নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হীরক কণা

হীরক কণা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ৬ষ্ঠ হিজরী শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবুবে সুবহানী, গাউছুল আ’যম হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহন করেন

৩০ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:৫০

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ঘোষিত মহান মুজাদ্দিদগণের আগমনের ধারাবাহিকতায় হিজরী ছয় শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদরূপে মিল্লাতে মুসলিমে প্রেরিত হন- সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবুবে সুবহানী, গাউছুল আ’যম, হযরত শায়েখ মুহিউদ্দিন আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। আহলে বাইত তথা আওলাদে রসূলগণ উনাদের মধ্যে তিনি সেই যুগের সর্বোচ্চ মর্যাদা-মর্তবাপ্রাপ্ত ওলীআল্লাহ ছিলেন। তিনি ছিলেন সম্মানিত পিতা উনার দিক হতে আল হাসানী এবং সম্মানিতা মাতা উনার দিক হতে আল হুসাইনী।

উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মুবারক আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ছলেহ মুসা জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং মহিয়সী মাতা উনার নাম মুবারক সাইয়্যিদাতুন্্ নিসা আমাতুল জাব্বার উম্মুল খায়ের ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা। আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ হিজরী ৪৭১ সনের পহেলা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ। দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ এনেই তিনি রোযা রাখা আরম্ভ করেন। সুবহানাল্লাহ!

৯০ বৎসর বয়স মুবারকে হিজরী ৫৬১ সনের পবিত্র রবীউছ ছানী শরীফ মাস উনার ১১ তারিখে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রবর্তিত তরীক্বায়ে ক্বাদেরিয়া সারা বিশ্বব্যাপী সুপ্রসিদ্ধ ইলমে তাছাউফের একটি মুবারক সিলসিলা। যার মাধ্যমে অসংখ্য অগণিত লোক আত্মশুদ্ধি লাভ করে যুগ যুগ ধরে রেযায়ে রসূল, রেযায়ে মাওলার হিস্যা লাভ করছে। তৎকালীন পারস্যের সুবিখ্যাত জনপদ গিলান শহরে উনার বিলাদত শরীফ হয়। আরবী উচ্চারণে যাকে ‘জিলান’ বলা হয়। এজন্য উনার পবিত্র নাম মুবারকের সাথে ‘জিলানী’ বা ‘গিলানী’ সংযুক্ত হয়ে থাকে।

মহান বারে ইলাহী তিনি উনার দ্বারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি ক্ষেত্রে বেমেছাল তাজদীদ করেন। ইলমে শরীয়ত এবং ইলমে তরীক্বতের ছিলেন তিনি একচ্ছত্র ইমাম। সমকালীন ওলী-মাশায়িখ, কুতুব-আবদাল, ফক্বীহ, মুজতাহিদ, প্রজা-বাদশাহ সকলেই উনার পবিত্র ক্বদম মুবারকে রুজু ছিলেন। জিন সম্প্রদায়ের অধিকাংশ সদস্যও উনার খিদমতে সদা নিয়োজিত থাকতো। উনার পবিত্র বিছাল শরীফ ১১ই রবীউছ ছানী যুগ যুগ ধরে মুসলিম উম্মাহর নিকট ‘পবিত্র ফাতেহায়ে ইয়াযদাহম’ হিসেবে অত্যন্ত শান এবং জৌলূসপূর্ণভাবে পালিত হয়ে আসছে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.