![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনগনের অজ্ঞতার সুযোগে থ্রি-জি ও টু-জি তরঙ্গ নিলামে বিক্রির নামে সরকার ও কমিশনভোগী কর্মকর্তারা লুট করবে হাজার হাজার কোটি টাকা।
মূল্য কম ধরে ও ‘প্রতিযোগিতাহীন’ নিলামের মাধ্যমে অ্যববহৃত থ্রি-জি ও টু-জি তরঙ্গ নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা এতে কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
টেলিযোগাযোগ সেবা আরো সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে হাতে থাকা ১৮০০ ও ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের সাড়ে ২৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামে তুলবে বিটিআরসি। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ উপলক্ষে দু’টি পৃথক গাইড লাইন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
গাইড লাইনে এ তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য অনেক কম ধরা হয়েছে। ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গে ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ২৩০ কোটি (৩ কোটি ইউএস ডলার), যেখানে গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত টু-জি নিলামে এই ক্যাটাগরির তরঙ্গের প্রতি মেগাহার্জের মূল্য ছিল প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার মতো। অন্যদিকে ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের তরঙ্গের ভিত্তিমূল্যও কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ক্যাটাগরির প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গে ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা (২.২০ কোটি ইউএস ডলার)।
এ প্রসঙ্গে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত থ্রি-জি নিলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলামেইলকে বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক হলে ২০১৩ সালের থ্রি-জি নিলামে তরঙ্গ মূল্য কয়েকগুণ বেশি হতো। কিন্তু সরকার ভিত্তিমূল্য কম ধরায়, অপারেটরগুলো জোট বাধায় কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত এ বিশেষজ্ঞ আরো জানান, বর্তমান বিশ্বে ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড খুব মূল্যবান তরঙ্গ বলে বিবেচিত। টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর জন্য এটি একটি আদর্শ তরঙ্গ ব্যান্ড। এর মূল্য থ্রি-জি ব্যান্ডের চেয়ে অনেক বেশি হওয়া উচিৎ। কারণ বিশ্বে খুব বেশি দেশের হাতে আর এ তরঙ্গ নেই। তাই এর মূল্য বিটিআরসির নির্ধারিত ভিত্তিমূল্যের চেয়ে বেশি হওয়া উচিৎ।
উল্লেখ্য, এর আগে থ্রি-জির তরঙ্গ নিলামের সময় ভিত্তিমূল্য কম ধরায় সরকার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারায়। ভারতের চেয়ে এক তৃতীংয়াশ কম মূল্যে ২১০০ মেগাহার্জের তরঙ্গ নিলামে তোলা হয়। সে সময় প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য ধরা হয় ১৫০ কোটি টাকা (২.১ কোটি ইউএস ডলার)। আর মোবাইল কোম্পানিগুলোর জোটবদ্ধ হওয়ার কারণে সরকার পায় মাত্র চার হাজার কোটি টাকা। যেখানে বিটিআরসি আশা করেছিল তারা ৭ হাজার কোটি টাকা আয় করবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক প্রক্রিয়ায় নিলাম অনুষ্ঠিত হলে ১৪ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হতো।মূল্য কম ধরে ও ‘প্রতিযোগিতাহীন’ নিলামের মাধ্যমে অ্যববহৃত থ্রি-জি ও টু-জি তরঙ্গ নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা এতে কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
টেলিযোগাযোগ সেবা আরো সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে হাতে থাকা ১৮০০ ও ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের সাড়ে ২৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামে তুলবে বিটিআরসি। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ উপলক্ষে দু’টি পৃথক গাইড লাইন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
গাইড লাইনে এ তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য অনেক কম ধরা হয়েছে। ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গে ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ২৩০ কোটি (৩ কোটি ইউএস ডলার), যেখানে গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত টু-জি নিলামে এই ক্যাটাগরির তরঙ্গের প্রতি মেগাহার্জের মূল্য ছিল প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার মতো। অন্যদিকে ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের তরঙ্গের ভিত্তিমূল্যও কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ক্যাটাগরির প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গে ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা (২.২০ কোটি ইউএস ডলার)।
এ প্রসঙ্গে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত থ্রি-জি নিলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলামেইলকে বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক হলে ২০১৩ সালের থ্রি-জি নিলামে তরঙ্গ মূল্য কয়েকগুণ বেশি হতো। কিন্তু সরকার ভিত্তিমূল্য কম ধরায়, অপারেটরগুলো জোট বাধায় কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত এ বিশেষজ্ঞ আরো জানান, বর্তমান বিশ্বে ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড খুব মূল্যবান তরঙ্গ বলে বিবেচিত। টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর জন্য এটি একটি আদর্শ তরঙ্গ ব্যান্ড। এর মূল্য থ্রি-জি ব্যান্ডের চেয়ে অনেক বেশি হওয়া উচিৎ। কারণ বিশ্বে খুব বেশি দেশের হাতে আর এ তরঙ্গ নেই। তাই এর মূল্য বিটিআরসির নির্ধারিত ভিত্তিমূল্যের চেয়ে বেশি হওয়া উচিৎ।
উল্লেখ্য, এর আগে থ্রি-জির তরঙ্গ নিলামের সময় ভিত্তিমূল্য কম ধরায় সরকার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারায়। ভারতের চেয়ে এক তৃতীংয়াশ কম মূল্যে ২১০০ মেগাহার্জের তরঙ্গ নিলামে তোলা হয়। সে সময় প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য ধরা হয় ১৫০ কোটি টাকা (২.১ কোটি ইউএস ডলার)। আর মোবাইল কোম্পানিগুলোর জোটবদ্ধ হওয়ার কারণে সরকার পায় মাত্র চার হাজার কোটি টাকা। যেখানে বিটিআরসি আশা করেছিল তারা ৭ হাজার কোটি টাকা আয় করবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক প্রক্রিয়ায় নিলাম অনুষ্ঠিত হলে ১৪ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হতো।
সূত্র এখানে:
©somewhere in net ltd.