![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিরামহীন ছুটে চলার একটাই সান্তনা, আজো নিজেকে চিনতে পারলুম না।
সন্ধেগুলো চঞ্চলতা হারাইয়া নত মস্তকে সম্মুখে দাড়াইয়া বিষন্নতা ভরা সুরে উচ্চারন করিলঃ 'আমাদিগকে নতজানু করাইয়া আপনার জীবনের কিঞ্চিতও কি শ্রীবৃদ্ধি হইলো? আমরাতো বরং আপনার সকিয়তা হারাইতে দেখিতেছি। নিঃসঙ্গতা কি ত্যাগ করা যায়না?"
আমি হলফ করিয়া বলিতে পারি ইহা তোমারই শেখানো বাক্যাদি। সন্ধেদের সহিত আমা হইতে তোমারই যে অধিক ভাব হইয়াছিল তাহা স্মরন করিতে আমার কষ্ট হয়নাই। বরং অবাক হইয়াছিলুম এই ভাবিয়া যে আমার নিঃসঙ্গতায় তোমার কি এমন যাই-আসিল যে সুর্যাস্তের মুহুর্তগুলোকে বার্তাবাহক করিতে হইলো! ভাবিওনা, আমি বেশ রহিয়াছি। যদি একাকিত্বই আমাকে আনন্দ দিতে পারিল, তাহা হইলে সঙ্গ দিয়া আমার কি উপকারে আসিবে?
তোমার সুখের খবর আমার কর্ণে পৌঁছায়াছে, তাহাতে যেন দুঃখ-দুঃচিন্তার আঁচ না লাগিয়া যায় সেদিকেই বেশি মনযোগি হওনা কেন? নিজেকে স্বযত্নে নিরাপদে রাখিয়া গোল করিবার যে খ্যাতি তোমার রহিয়াছে তাহা হইতে বিচ্যুত হইলে হইবে কেন?
আজ আমার স্বীকার করিতে দ্বিধা নাই যে জীবনের সহিত ফুটবল খেলার বেশ মিল রহিয়াছে, আর সেখানে গোল করিতে পারা যতটা গুরুত্বপুর্ণ, ভাল গোল রক্ষক হইতে পারাটাও সমান গুরুত্বপুর্ণ হইয়া দাড়ায় যখন বিশ্বাসের দেয়ালে অবিশ্বাসের ছাপ পড়িবার আশংকা থাকিয়া যায়।
আরো কিছু সুখ কুড়াইয়া নিজের কাছে রাখিও, আমাতে মনযোগ তাহাতে ব্যাঘাত ঘটিবে ছাড়া অন্যথা হইবার নয়।
©somewhere in net ltd.