নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হীরক কণা

হীরক কণা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিযবুত তাহরীর যে কারনে সন্ত্রাসবাদী ও বিভ্রান্ত বাতিল আক্বীদার দল --- পর্ব (১)

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

হিযবুত তাহরীর সন্ত্রাসবাদী ও বিভ্রান্ত-পথভ্রষ্ট দল। বাংলাদেশেও মেধাবী তরুনদের মগজধোলাই করে তাদেরকে ইসলামের নামে ভ্রষ্ট পথে নিয়ে যাচ্ছে। হযরত সুলতান সালাহ উদ্দীন আইউবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারকে আমরা দেখতে পাই ঐ সময় মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইহুদী ও খ্রীস্টানরা মিলে মুসলমানদের মধ্যে কিছু ভ্রষ্ট আক্বীদার দল তৈরী করেছে। বর্তমানেও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই এদের সম্পর্কে সামান্য ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো যাতে তরুন সমাজের কিছুটা হলেও বোধোদয় হয়।

============================================





হিযবুত তাহরীর (আরবী ভাষায়: حِزْبُ لتَحْرِير) (বাংলা ভাষায়: মুক্তির দল) একটি ধর্মব্যবসায়ী রাজনৈতিক দল; যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বাংলাদেশে ২০০১ সাল হতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দলটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এটি একটি সন্ত্রাসবাদী, বাতিল ও বিভ্রান্ত-পথভ্রষ্ট দল বা ফিরক্বা। এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।



শায়েখ দামেশকিয়া কর্তৃক লিখিত “হিযবুত তাহরীর : মুনাক্বাশাহ লি-আহাম্মি মাবাদিইল হিযব” নামক কিতাবটিতে তাদের ভ্রান্ত মতবাদসমূহ বিস্তারিত পাওয়া যাবে। সাবধান! সাবধান! মুসলিম যুবক ও শিক্ষিত ভাইগণ তাদের দলে শরীক হওয়া থেকে সাবধান।



দলের প্রতিষ্ঠাতা :



এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম আমীর হচ্ছে, তকীউদ্দীন আন-নাবাহানী। সে ১৯০৯ সালে বর্তমান ইসরায়েলের হাইফা শহরে জন্ম গ্রহণ করে। সে ১৯৫৩ সালে বাইরুতে হিযবুত তাহরীর প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৭৭ সালে সে বাইরুতে ইন্তকাল করে।



দলটির মূলনীতি :



এ দলের মূলনীতি মুতাযেলা সম্প্রদায়ের সাথে মিলে যায়। তারা পবিত্র ইসলামী শরীয়তের দলীলের উপর মানবীয় বিবেক-বুদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।



ইতিহাস :



মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ইসলামী খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বুলি আউড়িয়ে ১৯৫৩ সালে এ দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা প্রচার করে হিযবুত তাহরীর মনে করে- মুসলিম বিশ্বের সমস্ত সমস্যার মূলে রয়েছে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে খিলাফত ব্যবস্থার অনুপস্থিতি এবং খিলাফত ব্যবস্থাই হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।

ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের শরীয়াহ আদালতের বিচারক শেখ তকীউদ্দিন নাবাহানী কর্তৃক ১৯৫৩ সালে এ দলের প্রতিষ্ঠা হয়। শেখ তকীউদ্দিন নাবাহানী মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাস করা মাওলানা ছিলো। প্রতিষ্ঠার পর মধ্যপ্রাচ্য হতে এ দল ধীরে ধীরে আফ্রিকা, ইউরোপ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।



সন্ত্রাস বিষয়ে হিযবুত তাহরীরের অবস্থান :



২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তারিখে নিউইয়র্ক টাইমসে উল্লেখ করা হয়েছে, হিযবুত তাহরীর স্পষ্টভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে থাকে। কিন্তু বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানে ডেনমার্কের হিযবুত তাহরীরের সদস্য ফাদি আবদেল লতিফের কর্মকান্ডের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা আত্মঘাতী বোমা হামলাকে ন্যায্য কাজ বলে মনে করে।

