নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হীরক কণা

হীরক কণা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ চলতে পারে না এবং মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৮


নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘শরীরের যে গোশতের টুকরা হারাম ও অপবিত্র খাদ্য দ্বারা পয়দা হয়েছে তার জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট। ইবাদত ও দোয়া কবুলের পূর্বশর্ত হচ্ছে পবিত্র ও হালাল খাদ্য।’

এদেশের প্রায় ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। পবিত্র দ্বীন ইসলাম এদেশের রাষ্ট্রদ্বীন। আর মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মদ সম্পূর্ণ হারাম।

অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকস-এর নামে প্রকাশ্যে শরাব বা মদ বিক্রি হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!

অতএব, প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ চলতে পারে না এবং মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।

কাজেই অতিসত্বর বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো, মুসলমান হিসেবে শরাব বা মদ তৈরি, আমদানি ও বিক্রি পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বান্দারা যেন হালাল ও পবিত্র রিযিক গ্রহণ করে আর হারাম ও অপবিত্র রিযিক পরিহার করে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যেসব পবিত্র হালাল রিযিক দিয়েছি, তা হতে তোমরা ভক্ষণ করো।” তিনি অন্যত্র আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “হালাল বা পবিত্র বস্তু থেকে ভক্ষণ করো এবং নেক কাজ করো।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয।” আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “শরীরের যে গোশতের টুকরাটি হারাম ও অপবিত্র খাদ্যের দ্বারা তৈরি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামের আগুনই যথেষ্ট।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যারা বলে- অ্যালকোহল ৫% অথবা এর চেয়ে কম হলে জায়িয রয়েছে (নাউযুবিল্লাহ!), তাদের একথা সম্পূর্ণই ভুল। মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া হচ্ছে- অ্যালকোহল বা মদ এক কাতরা খাওয়াও হারাম। তাতে নেশা হোক বা না হোক। উল্লেখ্য, কেউ যদি এক বোতল মদ খাওয়ার পরও তার নেশা না হয় তাই বলে কি তার জন্য তা জায়িয হবে? কস্মিনকালেও না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে অভিনব পন্থায় কথিত কোমল পানীয়ের বোতলে, এছাড়া কথিত এনার্জি ড্রিংক ও বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক শক্তিবর্ধক পানীয়ের মোড়কে নেশা উপকরণ মিশিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাজারজাত করছে। এরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় কারখানা তৈরি করে মাদক মিশ্রিত এ সব পানীয় বোতলজাত করছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এভাবে কথিত কোমল পানীয়ের আড়ালে ভয়াবহ মাদকের বিস্তার ঘটছে সারা দেশে। জীবনীশক্তি বিনাশী এ মাদক শুধু সহজলভ্যই নয়; বরং সস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঠিকানাবিহীন কারখানায় চলছে কথিত ‘এনার্জি ড্রিংকস’ উৎপাদন। নানা উদ্দীপক নামের এ পানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথিত সাঁড়াশি অভিযানের মুখেও প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। হট ফিলিংস, ট্রিপল এক্স, ফাস্ট ফিলিংস, পাওয়ার, স্পীড, এনার্জি, হর্স পাওয়ার, হর্স ফিলিংস, সুপার পাওয়ার, ফাস্ট হর্স, ম্যান পাওয়ারসহ নানা নামের কথিত ‘এনার্জি ড্রিংকস’ শরীরে ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। আফিম থেকে উদ্ভূত উপাদানের মিশ্রণে তৈরি পানীয়গুলো দীর্ঘ মেয়াদে গ্রহণে স্নায়ুবিক দুর্বলতার পাশাপাশি চূড়ান্ত স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা রয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এতে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরাসহ যুব শ্রেণীই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। দেশে এভাবে একটা উপার্জনক্ষম কর্মশক্তি ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ছে। মূলত, পার্শ্ববর্তী একটি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ নেশার দ্রব্য অবাধে প্রবেশ করিয়ে এদেশের উপার্জনক্ষম পুরুষ ও যুবশক্তিকে যড়যন্ত্রমূলকভাবে নষ্ট করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। নাউযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এদেশের প্রায় ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। পবিত্র দ্বীন ইসলাম এদেশের রাষ্ট্রদ্বীন। আর মদ পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। তাই ১৯৭২-এর সংবিধানে শেখ সাহেব শরাব বা মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন। আজ ৭২-এর সংবিধানের পুনঃপ্রবর্তনের কথা বলতে অনেক মহল সোচ্চার। কিন্তু তারা যে অর্থে সোচ্চার তা হলো- ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা পুনঃপ্রবর্তনে তারা সক্রিয়। কিন্তু ৭২-এর সংবিধানে শুধু ধর্মনিরপেক্ষতারই উল্লেখ ছিল না। মদ ও জুয়া আক্ষরিকভাবে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু ব্যক্তিস্বার্থের লক্ষ্যে এই নিষিদ্ধকরণের কথা কেউ উল্লেখ করছে না। উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমানই প্রথম মদের কারখানা অনুমতি দিয়েছিলো। এবং পরবর্তীতে মইত্যা রাজাকার নিজামীও মদের কারখানার অনুমতি দিয়েছিল। নাউযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- অতএব, প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ কোনো আইন হবে না’-এই ওয়াদাবদ্ধ সরকার থাকতে কী করে বাংলাদেশে শরাব বা মদ চলতে পারে? কাজেই অতিসত্বর বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- শরাব বা মদ তৈরি, আমদানি ও বিক্রি পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.