নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হীরক কণা

হীরক কণা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ ছফর মাস।বুধবার দিবাগত সন্ধ্যায় বাংলাদেশে পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তাদেরকে (উম্মতগণ উনাদেরকে) মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিন ও রাত্রসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে বা জানিয়ে দিন।



পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার মধ্যে রয়েছে ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ, ২৮শে ছফর শরীফ ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাত শরীফ দিবস, দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসসহ’ অনেক বরকতময় দিন।

আকাশ পরিষ্কার থাকলে আগামী ৫ সাবি’ ১৩৮১ শামসী, ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ঈসায়ী, ইয়াওমুল আরবিয়ায়ি বা বুধবার দিবাগত সন্ধ্যায় বাংলাদেশে পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।





বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে চাঁদের খবর পরিবেশনসহ প্রতি আরবী মাস উনার ফযীলত এবং সে মাস সম্পৃক্ত বিশেষ দিন, রাত্র ও আমলসমূহ মানুষকে জানানো যাতে ৯৭ ভাগ মুসলমান উপকৃত হতে পারে।



সউদী আরবে বাংলাদেশের পূর্বে পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাওয়ার কেনো সম্ভাবনা নেই।



বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে চাঁদের খবর পরিবেশনসহ প্রতি আরবী মাস উনার ফযীলত এবং সে মাস সম্পৃক্ত বিশেষ দিন, রাত্র ও আমলসমূহ মানুষকে জানানো; যাতে ৯৭ ভাগ মুসলমান উপকৃত হতে পারে।



৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশ বাংলাদেশে অবশ্যই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিতাব প্রকাশনা, চাঁদ তালাশ করা বা দেখার খবর পরিবেশনা ইত্যাদি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে আনজাম দিয়ে আসছে। তবে চাঁদ দেখার খবর পরিবেশনের পাশাপাশি খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করার গুরুত্ব, এই বিষয়ে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দলীল প্রকাশ, খালি চোখে চাঁদ না দেখে বিভিন্ন দেশে মাস শুরু হওয়ার কারণে বিভ্রান্তি ইত্যাদি বিষয়েও লেখা প্রকাশ করতে পারে। এছাড়াও প্রতিটি আরবী মাসে আক্বীদা ও আমল সংক্রান্ত আরো অনেক বিষয় রয়েছে; যা ইসলামিক ফাউন্ডেশন গুরুত্ব সহকারে প্রচার ও প্রসার করতে পারে।



যেমন আগত পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার মধ্যে রয়েছে পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ, যা উক্ত মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়ায়ি বা বুধবার পালিত হয়ে থাকে। পবিত্র ২৮শে ছফর শরীফ ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাত শরীফ দিবস। একই সাথে পবিত্র ২৮শে ছফর শরীফ দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।



পৃথিবীতে হাতে গোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ; যে দেশ চাঁদ দেখে আরবী মাস গণনা করার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ইসলামী শরীয়ত উনার অনুসরণ করে থাকে। আর তা সম্ভব হচ্ছে কেবল ‘মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ এবং ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’-এর আন্তরিক ইচ্ছার কারণে।



বাংলাদেশ পবিত্র ছফর মাস উনার চাঁদ তালাশ করবে ৫ সাবি’ ১৩৮১ শামসী, ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ঈসায়ী, ইয়াওমুল আরবিয়ায়ি বা বুধবার দিবাগত সন্ধ্যায়। সেদিন চাঁদের বয়স হবে ৩৬ ঘণ্টার বেশি। দিগন্ত রেখার উপর চাঁদের উচ্চতা হবে ১৭ ডিগ্রির বেশি। কৌণিক দূরত্ব হবে ১৯ ডিগ্রির বেশি। সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের সময়ের পার্থক্য হবে ১ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট। সেদিন সূর্যের আযিমাত হবে ২৪৬ ডিগ্রি এবং চন্দ্রের আযিমাত হবে ২৩৮ ডিগ্রি অর্থাৎ চাঁদ সূর্যের বাঁয়ে অবস্থান করবে। সেদিন আকাশ পরিষ্কার থাকলে চাঁদ দেখা যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.