অন্যান্য সমালোচকদের মতে, হিযবুত তাহরীর মুখে সন্ত্রাসের বিরোধিতা করলেও গোপনে সন্ত্রাসের উপযুক্ত সময় আসার জন্য অপেক্ষা করছে এবং এই দলটির প্রচারণার কারণে সশস্ত্র সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। গ্লোবাল সিকিউরিটি ডট অর্গ নামের বিশ্লেষক সংস্থার মতে, হিযবুত তাহরীর হলো একটি গুপ্ত সংস্থা, যা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক।



পাঠকদের সামনে হিযবুত তাহরীরের ভ্রান্ত আক্বীদা ও বিশ্বাস তাদের কিতাব থেকেই তুলে ধরা হবে। ইনশাআল্লাহ।



---------------চলবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: কই ভাই কুরআন আর সাহিহ হাদিস থেকে কোন আকিদা গত সমস্যা তুলে ধরলেন না যে??

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

হীরক কণা বলেছেন: ধারাবাহিক ভাবে আসবে।
অপেক্ষা করুন।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: একজায়গায় লিখলেন " সে ১৯৫৩ সালে বাইরুতে হিযবুত তাহরীর প্রতিষ্ঠা করে"

আবার লিখলেন"ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের শরীয়াহ আদালতের বিচারক শেখ তকীউদ্দিন নাবাহানী কর্তৃক ১৯৫৩ সালে এ দলের প্রতিষ্ঠা হয়। শেখ তকীউদ্দিন নাবাহানী মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাস করা মাওলানা ছিলো"


ক্যন ভাই ফিলিস্তিন বা মিশরে না কইরা লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ক্যন প্রতিথিশ্তা করতে গেলেন বুজলাম না???

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

হীরক কণা বলেছেন: শেখ তকীউদ্দিন নাবাহানীর

জম্মস্থান- ইসরাইলের হাইফায়।

পড়ালেখা-- মিশর।

চাকুরী- ফিলিস্তীন।

দল প্রতিষ্ঠা- বৈরুত।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

সরদার হারুন বলেছেন: সন্ত্রাবাদ একটা মানষিক রোগ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

হীরক কণা বলেছেন: শুধু মানসিক হলে তো একটা কথা ছিল।
কিন্তু যখন তারা এটাকেই তাদের আদর্শ মনে করে তাও আবার ইসলামের নাম বিক্রয় করে , তখন অবস্থা কি দাঁড়ায়?

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

আলী খান বলেছেন: আপনি ইসলাম বিরোধী মিডিয়া নির্ভর তথ্য দিলেন। আর আপনি মুতাযিলা ফির্কার সাথে তাদের তোলনা করলেন, তাই আশা করি পরবর্তি আলোচনায় কুরআন হাদিস ভিত্তিক দলিল পেশ করবেন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

হীরক কণা বলেছেন: ইসলাম বিরোধী মিডিয়ার প্রতি আমার কোনই আস্থা নেই।
তবে বিষয়টা সত্য বিধায় দিলাম।
পরবর্তী পর্বে ওদের ভ্রান্ত বিশ্বাস গুলো তুলে ধরবো।
ইনশাআল্লাহ।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

আলী খান বলেছেন: তাকিউদ্দিন জন্মস্থান সম্পর্কিত তথ্যটি কি ঠিক? ১৯০৯ সালে কি ইসরাঈল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল?

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

হীরক কণা বলেছেন: বর্তমান ইসরাইল যাকে বলা হয়।

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: ১৯০৯ বর্তমান ইসরায়েল সহ ফিলিস্তিন তো অটোম্যান খিলাফার অংশ ছিল। ইসরায়েল তখন জন্মায় নি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

হীরক কণা বলেছেন: ওটা বাচ্চারাও জানে।

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: জটিল পোস্ট তো দিছেন ! এতদিনে জানতাম হিজবুতরা বলে ইহুদীরাই নাকি শিয়া মতবাদ সৃষ্টি করেছে আর এখন দেখতেছি হিজবুতদেরই ইহুদীরা সৃষ্টি করেছে । অবশ্য হিজুবতদের কার্যক্রম ইহুদীদের পক্ষেই যাচ্ছে ! তাই হিজবুতরাই ইহুদীদের সৃষ্টি এটাই অনেকটা সত্য মনে হল ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

হীরক কণা বলেছেন: কঠিন বাস্তব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.