকরণের মাধ্যমে জনহিতকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

পঞ্চবিংশত, ধর্মীয়, সামাজিক সব ধরনের কুসংস্কার দূরীকরণ। ধর্মীয় মৌলবাদ দূরকরণ। ধর্মীয় বিদ্বেষ বা হানাহানি বন্ধ করা।

ষষ্ঠবিংশত, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী এবং নিরপেক্ষ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর এবং সবধরনের প্রভাবমুক্ত প্রতিষ্ঠানে রূপদানের মাধ্যমে নির্বাচনী সব ধরনের দায়িত্ব অর্পণ। নির্বাচনী ব্যয় হ্রাস করা হবে।

সপ্তবিংশত, প্রতিটি নাগরিককে ডিজিটাল নাগরিক পরিচয়পত্র প্রদান করা। এ পরিচয়পত্রটি একই সাথে নির্বাচনের সময় পরিচিতিপত্র হিসেবে কাজ করবে এবং প্রতিটি পরিচয়পত্রের সুনির্দিষ্ট নম্বরটি নাগরিক নম্বও, ভোটার নম্বর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ভোট গ্রহণ পদ্ধতিকে ডিজিটাইজড করা এবং কার্ড পাঞ্চ করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সারা দেশে নির্বাচন সম্পন্ন করা। মানবিক ত্রুটিপূর্ণ জাল ভোট, অবৈধ ভোট, ভুয়া ভোট এবং বল প্রয়োগপূর্বক ভোট গ্রহণ বন্ধ করা এবং ভোটকার্যে নিয়োজিত ব্যাক্তি কর্তৃক ভুল করার সম্ভাবনাযুক্ত ভোট গণনার স্থলে স্বয়ংক্রিয় ভোট গণনা পদ্ধতির মাধ্যমে নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত এবং বহুলভাবে প্রচারিত ভোটের কারচুপি বন্ধ করা। সুষ্ঠু নির্বাচন করার স্বার্থে, রাজনৈতিক অবিশ্বাস দূর করতে এবং এর ফল হিসেবে উল্লিখিত পদ্ধতির মাধ্যমে জনভোগান্তি দূর করা।

অষ্টবিংশত, হরতাল, হরতাল বা অবরোধের মাধ্যমে সহিংসতা, জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচী আইন করে বন্ধ করা। রাজনৈতিক দাবী দাওয়া আদায়, আন্দোলন, সংগ্রাম, বিরোধী দলীয় মত প্রকাশের সব ধরনের সুযোগ প্রদান করা। পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের সংসদে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা।

আমাদের রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে জনসাধারণের জন্য। আমরা সবার জন্য রাজনীতি করতে এসেছি। সবার উন্নয়ণের জন্য আমাদের রাজনীতি। সবচেয়ে এবং স্পষ্টভাবে বলতে গেলে বলতে চাই পুরো বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে এনে, জাগিয়ে তুলতে, তাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করে বাঙালিদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক কাতারে দাঁড় করাবার জন্য আমাদের রাজনীতি।

যোগ দিন। আমাদের হাতকে সমৃদ্ধ করুন। সাহসী হোন, সমৃদ্ধ হোন। আমরা আছি আপনাদের সাথে।

বিজয় সুনিশ্চিত।

জয় বাংলা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: বালছাল!

মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন?

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

হিমরাজ ব্লগ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।

আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

এখন যুদ্ধ না, বিপ্লব করছি, আপনাদের চেতনাকে শাণিত করবার জন্য।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @হিমরাজ ব্লগ ,




আপনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলে স্যরি বলছি আমার কমেন্টের জন্য।

আপনি যা লিখেছেন, এগুলোর চেয়ে ভালো পয়েন্ট ৫ মিনিটে যেকোনজন লিখতে পারে: যাক, এগুলো কিছুই না; জিয়া এ রকম ১৯টা লিখেছিলেন, বিএনপি ডাকাতী করছে।


একটা সঠিক তত্ব (অর্থনৈতিক) থাকতে হবে: দফা মফা এগুলো হাউকাউ।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

HHH বলেছেন: @ পাঠক১৯৭১
hey yo mother fucker, what is ur fuck'n problem?
u shit on everyone's post...

u cock sucker, go fuck ur own mother...
u made this blog dirty

bastard

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

হিমরাজ ব্লগ বলেছেন: @ HHH, Please, requesting you not to use vernacular words during comments. When there is a statement, there should be some comments. Welcome you to comment negative or positive, however not the way it appears. Thank you all.

Bhalo thakben, Joy Bangla.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.