নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হীরক কণা

হীরক কণা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ বছর ঢাকা শহরে আটা ৩৯ টাকা কেজি হিসেবে ছদাকাতুল ফিতর হলো ৬৫ টাকা।

২২ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘ছদকাতুল ফিতর- এক সা’ গম বা আটা দুই ব্যক্তির পক্ষ থেকে আদায় করতে হবে। অর্থাৎ একজনের জন্য অর্ধ সা’।’

আর অর্ধ সা’ হচ্ছে ১ সের সাড়ে ১২ ছটাক বা ১৬৫৭ গ্রাম।

এ বছর ঢাকা শহরে আটা ৩৯ টাকা কেজি হিসেবে ছদাকাতুল ফিতর হলো ৬৫ টাকা।

সম্মানিত হানাফী মাযহাব মতে ছদকাতুল ফিতরের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে কেবল গম অথবা আটার মূল্যে।

দেশের প্রধান খাদ্য দিয়ে ছদকাতুল ফিতর আদায় করা; এটা মূলত বাতিল ফিরক্বা লা-মাযহাবীদের ফতওয়া।

কাজেই চালের হিসেবে ছদকাতুল ফিতর নির্ধারণ করা সম্পূর্ণরূপে মনগড়া ও ভুল।

অতএব, সকলের জন্য ফরয হলো-কোনো বিষয়ে ভুল ফতওয়া দান ও প্রচার করা থেকে বিরত থাকা।



‘আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ’ কিতাব উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,



আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছদকাতুল ফিতরের পরিমাণ সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সা’লাবা অথবা সা’লাবা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আবু সুআইর তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এক সা’ গম বা আটা দু’ব্যক্তির পক্ষ থেকে আদায় করতে হবে- ছোট হোক বা বড় হোক, আযাদ হোক বা গোলাম হোক এবং পুরুষ হোক বা মহিলা হোক।”



আমাদের হানাফী মাযহাব মুতাবিক অর্ধ সা’ বলতে ১ সের সাড়ে ১২ ছটাক বুঝানো হয়েছে, যা গ্রাম হিসাবে ১৬৫৭ গ্রাম (প্রায়) হয়।



যাদের উপর ছদাক্বাতুল ফিতর ওয়াজিব অর্থাৎ ঈদের দিন ছুব্হে ছাদিকের সময় যাদের নিকট নিছাব পরিমাণ (সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা অথবা এর সমপরিমাণ মূল্য, যা বর্তমানে ১,১৬৬ টাকা তোলা হিসেবে ৬১,২১৫ টাকা) সম্পদ থাকে, তাদের প্রত্যেককেই উল্লিখিত ১ সের সাড়ে ১২ ছটাক বা ১৬৫৭ গ্রাম আটা বা তার মূল্য দান করতে হবে।



দেশের বিভিন্ন এলাকায় আটার দাম বিভিন্ন রকম। কাজেই যাদের উপর ছদকাতুল ফিতর ওয়াজিব, তাদেরকে বর্তমান মূল্য হিসাবে একসের সাড়ে ১২ ছটাক বা ১৬৫৭ গ্রাম আটার মূল্য হিসাবে দিতে হবে। এ বছর ঢাকা শহরে ৩৯ টাকা কেজি হিসাবে এক সের সাড়ে ১২ ছটাক বা ১৬৫৭ গ্রাম আটার মূল্য- ৬৫ টাকা। এর কম দেয়া যাবে না। তবে ইচ্ছা করলে বেশি দিতে পারবে।



ফতওয়ায়ে আলমগীরী, ক্বাযীখান, বাহরুর রায়িক, হিদায়া, আইনুল হিদায়া ইত্যাদি সুপ্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য ফিক্বাহ ও ফতওয়ার কিতাবে উল্লেখ রয়েছে সম্মানিত হানাফী মাযহাবে শুধুমাত্র গম তথা আটার মূল্যে ছদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। অন্যকিছু দিয়ে ছদকাতুল ফিতর আদায় করা যাবে না।



দেশের প্রধান খাদ্য দিয়ে ছদকাতুল ফিতর আদায় করা- এটা মূলত বাতিল ফিরক্বা লা-মাযহাবীদের ফতওয়া। কাজেই সে ফতওয়া কোনো মাযহাবপন্থীদের অনুসরণ বা আমল করা জায়িয নেই। এছাড়া এক মাযহাবের অনুসারীর জন্য অন্য মাযহাবের ফতওয়া বা মাসয়ালা অনুসরণ করাও জায়িয নেই।



মূলকথা হলো- যারা বলে, দেশের প্রধান খাদ্য চালের হিসাব অনুযায়ী ফিতরা নির্ধারণ করতে হবে, এর স্বপক্ষে তাদেরকে দলীল পেশ করতে হবে। কেননা দলীল ব্যতীত কোনো ফতওয়া মুসলমানের জন্য অনুসরণীয় বা পালনীয় নয়। আর প্রকৃতপক্ষে তারা কোনো নির্ভরযোগ্য দলীলই পেশ করতে পারবে না। অতএব, সম্মানিত হানাফী মাযহাব মতে ছদকাতুল ফিতরের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে কেবল গম অথবা আটার মূল্যে। দেশের প্রধান খাদ্য দিয়ে ছদকাতুল ফিতর আদায় করা; এটা মূলত বাতিল ফিরক্বা লা-মাযহাবীদের ফতওয়া। কাজেই চালের হিসেবে ছদকাতুল ফিতর নির্ধারণ করা সম্পূর্ণরূপে মনগড়া ও ভুল। সম্মানিত হানাফী মাযহাব মতে ছদকাতুল ফিতরের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে কেবল গম অথবা আটার মূল্যে।

এ বছর ঢাকা শহরে আটা ৩৯ টাকা কেজি হিসেবে ছদাকাতুল ফিতর হলো ৬৫ টাকা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.