![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[শবে বরাত সম্পর্কিত ইতিহাসের সবচেয়ে দলীল সমৃদ্ধ ধারাবাহিক পোস্ট]
========================================
শবে বরাত বা ভাগ্য রজনীকে স্বয়ং আল্লাহ পাক স্বীয় কুরআন শরীফ-এ সূরা ‘আদ দোখান’ এর ৩-৪ নম্বর আয়াত শরীফে ليلة المبارك (বরকত পূর্ণ রাত) হিসেবে উল্লেখ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
انا انزلناه فى ليلة مباركة انا كنا منذرين. فيها يفرق كل امر حكيم
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি উহা (কুরআন শরীফ) এক রবকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী, ওই রাত্রিতে সমস্ত হিকমতপুর্ণ কাজসমূহের বণ্টন করা হয় তথা বণ্টনের ফায়সালা করা হয়।” (সূরা আদ দোখান-৩-৪)
উক্ত আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা অনুসরনীয় মুফাসসিরীনে কিরাম উনারা শবে বরাতকেই বুঝিয়েছেনঃ
ليلة مباركة দ্বারা বিশ্ববিখ্যাত ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা এবং হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বলেন-
দলীলঃ ০১
هى ليلة النصف من شعبان وسمى ليلة الرحمة والليلة المباركة وليلة الصك
অর্থ: “লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান তথা অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)কে বুঝানো হয়েছে। এবং উহার নামে নামকরণ করা হয়েছে যেমন ليلة الرحمة (লাইলাতুর রহমত) তথা রহমতের রাত, ليلة المباركة (লাইলাতুল মুবারাকাতু) তথা বরকতের রাত। ليلة الصك (লাইলাতুছ ছেক) ভাগ্য লিপিবদ্ধকরণের রাত তথা ভাগ্য রজনী।”
আর ليلة مبارك (বরকতপূর্ণ রাত) দ্বারা শবে বরাত তথা ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে তার যথার্থ প্রমাণ বহন করে তার পরবর্তী আয়াত শরীফের يفرق (বণ্টন করা হয়।) শব্দ দ্বারা। কেননা তাফসীর জগতের সকল তাফসীরে সমস্ত মুফাসসীরীনে কিরাম উনারা يفرق শব্দের তাফসীর করেন يكتب (লেখা হয়) يفصل (ফায়ছালা করা হয়) يتجوز (বণ্টন বা নির্ধারণ করা হয়) يبرم (বাজেট করা হয়) “فيصله‘ (নির্দেশনা দেয়া হয় বা ফায়ছালা করা হয়) ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে। কাজেই يفرق শব্দের অর্থ ও তার ব্যাখ্যার দ্বারা আরো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠল যে, ليلة المباركة দ্বারা ليلة النصف من شعبان অর্ধ শা’বানের রাত, বা শবে বরাত তথা ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে। যেই রাতে সমস্ত মাখলুকাতের ভাগ্যগুলো সামনের এক বৎসরের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়, আর সেই ভাগ্য লিপি অনুসারে রমাদ্বান মাসে ليلة القدر বা শবে ক্বদরে তা চালু করা হয়। এ জন্য
ليلة النصف من شعبان
অর্ধ শাবানের রাতকে ليلة التجويز (নির্ধারণের বা বৈধকরণের রাত) এবং ليلة القدر কে ليلة التنفيذ (নির্ধারিত ফয়ছালা কার্যকরী করার রাত বা বৈধকরণ বিষয়ের কার্যকরীকরণের রাত) বলা হয়।
(তাফসীরে মাযহারী, তাফসীর খাযেন, তাফসীরে রুহুল মায়ানী ও রুহুল বায়ান)
ধারাবাহিক চলবে =>.......................
