![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য।সুমহান ১৫ই শা’বান শরীফ-হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম, ইমামুছ ছানী মিন আহলুবাইতিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , ইমামুল হুমাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ করা এবং উনার জীবনী মুবারক জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরযে আইন।
পাশাপাশি প্রত্যেক মুসলিম অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।
ইমামুল হুমাম হযরত ইমাম হাসান বিন আলী বিন আবী তালিব আলাইহিস সালাম তিনি কুরাইশ বংশের হাশেমী শাখায় বিলাদত শরীফ লাভ করেন। হিজরী ৩য় সনে শা’বান মাসের ১৫ তারিখ ইয়াওমুল আরবিয়ায়ি বা বুধবার বাদ আছর ইমামুছ ছানী মিন আহলুবাইতিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইমামুল হুমাম হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেন।
হযরত আলী ইবনে আবী তালিব আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন: যখন ইমামুল হুমাম,ইমামুছ ছানী মিন আহলুবাইতিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেন তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে তাশরীফ আনেন এবং ইরশাদ করেন: আমার সন্তান উনাকে আমায় দেখান, উনার কী নাম রেখেছেন? আমি বললাম: আমি উনার নাম রেখেছি- হারব (যুদ্ধ)। তিনি ইরশাদ করলেন: বরং তিনি ‘হাসান’। অর্থাৎ উনার নাম মুবারক হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম।
উনার জিসিম মুবারক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সর্বাপেক্ষা বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি অপেক্ষা অপর কেউ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অধিকতর সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন না।
অনেক সময় আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে সওয়ারী হয়ে ইমামুছ ছানী মিন আহলুবাইতিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলুবাইতিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদেরকে পিঠ মুবারক-এ চড়াতেন এবং বলতেন, উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি। উনাদের সাথে মুহব্বত রাখা পরকালে নাজাতের কারণ এবং উনাদের সাথে শত্রুতা করা পথভ্রষ্টতা ও গুমরাহীর কারণ।
হযরত আদী বিন ছাবিত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত বারা’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে শুনেছি, তিনি বলেন: আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র কাঁধ মুবারক উনার উপর ইমামুছ ছানী মিন আহলুবাইতিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনাকে দেখেছি। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করে, সে যেনো উনাকে (হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনাকে) মুহব্বত করে।”
হিজরী ৪০ সনের রমাদ্বান মাসে ইমামুছ ছানী মিন আহলুবাইতিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি খলীফা মনোনীত হন। চল্লিশ হাজার লোক উনার হাত মুবারক-এ বাইয়াত হন। তিনি খিলাফতের মুবারক দায়িত্ব ৬ মাস পর্যন্ত পালন করেন।
মারাত্মক বিষক্রিয়ার কারণে ৪৯ হিজরী সনের ২৮শে ছফর প্রায় ৪৬ বৎসর অর্থাৎ ৪৫ বৎসর ৬ মাস ১৩ দিন বয়স মুবারক-এ তিনি শাহাদাত বরণ করেন বা বিছাল শরীফ লাভ করেন। হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার রওজা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বীতে অবস্থিত।
মূলকথা হলো- সুমহান ১৫ই শা’বান শরীফ। হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম, ইমামুল হুমাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। যা এ বছরের জন্য আগামী ১৩ আউয়াল- ১৩৮২ শামসী সন, ১৫ই জুন-২০১৪ ঈসায়ী সন, রোজ ইয়াওস সাবত বা শনিবার। উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ করা এবং উনার জীবনী মুবারক জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরযে আইন। পাশাপাশি প্রত্যেক মুসলিম অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।
©somewhere in net ltd.