![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিচের উল্লেখিত কয়েকটি হাদীছ শরীফ ছেক্বাহ রা’বী কর্তৃক বর্নিত এবং সহীহ্ হাদীছ শরীফের কিতাবে সংকলিত। কোন মুসলমানের পক্ষে এ হাদীছ শরীফগুলো অস্বীকার করা সম্ভব নয়।
যারা জঈফ বলে অপপ্রচার চালায়, তাদের কাছে কোন প্রমানই নেই। আর কেয়ামত পর্যন্ত প্রমান ও করতে পারবে না।
হাদীছ শরীফগুলো হলোঃ
১ নং হাদীছ শরীফঃ
হাদীছ শরীফ এ ও শবে বরাতে সমর্থন পাওয়া যায়। হাদীছ শরীফ এ ইরশাদ হয়েছে, " উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে। একদা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম ! আপনি কি জানেন, লাইলাতুন নিছফি মিন শা'বান বা শবে বরাতে কি সংঘটিত হয়? তিনি বললেন, হে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! এ রাত্রিতে কি কি সংঘটিত হয়? মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এ রাতে আগামী এক বছরে কতজন সন্তান জম্মগ্রহণ করবে এবং কতজন লোক মৃত্যূবরণ করবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়। আর এ রাতে বান্দার (এক বছরের) আমলসমূহ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পেশ করা হয় এবং এ রাতে বান্দার (এক বছরের) রিযিকের ফায়সালা হয়"। (বাইহাক্বী, ইবনে মাজাহ্, মিশকাত শরীফ)
২ নং হাদীছ শরীফঃ
হাদীছ শরীফ আরও ইরশাদ হয়েছে, " উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, একদা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোন এক রাত্রিতে রাতযাপন করছিলাম। এক সময় উনাকে বিছানায় না পেয়ে আমি মনে করলাম যে, তিনি হয়ত অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফ এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে পেলাম। সেখানে তিনি উম্মতের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় হুজরা শরীফ এ ফিরে এলে তিনিও ফিরে এলেন এবং বললেনঃ আপনি কি মনে করেন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার সাথে আমানতের খিয়ানত করেছেন? আমি বললামঃ ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ধারনা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো আপনার অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফ এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি শা'বানের ১৫ তারিখ রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর তিনি বণী কালবের মেষের গায়ে যত পশম রয়েছে তার চেয়ে বেশী সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন"। (বুখারী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ, রযীন, মিশকাত শরীফ)
৩ নং হাদীছ শরীফঃ
হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, "হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ননা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি শা'বান মাসের ১৫ তারিখ রাত্রিতে ঘোষনা করেন যে, উনার সমস্ত মাখলুকাতকে ক্ষমা করে দিবেন। শুধু মুশরিক ও হিংসা-বিদ্বেষকারী ব্যতীত।" (ইবনে মাযাহ্, আহমদ, মিশকাত শরীফ)
৪ নং হাদীছ শরীফঃ
হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, "হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বর্ননা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যখন অর্ধ শা'বানের রাত তথা শবে বরাত উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলায় রোযা রাখবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষাণা করতে থাকেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি ক্ষমা করে দিব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করব। কোন মুছিবগ্রস্ত ব্যক্তি আছো কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব। এভাবে সুবহে ছাদিক পর্যন্ত ঘোষাণা করতে থাকেন।" (ইবনে মাযাহ্,মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ)
শবে বরাত নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট।
১০ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:১৫
হীরক কণা বলেছেন: এগুলো মশহুর হাদীছ শরীফ সবাই জানে।
তবুও আমি আপনাকে সংস্করন ও হাদীছ শরীফ এর নং দিবো । ইনশাআল্লাহ।
২| ১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:২৪
এস দেওয়ান বলেছেন: সহীহ কি ? যেহেতু পোস্ট বাংলায় লিখেছেন তাই সঠিক বাংলা ব্যবহার করা অ্ত্যাবশ্যক ।
আর কোনো হাদীসই ভেজাল ছাড়া না ।
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
হীরক কণা বলেছেন: "আর কোনো হাদীসই ভেজাল ছাড়া না ।"
আপনার একথা কুফরী হয়েছে। না জেনে কথা বলে শুধু শুধু ঈমান নষ্ট করার দরকার কি ভাই?
হাদীছ শরীফ জঈফ হয় রা’বীর কারনে।
উল্লেখিত সব হাদীছ শরীফগুলোই মশহুর। এখানে সন্দেহ পোষন করার কোন কারন নেই।
সন্দেহ করতে চাইলে দলীল দিন।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬
মুক্ত আকাশ বলেছেন: ১। সহীহ ও জয়িফ হাদীস বলতে কি বুঝায়?
২। "মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" এ ধরনের বাক্য বাংলা ভাষার ব্যাকরন অনুযায়ী কি সঠিক?
৩। সাহাবীদের আমল কি ছিল, শবে বরাত নিয়ে?
৪। প্রথিতযশা আলেমদের মধ্যে কারা কারা শবে বারাতে বিশেষ ইবাদত বন্দেগী করার জন্য উতসাহিত করেছেন?
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
হীরক কণা বলেছেন: সহীহ্ ও জঈফ হাদীছ শরীফের সংজ্ঞা না জানলে হাদীছ শরীফ নিয়ে কথা বলাই বৃথা।
এটা বাচ্চাদের বইতেই আছে।
২। বাংলা ব্যাকরন অপরিবর্তনীয় নয়। এখানে ব্যাকরনগত কোন ভুল নেই।
৩। উপরোক্ত হাদীছ শরীফগুলোতো হযরত সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগনই বর্ননা করেছে। তাহলে উনাদের আমল কি ব্যতীক্রম ছিলো?
৪। নামধারী ধর্মব্যবসায়ী, বদআক্বীদাসম্পন্ন ও বিভ্রান্ত মাওলানারা ব্যতীত অতীতের সকল আলেমই শবে বরাত পালন করেছেন উৎসাহও দিয়েছেন।
৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
কৈশর বলেছেন: ১ টু সহজ কইরা কইলে বুজতে সুবিদা হয়
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
হীরক কণা বলেছেন: সহজ কথা হইলো শবে বরাত নতুন কিছু নয়। এটা স্বয়ং হুযূরপাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। যা স্পষ্ট হাদীছ শরীফে বর্নিত রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:২৪
সরলপাঠ বলেছেন: ভাই হাদীসের বইয়ের রেফারেন্স নয়, বিস্তারিত রেফারেন্স চাই। যেমন হাদীস নং। হাদীস বইয়ের নাম, পাবলিসার, সন, ইত্যাদি। যেহেতু এটা নিয়ে বিতর্ক আছে নিজে পড়ে দেখতে চাই।