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৯
হীরক কণা বলেছেন: আয়াত শরীফের অর্থ দেখুন।
যখন কুরআন শরীফের একাধিক আয়াত শরীফের মধ্যে একই ঘটনা জড়িত থাকে তখন আয়াত শরীফগুলো ব্যাখ্যা সাপেক্ষে চিন্তা করতে হয়।
সুরা দুখানে বলা হয়েছে, বরকতপূর্ণ রাত্রিতে কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে। তা ঠিকই আছে।
সুরা ক্বদরে বর্নিত রয়েছে, ক্বদরের রাত্রিতে কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে। তা ও ঠিকই আছে ।
তবে এ বিষয়টা ব্যখ্যা সাপেক্ষ।
কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত হয় ১৫ ই শাবান রাতে।
এবং লৌহ মাহফুজে সংরক্ষিত থাকে।
এর পর রমাদ্বান শরীফের ক্বদরের রাত্রিতে তা বাইতুল ইজ্জতে এক সাথে নাযিল হয়।
এবং সেখান থেকে ২৩ বছরে ধারাবাহিক ভাবে জমিনে নাযিল হয় পুরো কুরআন শরীফ।
এ বিষয়গুলো বুঝার জন্য নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্হগুলো পড়া দরকার।
আমার এ পোস্ট ফলো করুন ধারাবাহিকভাবে পাবেন।
২| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৩
অতিক্ষুদ্র বলেছেন: "নিশ্চয়ই আমি উহা (কুরআন শরীফ) এক রবকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি।"
আয়াতটি লাইলাতুল কদর নির্দেশ করছে। নিসফু শাবান নয়। সূরা লাইলাতুল কদরের সংগে মিলিয়ে দেখুন। শবেবরাত একটি ফার্সী-আরবী শব্দ, ইসলামের ইবাদাতের পরিভাষা সবসময় আরবী হয়। শবে-বরাত শব্দটি পূর্ণ আরবী করলে হয় লাইলাতুল-কদর্।
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২৬
হীরক কণা বলেছেন: উক্ত আয়াত শরীফের সমর্থনে অনেক হাদীছ শরীফ আছে।
আমার পুরো পোস্ট মনযোগ দিয়ে পড়ুন এরপর কমেন্ট করুন।
বিশ্ববিখ্যাত নির্ভরযোগ্য সকল হাদীছ শরীফ, তাফসীরকে বৃদ্ধঙ্গুলী দেখিয়ে নিজের মত চালায়ে দিলে তো হবে না।
শবে বরাতের আরো নাম দেখুন।
(তাফসীরে মাযহারী, তাফসীর খাযেন, তাফসীরে রুহুল মায়ানী ও রুহুল বায়ান)
উপরোক্ত তাফসীর গ্রন্হগুলো পড়ে দেখুন।
আর বেশী বুঝলে প্রাকাশ্যে বাহাছের চ্যালেঞ্জ রইলো।
৩| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৩
আলোর ভান্ডার বলেছেন: কোরান শরীফ- হাদীস শরীফ সম্পর্কে অজ্ঞরাই শবে-বরাতের বিরোধীতা করে (একটি দলীলভিত্তিক আর্টিকেল) - ১
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫০
হীরক কণা বলেছেন: অজ্ঞ লোক ইচ্ছে থাকলে জ্ঞান চর্চা করে বুঝতে পারে।
কিন্তু এরা নির্বোধ।
কোটি দলীলে ও এরা বুঝেনা।
৪| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৮
মুহামমদল হািবব বলেছেন: ভালো লিখেছেন। অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৭
হীরক কণা বলেছেন: ধন্যবাদ।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে শবে বরাত পালন করার তৌফিক দান করুন।
৫| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪১
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: এক আরবী শব্দের অনেক রকম মানে থাকে, শুধু মানের উপর ভিত্তি করে কিভাবে চলে? লাইলাতুল কদর কে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, মেরাজের রাত্রির ও কথা আছে কিন্তু বরাত এর কোনে সরাসরি উল্লেখ নাই
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৩
হীরক কণা বলেছেন: লাইলাতুম মুবারাকাহ শব্দ দিয়েই শবে বরাত বুঝানো হয়েছে।
তা হাদীছ শরীফ সহ তাফসীর শরীফগুলো দেখুন।
কুরআন শরীফ বুঝতে হলে হাদীছ শরীফ এবং তাফসীর পড়তে হবে।
লাইলাতুম মুবারাকাহ(শবে বরাত) , লাইলাতুল কদর , মিরাজ শরীফ তিনটি ভিন্ন বিষয়।
৬| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
আতা2010 বলেছেন: সমস্ত মাখলুকাতের ভাগ্যগুলো সামনের এক বৎসরের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়,
৭| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
rafi_ccj বলেছেন: দলীল এর রেফারেন্স কই?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০০
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: নিশ্চয়ই আমি উহা (কুরআন শরীফ) এক রবকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি। কুরআন শরীফ কি শবে বরাত এর রাত্রিতে নাযিল হয়েছিল নাকি শবে কদরের রাত্রি? জানায় ভুল থাকলে ঠিক করে দিবেন দয়া করে